কমলগঞ্জে এক বছরে ১১০টি বৈদ্যুতিক ট্রান্সফরমার চুরি : গ্রাহকদের ক্ষতি ২৮ লাখ : সমিতির লোকসান ৫৮ লাখ টাকা
কমলগঞ্জ উপজেলায় বৈদ্যুতিক ট্রান্সফরমার চোর চক্রের দৌরাত বৃদ্ধি পেয়েছে। চোর চক্রের হাত থেকে ট্রান্সফরমার রক্ষা করতে অনেক গ্রামেই মানুষরা রাত জেগে পালাক্রমে পাহারা দিচ্ছেন। ট্রান্সফরমার চুরি রোধ করতে না পারায় ক্ষতিগ্রস্থ হচ্ছেন গ্রাহকরা। ট্রান্সফরমার চুরি করতে বালু নামে এক চোর বিদ্যুতায়িত হয়ে মারা গেছে। বিগত ১ বছরে পল্ল¬ী বিদ্যুত সমিতি কমলগঞ্জ জোনাল অফিসের আওতাধিন এলাকা থেকে প্রায় ১১০টি ট্রান্সফরমার চুরি হয়েছে। চুরি যাওয়া এলাকায় ট্রান্সফরমার নতুন করে কিনতে গিয়ে গ্রাহকরা ২৮ লাখ টাকার আর্থিক ক্ষতির সম্মুখীন হয়েছেন। পল্লী বিদ্যুত সমিতির লোকসান হয়েছে ৫৮ লাখ টাকা । চুরি রোধে ব্যর্থতার জন্য পুলিশ ও পল্ল¬ী বিদ্যুত সমিতি একে অপরকে দায়ী করছেন। জানা যায়, মৌলভীবাজার পল্লী বিদ্যুৎ সমিতির অর্ন্তভুক্ত কমলগঞ্জ জোনাল অফিসের নিয়ন্ত্রনে কমলগঞ্জ ও কুলাউড়া (একাংশ) উপজেলার ৮৯০ কিলোমিটার বিদ্যুৎ সঞ্চালন লাইন রয়েছে। এই লাইনের আওতায় রয়েছে ২১০টি গ্রাম। গ্রাহক সংখ্যা প্রায় ৩৪ হাজার ৩ শত জন। বিভিন্ন গ্রামে নিরিবিচ্ছিন্ন বিদ্যুত ব্যবস্থা চালু রাখতে স্থাপিত পল্লী বিদ্যুত সমিতি খুঁটিতে রয়েছে ৫, ১০, ১৫ ও ২৫ কেভি ধারণ সম্পন্ন ট্রান্সফরমার। তামা জাতীয় মূল্যবান কয়েলের লোভে প্রতিনিয়ত বিভিন্ন এলাকায় হানা দিচ্ছে শক্তিশালী চোর চক্র। এলাকার চোরদের সাথে টঙ্গী, ব্রাক্ষনবাড়িয়া, কুমিল¬ার চোর সিন্ডিকেট চক্র রাতের আধারে প্রতিনিয়ত চুরি করছে ট্রান্সফরমার। এক হিসাবে দেখা গেছে, ২০১২ সালের জুন হতে ২০১৩ সালের জুন পর্যন্ত কমলগঞ্জ উপজেলার পূর্ব জালালপুর, শ্রীনাথপুর, যোগিবিল, কামুদপুর, ঘোষপুর, সোনাপুর,মির্জাপুর, ধলাইপাড়, কাঠালতলী, রহিমপুর, মইডাইল, মরিছা সহ ৩৫টি গ্রাম ও কুলাউড়া উপজেলার সালন, তিলীশিজুড়া, রাউৎগাও, গান্ডারগাও, সঞ্জবপুর, লালপুর, বৈদ্যশাশন, লালারচক, সুলতানপুর, গনিপুর, সোনাপুর, হাজীপুর শরীফপুর,দেত্তগাও সহ ৩০টি গ্রাম থেকে ৫ কেভি ৪৫ টি, ১০ কেভি ৪৩ টি, ১৫ কেভি ১৬ টি ও ২৫ কেভি ৭টি মোট ১১০টি বৈদ্যুতিক ট্রান্সফরমার চুরি হয়েছে। চুরি যাওয়া ১১০টি ট্রান্সফরমার বসাতে গিয়ে গ্রাহকদের কাছ থেকে সমিতি নিয়েছে প্রায় ২৮ লাখ টাকা। পল্লী বিদ্যুত সমিতির লোকসান হয়েছে ৫৮ লাখ টাকা। সমিতির নিয়ম অনুযায়ী ট্রান্সফরমার চুরি হলে গ্রাহককে মূল্য পরিশোধ করতে হয়। ১ম বার চুরি হলে কেভির ধরণ অনুয়ায়ী অর্ধেক মূল্য ও একই স্থান থেকে ২য় বার চুরি হলে সম্পন্ন টাকা গ্রাহকদের পরিশোধ করতে হয়। যেসব গ্রামে একাধিকবার ট্রান্সফরমার চুরি হয় সেসব এলাকার গ্রাহকরা সবচেয়ে বেশি ক্ষতিগ্রস্থ হন। তারা টাকা যোগান দিতে গিয়ে গরু ছাগল, সুদ করে টাকা পরিশোধ করেন। গ্রাহক ও সমিতির লাখ লাখ টাকা লোকসান হলে তা প্রতিরোধে সমিতির কোন পদক্ষেপ দেখা যাচ্ছেনা। চুরি যাওয়া ১১০টি ট্রান্সফরমারের মামলা হলে ও পুলিশ একজন চোরকে গ্রেফতার করতে পারেনি বা পল্লী বিদ্যুত সমিতি ও আসামীদের চিহ্নিত করতে জোরালো পদক্ষেপ নেয়ার কোন তথ্য মেলেনি। গত বছর দুয়েক আগে ট্রান্সফরমার চুরি করতে গিয়ে কুমড়াকাপন গ্রামের বালু নামে এক চোর বিদ্যুতায়িত হয়ে মারা গেছে।
কমলগঞ্জ উপজেলায় বৈদ্যুতিক ট্রান্সফরমার চোর চক্রের দৌরাত বৃদ্ধি পেয়েছে। চোর চক্রের হাত থেকে ট্রান্সফরমার রক্ষা করতে অনেক গ্রামেই মানুষরা রাত জেগে পালাক্রমে পাহারা দিচ্ছেন। ট্রান্সফরমার চুরি রোধ করতে না পারায় ক্ষতিগ্রস্থ হচ্ছেন গ্রাহকরা। ট্রান্সফরমার চুরি করতে বালু নামে এক চোর বিদ্যুতায়িত হয়ে মারা গেছে। বিগত ১ বছরে পল্ল¬ী বিদ্যুত সমিতি কমলগঞ্জ জোনাল অফিসের আওতাধিন এলাকা থেকে প্রায় ১১০টি ট্রান্সফরমার চুরি হয়েছে। চুরি যাওয়া এলাকায় ট্রান্সফরমার নতুন করে কিনতে গিয়ে গ্রাহকরা ২৮ লাখ টাকার আর্থিক ক্ষতির সম্মুখীন হয়েছেন। পল্লী বিদ্যুত সমিতির লোকসান হয়েছে ৫৮ লাখ টাকা । চুরি রোধে ব্যর্থতার জন্য পুলিশ ও পল্ল¬ী বিদ্যুত সমিতি একে অপরকে দায়ী করছেন। জানা যায়, মৌলভীবাজার পল্লী বিদ্যুৎ সমিতির অর্ন্তভুক্ত কমলগঞ্জ জোনাল অফিসের নিয়ন্ত্রনে কমলগঞ্জ ও কুলাউড়া (একাংশ) উপজেলার ৮৯০ কিলোমিটার বিদ্যুৎ সঞ্চালন লাইন রয়েছে। এই লাইনের আওতায় রয়েছে ২১০টি গ্রাম। গ্রাহক সংখ্যা প্রায় ৩৪ হাজার ৩ শত জন। বিভিন্ন গ্রামে নিরিবিচ্ছিন্ন বিদ্যুত ব্যবস্থা চালু রাখতে স্থাপিত পল্লী বিদ্যুত সমিতি খুঁটিতে রয়েছে ৫, ১০, ১৫ ও ২৫ কেভি ধারণ সম্পন্ন ট্রান্সফরমার। তামা জাতীয় মূল্যবান কয়েলের লোভে প্রতিনিয়ত বিভিন্ন এলাকায় হানা দিচ্ছে শক্তিশালী চোর চক্র। এলাকার চোরদের সাথে টঙ্গী, ব্রাক্ষনবাড়িয়া, কুমিল¬ার চোর সিন্ডিকেট চক্র রাতের আধারে প্রতিনিয়ত চুরি করছে ট্রান্সফরমার। এক হিসাবে দেখা গেছে, ২০১২ সালের জুন হতে ২০১৩ সালের জুন পর্যন্ত কমলগঞ্জ উপজেলার পূর্ব জালালপুর, শ্রীনাথপুর, যোগিবিল, কামুদপুর, ঘোষপুর, সোনাপুর,মির্জাপুর, ধলাইপাড়, কাঠালতলী, রহিমপুর, মইডাইল, মরিছা সহ ৩৫টি গ্রাম ও কুলাউড়া উপজেলার সালন, তিলীশিজুড়া, রাউৎগাও, গান্ডারগাও, সঞ্জবপুর, লালপুর, বৈদ্যশাশন, লালারচক, সুলতানপুর, গনিপুর, সোনাপুর, হাজীপুর শরীফপুর,দেত্তগাও সহ ৩০টি গ্রাম থেকে ৫ কেভি ৪৫ টি, ১০ কেভি ৪৩ টি, ১৫ কেভি ১৬ টি ও ২৫ কেভি ৭টি মোট ১১০টি বৈদ্যুতিক ট্রান্সফরমার চুরি হয়েছে। চুরি যাওয়া ১১০টি ট্রান্সফরমার বসাতে গিয়ে গ্রাহকদের কাছ থেকে সমিতি নিয়েছে প্রায় ২৮ লাখ টাকা। পল্লী বিদ্যুত সমিতির লোকসান হয়েছে ৫৮ লাখ টাকা। সমিতির নিয়ম অনুযায়ী ট্রান্সফরমার চুরি হলে গ্রাহককে মূল্য পরিশোধ করতে হয়। ১ম বার চুরি হলে কেভির ধরণ অনুয়ায়ী অর্ধেক মূল্য ও একই স্থান থেকে ২য় বার চুরি হলে সম্পন্ন টাকা গ্রাহকদের পরিশোধ করতে হয়। যেসব গ্রামে একাধিকবার ট্রান্সফরমার চুরি হয় সেসব এলাকার গ্রাহকরা সবচেয়ে বেশি ক্ষতিগ্রস্থ হন। তারা টাকা যোগান দিতে গিয়ে গরু ছাগল, সুদ করে টাকা পরিশোধ করেন। গ্রাহক ও সমিতির লাখ লাখ টাকা লোকসান হলে তা প্রতিরোধে সমিতির কোন পদক্ষেপ দেখা যাচ্ছেনা। চুরি যাওয়া ১১০টি ট্রান্সফরমারের মামলা হলে ও পুলিশ একজন চোরকে গ্রেফতার করতে পারেনি বা পল্লী বিদ্যুত সমিতি ও আসামীদের চিহ্নিত করতে জোরালো পদক্ষেপ নেয়ার কোন তথ্য মেলেনি। গত বছর দুয়েক আগে ট্রান্সফরমার চুরি করতে গিয়ে কুমড়াকাপন গ্রামের বালু নামে এক চোর বিদ্যুতায়িত হয়ে মারা গেছে। কমলগঞ্জ প্রতিনিধি॥
মন্তব্য করুন