বড়লেখায় মিসবা উদ্দিন হত্যাকান্ড ১৭দিনেও খুনীরা গ্রেফতার হয়নি
বড়লেখার আয়েশাবাগ চা বাগানে ভাড়াটিয়া সন্ত্রাসীদের হামলায় নিহত কৃষক মিসবা উদ্দিন লিটনের খুনীরা হত্যাকান্ডের ১৭ দিন পরও গ্রেফতার না হওয়ায় বাদী পক্ষের লোকজন নিরাপত্তহীনতায় ভূগছেন। উপরন্তু আসামী পক্ষের লোকজন বাদী পক্ষের লোকদের প্রাণ নাশের হুমকি দিয়ে প্রকাশ্যে ঘুরে বেড়ালেও পুলিশ তাদের গ্রেফতার করছে না। অভিযোগ রয়েছে, খুনের ঘটনার পর সন্ত্রাসীরা প্রতিনিয়িত অসহায় ২৫ পরিবারের লোকজনকে প্রাণে মারার হুমকি দিয়ে ফল ফসলাদি জোরপূর্বক নিয়ে যাচ্ছে। প্রভাবশালী ভূমিদস্যুদের থাবা থেকে দরিদ্র ব্যক্তিদের রক্ষায় প্রশাসনকে এগিয়ে আসারও আহবান জানিয়েছেন এলাকাবাসী। এলাকাবাসীসহ বিভিন্ন সুত্রে জানা গেছে, উপজেলার উত্তর শাহবাজপুর ইউনিয়নের আয়েশাবাগ চা বাগানের প্রায় তিন কিলোমিটার দক্ষিন পূর্বে ইরেরগুল নামক প্রায় ছেষট্রি একর সরকারী খাস জমিতে ৫০/৬০ বছর ধরে হামসত আলী, ফারুখ উদ্দিন, আব্দুর রহমান ,হেকিম উদ্দিন, মাসুক উদ্দিনসহ ২৫টি পরিবার বসবাস করে আসছে। যথানিয়মে তারা ইউনিয়ন ট্যাক্স দিয়েও ধানসহ ফসলাদি করে জীবিকা নির্বাহ করে আসলেও দীর্ঘদিন কোন সমস্যা দেখা দেয়নি। বাগানের মালিকানা পরিবর্তন হলে দেখা দেয় বিপত্তি। আয়েশাবাগ চা বাগানের মালিকানা পরিবর্তন হলে বাগানের নুতন মালিক হুমায়ুন আহমদ ও সুহেল আহমদের লোকজন ইরেরগুলের দীর্ঘদিনের বসতি ২৫ পরিবারকে উচ্ছেদে নানা পায়তারা শুরু করে বলে সুত্রে জানা গেছে। এরই ধারাবাহিকতায় ১৭ জুলাই হাসমত আলী (৬৫) তার ছেলেদের নিয়ে দীর্ঘদিন দখলে থাকা হীরেরগুলে জমিতে কৃষিকাজ করতে যান। এসময় বাগানের ম্যানেজার মিজানুর রশীদ মিজানের নির্দেশে চৌকিদার জাকির হোসেন, আছাদ উদ্দিন, শাকির হোসেন নেতৃত্বে ৪০/৫০ জনের ভাড়াটিয়া সন্ত্রাসী হাসমত আলীসহ তার ছেলেদের উপর উপর লাঠি-শোঠা নিয়ে হামলা চালায়। হামলায় হাসমত আলীর ছেলে মিছবা উদ্দিন ওরফে লিটন (৩৫) খুন হন । গুরুতর আহত হন হাসমত আলীর স্ত্রী রানু বেগম (৫৫) ও ছেলে শিপন মিয়া (২৫) ও সফিক উদ্দিন (৭০)। হাসমত আলী জানান, আয়েশাবাগ চা বাগানের নতুন মালিকের ক্রয়কৃত ভূমির বাহিরে অবশিষ্ট জায়গায় আমরা ৫০/৬০ বছরের বেশী সময় ধরে এখানে বসবাস করে আসছি। নতুন মালিক বাগান কেনার পর থেকেই বিভিন্ন সময়ে আমদের ঘরবাড়িতে আক্রমন করেছে। এমনকি গাছ গাছালিও কেটে ফেলছে। হীরেরগুলের বাসিন্দা ফারুক উদ্দিন জানান, আয়েশাবাগ বাগানের ম্যানেজার মিজানুর রশিদ মিজানের নেতৃত্বে একদল ভাড়াটিয়া সন্ত্রাসী তাদের পরিবারকে প্রতিনিয়ত প্রাণনাশের হুমকি দিচ্ছে। গত বৃহস্পতিবার ১ আগষ্ট আয়েশাবাগ বাগানের ভাড়াটিয়া লোক আমার প্রায় আশি হাজার টাকার লেবু জোরপূর্বক নিয়ে গেছে। আমরা গরিব হওয়ায় ভয়ে মুখ খুলতে সাহস পাচ্ছি না। তারা দীর্ঘ মেয়াদী লীজের জন্য ইতিমধ্যে জেলা প্রশাসক বরাবরে আবেদন করেছেন। ভূমিখেকোদের হাত থেকে আমাদের ২৫ পরিবারকে রক্ষার জন্য প্রশাসনের সকল মহলের সুদৃষ্টি কামনা করছি। মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা এসআই ফিরোজ আহমদ জানান, আসামীদের ধরার জন্য তাদের অভিযান অব্যাহত আছে।
বড়লেখার আয়েশাবাগ চা বাগানে ভাড়াটিয়া সন্ত্রাসীদের হামলায় নিহত কৃষক মিসবা উদ্দিন লিটনের খুনীরা হত্যাকান্ডের ১৭ দিন পরও গ্রেফতার না হওয়ায় বাদী পক্ষের লোকজন নিরাপত্তহীনতায় ভূগছেন। উপরন্তু আসামী পক্ষের লোকজন বাদী পক্ষের লোকদের প্রাণ নাশের হুমকি দিয়ে প্রকাশ্যে ঘুরে বেড়ালেও পুলিশ তাদের গ্রেফতার করছে না। অভিযোগ রয়েছে, খুনের ঘটনার পর সন্ত্রাসীরা প্রতিনিয়িত অসহায় ২৫ পরিবারের লোকজনকে প্রাণে মারার হুমকি দিয়ে ফল ফসলাদি জোরপূর্বক নিয়ে যাচ্ছে। প্রভাবশালী ভূমিদস্যুদের থাবা থেকে দরিদ্র ব্যক্তিদের রক্ষায় প্রশাসনকে এগিয়ে আসারও আহবান জানিয়েছেন এলাকাবাসী। এলাকাবাসীসহ বিভিন্ন সুত্রে জানা গেছে, উপজেলার উত্তর শাহবাজপুর ইউনিয়নের আয়েশাবাগ চা বাগানের প্রায় তিন কিলোমিটার দক্ষিন পূর্বে ইরেরগুল নামক প্রায় ছেষট্রি একর সরকারী খাস জমিতে ৫০/৬০ বছর ধরে হামসত আলী, ফারুখ উদ্দিন, আব্দুর রহমান ,হেকিম উদ্দিন, মাসুক উদ্দিনসহ ২৫টি পরিবার বসবাস করে আসছে। যথানিয়মে তারা ইউনিয়ন ট্যাক্স দিয়েও ধানসহ ফসলাদি করে জীবিকা নির্বাহ করে আসলেও দীর্ঘদিন কোন সমস্যা দেখা দেয়নি। বাগানের মালিকানা পরিবর্তন হলে দেখা দেয় বিপত্তি। আয়েশাবাগ চা বাগানের মালিকানা পরিবর্তন হলে বাগানের নুতন মালিক হুমায়ুন আহমদ ও সুহেল আহমদের লোকজন ইরেরগুলের দীর্ঘদিনের বসতি ২৫ পরিবারকে উচ্ছেদে নানা পায়তারা শুরু করে বলে সুত্রে জানা গেছে। এরই ধারাবাহিকতায় ১৭ জুলাই হাসমত আলী (৬৫) তার ছেলেদের নিয়ে দীর্ঘদিন দখলে থাকা হীরেরগুলে জমিতে কৃষিকাজ করতে যান। এসময় বাগানের ম্যানেজার মিজানুর রশীদ মিজানের নির্দেশে চৌকিদার জাকির হোসেন, আছাদ উদ্দিন, শাকির হোসেন নেতৃত্বে ৪০/৫০ জনের ভাড়াটিয়া সন্ত্রাসী হাসমত আলীসহ তার ছেলেদের উপর উপর লাঠি-শোঠা নিয়ে হামলা চালায়। হামলায় হাসমত আলীর ছেলে মিছবা উদ্দিন ওরফে লিটন (৩৫) খুন হন । গুরুতর আহত হন হাসমত আলীর স্ত্রী রানু বেগম (৫৫) ও ছেলে শিপন মিয়া (২৫) ও সফিক উদ্দিন (৭০)। হাসমত আলী জানান, আয়েশাবাগ চা বাগানের নতুন মালিকের ক্রয়কৃত ভূমির বাহিরে অবশিষ্ট জায়গায় আমরা ৫০/৬০ বছরের বেশী সময় ধরে এখানে বসবাস করে আসছি। নতুন মালিক বাগান কেনার পর থেকেই বিভিন্ন সময়ে আমদের ঘরবাড়িতে আক্রমন করেছে। এমনকি গাছ গাছালিও কেটে ফেলছে। হীরেরগুলের বাসিন্দা ফারুক উদ্দিন জানান, আয়েশাবাগ বাগানের ম্যানেজার মিজানুর রশিদ মিজানের নেতৃত্বে একদল ভাড়াটিয়া সন্ত্রাসী তাদের পরিবারকে প্রতিনিয়ত প্রাণনাশের হুমকি দিচ্ছে। গত বৃহস্পতিবার ১ আগষ্ট আয়েশাবাগ বাগানের ভাড়াটিয়া লোক আমার প্রায় আশি হাজার টাকার লেবু জোরপূর্বক নিয়ে গেছে। আমরা গরিব হওয়ায় ভয়ে মুখ খুলতে সাহস পাচ্ছি না। তারা দীর্ঘ মেয়াদী লীজের জন্য ইতিমধ্যে জেলা প্রশাসক বরাবরে আবেদন করেছেন। ভূমিখেকোদের হাত থেকে আমাদের ২৫ পরিবারকে রক্ষার জন্য প্রশাসনের সকল মহলের সুদৃষ্টি কামনা করছি। মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা এসআই ফিরোজ আহমদ জানান, আসামীদের ধরার জন্য তাদের অভিযান অব্যাহত আছে। আব্দুর রব॥
মন্তব্য করুন