শহরতলীর পাগুলিয়ায় যুবতীর গলাকাটা লাশ উদ্ধার : হত্যার অভিযোগে কিশোর আটক

October 23, 2013,

শহরতলীর পাগুলিয়া আবাসিক এলাকার অর্চনা রায় (৪৮) কে দা দিয়ে গলা কেটে হত্যা করেছে কিশোর হৃদয় রায়। টাকা চুরির দৃশ্য দেখে ফেলায় এই ঘটনা ঘটায় ৮ম শ্রেণীতে পড়–য়া হৃদয়। সে অর্চনা রায়ের ভাইপো নয়ন রায়ের শ্যালক। জিজ্ঞাসাবাদে হত্যাকান্ডে তার সম্পৃক্ততা স্বীকার করার পর গ্রেফতার দেখিয়ে পুলিশ বুধবার তাকে আদালতে পাঠায়। আদালত অপ্রাপ্তবয়স্ক হওয়ায় জবানবন্দি গ্রহন না করে তাকে গাজীপুরের কিশোর সংশোধনাগারে পাঠানোর নির্দেশ দেন।
মৌলভীবাজারের সদর উপজেলার পাগুলিয়া আবাসিক এলাকার এক বাসায় গত ২০ অক্টোবর বৃষ্টির সময় দুপুর বেলায় খুন হন গিয়াসনগর ইউপির লাঙ্গুরিয়া গ্রামের কৈলাশ রায়ের অবিবাহিত মেয়ে অর্চনা রায় (৪৮)। তিনি থাকতেন তারই ভাইপো নয়ন রায়ের বাসায়। নয়ন চাকুরি করেন একটি বেসরকারি প্রতিষ্টানে। ঘটনার দিন বাসায় ছিলেন না নয়ন এবং তার স্ত্রী ইতি রায়। ইতি রায় সন্তানসহ ছিলেন ফেঞ্চুগঞ্জে এক আত্বীয়ের বাড়িতে। নয়ন রায় সকালে চলে যান কর্মস্থলে। এছাড়াও এই বাসায় সাব-লেট থাকা দুই তরুণীও ছিল বাহিরে। বাসায় ছিলেন অর্চনা রায় ও নয়নের শ্যালক কিশোর হৃদয় রায় (১৩)। খুনের ঘটনা নিয়ে প্রথম হৃদয় পুলিশকে জানায় নয়নকে খুজতে এসে ৩ যুবক বাসায় প্রবেশ করে এবং তারাই অর্চনাকে খুন করে। কিন্তু পুলিশের শুরু থেকেই সন্দেহ হয় তার বর্ণনা নিয়ে। পুলিশসহ বিভিন্ন সংস্থা মাঠে নামে খুনের রহস্য উদঘাটনে। এ দিকে ঘটনার দিন রাতে নয়ন রায় বাদি হয়ে অজ্ঞাত ৩ ব্যাক্তিকে আসামী করে থানায় মামলা করেন। পুলিশ তদন্তে নেমে জানতে পারে নয়ন রায়ের আলমারিতে রাখা ২৪ হাজার টাকা খোয়া যাওয়ার কথা এবং তালাবদ্ধ আলমারির একদিকে এক হাত প্রবেশ করারমতো কিছু স্থান কাটা। পুিলশের সন্দেহ হয়। যেখানে ঘটনার সাথে পরিবারের সদস্য একজনের প্রতি ইংগিত করা হয়। এর পর থেকে পুলিশ নজরদারিতে রাখে হৃদয়কে। ঘটনারপর দিন হৃদয় বাসার কাউকে না বলে তার বাড়ি সুনামগঞ্জের জগন্নাথপুরে চলে যায়। পরে পুলিশ সেখান থেকে তাকে নিয়ে আসে। মঙ্গলবার রাতে পুলিশের নিকট স্বীকার করে হৃদয় রায় ঘটনার সাথে তার সম্পৃক্ততার কথা। সংশ্লিষ্ট সুত্র গতকাল জানিয়েছেন হৃদয় রায় বলেছে পূজার সময় সে তার বোনের বাসায় বেড়াতে আসে। এই সময় সে দেখে তার ভগ্নিপতি আলমারিতে টাকা রেখেছেন। এই টাকার প্রতি তার লোভ জাগে। তাই তার বোন অন্য বোনের বাড়ি বেড়াতেগেলেও সে যায়নি। ঘটনার দিন অর্চনা রায় গোসল করতে গেলে সে বটি দিয়ে আলমিরা ছিদ্র করে টাকা চুরি করে। গোসল সেরে অর্চনা বের হয়ে এই দৃশ্য দেখেন। তখন তিনি হৃদয়কে বলেন ঘটনা বলে দিবেন হৃদয়ের ভগ্নিপতি নয়ন রায় কে। এই কথাশুনে সে (হৃদয়) তার হাতে থাকা দা-দিয়ে অর্চনা রায়ের গলার কোপ দেয়। অর্চনা ফ্লোরে পরে গেলে আরেক কোপ দেয়। অর্চনার মৃত্যু নিশ্চিত হলে সে দা বাথরোমে নিয়ে পরিস্কার করে রেখে বাসা থেকে বের হয়ে ভগ্নিপতিকে সংবাদ দেয় এবং হত্যাকান্ডের ব্যপারে সাজানো গল্প বলে। এদিকে হৃদয় রায়কে অর্চনা রায় হত্যাকারি হিসাবে পুলিশ তাকে মঙ্গলবার গ্রেফতার করে বুধবার মৌলভীবাজার আদালতে প্রেরণ করে। অপ্রাপ্তবয়স্ক হওয়ায় আদলত জবানবন্দি গ্রহণ না করে তাকে ঢাকার গাজীপুরে অবস্থিত কিশোর-সংশোধনাগারে পাঠানোর নির্দেশ দেন।
মৌলভীবাজার মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা আজিজুর রহমান বলেন হৃদয় রায় এই হত্যাকান্ড গঠিয়েছে বলে আটক হৃদয় তার জবানবন্ধীতে স্বীকার করেছে। তবে আদালত তাকে ঢাকার গাজীপুরে অবস্থিত কিশোর-সংশোধনাগারে পাঠানোর নির্দেশ দেন।
শহরতলীর পাগুলিয়া আবাসিক এলাকার অর্চনা রায় (৪৮) কে দা দিয়ে গলা কেটে হত্যা করেছে কিশোর হৃদয় রায়। টাকা চুরির দৃশ্য দেখে ফেলায় এই ঘটনা ঘটায় ৮ম শ্রেণীতে পড়–য়া হৃদয়। সে অর্চনা রায়ের ভাইপো নয়ন রায়ের শ্যালক। জিজ্ঞাসাবাদে হত্যাকান্ডে তার সম্পৃক্ততা স্বীকার করার পর গ্রেফতার দেখিয়ে পুলিশ বুধবার তাকে আদালতে পাঠায়। আদালত অপ্রাপ্তবয়স্ক হওয়ায় জবানবন্দি গ্রহন না করে তাকে গাজীপুরের কিশোর সংশোধনাগারে পাঠানোর নির্দেশ দেন।
মৌলভীবাজারের সদর উপজেলার পাগুলিয়া আবাসিক এলাকার এক বাসায় গত ২০ অক্টোবর বৃষ্টির সময় দুপুর বেলায় খুন হন গিয়াসনগর ইউপির লাঙ্গুরিয়া গ্রামের কৈলাশ রায়ের অবিবাহিত মেয়ে অর্চনা রায় (৪৮)। তিনি থাকতেন তারই ভাইপো নয়ন রায়ের বাসায়। নয়ন চাকুরি করেন একটি বেসরকারি প্রতিষ্টানে। ঘটনার দিন বাসায় ছিলেন না নয়ন এবং তার স্ত্রী ইতি রায়। ইতি রায় সন্তানসহ ছিলেন ফেঞ্চুগঞ্জে এক আত্বীয়ের বাড়িতে। নয়ন রায় সকালে চলে যান কর্মস্থলে। এছাড়াও এই বাসায় সাব-লেট থাকা দুই তরুণীও ছিল বাহিরে। বাসায় ছিলেন অর্চনা রায় ও নয়নের শ্যালক কিশোর হৃদয় রায় (১৩)। খুনের ঘটনা নিয়ে প্রথম হৃদয় পুলিশকে জানায় নয়নকে খুজতে এসে ৩ যুবক বাসায় প্রবেশ করে এবং তারাই অর্চনাকে খুন করে। কিন্তু পুলিশের শুরু থেকেই সন্দেহ হয় তার বর্ণনা নিয়ে। পুলিশসহ বিভিন্ন সংস্থা মাঠে নামে খুনের রহস্য উদঘাটনে। এ দিকে ঘটনার দিন রাতে নয়ন রায় বাদি হয়ে অজ্ঞাত ৩ ব্যাক্তিকে আসামী করে থানায় মামলা করেন। পুলিশ তদন্তে নেমে জানতে পারে নয়ন রায়ের আলমারিতে রাখা ২৪ হাজার টাকা খোয়া যাওয়ার কথা এবং তালাবদ্ধ আলমারির একদিকে এক হাত প্রবেশ করারমতো কিছু স্থান কাটা। পুিলশের সন্দেহ হয়। যেখানে ঘটনার সাথে পরিবারের সদস্য একজনের প্রতি ইংগিত করা হয়। এর পর থেকে পুলিশ নজরদারিতে রাখে হৃদয়কে। ঘটনারপর দিন হৃদয় বাসার কাউকে না বলে তার বাড়ি সুনামগঞ্জের জগন্নাথপুরে চলে যায়। পরে পুলিশ সেখান থেকে তাকে নিয়ে আসে। মঙ্গলবার রাতে পুলিশের নিকট স্বীকার করে হৃদয় রায় ঘটনার সাথে তার সম্পৃক্ততার কথা। সংশ্লিষ্ট সুত্র গতকাল জানিয়েছেন হৃদয় রায় বলেছে পূজার সময় সে তার বোনের বাসায় বেড়াতে আসে। এই সময় সে দেখে তার ভগ্নিপতি আলমারিতে টাকা রেখেছেন। এই টাকার প্রতি তার লোভ জাগে। তাই তার বোন অন্য বোনের বাড়ি বেড়াতেগেলেও সে যায়নি। ঘটনার দিন অর্চনা রায় গোসল করতে গেলে সে বটি দিয়ে আলমিরা ছিদ্র করে টাকা চুরি করে। গোসল সেরে অর্চনা বের হয়ে এই দৃশ্য দেখেন। তখন তিনি হৃদয়কে বলেন ঘটনা বলে দিবেন হৃদয়ের ভগ্নিপতি নয়ন রায় কে। এই কথাশুনে সে (হৃদয়) তার হাতে থাকা দা-দিয়ে অর্চনা রায়ের গলার কোপ দেয়। অর্চনা ফ্লোরে পরে গেলে আরেক কোপ দেয়। অর্চনার মৃত্যু নিশ্চিত হলে সে দা বাথরোমে নিয়ে পরিস্কার করে রেখে বাসা থেকে বের হয়ে ভগ্নিপতিকে সংবাদ দেয় এবং হত্যাকান্ডের ব্যপারে সাজানো গল্প বলে। এদিকে হৃদয় রায়কে অর্চনা রায় হত্যাকারি হিসাবে পুলিশ তাকে মঙ্গলবার গ্রেফতার করে বুধবার মৌলভীবাজার আদালতে প্রেরণ করে। অপ্রাপ্তবয়স্ক হওয়ায় আদলত জবানবন্দি গ্রহণ না করে তাকে ঢাকার গাজীপুরে অবস্থিত কিশোর-সংশোধনাগারে পাঠানোর নির্দেশ দেন।
মৌলভীবাজার মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা আজিজুর রহমান বলেন হৃদয় রায় এই হত্যাকান্ড গঠিয়েছে বলে আটক হৃদয় তার জবানবন্ধীতে স্বীকার করেছে। তবে আদালত তাকে ঢাকার গাজীপুরে অবস্থিত কিশোর-সংশোধনাগারে পাঠানোর নির্দেশ দেন। স্টাফ রিপোর্টার॥

সংবাদটি শেয়ার করতে নিচের “আপনার প্রিয় শেয়ার বাটনটিতে ক্লিক করুন”

মন্তব্য করুন

Social Media Auto Publish Powered By : XYZScripts.com