কমলগঞ্জে কেজি স্কুলের জানালা ভাংচুর ॥ ২ শিশু আটক করে থানায় এনে জিজ্ঞাসাবাদ
মৌলভীবাজারের কমলগঞ্জ উপজেলার মুন্সীবাজার সাজেদা-বারী কিডস কিন্ডার গার্ডেন এন্ড হাই স্কুলের সবকটি জানালা ভাংচুর করা হয়েছে। এ ঘটনার সাথে জড়িত থাকার অভিযোগে ২ শিশুকে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য পুলিশ আটক করে থানায় নিয়ে এসেছে। তবে স্কুলের প্রতিষ্ঠাতা অধ্যক্ষ, উপজেলা আওয়ামীলীগ সভাপতি এম, মোসাদ্দেক আহমেদ মানিক জানান বিএনপি-জামায়াতের ইন্দনে হয়েছে। জানা যায়, মঙ্গলবার রাতে কে বা কারা মুন্সীবাজার সাজেদা-বারী কিডস কিন্ডার গার্ডেন এন্ড হাই স্কুলের সবকটি জানালা ভাংচুর করে এবং বারান্দায় মলমূত্র ত্যাগ করে চলে যায়। গতকাল বুধবার সকালে শিক্ষকরা এসে দেখতে পান স্কুলের প্রতিটি জানালার গ্লাস ভাঙ্গা। রহস্যজনক জানালা ভংচুরের ঘটনা কমলগঞ্জ থানা পুলিশকে খবর দিলে পুলিশ ২ জন শিশুকে প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদের জন্য থানায় নিয়ে আসে। স্কুলের প্রতিষ্ঠাতা অধ্যক্ষ ও উপজেলা আওয়ামীলীগের সভাপতি এম, মোসাদ্দেক আহমেদ মানিক সাংবাদিকদের জানান, বিএনপি-জামায়াত এর ইন্দনে শিশুদের ব্যবহার করে একটি শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের গ্লাস ভাংচুর করা হয়েছে। এ ব্যাপারে তিনি থানায় মামলা করবেন বলে জানান। ঘটনার খবর পেয়ে বুধবার বেলা ১২ টায় কমলগঞ্জ থানায় গিয়ে দেখা যায়, মুন্সীবাজার কালীপ্রসাদ উচ্চ বিদ্যালয়ের ৭ম শ্রেণীর মেধাবী ছাত্র তাকলিম আহমদ তরপদার(১২) ও সাক্কু মিয়া (৮)কে হাজত খানার সামনে বসিয়ে রাখা হয়েছে। আলাপকালে ছাত্র তাকলিম আহমদ তরপদার এ প্রতিনিধিকে জানায়, মঙ্গলবার বিকালে মুন্সীবাজারস্থ সাজেদা বারী কেজি স্কুলের সীমানা প্রাচীরের ভিতরে ক্রিকেট খেলছিল। খেলার সময় এক পর্যায়ে ক্রিকেট বলের আঘাতে স্কুলের জানালার কাঁচ ভেঙ্গে যায়। এ অপরাধে পুলিশ তাদেরকে ধরে এনেছে। কমলগঞ্জ থানায় আটক ৭ম শ্রেণির ছাত্র তাকলিম আহমদ তরপদারের বাবা বিক্রমকলস সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয়ের সহকারী শিক্ষক জালাল আহমদ তরপদার অভিযোগ করে বলেন, তুচ্ছ এ ঘটনার জন্য তিনি শিশু দুটিকে নিয়ে বিদ্যালয়ের অধ্যক্ষ আওয়ামীলীগ নেতা এম, মোসাদ্দেক আহমদের পায়ে ধরিয়ে ক্ষমা চাইয়েছেন। আর জানালায় নতুন কাঁচ স্থাপনের দায়িত্ব গ্রহন করেন। তারপরও পুলিশ পাঠিয়ে অমানবিকভাবে শিশু দুটিকে গ্রেফতার করে থানায় নেওয়া হল। মুন্সীবাজার ইউনিয়ন পরিষদ চেয়ারম্যান আব্দুল মোতালিব তরপদার ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করে বলেন, বুধবার দুপুরে তিনি নিজে স্কুল অধ্যক্ষ ও আওয়ামীলীগ নেতাকে অনুরোধ করার পরও শিশুদের ছেড়ে দেওয়া হয়নি। কমলগঞ্জ থানার ওসি নীহার রঞ্জন নাথ ঘটনার সত্যতা স্বীকার করে বলেন, এ ঘটনায় ৮ বছরের ও ১২ বছরের দুই শিশুকে প্রাথমিকভাবে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য থানায় নিয়ে আসা হয়েছে। তারা হয়ত কারো ঈন্ধনে পরিকল্পিতভাবে স্কুলের জানালার কাঁচ ভেঙ্গেছে। এসব খতিয়ে দেখা হচ্ছে। এ রিপোর্ট লেখা পর্যন্ত (বিকাল সাড়ে ৪ টা) শিশু দুটি কমলগঞ্জ থানায় আটক ছিল। এ সম্পর্কে মৌলভীবাজারের পুলিশ সুপার তোফায়েল আহমদ বলেন এ বিষয়টি তিনি জানেন না। তবে খতিয়ে দেখছেন বলে জানান।
মৌলভীবাজারের কমলগঞ্জ উপজেলার মুন্সীবাজার সাজেদা-বারী কিডস কিন্ডার গার্ডেন এন্ড হাই স্কুলের সবকটি জানালা ভাংচুর করা হয়েছে। এ ঘটনার সাথে জড়িত থাকার অভিযোগে ২ শিশুকে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য পুলিশ আটক করে থানায় নিয়ে এসেছে। তবে স্কুলের প্রতিষ্ঠাতা অধ্যক্ষ, উপজেলা আওয়ামীলীগ সভাপতি এম, মোসাদ্দেক আহমেদ মানিক জানান বিএনপি-জামায়াতের ইন্দনে হয়েছে। জানা যায়, মঙ্গলবার রাতে কে বা কারা মুন্সীবাজার সাজেদা-বারী কিডস কিন্ডার গার্ডেন এন্ড হাই স্কুলের সবকটি জানালা ভাংচুর করে এবং বারান্দায় মলমূত্র ত্যাগ করে চলে যায়। গতকাল বুধবার সকালে শিক্ষকরা এসে দেখতে পান স্কুলের প্রতিটি জানালার গ্লাস ভাঙ্গা। রহস্যজনক জানালা ভংচুরের ঘটনা কমলগঞ্জ থানা পুলিশকে খবর দিলে পুলিশ ২ জন শিশুকে প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদের জন্য থানায় নিয়ে আসে। স্কুলের প্রতিষ্ঠাতা অধ্যক্ষ ও উপজেলা আওয়ামীলীগের সভাপতি এম, মোসাদ্দেক আহমেদ মানিক সাংবাদিকদের জানান, বিএনপি-জামায়াত এর ইন্দনে শিশুদের ব্যবহার করে একটি শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের গ্লাস ভাংচুর করা হয়েছে। এ ব্যাপারে তিনি থানায় মামলা করবেন বলে জানান। ঘটনার খবর পেয়ে বুধবার বেলা ১২ টায় কমলগঞ্জ থানায় গিয়ে দেখা যায়, মুন্সীবাজার কালীপ্রসাদ উচ্চ বিদ্যালয়ের ৭ম শ্রেণীর মেধাবী ছাত্র তাকলিম আহমদ তরপদার(১২) ও সাক্কু মিয়া (৮)কে হাজত খানার সামনে বসিয়ে রাখা হয়েছে। আলাপকালে ছাত্র তাকলিম আহমদ তরপদার এ প্রতিনিধিকে জানায়, মঙ্গলবার বিকালে মুন্সীবাজারস্থ সাজেদা বারী কেজি স্কুলের সীমানা প্রাচীরের ভিতরে ক্রিকেট খেলছিল। খেলার সময় এক পর্যায়ে ক্রিকেট বলের আঘাতে স্কুলের জানালার কাঁচ ভেঙ্গে যায়। এ অপরাধে পুলিশ তাদেরকে ধরে এনেছে। কমলগঞ্জ থানায় আটক ৭ম শ্রেণির ছাত্র তাকলিম আহমদ তরপদারের বাবা বিক্রমকলস সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয়ের সহকারী শিক্ষক জালাল আহমদ তরপদার অভিযোগ করে বলেন, তুচ্ছ এ ঘটনার জন্য তিনি শিশু দুটিকে নিয়ে বিদ্যালয়ের অধ্যক্ষ আওয়ামীলীগ নেতা এম, মোসাদ্দেক আহমদের পায়ে ধরিয়ে ক্ষমা চাইয়েছেন। আর জানালায় নতুন কাঁচ স্থাপনের দায়িত্ব গ্রহন করেন। তারপরও পুলিশ পাঠিয়ে অমানবিকভাবে শিশু দুটিকে গ্রেফতার করে থানায় নেওয়া হল। মুন্সীবাজার ইউনিয়ন পরিষদ চেয়ারম্যান আব্দুল মোতালিব তরপদার ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করে বলেন, বুধবার দুপুরে তিনি নিজে স্কুল অধ্যক্ষ ও আওয়ামীলীগ নেতাকে অনুরোধ করার পরও শিশুদের ছেড়ে দেওয়া হয়নি। কমলগঞ্জ থানার ওসি নীহার রঞ্জন নাথ ঘটনার সত্যতা স্বীকার করে বলেন, এ ঘটনায় ৮ বছরের ও ১২ বছরের দুই শিশুকে প্রাথমিকভাবে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য থানায় নিয়ে আসা হয়েছে। তারা হয়ত কারো ঈন্ধনে পরিকল্পিতভাবে স্কুলের জানালার কাঁচ ভেঙ্গেছে। এসব খতিয়ে দেখা হচ্ছে। এ রিপোর্ট লেখা পর্যন্ত (বিকাল সাড়ে ৪ টা) শিশু দুটি কমলগঞ্জ থানায় আটক ছিল। এ সম্পর্কে মৌলভীবাজারের পুলিশ সুপার তোফায়েল আহমদ বলেন এ বিষয়টি তিনি জানেন না। তবে খতিয়ে দেখছেন বলে জানান। কমলগঞ্জ প্রতিনিধি॥
মন্তব্য করুন