কুলাউড়ায় মুরইছড়া ইকো-পার্ক বাস্তবায়নের দাবী ক্রমশঃ জোরদার হচ্ছে

August 19, 2013,

কুলাউড়া উপজেলার মুরইছড়ায় ইকো-পার্ক বাস্তবায়নের দাবী আবারো জোরদার হয়ে উঠছে। ১২ বছর আগে ভিত্তিপ্রস্তর স্থাপনের প্রাক্কালেই হোঁচট খায় প্রকল্পটি। ২০০১ সালের ১৫ এপ্রিল এক অনাড়ম্বর অনুষ্টানের মধ্য দিয়ে মুরইছড়া ইকো-পার্ক বাস্তবায়ন প্রকল্পের ভিত্তিপ্রস্থর স্থাপন করেন তৎকালীন আওয়ামীলীগ সরকারের পরিবেশ ও বন মন্ত্রী সৈয়দা সাজেদা চৌধুরী। প্রকল্পের প্রাক্কলিত ব্যয় বরাদ্ধ করা হয় ৫ কোটি ২ লক্ষ ৩২ হাজার টাকা। বাংলাদেশ সরকারের নিজস্ব তহবিলের অর্থায়নে ইকো-পার্ক স্থাপন প্রকল্পের অধীনে ২০০০-২০০১ অর্থ বৎসরে মুরইছড়া ইকো-পার্ক স্থাপনের কাজ শুরু হয়। কাজ শুরু হলেও পাহাড়ে অবৈধভাবে বসবাসকারী খাসিয়াদের প্রতিবাদ- আন্দোলনের মুখে এবং এক শ্রেণীর রাজনীতিবিদদের অসহযোগীতার কারনে স্থবির হয়ে পড়ে সৌন্দর্য্য পিপাসু হাজার হাজার জনগোষ্টির গুরুত্বপূর্ণ এ দাবী। তৎকালীন সময়ে আওয়ামীলীগের এমপি সুলতান মনসুরের প্রচেষ্টায় এ প্রকল্পটি শুরু হলেও পরবর্তীতে সরকার পরিবর্তনের সাথে সাথে প্রকল্পটি মুখ থুবড়ে পড়ে। বর্তমানে আওয়ামীলীগ নেতৃত্বাধীন মহাজোট সরকার ক্ষমতায় আসার পর কুলাউড়ায় এ প্রকল্পের পক্ষে শুভাকাংখি না থাকায় অবহেলিত থেকে যায় প্রকল্পটি। সরকারের শেষ সময়ে এব্যাপারে তড়িৎ একটি সিন্ধান্ত নিয়ে মুরইছড়া ইকো-পার্ক প্রকল্পটি চালু করলে সরকারি খাস জমি অবৈধ দখলদারদের হাত থেকে যেমন রক্ষা পাবে তেমনি এলাকার উন্নয়নসহ সরকার পাবে বিপুল পরিমানের রাজস্ব। প্রাকৃতিক সৌন্দর্য্যরে লীলাভূমি সিলেটে রয়েছে পাহাড়-পর্বত, টিলা, নদী, চিরসবুজ বনাঞ্চল, বিচিত্র বন্যপ্রাণী, জলপ্রপাত, হাওর-বাওর, চা বাগান যা পর্যটক তথা সৌন্দর্য্য পিপাসুদের বারবার আকর্ষন করে। মৌলভীবাজার জেলার কুলাউড়া উপজেলার পৃথিমপাশা একোয়ার্ড ফরেষ্টের কর্মধা ইউনিয়নের লুতি টিলার পাদদেশে মুরইছড়া জলপ্রপাত স্বরনাতীতকাল হতে বিদ্যমান যা প্রাকৃতিক সৌন্দর্য্য পিপাসুদের কাছে বেশ গুরুত্বপূর্ণ। এলাকাটি পাহাড় ও প্রাকৃতিক গাছ-বাঁশে ভরপুর এবং এর সাথে হরিণ, বাঘ, বনমোরগ, বন্যহাতি, বানর বিভিন্ন প্রজাতির পাখিসহ অন্যান্য প্রজাতির বন্যপ্রাণী দেখা যায়। আর সেই কারনেই এলাকাটি পর্যটকদের জন একটি আকর্ষনীয় স্থান। বৃহত্তর সিলেটে ইতিপূর্বে কোনও ইকোপার্ক ছিল না। ২০০১ সালে মৌলভীবাজার জেলার বড়লেখা উপজেলার বিখ্যাত পাথারিয়া হিল রিজার্ভ ফরেষ্টের পাদদেশে মাধবকুন্ড জলপ্রপাতকে ঘিওে অপূর্ব প্রাকৃতিক দৃশ্য সমৃদ্ধ বনাঞ্চল নিয়ে স্থাপিত হয় মাধবকুন্ড ইকো-পার্ক এবং দ্বিতীয় মুরইছড়া ইকো-পার্ক। মুরইছড়া জলপ্রপাতের আশে-পাশে প্রাকৃতিক পাহাড়ি বাঁশবন ছোট কালাইগিরী ও বড় কালাইগিরী অবস্থিত (যা এখন ধ্বংস করে খাসিয়ারা পান চাষ করছে)। মুরইছড়া ইকো-পার্কে উদ্ভিদ ও বন্য প্রাণী ঃ মুরইছড়া ইকো-পার্কে চিরসবুজ ও পত্রঝরা বৃক্ষ এবং লতাগুল্ম রয়েছে। যেমন-রামডালা, আওয়াল, রাতা, তুন, কড়ই, হরতকি, বহেড়া, আমলকি, জারুল, চিকরাশি, রুপাই এবং মূলিবাঁশ ইত্যাদি। বন্যপ্রাণীর মধ্যে খেঁকশিয়াল, ছোট বেঁজি, বাদামী বেঁজি, বন্য শুকর, কাঠবিড়ালী, বন বিড়াল, মায়া হরিণ, মন্বর হরিণ, চিতাবাঘ, হাতি, উড়ন্ত শিয়াল, বন মোরগ, শকুন, হরিয়াল, ঘুঘু, হুতুম পেঁচা, কাঠ ঠোকরা, পাহাড়ি ময়না, বাবুই, গুই সাপ, গোখরা, মাইটা সাপ প্রভৃতি। মুরইছড়া ইকো-পার্কের অবস্থান ঃ সিলেট বনবিভাগের মৌলভীবাজার জেলার কুলাউড়া উপজেলায় কুলাউড়া রেঞ্জের কর্মধা ইউনিয়নের মুরইছড়া বিটের বিখ্যাত পৃথিমপাশা একোয়ার্ড ফরেষ্টের লুতি টিলার পাদদেশে মুরইছড়া জলপ্রপাতকে ঘিরে প্রাকৃতিক শোভা মন্ডিত মুরইছড়া মৌজায় মুরইছড়া ইকো-পার্ক অবস্থিত। মুরইছড়া পার্কে যাওয়ার পথে চা বাগান, বনাঞ্চল ঘেরা পাহাড়, ছোট ছোট ছড়া ও নদী অবলৌকনে যে কেউ বিমোহিত হন। কুলাউড়া উপজেলা সদর হতে রবিরবাজার হয়ে মুরইছড়া বাজার দিয়ে ইকো-পার্কে যাওয়া যায়। সিলেট হতে মুরইছড়া ইকো-পার্কের দূরত্ব ৮৫ কিলোমিটার, মৌলভীবাজার হতে ৫৭ কিলোমিটার এবং কুলাউড়া হতে ২৫ কিলোমিটার। মুরইছড়া হতে মাধবকুন্ডের দূরত্ব ৫২ কিলোমিটার। মুরইছড়া বাজার থেকে পাহাড়ি ছড়া দিয়ে পায়ে হেটে এক ঘন্টার রাস্তা অতিক্রম করে যেতে হয় সেই নয়নাভিরাম ঝর্ণা ধারায়। তবে জুতো নিয়ে যাবেন না। মুরইছড়া ইকো-পার্কের আয়তন ঃ ইকো পার্কের আযতন ৮৩০ একর। পৃথিমপাশার সাবেক সাবেক জমিদারদের মালিকানাধীন ৩০ হাজার একর বনাঞ্চল হতে প্রজাপত্তনি চা বাগান প্রতিষ্টার পর অবষ্টিত ১০ হাজার ৮ শত ৩৭ একর ভূমি একোয়ার্ড ফরেষ্ট ও চা বাগানের অতিরিক্ত সমর্পিত ৩ হাজার ৩১ একর ভূমি বনবিভাগের কাছে হস্তান্তর করা হয়। শেষোক্ত ৩ হাজার একর ভূমি রাঙ্গিছড়া, আসকরাবাদ ও মুরইছড়া মৌজার অন্তর্গত। মুরইছড়া মৌজায় সমর্পিত বন ভূমির পরিমান ১ হাজার ৬ শত ৫৪ একর যার মধ্যে মুরইছড়া (লুথিশংখ) জলপ্রপাতটি বিদ্যমান। এই জলপ্রপাতকে কেন্দ্র করেই ৮ শত ৩০ একর ভূমি নিয়ে মুরইছড়া ইকো-পার্কটি গড়ে উঠার কথা। মুরইছড়া ইকো-পার্কের সীমানা ঃ মুরইছড়া ইকো-পার্কের উত্তরে পৃথিমপাশা একোয়ার্ড ফরেষ্ট, দক্ষিণে ভারত, পূর্বে একোয়ার্ড ফরেষ্টের বাঁশ মহাল এবং পশ্চিমে মুরইছড়া চা বাগান অবস্থিত। মুরইছড়া ইকো-পার্কের দক্ষিণ-পশ্চিমে এওলাছড়া পানপুঞ্জি, মুরইছড়া পানপুঞ্জি ও উত্তর-পশ্চিম পাশে কুকিজুরি পানপুঞ্জি, লুথিজুরি পানপুঞ্জি অবস্থিত। এখানে খাসিয়া ছাড়াও কয়েকটি গারো আদিবাসি পরিবার আছে, তাদের জীবনধারা,কৃষ্টি ও সংস্কৃতি ঐতিহ্যপূর্ণ। ইকো-পার্ক স্থাপন হলে তাদের কর্মসংস্থান আর্থ-সামাজিক উন্নয়ন হবে। প্রাকৃতিক সৌন্দর্য্যে ভরপুর মুরইছড়া ইকো-পার্ক সিলেটবাসিসহ দেশ-বিদেশের পর্যটকদের জন্য একটি প্রাকৃতিক চিত্ত-বিনোদনের কেন্দ্র, যা জীব-বৈচিত্র, প্রকৃতি এবং পরিবেশ সংরক্ষন ও উন্নয়নে বলিষ্ট ভূমিকা রাখবে। এলাকাবাসির কর্মসংস্থানসহ নানাভাবে উপকৃত হবে। সরকার পাবে বিপুল পরিমান রাজস্ব, বনবিভাগ উদ্ধার করতে পারবে অবৈধ দখলে থাকা হাজারও একর ভূমি।
কুলাউড়া উপজেলার মুরইছড়ায় ইকো-পার্ক বাস্তবায়নের দাবী আবারো জোরদার হয়ে উঠছে। ১২ বছর আগে ভিত্তিপ্রস্তর স্থাপনের প্রাক্কালেই হোঁচট খায় প্রকল্পটি। ২০০১ সালের ১৫ এপ্রিল এক অনাড়ম্বর অনুষ্টানের মধ্য দিয়ে মুরইছড়া ইকো-পার্ক বাস্তবায়ন প্রকল্পের ভিত্তিপ্রস্থর স্থাপন করেন তৎকালীন আওয়ামীলীগ সরকারের পরিবেশ ও বন মন্ত্রী সৈয়দা সাজেদা চৌধুরী। প্রকল্পের প্রাক্কলিত ব্যয় বরাদ্ধ করা হয় ৫ কোটি ২ লক্ষ ৩২ হাজার টাকা। বাংলাদেশ সরকারের নিজস্ব তহবিলের অর্থায়নে ইকো-পার্ক স্থাপন প্রকল্পের অধীনে ২০০০-২০০১ অর্থ বৎসরে মুরইছড়া ইকো-পার্ক স্থাপনের কাজ শুরু হয়। কাজ শুরু হলেও পাহাড়ে অবৈধভাবে বসবাসকারী খাসিয়াদের প্রতিবাদ- আন্দোলনের মুখে এবং এক শ্রেণীর রাজনীতিবিদদের অসহযোগীতার কারনে স্থবির হয়ে পড়ে সৌন্দর্য্য পিপাসু হাজার হাজার জনগোষ্টির গুরুত্বপূর্ণ এ দাবী। তৎকালীন সময়ে আওয়ামীলীগের এমপি সুলতান মনসুরের প্রচেষ্টায় এ প্রকল্পটি শুরু হলেও পরবর্তীতে সরকার পরিবর্তনের সাথে সাথে প্রকল্পটি মুখ থুবড়ে পড়ে। বর্তমানে আওয়ামীলীগ নেতৃত্বাধীন মহাজোট সরকার ক্ষমতায় আসার পর কুলাউড়ায় এ প্রকল্পের পক্ষে শুভাকাংখি না থাকায় অবহেলিত থেকে যায় প্রকল্পটি। সরকারের শেষ সময়ে এব্যাপারে তড়িৎ একটি সিন্ধান্ত নিয়ে মুরইছড়া ইকো-পার্ক প্রকল্পটি চালু করলে সরকারি খাস জমি অবৈধ দখলদারদের হাত থেকে যেমন রক্ষা পাবে তেমনি এলাকার উন্নয়নসহ সরকার পাবে বিপুল পরিমানের রাজস্ব। প্রাকৃতিক সৌন্দর্য্যরে লীলাভূমি সিলেটে রয়েছে পাহাড়-পর্বত, টিলা, নদী, চিরসবুজ বনাঞ্চল, বিচিত্র বন্যপ্রাণী, জলপ্রপাত, হাওর-বাওর, চা বাগান যা পর্যটক তথা সৌন্দর্য্য পিপাসুদের বারবার আকর্ষন করে। মৌলভীবাজার জেলার কুলাউড়া উপজেলার পৃথিমপাশা একোয়ার্ড ফরেষ্টের কর্মধা ইউনিয়নের লুতি টিলার পাদদেশে মুরইছড়া জলপ্রপাত স্বরনাতীতকাল হতে বিদ্যমান যা প্রাকৃতিক সৌন্দর্য্য পিপাসুদের কাছে বেশ গুরুত্বপূর্ণ। এলাকাটি পাহাড় ও প্রাকৃতিক গাছ-বাঁশে ভরপুর এবং এর সাথে হরিণ, বাঘ, বনমোরগ, বন্যহাতি, বানর বিভিন্ন প্রজাতির পাখিসহ অন্যান্য প্রজাতির বন্যপ্রাণী দেখা যায়। আর সেই কারনেই এলাকাটি পর্যটকদের জন একটি আকর্ষনীয় স্থান। বৃহত্তর সিলেটে ইতিপূর্বে কোনও ইকোপার্ক ছিল না। ২০০১ সালে মৌলভীবাজার জেলার বড়লেখা উপজেলার বিখ্যাত পাথারিয়া হিল রিজার্ভ ফরেষ্টের পাদদেশে মাধবকুন্ড জলপ্রপাতকে ঘিওে অপূর্ব প্রাকৃতিক দৃশ্য সমৃদ্ধ বনাঞ্চল নিয়ে স্থাপিত হয় মাধবকুন্ড ইকো-পার্ক এবং দ্বিতীয় মুরইছড়া ইকো-পার্ক। মুরইছড়া জলপ্রপাতের আশে-পাশে প্রাকৃতিক পাহাড়ি বাঁশবন ছোট কালাইগিরী ও বড় কালাইগিরী অবস্থিত (যা এখন ধ্বংস করে খাসিয়ারা পান চাষ করছে)। মুরইছড়া ইকো-পার্কে উদ্ভিদ ও বন্য প্রাণী ঃ মুরইছড়া ইকো-পার্কে চিরসবুজ ও পত্রঝরা বৃক্ষ এবং লতাগুল্ম রয়েছে। যেমন-রামডালা, আওয়াল, রাতা, তুন, কড়ই, হরতকি, বহেড়া, আমলকি, জারুল, চিকরাশি, রুপাই এবং মূলিবাঁশ ইত্যাদি। বন্যপ্রাণীর মধ্যে খেঁকশিয়াল, ছোট বেঁজি, বাদামী বেঁজি, বন্য শুকর, কাঠবিড়ালী, বন বিড়াল, মায়া হরিণ, মন্বর হরিণ, চিতাবাঘ, হাতি, উড়ন্ত শিয়াল, বন মোরগ, শকুন, হরিয়াল, ঘুঘু, হুতুম পেঁচা, কাঠ ঠোকরা, পাহাড়ি ময়না, বাবুই, গুই সাপ, গোখরা, মাইটা সাপ প্রভৃতি। মুরইছড়া ইকো-পার্কের অবস্থান ঃ সিলেট বনবিভাগের মৌলভীবাজার জেলার কুলাউড়া উপজেলায় কুলাউড়া রেঞ্জের কর্মধা ইউনিয়নের মুরইছড়া বিটের বিখ্যাত পৃথিমপাশা একোয়ার্ড ফরেষ্টের লুতি টিলার পাদদেশে মুরইছড়া জলপ্রপাতকে ঘিরে প্রাকৃতিক শোভা মন্ডিত মুরইছড়া মৌজায় মুরইছড়া ইকো-পার্ক অবস্থিত। মুরইছড়া পার্কে যাওয়ার পথে চা বাগান, বনাঞ্চল ঘেরা পাহাড়, ছোট ছোট ছড়া ও নদী অবলৌকনে যে কেউ বিমোহিত হন। কুলাউড়া উপজেলা সদর হতে রবিরবাজার হয়ে মুরইছড়া বাজার দিয়ে ইকো-পার্কে যাওয়া যায়। সিলেট হতে মুরইছড়া ইকো-পার্কের দূরত্ব ৮৫ কিলোমিটার, মৌলভীবাজার হতে ৫৭ কিলোমিটার এবং কুলাউড়া হতে ২৫ কিলোমিটার। মুরইছড়া হতে মাধবকুন্ডের দূরত্ব ৫২ কিলোমিটার। মুরইছড়া বাজার থেকে পাহাড়ি ছড়া দিয়ে পায়ে হেটে এক ঘন্টার রাস্তা অতিক্রম করে যেতে হয় সেই নয়নাভিরাম ঝর্ণা ধারায়। তবে জুতো নিয়ে যাবেন না। মুরইছড়া ইকো-পার্কের আয়তন ঃ ইকো পার্কের আযতন ৮৩০ একর। পৃথিমপাশার সাবেক সাবেক জমিদারদের মালিকানাধীন ৩০ হাজার একর বনাঞ্চল হতে প্রজাপত্তনি চা বাগান প্রতিষ্টার পর অবষ্টিত ১০ হাজার ৮ শত ৩৭ একর ভূমি একোয়ার্ড ফরেষ্ট ও চা বাগানের অতিরিক্ত সমর্পিত ৩ হাজার ৩১ একর ভূমি বনবিভাগের কাছে হস্তান্তর করা হয়। শেষোক্ত ৩ হাজার একর ভূমি রাঙ্গিছড়া, আসকরাবাদ ও মুরইছড়া মৌজার অন্তর্গত। মুরইছড়া মৌজায় সমর্পিত বন ভূমির পরিমান ১ হাজার ৬ শত ৫৪ একর যার মধ্যে মুরইছড়া (লুথিশংখ) জলপ্রপাতটি বিদ্যমান। এই জলপ্রপাতকে কেন্দ্র করেই ৮ শত ৩০ একর ভূমি নিয়ে মুরইছড়া ইকো-পার্কটি গড়ে উঠার কথা। মুরইছড়া ইকো-পার্কের সীমানা ঃ মুরইছড়া ইকো-পার্কের উত্তরে পৃথিমপাশা একোয়ার্ড ফরেষ্ট, দক্ষিণে ভারত, পূর্বে একোয়ার্ড ফরেষ্টের বাঁশ মহাল এবং পশ্চিমে মুরইছড়া চা বাগান অবস্থিত। মুরইছড়া ইকো-পার্কের দক্ষিণ-পশ্চিমে এওলাছড়া পানপুঞ্জি, মুরইছড়া পানপুঞ্জি ও উত্তর-পশ্চিম পাশে কুকিজুরি পানপুঞ্জি, লুথিজুরি পানপুঞ্জি অবস্থিত। এখানে খাসিয়া ছাড়াও কয়েকটি গারো আদিবাসি পরিবার আছে, তাদের জীবনধারা,কৃষ্টি ও সংস্কৃতি ঐতিহ্যপূর্ণ। ইকো-পার্ক স্থাপন হলে তাদের কর্মসংস্থান আর্থ-সামাজিক উন্নয়ন হবে। প্রাকৃতিক সৌন্দর্য্যে ভরপুর মুরইছড়া ইকো-পার্ক সিলেটবাসিসহ দেশ-বিদেশের পর্যটকদের জন্য একটি প্রাকৃতিক চিত্ত-বিনোদনের কেন্দ্র, যা জীব-বৈচিত্র, প্রকৃতি এবং পরিবেশ সংরক্ষন ও উন্নয়নে বলিষ্ট ভূমিকা রাখবে। এলাকাবাসির কর্মসংস্থানসহ নানাভাবে উপকৃত হবে। সরকার পাবে বিপুল পরিমান রাজস্ব, বনবিভাগ উদ্ধার করতে পারবে অবৈধ দখলে থাকা হাজারও একর ভূমি। কুলাউড়া অফিস॥

সংবাদটি শেয়ার করতে নিচের “আপনার প্রিয় শেয়ার বাটনটিতে ক্লিক করুন”

মন্তব্য করুন

Social Media Auto Publish Powered By : XYZScripts.com