কমলগঞ্জ রিজার্ভ ফরেষ্ট এলাকায় বনদস্যুদের হামলায় বন কর্মকর্তাসহ ৩ জন আহত

August 22, 2013,

মৌলভীবাজারের কমলগঞ্জে এক বনবিট কর্মকর্তাসহ ৩ বনকর্মীকে কূপিয়ে চোরাই কাঠ ছিনিয়ে নিয়ে গেল সরকার দলীয়দের ছত্রছায়ায় থাকা গাছচোর চক্র। প্রতিনিয়ত রির্জাভ ফরেষ্ট থেকে কোটি কোটি টাকার গাছ কেটে নিয়ে যাচ্ছে তারা। পরিবেশ হচ্ছে হমকীর সম্মুখীন। বনবিট কর্মকর্তার হাতের দু’টি রগ কেটে গেছে। আশঙ্কাজনক অবস্থায় বনবিট কর্মকর্তা সিলেট এম এ জি ওসমানী মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসাধীন। ২২ আগষ্ট বৃহস্পতিবার ভোর রাতে লাউয়াছড়া বনাঞ্চল সংলগ্ন কমলগঞ্জ সদর ইউনিযনের ভেড়াছড়া গ্রাম এলাকায় এ ঘটনাটি ঘটে। কমলগঞ্জের কালাছড়া বনবিট কার্যালয় সূত্রে জানা যায়, গোপন সংবাদের ভিত্তিতে সংবাদ পেয়ে কালাছড়া বনবিট কর্মকর্তা মাহমুদ হাসান রাত সাড়ে ৮ টায় ভেড়াছড়া গ্রাম এলাকায়গিয়ে চোরাই সেগুন কাঠ জব্দ করার চেষ্টা করেন। এসময় চি‎িহ্নত গাছ চোর হোসেন আলী(৩৫),মুসলিম মিয়া(২৫),রহমান মিয়া(২৪),আছদ্দর মিয়া(২৬), শোয়েব আহমদ(২৫) ও সাদ্দাম হোসেন(৩০)-এর নেতৃত্বে দাসহ দেশীয় অস্ত্রে সজ্জিত হয়ে গাছচোর চক্র হামলা চালায়। হামলায় দা দিয়ে কূপিয়ে কালাছড়া বনবিট কর্মকর্তা মাহমুদ হাসান, বনকর্মী আক্তার হোসেন ওহায়দার আলেিক আহত করে। দায়ের কূপে বনবিট কর্মকর্তা মাহমুদ হাসানের ডান হাতের দু’টি রগ কেটে যায়। গুরুরতর আহতাবস্থায় বনবিট কর্মকর্তাসহ বনকর্মীদের সিলেট এম এ জি ওসমানী মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। গাছচোর চক্র বনবিট কর্মকর্তাসহ বনকর্মীদের আহত করে চোরাই সেগুন কাঠ ছিনিয়ে নেয়। পরবর্তী হামলার ভয়ে নাম প্রকাশ না করে এক বনকর্মী বলেন, ক্ষমতাসীন দলের রাজনৈতিক প্রভাবে গাছচোর চক্র নিয়মিত বনকর্মীদের উপর এভাবে সন্ত্রাসী হামলা চালাচ্ছে। প্রতিনিয়ত রির্জাভ ফরেষ্ট থেকে কোটি কোটি টাকার গাছ কেটে নিয়ে যাচ্ছে সরকারদলীয়রা। পরিবেশ হচ্ছে হমকীর সম্মুখীন। এ ব্যাপারে প্রশাসন নিরব ভূমিকা পালন করে। থানায় মামলা দিয়েও কোন লাভ হয় না। ঘটনার খবর পেয়ে বনপ্রাণী ও প্রকৃতি সংরক্ষণ বিভাগের বিভাগীয় বন কর্মকর্তা মাহবুবুর রহমান, সহকারী বন কর্মকর্তা রেহান মাহমুদ, রেঞ্জ কর্মকর্তা মর্তূজ আলী হাসপাতালে ছুটে যান। গুরুত্বর আহত বিট কর্মকর্তা মাহমুদ হোসেনের শারীরিক অবস্থার অবনতি ঘটলে সাথে সাথে তাকে সিলেট ওসমানী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে রেফার্ড করা হয়। এ ব্যাপরে বৃহস্পতিবার বিকেল ৫টায় বিভাগীয় বন কর্মকর্তা মাহবুবুর রহমান জানান, এ ঘটনায় বন বিভাগের পক্ষ থেকে মামলার প্রস্তুতি চলছে। এ এসপি(সদর সার্কেল) মোল্লা মোহাম্মদ শাহীন বলেন,ঘটনার তদন্তক্রমে বিহিত ব্যবস্থা নেওয়া হচ্ছে। কমলগঞ্জ উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মোহাম্মদ জাহিদুল ইসলাম মিঞা বলেন, ঘটনার খবর পেয়ে রাত১১ টা পর্যন্ত আহত বনবিট কর্মকর্তার সাথে কমলগঞ্জ উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ছিলেন। নির্বাহী কর্মকর্তা আরও বলেন, এসব বনদস্যূদের বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা না নিলে বনকর্মীরা বার বার মার খাবে। তিনি বিষয়টি জেলা প্রশাসকসহ উর্দ্ধতন কর্তৃপক্ষকে অবহিত করেছেন। উল্লেখ্য গাছ চুরির তথ্য দেওয়ায় ১৭ আগষ্ট শনিবার রাত ৭ টায় এ গাছচোর চক্রটি ফরেষ্ট ভিলেজার দিলিপ মুন্ডাকে বেদড়কভাবে পিঠিয়েছিল। এ ঘটনায়ও কমলগঞ্জ থানায় একটি মামলা হয়েছিল।
মৌলভীবাজারের কমলগঞ্জে এক বনবিট কর্মকর্তাসহ ৩ বনকর্মীকে কূপিয়ে চোরাই কাঠ ছিনিয়ে নিয়ে গেল সরকার দলীয়দের ছত্রছায়ায় থাকা গাছচোর চক্র। প্রতিনিয়ত রির্জাভ ফরেষ্ট থেকে কোটি কোটি টাকার গাছ কেটে নিয়ে যাচ্ছে তারা। পরিবেশ হচ্ছে হমকীর সম্মুখীন। বনবিট কর্মকর্তার হাতের দু’টি রগ কেটে গেছে। আশঙ্কাজনক অবস্থায় বনবিট কর্মকর্তা সিলেট এম এ জি ওসমানী মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসাধীন। ২২ আগষ্ট বৃহস্পতিবার ভোর রাতে লাউয়াছড়া বনাঞ্চল সংলগ্ন কমলগঞ্জ সদর ইউনিযনের ভেড়াছড়া গ্রাম এলাকায় এ ঘটনাটি ঘটে। কমলগঞ্জের কালাছড়া বনবিট কার্যালয় সূত্রে জানা যায়, গোপন সংবাদের ভিত্তিতে সংবাদ পেয়ে কালাছড়া বনবিট কর্মকর্তা মাহমুদ হাসান রাত সাড়ে ৮ টায় ভেড়াছড়া গ্রাম এলাকায়গিয়ে চোরাই সেগুন কাঠ জব্দ করার চেষ্টা করেন। এসময় চি‎িহ্নত গাছ চোর হোসেন আলী(৩৫),মুসলিম মিয়া(২৫),রহমান মিয়া(২৪),আছদ্দর মিয়া(২৬), শোয়েব আহমদ(২৫) ও সাদ্দাম হোসেন(৩০)-এর নেতৃত্বে দাসহ দেশীয় অস্ত্রে সজ্জিত হয়ে গাছচোর চক্র হামলা চালায়। হামলায় দা দিয়ে কূপিয়ে কালাছড়া বনবিট কর্মকর্তা মাহমুদ হাসান, বনকর্মী আক্তার হোসেন ওহায়দার আলেিক আহত করে। দায়ের কূপে বনবিট কর্মকর্তা মাহমুদ হাসানের ডান হাতের দু’টি রগ কেটে যায়। গুরুরতর আহতাবস্থায় বনবিট কর্মকর্তাসহ বনকর্মীদের সিলেট এম এ জি ওসমানী মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। গাছচোর চক্র বনবিট কর্মকর্তাসহ বনকর্মীদের আহত করে চোরাই সেগুন কাঠ ছিনিয়ে নেয়। পরবর্তী হামলার ভয়ে নাম প্রকাশ না করে এক বনকর্মী বলেন, ক্ষমতাসীন দলের রাজনৈতিক প্রভাবে গাছচোর চক্র নিয়মিত বনকর্মীদের উপর এভাবে সন্ত্রাসী হামলা চালাচ্ছে। প্রতিনিয়ত রির্জাভ ফরেষ্ট থেকে কোটি কোটি টাকার গাছ কেটে নিয়ে যাচ্ছে সরকারদলীয়রা। পরিবেশ হচ্ছে হমকীর সম্মুখীন। এ ব্যাপারে প্রশাসন নিরব ভূমিকা পালন করে। থানায় মামলা দিয়েও কোন লাভ হয় না। ঘটনার খবর পেয়ে বনপ্রাণী ও প্রকৃতি সংরক্ষণ বিভাগের বিভাগীয় বন কর্মকর্তা মাহবুবুর রহমান, সহকারী বন কর্মকর্তা রেহান মাহমুদ, রেঞ্জ কর্মকর্তা মর্তূজ আলী হাসপাতালে ছুটে যান। গুরুত্বর আহত বিট কর্মকর্তা মাহমুদ হোসেনের শারীরিক অবস্থার অবনতি ঘটলে সাথে সাথে তাকে সিলেট ওসমানী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে রেফার্ড করা হয়। এ ব্যাপরে বৃহস্পতিবার বিকেল ৫টায় বিভাগীয় বন কর্মকর্তা মাহবুবুর রহমান জানান, এ ঘটনায় বন বিভাগের পক্ষ থেকে মামলার প্রস্তুতি চলছে। এ এসপি(সদর সার্কেল) মোল্লা মোহাম্মদ শাহীন বলেন,ঘটনার তদন্তক্রমে বিহিত ব্যবস্থা নেওয়া হচ্ছে। কমলগঞ্জ উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মোহাম্মদ জাহিদুল ইসলাম মিঞা বলেন, ঘটনার খবর পেয়ে রাত১১ টা পর্যন্ত আহত বনবিট কর্মকর্তার সাথে কমলগঞ্জ উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ছিলেন। নির্বাহী কর্মকর্তা আরও বলেন, এসব বনদস্যূদের বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা না নিলে বনকর্মীরা বার বার মার খাবে। তিনি বিষয়টি জেলা প্রশাসকসহ উর্দ্ধতন কর্তৃপক্ষকে অবহিত করেছেন। উল্লেখ্য গাছ চুরির তথ্য দেওয়ায় ১৭ আগষ্ট শনিবার রাত ৭ টায় এ গাছচোর চক্রটি ফরেষ্ট ভিলেজার দিলিপ মুন্ডাকে বেদড়কভাবে পিঠিয়েছিল। এ ঘটনায়ও কমলগঞ্জ থানায় একটি মামলা হয়েছিল। স্টাফ রিপোর্টার॥

সংবাদটি শেয়ার করতে নিচের “আপনার প্রিয় শেয়ার বাটনটিতে ক্লিক করুন”

মন্তব্য করুন

Social Media Auto Publish Powered By : XYZScripts.com