মৌলভীবাজারে আন্তজেলা প্রতারক চক্রের সদস্য জিনের বাদশাসহ আটক-৩
মৌলভীবাজারে আন্তজেলা প্রতারক চক্রের সদস্য,জিনের বাদশাসহ ৩ সহকর্মীকে আটক করেছে পুলিশ । তাদের কে মৌলভীবাজার শহরের কোর্ট মার্কেট এলাকা থেকে সোমবার রাতে মৌলভীবাজার মডেল থানার এসআই (উপপরিদর্শক)তাপস এর নেতৃত্বে আটক করা হয়। ভোক্তভুগী সাহিদা বেগমের ভাই মোঃ মোস্তফা জানান,কমলগঞ্জ উপজেলার পতনউসা গ্রামের সোহেল খানের স্ত্রী সাহিদা বেগমকে প্রায় মাসখানেক আগে গভীর রাতে মুঠোফোনে জিনের বাদশা পরিচয় দিয়ে কথাবার্ত শুরু হয়। কথাবার্তার এক পর্যায়ে জিনের বাদশা আক্কাস আলী(৪৫) সাহিদাকে বলেন, তোমার সোনাঁ-গহনা.টাকা পয়সা সর্বত্র অপবিত্র হয়ে গেছে, তাই এগুলোকে পবিত্র রুমালে বেধে ঘরের এককোনায় রাখো ফুক দিয়ে তা পবিত্র করতে হবে। তাহলে তোমার সম্পদ বর্ধিত হবে যদি না করো তবে তোমার স্বামী-সন্তান মারা যেতে পারে বলে ভয়ও দেখায়। সাহিদা বেগম জিনের বাদশার এই কথাগুলো শুনে সত্যি ভয় পেয়ে যান এবং সম্পদ বর্ধিত হবার আশায় নগদ আাড়াই লক্ষ টাকা ও স্বর্ণ সহ মোট সাড়ে ১২ লক্ষ টাকার একটি পুটলা বানিয়ে তিনি জিনের বাদশার কথামত মৌলভীবাজার ঢাকা বাসটেন্ড এলাকায় গিয়ে উপস্থিত হন। এসময় জিঃ বাদশা নিজে না এসে একটি ছোট বাচ্ছাকে পাঠিয়ে মুঠোফোনে বলে দেয় পুটলাটি ছেলের কাছে দিয়ে কাপড় দিয়ে মোড়ানো দুটি মূর্তি নিয়ে চলে যাও হুকুম হলেই ফল পাবে। তখন সাহিদা অন্ধ বিস্বাসে বাড়ি চলে যায়। কিছুদিন পর মোড়ানো কাপড় খুলে স্বর্ণকারের কাছে নেয়া হলে মূর্তি দুটি পিতল প্রমান হয়। এর আগে একই কায়দায় ঐ চক্র রাজনগর উপজেলার মুন্সিবাজার ইউপির মেদেনীমহল গ্রামের রাজা মিয়ার স্ত্রী রেজিয়া বেগমকে দুটি মূর্তি দেবার সময় ঐ প্রতারক চক্রের আরো দুই সদস্য সুহেল ও জাহাঙ্গির কে মৌলভীবাজার শহর থেকে আটক করে পুলিশে সোপর্দ করা হয়। বর্তমানে তারা কারবরণ করছে। জিনের বাদশাসহ ৩জন মৌলভীবাজার কারাগার থেকে আটককৃতদের ছাড়িয়ে নেবার তদবীর করতে আসলে পুলিশ এদেরকে ও গ্রেফতার করে। আটককৃতরা হলো-গাজিপুর জেলার জয়দবপুর উপজেলার জাঙ্গালিয়া গ্রামের জিনের বাদশা আক্কাস আলী(৪৫),তার স্ত্রী রহিমা বেগম(৩০)এবং গাইবান্ধা জেলার চড় গয়েসপুর গ্রামের আইন উদ্দিনের ছেলে নিল মিয়া(৩৭) । মৌলভীবাজার মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (তদন্ত) আব্দুল হাই জানান,এরা আন্তজেলা প্রতারক চক্রের সক্রিয় সদস্য। এরা বিভিন্ন রূপ ধারন করে ও বিভিন্ন ভাষায় কথা বলে সহজ-সরল মহিলাদের টকায়। এদের বিরুদ্ধে প্রতারনা মামলায় দন্ডবিধির ৪০৬/৪২০ ধারায় মামলা হয়েছে। (মামলা নং-১৩,তাং-১৬/০৭/২০১৩ইং)। রিপোর্ট লেখা পর্যন্ত (সোমবার) বেলা ২টায় তারা থানা হাজতে ছিল।
মৌলভীবাজারে আন্তজেলা প্রতারক চক্রের সদস্য,জিনের বাদশাসহ ৩ সহকর্মীকে আটক করেছে পুলিশ । তাদের কে মৌলভীবাজার শহরের কোর্ট মার্কেট এলাকা থেকে সোমবার রাতে মৌলভীবাজার মডেল থানার এসআই (উপপরিদর্শক)তাপস এর নেতৃত্বে আটক করা হয়। ভোক্তভুগী সাহিদা বেগমের ভাই মোঃ মোস্তফা জানান,কমলগঞ্জ উপজেলার পতনউসা গ্রামের সোহেল খানের স্ত্রী সাহিদা বেগমকে প্রায় মাসখানেক আগে গভীর রাতে মুঠোফোনে জিনের বাদশা পরিচয় দিয়ে কথাবার্ত শুরু হয়। কথাবার্তার এক পর্যায়ে জিনের বাদশা আক্কাস আলী(৪৫) সাহিদাকে বলেন, তোমার সোনাঁ-গহনা.টাকা পয়সা সর্বত্র অপবিত্র হয়ে গেছে, তাই এগুলোকে পবিত্র রুমালে বেধে ঘরের এককোনায় রাখো ফুক দিয়ে তা পবিত্র করতে হবে। তাহলে তোমার সম্পদ বর্ধিত হবে যদি না করো তবে তোমার স্বামী-সন্তান মারা যেতে পারে বলে ভয়ও দেখায়। সাহিদা বেগম জিনের বাদশার এই কথাগুলো শুনে সত্যি ভয় পেয়ে যান এবং সম্পদ বর্ধিত হবার আশায় নগদ আাড়াই লক্ষ টাকা ও স্বর্ণ সহ মোট সাড়ে ১২ লক্ষ টাকার একটি পুটলা বানিয়ে তিনি জিনের বাদশার কথামত মৌলভীবাজার ঢাকা বাসটেন্ড এলাকায় গিয়ে উপস্থিত হন। এসময় জিঃ বাদশা নিজে না এসে একটি ছোট বাচ্ছাকে পাঠিয়ে মুঠোফোনে বলে দেয় পুটলাটি ছেলের কাছে দিয়ে কাপড় দিয়ে মোড়ানো দুটি মূর্তি নিয়ে চলে যাও হুকুম হলেই ফল পাবে। তখন সাহিদা অন্ধ বিস্বাসে বাড়ি চলে যায়। কিছুদিন পর মোড়ানো কাপড় খুলে স্বর্ণকারের কাছে নেয়া হলে মূর্তি দুটি পিতল প্রমান হয়। এর আগে একই কায়দায় ঐ চক্র রাজনগর উপজেলার মুন্সিবাজার ইউপির মেদেনীমহল গ্রামের রাজা মিয়ার স্ত্রী রেজিয়া বেগমকে দুটি মূর্তি দেবার সময় ঐ প্রতারক চক্রের আরো দুই সদস্য সুহেল ও জাহাঙ্গির কে মৌলভীবাজার শহর থেকে আটক করে পুলিশে সোপর্দ করা হয়। বর্তমানে তারা কারবরণ করছে। জিনের বাদশাসহ ৩জন মৌলভীবাজার কারাগার থেকে আটককৃতদের ছাড়িয়ে নেবার তদবীর করতে আসলে পুলিশ এদেরকে ও গ্রেফতার করে। আটককৃতরা হলো-গাজিপুর জেলার জয়দবপুর উপজেলার জাঙ্গালিয়া গ্রামের জিনের বাদশা আক্কাস আলী(৪৫),তার স্ত্রী রহিমা বেগম(৩০)এবং গাইবান্ধা জেলার চড় গয়েসপুর গ্রামের আইন উদ্দিনের ছেলে নিল মিয়া(৩৭) । মৌলভীবাজার মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (তদন্ত) আব্দুল হাই জানান,এরা আন্তজেলা প্রতারক চক্রের সক্রিয় সদস্য। এরা বিভিন্ন রূপ ধারন করে ও বিভিন্ন ভাষায় কথা বলে সহজ-সরল মহিলাদের টকায়। এদের বিরুদ্ধে প্রতারনা মামলায় দন্ডবিধির ৪০৬/৪২০ ধারায় মামলা হয়েছে। (মামলা নং-১৩,তাং-১৬/০৭/২০১৩ইং)। রিপোর্ট লেখা পর্যন্ত (সোমবার) বেলা ২টায় তারা থানা হাজতে ছিল। স্টাফ রিপোটার॥
মন্তব্য করুন