কমলগঞ্জে শ্বশুর বাড়ির নির্যাতন সইতে না পেরে তিন সন্তানসহ গৃহবধূর ট্রিনের নিচে ঝাপ দিয়ে আত্মহত্যার চেষ্টা
স্বামীর অবর্তমানে শ্বশুর বাড়ির লোকজনের নির্যাতন সইতে না পেরে কমলগঞ্জে তিন সন্তানসহ এক গৃহবধূ ট্রেনের নিচে ঝাপ দিয়ে আত্মহত্যার চেষ্ট করেন। রেলওয়ে ষ্টেশনে উপস্থিত লোকজনের সহায়তায় তিন সন্তানসহ গৃহবধূ অল্পের জন্য প্রাণে বেঁচে গেলেন। উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা সন্তানসহ গৃহবধূকে চিকিৎসার জন্য কমলগঞ্জ উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করেন। ৫ নভেম্বর মঙ্গলবার বেলা সাড়ে ১২ টায় কমলগঞ্জ উপজেলা সদরের ভানুগাছ রেলওয়ে ষ্টেশনে এ ঘটনাটি ঘটে। কমলগঞ্জ উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স সূত্রে জানা যায়, সীমান্তবর্তী ইসলামপুর ইউনিয়নের কাঁঠালকান্দি গ্রামের দুবাই প্রবাসী জমির মিয়ার স্ত্রী গুলশান বেগম (৩২) মেয়ে ডালিয়া ইসলাম (১২), ছেলে জাহেদ আহমদ (১০) ও জুবেদ আহমদ (৮)সহ মঙ্গলবার দুপুরে ভানুগাছ রেলওয়ে ষ্টেশনে সিলেটগামী জালালাবাদ এক্সপ্রেস ট্রেনের নিচে ঝাপ দিয়ে আত্মহত্যার চেষ্টা করে। এসময় ষ্টেশনে উপস্থিত ময়না মিয়া, জমশেদ মিয়া ও কাজল বেগম দ্রুত তিন সন্তানসহ গৃহবধূকে ঝাপটে ধরলে তারা আর ট্রেনের নিচে ঝাপ দিতে পারেনি। এ ঘটনার খবর পেয়ে কমলগঞ্জ উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা ঘটনাস্থল থেকে সন্তানসহ গৃহবধূকে প্রাথমিক চিকিৎসার জন্য কমলগঞ্জ উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভতি করেন। কমলগঞ্জ উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের জরুরী বিভাগে অবস্থানরত গৃহবধূ গুলশান বেগমের কাছে জানতে চাইলে তিনি বলেন, স্বামীর অবর্তমানে দীর্ঘ দিন ধরে শ্বশুর বাড়িতে এক ননদসহ অন্যান্য লোকজনের সাথে পারিবারিক বিরোধ চলছিল। তার ননদ রেজিয়া বেগম তাকে মারধর করেন। ননদসহ শ্বশুর বাড়ির লোকজন তার স্বামীকে আরও একটি বিয়ে করাতে চান। এতে তিনি জোর আপত্তি জানান। এসব ঘটনার প্রতিবাদে তিনি তিন সন্তানসহ সোমবার ট্রেনের নিচে ঝাপ দিয়ে আত্মহত্যার চেষ্টা করেন। তবে গৃহবধূর ননদ রেজিয়া বেগম বলেন, ছোট ভাইয়ের স্ত্রী যে অভিযোগ করেছে তা সঠিক নয়। সে তাদের আপন মামাতো বোন। তার স্বভাব চরিত্র ভাল নয়। সে উল্টো শ্বশুর বাড়ির লোকজনের উপর থানায় মামলাও করেছে। সে প্রায়ই আত্মহত্যার হুমকি দেয়। এ নিয়ে কমলগঞ্জ থানায় একটি সাধারন ডায়েরী করা আছে। কমলগঞ্জ উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মোহাম্মদ জাহিদুল ইসলাম মিঞা আত্মহত্যার চেষ্টার সত্যতা নিশ্চিত করে বলেন, প্রাথমিকভাবে মনে হয়েছে তাদের পারিবারিক কিছুটা বিরোধ আছে। এগুলো খতিয়ে দেখা হবে। আপাতত স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে রেখে খাবার দিয়ে তাদের প্রাথমিক চিকিৎসা দেওয়া হবে।
স্বামীর অবর্তমানে শ্বশুর বাড়ির লোকজনের নির্যাতন সইতে না পেরে কমলগঞ্জে তিন সন্তানসহ এক গৃহবধূ ট্রেনের নিচে ঝাপ দিয়ে আত্মহত্যার চেষ্ট করেন। রেলওয়ে ষ্টেশনে উপস্থিত লোকজনের সহায়তায় তিন সন্তানসহ গৃহবধূ অল্পের জন্য প্রাণে বেঁচে গেলেন। উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা সন্তানসহ গৃহবধূকে চিকিৎসার জন্য কমলগঞ্জ উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করেন। ৫ নভেম্বর মঙ্গলবার বেলা সাড়ে ১২ টায় কমলগঞ্জ উপজেলা সদরের ভানুগাছ রেলওয়ে ষ্টেশনে এ ঘটনাটি ঘটে। কমলগঞ্জ উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স সূত্রে জানা যায়, সীমান্তবর্তী ইসলামপুর ইউনিয়নের কাঁঠালকান্দি গ্রামের দুবাই প্রবাসী জমির মিয়ার স্ত্রী গুলশান বেগম (৩২) মেয়ে ডালিয়া ইসলাম (১২), ছেলে জাহেদ আহমদ (১০) ও জুবেদ আহমদ (৮)সহ মঙ্গলবার দুপুরে ভানুগাছ রেলওয়ে ষ্টেশনে সিলেটগামী জালালাবাদ এক্সপ্রেস ট্রেনের নিচে ঝাপ দিয়ে আত্মহত্যার চেষ্টা করে। এসময় ষ্টেশনে উপস্থিত ময়না মিয়া, জমশেদ মিয়া ও কাজল বেগম দ্রুত তিন সন্তানসহ গৃহবধূকে ঝাপটে ধরলে তারা আর ট্রেনের নিচে ঝাপ দিতে পারেনি। এ ঘটনার খবর পেয়ে কমলগঞ্জ উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা ঘটনাস্থল থেকে সন্তানসহ গৃহবধূকে প্রাথমিক চিকিৎসার জন্য কমলগঞ্জ উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভতি করেন। কমলগঞ্জ উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের জরুরী বিভাগে অবস্থানরত গৃহবধূ গুলশান বেগমের কাছে জানতে চাইলে তিনি বলেন, স্বামীর অবর্তমানে দীর্ঘ দিন ধরে শ্বশুর বাড়িতে এক ননদসহ অন্যান্য লোকজনের সাথে পারিবারিক বিরোধ চলছিল। তার ননদ রেজিয়া বেগম তাকে মারধর করেন। ননদসহ শ্বশুর বাড়ির লোকজন তার স্বামীকে আরও একটি বিয়ে করাতে চান। এতে তিনি জোর আপত্তি জানান। এসব ঘটনার প্রতিবাদে তিনি তিন সন্তানসহ সোমবার ট্রেনের নিচে ঝাপ দিয়ে আত্মহত্যার চেষ্টা করেন। তবে গৃহবধূর ননদ রেজিয়া বেগম বলেন, ছোট ভাইয়ের স্ত্রী যে অভিযোগ করেছে তা সঠিক নয়। সে তাদের আপন মামাতো বোন। তার স্বভাব চরিত্র ভাল নয়। সে উল্টো শ্বশুর বাড়ির লোকজনের উপর থানায় মামলাও করেছে। সে প্রায়ই আত্মহত্যার হুমকি দেয়। এ নিয়ে কমলগঞ্জ থানায় একটি সাধারন ডায়েরী করা আছে। কমলগঞ্জ উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মোহাম্মদ জাহিদুল ইসলাম মিঞা আত্মহত্যার চেষ্টার সত্যতা নিশ্চিত করে বলেন, প্রাথমিকভাবে মনে হয়েছে তাদের পারিবারিক কিছুটা বিরোধ আছে। এগুলো খতিয়ে দেখা হবে। আপাতত স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে রেখে খাবার দিয়ে তাদের প্রাথমিক চিকিৎসা দেওয়া হবে। কমলগঞ্জ প্রতিনিধি॥
মন্তব্য করুন