৬ ডিসেম্বর শ্রীমঙ্গল মুক্ত দিবস
শ্রীমঙ্গল প্রতিনিধি॥ ৬ ডিসেম্বর রোববার শ্রীমঙ্গল মুক্ত দিবস। ১৯৭১ সালের ৬ ডিসেম্বর মৌলভীবাজার জেলার শ্রীমঙ্গল মুক্ত হয়েছিল। ১৯৭১ সালের এই দিনে লড়াকু মুক্তিযোদ্বারা মরন পন লড়াইন করে হানাদার বাহিনীকে শ্রীমঙ্গল থেকে হটিয়ে শক্রমুক্ত করেছিল। তবে এর আগে হানাদার বাহিনীর সাথে লড়াই করে নিহত হয়েছিলেন বেশ কয়েকজন মুক্তিযোদ্বা।
জানা যায় ৩০ এপ্রিলের পর থেকে পাকিস্থান হানাদার বাহিনী ৫ ডিসেন্বর পর্যন্ত শ্রীমঙ্গলে হত্যা করেছিল অর্ধশতাধিক মুক্তিযোদ্ধাসহ অসংখ্য নীরঅপরাধ নারী পুরুষদের। ১৯৭১ সালের ৭ মার্চ বঙ্গবন্ধুর ঐতিহাসিক ভাষণে সূচিত অসহযোগ আন্দোলন শ্রীমঙ্গলে তীব্র রূপ নেয়। অফিস-আদালতসহ শ্রীমঙ্গলের চা শিল্পে সৃষ্টি হয় অচলাবস্থা। ২৩ মার্চ শ্রীমঙ্গল থানার পতাকা বেদিতে পাকিস্থানের পতাকা নামিয়ে তোলা হয় স্বাধীন বাংলার পতাকা। শ্রীমঙ্গল পৌরসভা অফিস সিলেট জেলার মুক্তিযুদ্ধ পরিচালনার প্রধান কেন্দ্র হয়ে উঠে। ১ এপ্রিল থেকে ২৪ এপ্রিল পর্যন্ত দুর্জয় সংগ্রামে প্রতিরোধ সংগ্রামীরা শ্রীমঙ্গলে স্বাধীন বাংলার পতাকা সমুন্নত রেখেছিলেন। ওই সময় মুক্তিযুদ্ধের সর্বাধিনায়ক কর্ণেল এমএজি ওসমানী ও ব্রিগেডিয়ার পান্ডে দু’বার শ্রীমঙ্গলে আসেন। ২৪ এপ্রিল পাক বাহিনীর দুটি বোমারু বিমান শ্রীমঙ্গলের আকাশে ৩০ মিনিট ধরে অবিরাম বোমা বর্ষণ করে। শ্রীমঙ্গলের প্রতিরোধ কর্মীদের কেউ আসারামবাড়ী সীমান্ত দিয়ে, কেউ ধলই সীমান্ত দিয়ে ভারতে যান। প্রশিক্ষণ শেষে ঝাঁকে ঝাঁকে যোদ্ধারা দেশে আসেন দেশমাতৃকার আর তাদের সন্তানদের শত্রুমুক্ত করার দুর্জয় শপথ নিয়ে। যুদ্ধে নিহত উলে¬খযোগ্য শহীদরা হলেন হর মুজ আলী, মঈন উদ্দিন,আলতাফ মিয়া, রিস্কা চালক আনিছ, মুকিত লস্কর, পবন তাতীঁ, আবুল হোসেন, সমীর সোম প্রমুখ আরো অনেকই। এছাড়া এদের সাথে প্রাণ হারান চা শ্রমিক জনগোষ্ঠীর কয়েকশ শ্রমিক।
দীর্ঘ ৯ মাস যুদ্ধ চলা কালে শহর ও শহরতলীর কলেজ রোড ভাড়াউড়া চা বাগান, বিডিআর ক্যাম্প সংলগ্ন সাধুবাবার গাছতলা , সিন্দুরখান, সবুজবাগ ও পুর্বাশা সহ কয়েক টি স্থানকে বধ্যভুমিতে পরিণত করে জায়গায় শত শত নীর অপরাধ মানুষকে হত্যা করেছিল দেশীয় রাজাকারদের সহায়তায় হানাদার বাহিনী। এক পযায়ে মুক্তিযোদ্ধাদের মরনপন লড়াই ও ভারতের সীমান্ত থেকে মুক্তি বাহিনী ক্রমশ ক্যাম্প অভিমুখে এগিয়ে আসার খবরে পাক বাহিনী ভীত হয়ে পড়ে। অবস্থা বেগতিক দেখে ৬ ডিসেন্বর ভোরে তারা পালিয়ে মৌলভীবাজরে আশ্রয় নেয়। এবং একরকম বিনা যুদ্ধেই মুক্ত হয় শ্রীমঙ্গল শহর। উড়ানো হয় স্বাধীন বাংলাদেশের পতাকা।
৬ ডিসেম্বর থেকে মুক্তি যোদ্ধারা দেশে আসতে শুরু করেন এবং তারা মৌলভীবাজার অভিমুখে এগিয়ে গেলে ৮ ডিসেম্বর পাক বাহিনী মৌলভীবাজার থেকেও পালিয়ে যায়। এদিকে মুক্তিযোদ্ধারা দেশে এসে ঝাপিয়ে পড়ে ছিলেন সেই অসংখ্য মা বোনের ইজ্জত লুন্টনকারী ও শত শত মানুষকে হত্যাকারী রাজাকার আলবদর ও তাদের দোষরদের শাস্তির কাজে। কিন্তু কয়েকজন মুক্তিযোদ্ধাও আওয়ামীলীগের কয়েক নেতার বাধার মূখে ছাড়া পেয়ে যায় অনেক রাজাকা
মন্তব্য করুন