৩রা জুলাইঃ বাংলা বিহার উড়িস্যার শেষ স্বাধীন নবাব, ইংরেজ বিরোধী স্বাধীনতা সংগ্রামের প্রথম শহীদ, নবাব সিরাজুদ্দৌলার ২৬০-তম শাহাদাত বার্ষিকীঃ স্মরনঃ
মুজিবুর রহমান মুজিব॥ ২০১৭ সালের ৩রা জুলাই বাংলা, বিহার, উড়িস্যার শেষ স্বাধীন নবাব, বৃটিশ বিরোধী স্বাধীনতা সংগ্রামের প্রথম শহীদ, বাংলা ও বাঙ্গালির জাতীয় বীর নবাব সিরাজুদ্দৌলার ২৬০তম শাহাদাত বার্ষিকী। ১৭৫৭ সালের ৩রা জুলাই, মতান্তরে ২রা জুলাই, রাত্রি শেষে ৩রা জুলাইর সূচনালগ্নে নবাব সিরাজুদ্দৌলাকে নির্মম ভাবে হত্যা করা হয়। -“ইষ্ট ইন্ডিয়া কোম্পানীর ষড়যন্ত্র, নবাবের পরমাত্মীয় সিপাহশালার মীরজাফর আলী খান, ধনকুবের জগৎ শেঠ প্রমুখের পরিকল্পনায় সুবে বাংলার নবাবি এবং শাসনযন্ত্রকে নিস্কন্টক করাই ছিল নবাব হত্যার মূল কারন। মীরজাফর পুত্র মীরন, ঘাতক মোহাম্মদী বেগকে দিয়ে সিরাজুদ্দৌলাকে হত্যা করায়।
১৭৫৭ সালের ২৩ শে জুন থেকে ৩রা জুলাই পর্যন্ত মাত্র দেড় সপ্তাহের মাথায়-ইস্ট ইন্ডিয়া কোম্পানীর কেরানী রবার্ট ক্লাইভ, হতভাগ্য নবাবের বিশ^াসঘাতক সিপাহশালার বেঈমান-নন ইন্ডিয়ান মীর জাফর আলী খান, ভাগ্যবান-ধনকুবের জগৎ শেঠ, শক্তিমান রায়দুর্লভের শলাপরামর্শে বাংলার স্বাধীনচেতা নবাব সিরাজুদ্দৌলাকে হত্যা করার স্বিদ্ধান্ত নেয়া হয়। সিপাহশালার মীরজাফর পুত্র মীরন সিরাজ হত্যার দয়িত্ব ভার গ্রহন করেন। মীরনই আনয়ন করেন হৃদয়হীন মোহাম্মদী বেগকে। পাষান মোহাম্মদী বেগ নবাব সিরাজুদ্দৌলাকে ছুড়িকাঘাতের মাধ্যমে হত্যা করে। মোহাম্মদী বেগের ছুরিকাঘাতে শাহাদাত বরন করেন স্বাধীন বাংলার স্বাধীনচেতা নবাব মির্জা মোহাম্মদ সিরাজুদ্দৌলা হায়বৎজং বাহাদুর। মানুষ নামের অমানুষ মোহাম্মদী বেগ সিরাজুদ্দৌলার পিতার আশ্রয়ে লালিত পালিত ছিলেন। বালক সিরাজের কাছে বাল্যকালে সহোদরের সহমর্মিতা-মান-সম্মান ও মমতা পেয়েছিলেন সেই মোহাম্মদী বেগ স্বার্থের বশবর্তী হয়ে সিরাজ হত্যায় বিন্দুমাত্র কুন্ঠাবোধ করেনি বরং স্বীয় সাফল্যের অট্টহাসি-অশ্লীল হাসি হেসেছে।
বাংলার নবাব সিরাজুদ্দৌলাকে নির্মমভাবে হত্যাকান্ডের পর দেশবাসীকে ভয়ভীতি এবং কোম্পানী, কেরানী ক্লাইভ, এবং সেনাপতি মীর জাফর আলী খাঁন এর শক্তি প্রদর্শনের জন্য হতভাগ্য নবাবের লাশকে খন্ডবিখন্ড করে হাতির পিঠে উঠিয়ে সমগ্র মুর্শিদাবাদ শহর প্রদক্ষিন করা হয়। রাজধানী মুর্শিদাবাদের নিরীহ জনসাধারন এই করুন দৃশ্য দেখে নীরবে অশ্রুপাত করেন। অপরপক্ষে অশ্লীল আস্কলন ও উদ্ভিন্ন উল্লাসে মেতে উঠে কোম্পানী, ক্লাইভ এবং ক্লাইভের গর্দভ বলে আভিহিত মীরজাফর আলী খান-গং। পরিপূর্ন ধর্ম্মীয় আনুষ্টানিকতা ছাড়াই সাধারনভাবে সিরাজুদ্দৌলাকে সমাহিত করা হয় খুশবাগের গোরস্থানে-দাদু নবাব আলীবর্দী খাঁর কবরের পাশে। করম আলী খাঁন কর্তৃক ফার্সি ভাষায় রচিত তথ্যবহুল গ্রন্থ-“ মোজাফ্ফর নামার” তথ্য মতে মীর জাফর চক্র নবাবের মৃত দেহ বাজার চত্বরে ফেলেদিলে মির্জা জয়নুল আবেদীন বাকাওয়াল জীবনের ঝুকি নিয়ে লাশ দাফনের ব্যবস্থা করেন।
নবাব আলীবর্দী খাঁর মৃত্যুর পর তাঁর প্রিয় দৌহিত্র মির্জা মোহাম্মদ সিরাজুদ্দৗলা হায়বৎজং বাহাদুর নাম ধারন করে বাংলা বিহার উড়িস্যার সিংহাসন আরোহন করেন। দেশী বিদেশী ষড়যন্ত্রের সম্মুখীন হন তরুন নবাব। দেশপ্রেম, বুদ্ধিমত্তা, চারিত্রিক বৈশিষ্ট ও দৃঢ়তা দিয়ে দেশী-বিদেশী সকল ষড়যন্ত্রের মোকাবিলা করেন স্বাধীন বাংলার স্বাধীনচেতা নবাব সিরাজুদ্দৌলা। কিন্তু প্রাষাদ ষড়যন্ত্র, সিপাহশালার মীরজাফর আলী খান, জগৎ শেঠ, উমি চাঁদ, রায় দূর্লভদের বিশ^াসঘাতকতা শিষ্টাচার বহির্ভূত আচরনের অনিবার্য্য পরিনতি ১৭৫৭ সালের ২৩ শে জুনের পলাশীর যুদ্ধ।
স্বাধীনচেতা নবাব সিরাজুদ্দৌলা ইংরেজদের কাছ আত্বসমর্পন করেন নি। বাংলা ও বাঙ্গালির বিসর্জন দিয়ে কোম্পানী ও ক্লাইব-কে নিয়ে ঐক্যমতের সরকার গঠন করেন নি। অধিক সৈন্য সংগ্রহ করতঃ পুনরায় ইংরেজদের সঙ্গে যুদ্ধ করার মানষিকতা নিয়ে বাংলার ভাগ্যাহত-পরাজিত নবাব সপরিবারে পাটনায় পলায়নের পথে ধৃত হয়ে মুর্শিদাবাদে নীত হন। ৩রা জুলাই মোহাম্মদীবেগ চুরিকাঘাতে নির্মমভাবে হত্যা করার পর নবাব পরিবার অবর্ণনীয় দুঃখ, কষ্ট, অপমান, অবহেলা ও লাঞ্ছনার সম্মুখীন হন। নবাব পরিবারের কতেক সদস্যকে ঢাকায় প্রেরন করতঃ জিঞ্জিরা প্রাসাদে বন্দী করে রাখে মীর জাফর চক্র। ঐতিহাসিক জিঞ্জিরা প্রাসাদ বর্তমানে ধ্বংস ও নিশ্চিহ্নের পথে। সরকারের প্রতœতত্ব বিভাগ এই প্রতœসম্পদকে রক্ষা ও দখলমুক্ত করার জন্য সরকারের সংশ্লিষ্ট বিভাগকে অধিকতর সক্রিয় হওয়া উচিত বলে ওয়াকিবহাল মহল মনে করেন।
নবাবের শাহদাত বরনের পর আরো ত্রিশ বৎসর জীবিত ছিলেন নবাব মহিষী বেগম লুৎফুন্নেছা। বেঈমান মীরজাফরের বেআদব পুত্র মীরন ও তার সহযোগীগন নবাব সিরাজের সহধর্ম্মিনি বেগম লুৎফুন্নেছাকে বিভিন্ন প্রলোভন দেখিয়েছেন, অসৌজন্যমূলক প্রস্তাব পেশ করেছেন, সবকিছু উপেক্ষা ও প্রত্যাখ্যান করে পতিব্রতা ভারতীয় মুসলিম নারী বেগম লুৎফুন্নেছা শহীদ স্বামীর কবর জিয়ারত-কোরআন তেলাওয়াত, জিগির আজগার, কবরের পরিচর্যা করে জীবন কাটিয়েছেন, নিজেদের ব্যাক্তিগত ধনসম্পদ ফিরিয়ে পাওয়ার জন্য কোম্পানীর সঙ্গে দেনদরবার করলেও কানা করিও ফিরিয়ে পাননি। সিরাজ-লুৎফা-নবাব-বেগমের প্রিয় কন্যা উম্মে জহুরাকে শাদী দিয়েছেন দীনহীন ভাবে। পৃথিবীর অভিজাত ও বিত্তবান বিধবাদের মধ্যে একটি আদর্শ, চীরস্মরনীয় ও পরম পূজনীয় স্থান দখল করে আছেন বেগম লুৎফুন্নেছা, নবাব সিরাজের প্রিয় লুৎফা। আধুনিককালে, ষাটের দশকে আমেরিকান সুদর্শন ও জনপ্রিয় প্রেসিডেন্ট ছিলেন জন এফ কেনেডি। জন পতœী, মার্কিন ফার্স্টলেডি স্বর্নকেশী জ্যেকুলিন কেনেডীও ছিলেন অপরূপ সুন্দরী নারী। রূপে-গুনে তৎকালীন বিশে^র সবচাইতে আলোচিত ও জনপ্রিয় ছিলেন এই দম্পতি। প্রেসিডেন্ট কেনেডি তার সৌন্দর্য, স্মার্টনেস ও গ্লামার দ্বারা বিশ^ ব্যাপী-প্লেবয় প্রেসিডেন্ট হিসাবে খ্যাতি ও স্বীকৃতি অর্জন করেন। সিনেমা ও ফ্যশন ম্যাগাজিনগুলি-কভারষ্টরি-করতেন জন জ্যেকুলিন- এর ছবির দিয়ে চলচিত্রের নায়ক নায়িকার কায়দায়। মিডিয়া বান্ধব ব্যাক্তি ছিলেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট জন ফিটজিরাল্ড কেনেডি। আততায়ীর হাতে মার্কিন প্রেসিডেন্ট জন এফ কেনেডির নির্ম্মম মৃত্যুর পর শুধু মার্কিন মুল্লুক নয় সমগ্র বিশ^ব্যাপী শোকের ছায়া নেমে আসে-প্রতিবাদের ঝড় উঠে। লেইট প্রেসিডেন্ট কেনেডির বিধবা পতিœ জ্যেকুলিন কেনেডি কিন্তু জ্যেকুলিন ও নাসিস হতে দ্বিধা বোধ করেননি ও কুন্ঠিত হননি। সাবেক মার্কিন ফাষ্ট লোড জেকুলিন কেনেডি জাহাজ ব্যবসায়ী গ্রীক ধনকুবের আশিতপরবৃদ্ধ এরিস্টটল ও নাসিসের সঙ্গে হাসতে হাসতে বিবাহ বন্ধনে আবদ্ধ হন জেকুলিন ওনাসিস। আধুনিককালের মত সপ্তদশ শতাব্দিত শিক্ষা জ্ঞান বিজ্ঞানের এত প্রসার প্রচার-গনতন্ত্র-সমাজতন্ত্র ছিলনা, কিন্তু বাংলায়-ভারতে ছিল উন্নত নৈতিকতা বোধ। নীতিবোধ।
১৭৮৬ সালের ১০ই নভেম্বর, নবাব সিরাজুদ্দৌলার সহ ধর্মিনী বেগম লুৎফুন্নেছা এই মায়াময় পৃথিবীর মায়া কাটিয়ে তার দুঃখিনী জীবনের অবসান ঘটান, আলিঙ্গন করেন মহান মৃত্যুকে। বেগম লুৎফুন্নেছাকে শহীদ নবাব সিরাজুদ্দৌলার কবরের উপর শায়িত অবস্থায় পাওয়া যায়। তাঁর শেষ ইচ্ছানুযায়ী তাকে তাঁর প্রিয় স্বামীর পায়ের কাছে সমাহিত করা হয়। “খোশবাগের”- শাহী গোরস্থানে চীর শয়ানে শায়িত আছেন বাংলার শেষ স্বাধীন নবাব সিরাজুদ্দৌলা, তার প্রিয় বেগম,- বেগম লুৎফুন্নেছা।
বাংলার নবাব সিরাজুদ্দৌলার সমাধি সৌধে পর্যটক বিশেষতঃ বঙ্গভাষি পর্যটকগন সম্মান প্রদর্শন করেন, ফাতেহা পাঠ করেন, রুহের মাগফিরাত কামনা করেন ইসলাম ধর্মের অনুসারিগন। আর, -মীর জাফর আলী খানের বাসস্থান নিমক হারামের দেউড়ি-হিসাবে কুখ্যাতি অর্জন করেছে, পর্যটকগন সেখানে ক্ষোভ ঘৃনা প্রকাশ করেন। সেনাপতি মীর জাফর আলী খান -বেঈমান মীর জাফর হিসাবে কুখ্যাত। বাংলাভাষায়, বাংলাদেশে বিশ^াসঘাতকের আরেক নাম মীরজাফর। সাধারনতঃ বাঙ্গালি মুসলমান সমাজে মীরজাফর নাম রাখা হয় না। বাংলাদেশে জন্ম ও মৃত্যুদিবস সহ বহুবিধ দিবস রয়েছে। দিবসগুলি অনেক ক্ষেত্রে জাতীয়ভাবে পালনও করা হয়। ঐতিহ্য আর আধুনিকতার সমন্বয়ে গড়ে উঠেছে সভ্যতা ও সংস্কৃতি। আধুনিক গনচীন বিপ্লব পূর্ব কালের বহু ঐতিহাসিক প্রতœতাত্বিক ঐতিহ্য ও স্মৃতি ধারন করে সযতেœ লালন করছেন। আফ্রো-আমেরিকান লেখক-সাংবাদিক এ্যলেক্স হ্যেলির (অষবী ঐবষষু) বিখ্যাত গ্রন্থ “রুটস” (জড়ড়ঃং) বর্নবাদ বিরোধী আন্দোলনের এক মহান দলিল হিসাবে বিশ^ সাহিত্যের ভান্ডারে একখানা ক্লাসিক গ্রন্থ হিসাবে খ্যাত ও স্বীকৃত। আশির দশকে টিভি সিরিজ-রুটস-দারুন দর্শক প্রিয়তা পেয়েছিল। রুটস এ্যলেক্স হ্যোলির আট পূর্ব পুরুষের কাহিনী। নিবন্ধকারের একটি নিবন্ধ-এ্যলেক্স হ্যোলির “রুটস, সাত পুরুষের ঋন” – দারুন পাঠক প্রিয়তা পেয়েছিল। জন্মাবধি পাক ভারত বৈরী ও শীতল সম্পর্কের মাঝেও, পাকিস্তানের স্বপ্নদ্রষ্টা দার্শনিক কবি ইকবালের -“সারেজাহাসে আচ্ছা, হিন্দুস্থাহামারা- দেশাত্ববোধক সঙ্গীতটি ভারতে দ্বিতীয় জাতীয় সঙ্গীতের মর্য্যাদায় গীত হয়। ভারতের জাতীয় সঙ্গীত -“ জনগন মন অধিনায়ক জয় হে ভারত ভাগ্য বিধাতা-র-পরই আললামা ইকবালের -“ সারে জাঁহাসে আচ্ছা, হিন্দুস্থাহামারা-র অবস্থান। কিন্তু দূর্ভাগ্যজনক ভাবে বাংলাদেশের কিছু বরনীয় ব্যাক্তিদের স্মরনীয় দিন নিরবে নিঃশব্দে চলে যায়। জাতিগত ভাব এটা আমাদের জন্য দুঃখও দূর্ভাগ্যজনক ব্যাপার। হাজার বছরের গৌরবময় অতীত ঐতিহ্যে লালিত বাংলা ও বাঙ্গালির একটি গৌরবময় অতীত আছে, আছে অতীত ঐতিহ্য।
“সিপাহী বিদ্রোহ” নামে খ্যাত সর্বভারত ব্যাপী সসস্ত্র স্বাধীনতা সংগ্রামের সিপাহ সালার, দিল্লীর শেষ মুঘল সম্্রাট আবু জাফর সিরাজুদ্দিন মুহাম্মদ বাহাদুর শাহ, শহীদ সৈয়দ আহমদ বেরেলভী, মীর নিসার আলী- তিতুমীর, ফরায়েজী আন্দোলনের নেতা হাজি শরীয়ত উল্লা, চট্টগ্রাম বিপ্লবের নায়ক মাষ্টারদা সূর্য্যসেন, ত্রিপুরা অঞ্চলের বিপ্লবী কৃষক নেতা সমশের গাজি, অগ্নিযুগের অগ্নিকন্যা লীলানাগ, ক্ষুদিরাম প্রমুখের জন্ম ও মৃত্যু চলে যায় নিরবে নিঃশব্দে। মৌলানা আব্দুল হামিদ খান ভাষানী এবং শেরে বাংলা একে ফজলুল হকের নাম সর্বস্ব দলীয় অস্থিত্ব থাকায় দলগত ভাবে নাম কাওয়াস্তে স্মরন করা হয়। এই দুই জাতীয় নেতা সহ বাংলা ও বাঙ্গালির জাতীয় বীরদেরকে জাতীয়ভাবে স্মরন করা, সম্মান দেয়া উচিত।
বাংলা ও বাঙ্গালীর জাতীয় বীর শহীদ সিরাজুদ্দৌলার উজ্জল স্মৃতির প্রতি গভীর শ্রদ্ধা নিবেদন করছি, তার রুহের মাগফিরাত কামনা করছি।
লেখক : মুজিবুর রহমান মুজিব ষাটের দশকে ঢাকা বিশ^বিদ্যালয়ে ইসলামের ইতিহাস ও সংস্কৃতি বিভাগের ছাত্র। সত্তোর দশকে ইতিহাসের কলেজ শিক্ষক। সিনিওর এডভোকেট হাই কোর্ট। সাবেক সভাপতি মৌলভীবাজার প্রেসক্লাব। মুক্তিযোদ্ধা।
মন্তব্য করুন