মৌলভীবাজার পাসপোর্ট অফিসের এডির ঘুষ দাবী ও অসদাচরণের তদন্ত অনুষ্ঠিত
মৌলভীবাজার পাসপোর্ট অফিসের এডির ঘুষ ও অসদাচরণের তদন্ত অনুষ্ঠিত হয়েছে গতকাল ২৫ আগষ্ট। মৌলভীবাজারের জেলা প্রশাসক বরাবর গত ২৫ জুলাই জেলার বড়লেখা উপজেলার নিজ বাহাদুরপুর ইউপি চেয়ারম্যানের অভিযোগের (ডকেট নং- ১৩১৫৯) প্রেক্ষিতে এ তদন্ত অনুষ্ঠিত হয়। জানা গেছে- বড়লেখা উপজেলার ৩নং নিজ বাহাদুর ইউপির নাগরিক আব্দুল লতিফ তার স্ত্রী ও ২ কন্যার পামপোর্ট করার জন্য গত ২৫ জুলাই মৌলভীবাজার আঞ্চলিক পাসপোর্ট অফিসে আবেদন করার পর সহঃ পরিচালক মোঃ আলী আশরাফ তাদেরকে ৭ আগষ্ট এসে ফিঙ্গার প্রিন্ট দেয়ার জন্য বলেন। আব্দুল লতিফ ওইদিনই ফিঙ্গার প্রিন্ট গ্রহনের অনুরোধ করলে তিনি এজন্য মাথাপিছু ২ হাজার করে মোট ৬ হাজার টাকা দাবী করেন। কিন্তু, ৬ হাজার টাকা সাথে না থাকায় আব্দুল লতিফ অফিস থেকে বেরিয়ে এসে, সরকারী কাজে জেলা প্রশাসকের অফিসে আগত নিজ বাহাদুর ইউপি চেয়ারম্যান আলাল উদ্দিনের সাথে তার দেখা হলে তিনি চেয়ারম্যানকে বিষয়টি জানিয়ে সাহায্য কামনা করেন। নির্বাচিত জনপ্রতিনিধি হিসাবে ইউপি চেয়ারম্যন তাদের সাহায্যার্থে সহঃ পরিচালক আলী আশরাফকে নিজ পরিচয় দিয়ে ওইদিনই আব্দুল লতিফের স্ত্রী-কন্যাদের ফিঙ্গার প্রিন্ট গ্রহনের অনুরোধ করলে আলী আশরাফ চেয়ারম্যানের সাথে চরম অসদাচরণ করেন এবং তাকে অফিস থেকে বের হয়ে যেতে বলেন। সংক্ষুব্ধ চেয়ারম্যান আলাল উদ্দিন সাথে সাথে মৌখিকভাবে বিষয়টি জেলা প্রশাসককে অবহিত করলে, জেলা প্রশাসকের হস্তক্ষেপে শেষমেষ আব্দুল লতিফের স্ত্রী-কন্যাদের ফিংগার প্রিন্ট গ্রহণ করা হয়। অপরদিকে, ইউপি চেয়ারম্যান আলাল উদ্দিন ঐদিনই এ ব্যাপারে জেলা প্রশাসক বরাবর লিখিত অভিযোগ (ডকেট নং- ১৩১৫৯, তারিখ- ২৫/০৭/২০১৩ইং) দায়ের করলে জেলা প্রশাসকের কার্যালয় হতে অভিযোগটি তদন্তের জন্য গত ১৩/০৮/২০১৩ইং তারিখের ৩৫৪. ১৩. ০৫. ০০. ০০.০৯. ২০১০. ১০৯৬ নং স্মারকে সহঃ কমিশনার ও এক্সিকিউটিভ ম্যাজিষ্ট্রেট মোঃ নুরুল হুদাকে দায়িত্ব প্রদান করা হয়। এর প্রেক্ষিতে গত ১৯/০৮/২০১৩ইং তারিখের ৩৫৪.০১৫.০০৭.০৫.০০.০০৫.১০১০-৫৫৭ নং স্মারকে নোটিশ প্রদান করেন এবং গত ২৫ আগষ্ট জেলা প্রশাসকের কার্যালয়ের ত্রান ও পুনর্বাসন শাখায় তদন্ত অনুষ্ঠিত হয়। তবে এ ব্যাপারে বিস্তারিত আর কিছু জানা যায়নি। পরিচয় গোপন রাখার শর্তে সংশ্লিষ্ট একটি সূত্র জানায়- চেয়ারম্যান আলাল উদ্দিনের অভিযোগের সত্যতা পাওয়া গেছে এবং তার বিরুদ্ধে বিভাগীয় মামলা দয়েরের জন্য উর্ধতন কর্তৃপক্ষ বরাবর সুপারিশ করা হবে। উল্লেখ্য- মৌলভীবাজার আঞ্চলিক পাসপোর্ট অফিসে দালাল চক্রের দৌরাত, ঘুষ দূর্ণীতি, বিদেশী নাগরিককে বাংলাদেশী নাগরিক হিসাবে পাসপোর্ট প্রদান, জাল নাগরিক সনদ ও জাল পুলিশ ভেরিফিকেশন সনদের বিপরীতে পাসপোর্ট ইস্যুসহ নানা অপরাধ-অনিয়ম-দূর্ণীতির রামরাজত্ব চলছে দীর্ঘদিন যাবৎ। ইতিপূর্বে একাধিকবার এ নিয়ে লেখালেখি হলে কিছুদিন এসব বন্ধ থাকার পর আবারও ঘটে একই অবস্থার পুণরাবৃত্তি। খোদ প্রধান কর্মকর্তা এসবের সাথে জড়িত থাকার কারণেই অবস্থার উন্নতি সম্ভব হচ্ছেনা কিছুতেই।
মৌলভীবাজার পাসপোর্ট অফিসের এডির ঘুষ ও অসদাচরণের তদন্ত অনুষ্ঠিত হয়েছে গতকাল ২৫ আগষ্ট। মৌলভীবাজারের জেলা প্রশাসক বরাবর গত ২৫ জুলাই জেলার বড়লেখা উপজেলার নিজ বাহাদুরপুর ইউপি চেয়ারম্যানের অভিযোগের (ডকেট নং- ১৩১৫৯) প্রেক্ষিতে এ তদন্ত অনুষ্ঠিত হয়। জানা গেছে- বড়লেখা উপজেলার ৩নং নিজ বাহাদুর ইউপির নাগরিক আব্দুল লতিফ তার স্ত্রী ও ২ কন্যার পামপোর্ট করার জন্য গত ২৫ জুলাই মৌলভীবাজার আঞ্চলিক পাসপোর্ট অফিসে আবেদন করার পর সহঃ পরিচালক মোঃ আলী আশরাফ তাদেরকে ৭ আগষ্ট এসে ফিঙ্গার প্রিন্ট দেয়ার জন্য বলেন। আব্দুল লতিফ ওইদিনই ফিঙ্গার প্রিন্ট গ্রহনের অনুরোধ করলে তিনি এজন্য মাথাপিছু ২ হাজার করে মোট ৬ হাজার টাকা দাবী করেন। কিন্তু, ৬ হাজার টাকা সাথে না থাকায় আব্দুল লতিফ অফিস থেকে বেরিয়ে এসে, সরকারী কাজে জেলা প্রশাসকের অফিসে আগত নিজ বাহাদুর ইউপি চেয়ারম্যান আলাল উদ্দিনের সাথে তার দেখা হলে তিনি চেয়ারম্যানকে বিষয়টি জানিয়ে সাহায্য কামনা করেন। নির্বাচিত জনপ্রতিনিধি হিসাবে ইউপি চেয়ারম্যন তাদের সাহায্যার্থে সহঃ পরিচালক আলী আশরাফকে নিজ পরিচয় দিয়ে ওইদিনই আব্দুল লতিফের স্ত্রী-কন্যাদের ফিঙ্গার প্রিন্ট গ্রহনের অনুরোধ করলে আলী আশরাফ চেয়ারম্যানের সাথে চরম অসদাচরণ করেন এবং তাকে অফিস থেকে বের হয়ে যেতে বলেন। সংক্ষুব্ধ চেয়ারম্যান আলাল উদ্দিন সাথে সাথে মৌখিকভাবে বিষয়টি জেলা প্রশাসককে অবহিত করলে, জেলা প্রশাসকের হস্তক্ষেপে শেষমেষ আব্দুল লতিফের স্ত্রী-কন্যাদের ফিংগার প্রিন্ট গ্রহণ করা হয়। অপরদিকে, ইউপি চেয়ারম্যান আলাল উদ্দিন ঐদিনই এ ব্যাপারে জেলা প্রশাসক বরাবর লিখিত অভিযোগ (ডকেট নং- ১৩১৫৯, তারিখ- ২৫/০৭/২০১৩ইং) দায়ের করলে জেলা প্রশাসকের কার্যালয় হতে অভিযোগটি তদন্তের জন্য গত ১৩/০৮/২০১৩ইং তারিখের ৩৫৪. ১৩. ০৫. ০০. ০০.০৯. ২০১০. ১০৯৬ নং স্মারকে সহঃ কমিশনার ও এক্সিকিউটিভ ম্যাজিষ্ট্রেট মোঃ নুরুল হুদাকে দায়িত্ব প্রদান করা হয়। এর প্রেক্ষিতে গত ১৯/০৮/২০১৩ইং তারিখের ৩৫৪.০১৫.০০৭.০৫.০০.০০৫.১০১০-৫৫৭ নং স্মারকে নোটিশ প্রদান করেন এবং গত ২৫ আগষ্ট জেলা প্রশাসকের কার্যালয়ের ত্রান ও পুনর্বাসন শাখায় তদন্ত অনুষ্ঠিত হয়। তবে এ ব্যাপারে বিস্তারিত আর কিছু জানা যায়নি। পরিচয় গোপন রাখার শর্তে সংশ্লিষ্ট একটি সূত্র জানায়- চেয়ারম্যান আলাল উদ্দিনের অভিযোগের সত্যতা পাওয়া গেছে এবং তার বিরুদ্ধে বিভাগীয় মামলা দয়েরের জন্য উর্ধতন কর্তৃপক্ষ বরাবর সুপারিশ করা হবে। উল্লেখ্য- মৌলভীবাজার আঞ্চলিক পাসপোর্ট অফিসে দালাল চক্রের দৌরাত, ঘুষ দূর্ণীতি, বিদেশী নাগরিককে বাংলাদেশী নাগরিক হিসাবে পাসপোর্ট প্রদান, জাল নাগরিক সনদ ও জাল পুলিশ ভেরিফিকেশন সনদের বিপরীতে পাসপোর্ট ইস্যুসহ নানা অপরাধ-অনিয়ম-দূর্ণীতির রামরাজত্ব চলছে দীর্ঘদিন যাবৎ। ইতিপূর্বে একাধিকবার এ নিয়ে লেখালেখি হলে কিছুদিন এসব বন্ধ থাকার পর আবারও ঘটে একই অবস্থার পুণরাবৃত্তি। খোদ প্রধান কর্মকর্তা এসবের সাথে জড়িত থাকার কারণেই অবস্থার উন্নতি সম্ভব হচ্ছেনা কিছুতেই। স্টাফ রিপোটার॥
মন্তব্য করুন