বড়লেখায় যৌতুকের বলি গৃহবধু রুমানা হত্যার এক আসামী বিদেশে পালিয়েছে

August 20, 2013,

বড়লেখায় যৌতুকের বলি গৃহবধু রুমানা বেগম (২৫) হত্যা মামলার আসামী নিহতের দেবর মাসুম মিয়া স্থানীয় এক ইউপি মেম্বারের সহযোগিতায় ১৭ আগষ্ট শনিবার বিদেশে পালিয়েছে বলে অভিযোগ উঠেছে। এছাড়া ঘটনাকারী রুমানার শ্বাশুড়ি বারিকজান বিবিকে থানায় আটক করেও পুলিশ মামলায় অর্ন্তভুক্ত না করে ছেড়ে দিয়েছে বলেও অভিযোগ রয়েছে। গত ৭ আগষ্ট ভোরে শ্বশুড় বাড়ীর লোকজন নির্যাতন করে রুমানাকে হত্যা করে গোয়াল ঘরের বাঁশের মাচার সাথে রশি দিয়ে লাশ ঝুলিয়ে রেখে আত্মহত্যা করেছে বলে বাপের বাড়ীতে খবর দেয়। পুলিশ ও এলাকাবাসী সুত্রে জানা গেছে, বড়লেখা সদর ইউনিয়নের কেছরিগুল গ্রামের আকদ্দছ আলীর বড় ছেলে দুবাই প্রবাসী এলাইছ মিয়ার সাথে প্রায় পাঁচ বছর আগে কাঠালতলী মাধবগুল গ্রামের ইছবর আলীর মেয়ে রুমানা বেগমের বিয়ে হয়। ঘটনার দিন রুমানার শ্বশুর আকদ্দস আলী (৬০) ও শ্বাশুড়ী বারিকজান বিবি (৫৫)সহ তিন দেবর শারীরক নির্যাতন করে মুখে কাপড় গুজে দেয়। একপর্যায়ে রুমানা বেগম মৃত্যুর কোলে ঢলে পড়লে তাকে গোয়াল ঘরে বাঁশের মাচায় গলায় দড়ি দিয়ে ঝুলিয়ে রাখে। রুমানা আত্মহত্যা করেছে বলে পিতাকে জানানো হয়। খবর পেয়ে পুলিশ গলায় দড়ি ও মাটিতে পায়ের অবস্থানসহ রুমানা বেগমের লাশ উদ্ধার করে। বিয়ের পাঁচ বছর হয়ে গেলেও রুমেনার কোন সন্তান হয়নি। রুমানার স্বামী মধ্যপ্রাচ্যের দুবাই প্রবাসী। এ ঘটনায় পুলিশ রুমানা বেগমের শ্বশুর-শ্বাশুড়ীকে আটক করে থানায় নিয়ে আসলেও রাতে শ্বাশুড়ীকে ছেড়ে দেয়। অভিযোগ রয়েছে, স্থানীয় ইউপি সদস্য শরফ উদ্দিন নবাবের যোগসাজসে পুলিশ রুমেনা বেগমের শ্বাশুড়ী বারিকজান বিবিকে ছেড়ে দেয়। নিহত রুমানার বাবা ইছবর আলী শ্বশুর আকদ্দছ আলী, শ্বাশুড়ি বারিকজান বিবি, দেবর মাসুম মিয়া ও মামুন মিয়াকে আসামী করে হত্যা মামলা করতে চাইলে পুলিশ শ্বাশুড়ী বারিকজান বিবিকে বাদ দিয়ে মামলা নেয়। বাদী বারিকজান বিবিকে এজাহারভূক্ত আসামী করতে আদালতে মামলা করেছেন বলে জানা গেছে। এদিকে নিহত রুমানার বাবা ইছবর আলী ও মা তসলিমা বেগম বেগম অভিযোগ করেন ইউপি মেম্বার শরফ উদ্দিন নবাবের সহযোগিতায় হত্যা মামলার আসামী নিহত রুমানার দেবর মাসুম মিয়া গত শনিবার সিলেট ওসমানী বিমান বন্দর দিয়ে বিদেশে (আবুধাবি) পালিয়েছে। এলাকাবাসী জানান, বিয়ের সময় ফার্ণিচার না দেওয়ায় শ্বশুর বাড়ীর লোকেরা রুমানাকে মাটিতে শুইয়ে রাখত এবং বিভিন্ন সময়ে শারীরিক নির্যাতন চালাত। এলাকার মানুষ ভয়ে কেউ মুখ খুলতেন না। লাশের সুরতহাল প্রস্তুতকারী পুলিশ কর্মকর্তা এসআই নজরুল ইসলাম জানান, রুমানা বেগমের মুখের ভিতর কাপড় পাওয়া গেছে। লাশ উদ্ধারের সময় রুমানার তিন দেবর মাসুম, মামুন ও নজরুল বাড়ী থেকে পালিয়ে যায়। প্রাথমিক তদন্তে রুমানাকে হত্যা করা হয়েছে বলে পুলিশের ধারনা। রুমেনার পিতা ইছরব আলী জানান, বিয়ের পর থেকেই রুমানার স্বামীর বাড়ীর লোকজন যৌতুকের দাবীতে প্রায়ই নির্যাতন চালাত। আমি গরীব হওয়ায় তাদের অনেক দাবী মিটাতে পারতাম না। ঘটনার দিন সেহরীর সময় সে আমার স্ত্রীর সাথে ফোনে কথা বলেছে। আমি মেয়ের হত্যাকারীদের দৃষ্টান্ত মুলক শাস্তি চাই। মামলার বাদী রুমানার বাবা ইছবর আলী অভিযোগ করেন, পুলিশ মামলার এজাহারে রুমেনার শ্বাশুড়ীর নাম বাদ দিয়ে মামলা রুজুর কথা বলে। আমি আমার মেয়েকে হারিয়ে কিংকতর্ব্যবিমুঢ় হয়ে পুলিশের কথামতো বারিকজান বিবির নাম বাদ দিয়ে মামলা দায়ের করি। তিনি অভিযোগ করেন, স্থানীয় ইউপি সদস্য শরফ উদ্দিন নবাব পুলিশকে ম্যানেজ করে বারিকজানকে থানা থেকে ছাড়িয়ে নেন। বারিকজান বিবিকে এজাহার নামীয় আসামী করতে বড়লেখা সিনিয়র জুডিশিয়াল ম্যাজিষ্ট্র্টে আদালতে তিনি আবেদন করেছেন। মামলার তদন্তকারী পুলিশ কর্মকর্তা এসআই নজরুল ইসলাম শ্বাশুড়ি বারিকজান বিবিকে মামলার এজাহার থেকে বাদ দেওয়ার অভিযোগ অস্বীকার করে বলেন পুলিশের কারনে নয়, বাদীর এক আত্মীয়ের কারনে বারিকজান বিবিকে মামলা থেকে বাদ দেওয়া হয়েছে।
বড়লেখায় যৌতুকের বলি গৃহবধু রুমানা বেগম (২৫) হত্যা মামলার আসামী নিহতের দেবর মাসুম মিয়া স্থানীয় এক ইউপি মেম্বারের সহযোগিতায় ১৭ আগষ্ট শনিবার বিদেশে পালিয়েছে বলে অভিযোগ উঠেছে। এছাড়া ঘটনাকারী রুমানার শ্বাশুড়ি বারিকজান বিবিকে থানায় আটক করেও পুলিশ মামলায় অর্ন্তভুক্ত না করে ছেড়ে দিয়েছে বলেও অভিযোগ রয়েছে। গত ৭ আগষ্ট ভোরে শ্বশুড় বাড়ীর লোকজন নির্যাতন করে রুমানাকে হত্যা করে গোয়াল ঘরের বাঁশের মাচার সাথে রশি দিয়ে লাশ ঝুলিয়ে রেখে আত্মহত্যা করেছে বলে বাপের বাড়ীতে খবর দেয়। পুলিশ ও এলাকাবাসী সুত্রে জানা গেছে, বড়লেখা সদর ইউনিয়নের কেছরিগুল গ্রামের আকদ্দছ আলীর বড় ছেলে দুবাই প্রবাসী এলাইছ মিয়ার সাথে প্রায় পাঁচ বছর আগে কাঠালতলী মাধবগুল গ্রামের ইছবর আলীর মেয়ে রুমানা বেগমের বিয়ে হয়। ঘটনার দিন রুমানার শ্বশুর আকদ্দস আলী (৬০) ও শ্বাশুড়ী বারিকজান বিবি (৫৫)সহ তিন দেবর শারীরক নির্যাতন করে মুখে কাপড় গুজে দেয়। একপর্যায়ে রুমানা বেগম মৃত্যুর কোলে ঢলে পড়লে তাকে গোয়াল ঘরে বাঁশের মাচায় গলায় দড়ি দিয়ে ঝুলিয়ে রাখে। রুমানা আত্মহত্যা করেছে বলে পিতাকে জানানো হয়। খবর পেয়ে পুলিশ গলায় দড়ি ও মাটিতে পায়ের অবস্থানসহ রুমানা বেগমের লাশ উদ্ধার করে। বিয়ের পাঁচ বছর হয়ে গেলেও রুমেনার কোন সন্তান হয়নি। রুমানার স্বামী মধ্যপ্রাচ্যের দুবাই প্রবাসী। এ ঘটনায় পুলিশ রুমানা বেগমের শ্বশুর-শ্বাশুড়ীকে আটক করে থানায় নিয়ে আসলেও রাতে শ্বাশুড়ীকে ছেড়ে দেয়। অভিযোগ রয়েছে, স্থানীয় ইউপি সদস্য শরফ উদ্দিন নবাবের যোগসাজসে পুলিশ রুমেনা বেগমের শ্বাশুড়ী বারিকজান বিবিকে ছেড়ে দেয়। নিহত রুমানার বাবা ইছবর আলী শ্বশুর আকদ্দছ আলী, শ্বাশুড়ি বারিকজান বিবি, দেবর মাসুম মিয়া ও মামুন মিয়াকে আসামী করে হত্যা মামলা করতে চাইলে পুলিশ শ্বাশুড়ী বারিকজান বিবিকে বাদ দিয়ে মামলা নেয়। বাদী বারিকজান বিবিকে এজাহারভূক্ত আসামী করতে আদালতে মামলা করেছেন বলে জানা গেছে। এদিকে নিহত রুমানার বাবা ইছবর আলী ও মা তসলিমা বেগম বেগম অভিযোগ করেন ইউপি মেম্বার শরফ উদ্দিন নবাবের সহযোগিতায় হত্যা মামলার আসামী নিহত রুমানার দেবর মাসুম মিয়া গত শনিবার সিলেট ওসমানী বিমান বন্দর দিয়ে বিদেশে (আবুধাবি) পালিয়েছে। এলাকাবাসী জানান, বিয়ের সময় ফার্ণিচার না দেওয়ায় শ্বশুর বাড়ীর লোকেরা রুমানাকে মাটিতে শুইয়ে রাখত এবং বিভিন্ন সময়ে শারীরিক নির্যাতন চালাত। এলাকার মানুষ ভয়ে কেউ মুখ খুলতেন না। লাশের সুরতহাল প্রস্তুতকারী পুলিশ কর্মকর্তা এসআই নজরুল ইসলাম জানান, রুমানা বেগমের মুখের ভিতর কাপড় পাওয়া গেছে। লাশ উদ্ধারের সময় রুমানার তিন দেবর মাসুম, মামুন ও নজরুল বাড়ী থেকে পালিয়ে যায়। প্রাথমিক তদন্তে রুমানাকে হত্যা করা হয়েছে বলে পুলিশের ধারনা। রুমেনার পিতা ইছরব আলী জানান, বিয়ের পর থেকেই রুমানার স্বামীর বাড়ীর লোকজন যৌতুকের দাবীতে প্রায়ই নির্যাতন চালাত। আমি গরীব হওয়ায় তাদের অনেক দাবী মিটাতে পারতাম না। ঘটনার দিন সেহরীর সময় সে আমার স্ত্রীর সাথে ফোনে কথা বলেছে। আমি মেয়ের হত্যাকারীদের দৃষ্টান্ত মুলক শাস্তি চাই। মামলার বাদী রুমানার বাবা ইছবর আলী অভিযোগ করেন, পুলিশ মামলার এজাহারে রুমেনার শ্বাশুড়ীর নাম বাদ দিয়ে মামলা রুজুর কথা বলে। আমি আমার মেয়েকে হারিয়ে কিংকতর্ব্যবিমুঢ় হয়ে পুলিশের কথামতো বারিকজান বিবির নাম বাদ দিয়ে মামলা দায়ের করি। তিনি অভিযোগ করেন, স্থানীয় ইউপি সদস্য শরফ উদ্দিন নবাব পুলিশকে ম্যানেজ করে বারিকজানকে থানা থেকে ছাড়িয়ে নেন। বারিকজান বিবিকে এজাহার নামীয় আসামী করতে বড়লেখা সিনিয়র জুডিশিয়াল ম্যাজিষ্ট্র্টে আদালতে তিনি আবেদন করেছেন। মামলার তদন্তকারী পুলিশ কর্মকর্তা এসআই নজরুল ইসলাম শ্বাশুড়ি বারিকজান বিবিকে মামলার এজাহার থেকে বাদ দেওয়ার অভিযোগ অস্বীকার করে বলেন পুলিশের কারনে নয়, বাদীর এক আত্মীয়ের কারনে বারিকজান বিবিকে মামলা থেকে বাদ দেওয়া হয়েছে। কুলাউড়া অফিস :

সংবাদটি শেয়ার করতে নিচের “আপনার প্রিয় শেয়ার বাটনটিতে ক্লিক করুন”

মন্তব্য করুন

Social Media Auto Publish Powered By : XYZScripts.com