বড়লেখায় বিদ্যুত বিতরণে অনিয়ম
মৌলভীবাজারের বড়লেখায় সরকারিভাবে পল্ল¬¬ী বিদ্যুতের বিদ্যুত সংযোগ সরবরাহে চরম অনিয়ম, দুর্নীতি, স্বজনপ্রীতি ও ক্ষমতার অপব্যবহার করা হয়েছে। ঘুষের টাকা না দেয়ায় বিদ্যুত বঞ্চিত করা হয়েছে বিশাল একটি দরিদ্র জনগোষ্ঠিকে। একটি চা বাগানের স্বার্থের জন্যে বৃহৎ একটি এলাকার ৮৮ পরিবারকে অন্ধকারে রেখে বিদ্যুত লাইন সম্প্রসারণ করে নেওয়ার পাঁয়তারা চলছে। ভুক্তভোগী ৮৮ পরিবারের সদস্যরা বিভিন্ন দপ্তরে অভিযোগ দিয়েও কোনো প্রতিকার পাচ্ছেন না। আদৌ কি তারা বিদ্যুতের আলোয় আলোকিত হবেন না অন্ধকারেই কাটাবেন এ শংকাই যেনো তাড়া করছে তাদের সব সময়। সরেজমিনে বড়লেখা উপজেলার সীমান্তবর্তী উত্তর শাহবাজপুর ইউনিয়নের করমপুর গ্রামে গিয়ে এলাকাবাসীর সাথে আলাপকালে জানা গেছে, সম্প্রতি এ এলাকায় সরকারিভাবে বিদ্যুত বিতরণ সরবরাহের জন্যে ৬ সদস্য বিশিষ্ট একটি কমিটি গঠন করা হয়। সর্ষের ভেতরে যে ভূত থাকে এর প্রমাণই রাখলেন খোদ কমিটির লোকেরাই। কমিটির সদস্যরা হলেন-সভাপতি মনোহর আলী মনই, স্থানীয় ইউপি সদস্য বদরুল ইসলাম, আবুল কালাম, মুজিব, কবির, কুটই মিয়া। কমিটির সদস্যরা নিজেদের আত্মীয়-স্বজন ও এলাকার ধনি ব্যক্তিদের বাড়িতে বিদ্যুত বিতরণের সিদ্ধান্ত নেন। এলাকার ৮৮ টি পরিবার খুবই গরিব হওয়ায় কমিটির লোকদের ঘুষের টাকা না দেয়ায় এলাকার ধনি ও প্রভাবশালী ৪০/৫০টি পরিবারকে বিদ্যুত গ্রাহক তালিকায় অন্তর্ভুক্ত করা হয়েছে। অধিকসংখ্যক গ্রাহক দেখানোর স্বার্থে এসব পরিবারের প্রতি পরিবারে একাধিক মিটার বরাদ্দও দেখানো হয়েছে। এলাকাবাসী এ অনিয়মের বিষয়টি জানতে পেরে গত ৩০ সেপ্টেম্বর মৌলভীবাজারের শ্রীমঙ্গলস্থ পল্ল¬¬ী বিদ্যুতের জিএম বরাবরে লিখিত অভিযোগ দেন। অভিযোগের কপিতে তদন্তসাপেক্ষে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নিতে ও সর্বোচ্চ সংখ্যক গ্রাহক সংযুক্তির বিষয়ে সুপারিশ করেন বড়লেখা উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান সিরাজ উদ্দিন ও স্থানীয় ইউপি চেয়ারম্যান আকবর আলী। অভিযোগের প্রেক্ষিতে গত ১ অক্টোবর সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের জনৈক কর্মকর্তা এলাকায় তদন্ত করতে যান। তদন্তে গিয়ে গোপনে ওই কর্মকর্তা স্থানীয় হাফিজ চা বাগানের বাংলোয় বসে বৈঠক করেন। খবর পেয়ে বিদ্যুত বঞ্চিতরা সেখানে গেলেও তাদেরকে ভয়ভীতি দেখিয়ে তাড়িয়ে দেওয়া হয়। এলাকার বাসিন্দা ও স্থানীয় ইউপি সদস্যা নজমা বেগমসহ বিদ্যুত বঞ্চিত ৮৮ পরিবারের লোকজন জানান, আমরা দরিদ্র হওয়ায় বিদ্যুত বিতরণ কমিটির ওই লোকদের দাবিকৃত ঘুষের টাকা দিতে না পারায় বঞ্চিত করা হয়েছে। হাফিজ চা বাগানের সুবিধার জন্য ও প্রভাবশালী ব্যক্তিদের গ্রাহক তালিকায় অন্তর্ভুক্ত করা হয়েছে। আমাদের দাবি, করমপুরের দক্ষিণ প্রান্ত হইতে মূল সড়ক দিয়ে না টেনে মুক্তিযোদ্ধা ছুরত আলীর বাড়ির সামনে দিয়ে টানা হলে ধনি-গরিব সকলের জন্যই সুবিধা হতো। কিন্তু তা না করে মূল সড়ক দিয়ে হাফিজ চা বাগানের সম্মুখ দিয়ে লাইন করা হচ্ছে। আর এতে এলাকার মানুষের কোনো সুবিধা হবে না, সুবিধা হবে হাফিজ চা বাগানের। আমাদের স্থানীয় এমপি বলেছিলেন, এলাকার ধনি-গরিব সবাই বিদ্যুত পাবে। করমপুরের দক্ষিণের গ্রাম সায়পুর থেকে বিদ্যুতের লাইন সংযোগ দেওয়া হবে। বিদ্যুত বঞ্চিত ৮৮ পরিবারের লোকজন আরও জানান, এলাকায় ৩ কিলোমিটার বিদ্যুত প্রদানের কথা ছিল। কিন্তু গঠিত কমিটির লোকজন মোটা অংকের টাকার বিনিময়ে ২ কিলোমিটার করমপুর গ্রামের জন্য রেখে ১ কি.মি. বাগানে দিতে চাচ্ছে। স্থানীয় এমপিও বিশাল জনগোষ্ঠির কথা চিন্তা না করে ওই কমিটির কথামতো কাজ করছেন। আমাদের দাবিকে প্রাধান্য দিচ্ছেন না। এদিকে বিদ্যুত বঞ্চিত এলাকাবাসী গত ২৩ অক্টোবর জেলা প্রশাসক বরাবরে বিদ্যুত আত্মসাতের বিষয়ে লিখিত অভিযোগ দিয়েছেন। এছাড়া আইন সহায়তা কেন্দ্র (আসক) ফাউন্ডেশনের এডিশনাল ডাইরেক্টর বরাবরেও এসব বিষয়ে অভিযোগ দিয়েছেন। কর্তৃপক্ষ অভিযোগ দুটি সীল-স্বাক্ষর করে রিসিভ করলেও রহস্যজনক কারণে কোনো ব্যবস্থা নিচ্ছে না। এ ব্যাপারে গঠিত বিদ্যুত বিতরণ কমিটির সভাপতি মনোহর আলী মনই ও স্থানীয় ইউপি সদস্য বদরুল ইসলাম জানান, কিছু কিছু ব্যক্তির কাছ থেকে খরচ বাবদ কিছু টাকা নেওয়া হয়েছে। সবার কাছ থেকে নেওয়া হয়নি। স্থানীয় এমপি সাহেব এই বিদ্যুত বরাদ্দ দিয়েছেন। আমাদের কিছু করার নেই। বড়লেখা উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান ও উত্তর শাহবাজপুর ইউপি চেয়ারম্যান আকবর আলী জানান, যেখানে বেশিসংখ্যক গ্রাহক রয়েছেন তারাই বিদ্যুত সংযোগ পাওয়ার দাবি রাখেন। আমরা এলাকাবাসীর দেয়া অভিযোগে সুপারিশ করেছি। সুষ্ঠুভাবে বিদ্যুত সংযোগ পেলে গোটা এলাকা উপকৃত হবে। পল্লী বিদ্যুতের বড়লেখা জোনাল অফিসের ডিজিএম অভিলাষ পাল জানান, অভিযোগ পেয়ে আমি নিজে ওই এলাকায় গিয়েছি। দুপক্ষকে ডেকে তাদের সাথে কথা বলেছি। দুএকটি পরিবার বাদ পড়েছে। ডিজাইন মাফিক যেটুকু বরাদ্দ হয়েছে সেভাবেই লাইন সংযোগ দেয়া হবে। অভিযোগ প্রাপ্তির বিষয়ে কথা বলতে শ্রীমঙ্গলস্থ পল্ল¬ী বিদ্যুতের ভারপ্রাপ্ত জিএম প্রকৌশলী এসএম হাসনাত হাসানের সাথে মোবাইল ফোনে বার বার যোগাযোগ করার পরও তিনি ব্যস্ততা দেখিয়ে এ বিষয়ে কথা বলতে রাজি হননি।
মৌলভীবাজারের বড়লেখায় সরকারিভাবে পল্ল¬¬ী বিদ্যুতের বিদ্যুত সংযোগ সরবরাহে চরম অনিয়ম, দুর্নীতি, স্বজনপ্রীতি ও ক্ষমতার অপব্যবহার করা হয়েছে। ঘুষের টাকা না দেয়ায় বিদ্যুত বঞ্চিত করা হয়েছে বিশাল একটি দরিদ্র জনগোষ্ঠিকে। একটি চা বাগানের স্বার্থের জন্যে বৃহৎ একটি এলাকার ৮৮ পরিবারকে অন্ধকারে রেখে বিদ্যুত লাইন সম্প্রসারণ করে নেওয়ার পাঁয়তারা চলছে। ভুক্তভোগী ৮৮ পরিবারের সদস্যরা বিভিন্ন দপ্তরে অভিযোগ দিয়েও কোনো প্রতিকার পাচ্ছেন না। আদৌ কি তারা বিদ্যুতের আলোয় আলোকিত হবেন না অন্ধকারেই কাটাবেন এ শংকাই যেনো তাড়া করছে তাদের সব সময়। সরেজমিনে বড়লেখা উপজেলার সীমান্তবর্তী উত্তর শাহবাজপুর ইউনিয়নের করমপুর গ্রামে গিয়ে এলাকাবাসীর সাথে আলাপকালে জানা গেছে, সম্প্রতি এ এলাকায় সরকারিভাবে বিদ্যুত বিতরণ সরবরাহের জন্যে ৬ সদস্য বিশিষ্ট একটি কমিটি গঠন করা হয়। সর্ষের ভেতরে যে ভূত থাকে এর প্রমাণই রাখলেন খোদ কমিটির লোকেরাই। কমিটির সদস্যরা হলেন-সভাপতি মনোহর আলী মনই, স্থানীয় ইউপি সদস্য বদরুল ইসলাম, আবুল কালাম, মুজিব, কবির, কুটই মিয়া। কমিটির সদস্যরা নিজেদের আত্মীয়-স্বজন ও এলাকার ধনি ব্যক্তিদের বাড়িতে বিদ্যুত বিতরণের সিদ্ধান্ত নেন। এলাকার ৮৮ টি পরিবার খুবই গরিব হওয়ায় কমিটির লোকদের ঘুষের টাকা না দেয়ায় এলাকার ধনি ও প্রভাবশালী ৪০/৫০টি পরিবারকে বিদ্যুত গ্রাহক তালিকায় অন্তর্ভুক্ত করা হয়েছে। অধিকসংখ্যক গ্রাহক দেখানোর স্বার্থে এসব পরিবারের প্রতি পরিবারে একাধিক মিটার বরাদ্দও দেখানো হয়েছে। এলাকাবাসী এ অনিয়মের বিষয়টি জানতে পেরে গত ৩০ সেপ্টেম্বর মৌলভীবাজারের শ্রীমঙ্গলস্থ পল্ল¬¬ী বিদ্যুতের জিএম বরাবরে লিখিত অভিযোগ দেন। অভিযোগের কপিতে তদন্তসাপেক্ষে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নিতে ও সর্বোচ্চ সংখ্যক গ্রাহক সংযুক্তির বিষয়ে সুপারিশ করেন বড়লেখা উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান সিরাজ উদ্দিন ও স্থানীয় ইউপি চেয়ারম্যান আকবর আলী। অভিযোগের প্রেক্ষিতে গত ১ অক্টোবর সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের জনৈক কর্মকর্তা এলাকায় তদন্ত করতে যান। তদন্তে গিয়ে গোপনে ওই কর্মকর্তা স্থানীয় হাফিজ চা বাগানের বাংলোয় বসে বৈঠক করেন। খবর পেয়ে বিদ্যুত বঞ্চিতরা সেখানে গেলেও তাদেরকে ভয়ভীতি দেখিয়ে তাড়িয়ে দেওয়া হয়। এলাকার বাসিন্দা ও স্থানীয় ইউপি সদস্যা নজমা বেগমসহ বিদ্যুত বঞ্চিত ৮৮ পরিবারের লোকজন জানান, আমরা দরিদ্র হওয়ায় বিদ্যুত বিতরণ কমিটির ওই লোকদের দাবিকৃত ঘুষের টাকা দিতে না পারায় বঞ্চিত করা হয়েছে। হাফিজ চা বাগানের সুবিধার জন্য ও প্রভাবশালী ব্যক্তিদের গ্রাহক তালিকায় অন্তর্ভুক্ত করা হয়েছে। আমাদের দাবি, করমপুরের দক্ষিণ প্রান্ত হইতে মূল সড়ক দিয়ে না টেনে মুক্তিযোদ্ধা ছুরত আলীর বাড়ির সামনে দিয়ে টানা হলে ধনি-গরিব সকলের জন্যই সুবিধা হতো। কিন্তু তা না করে মূল সড়ক দিয়ে হাফিজ চা বাগানের সম্মুখ দিয়ে লাইন করা হচ্ছে। আর এতে এলাকার মানুষের কোনো সুবিধা হবে না, সুবিধা হবে হাফিজ চা বাগানের। আমাদের স্থানীয় এমপি বলেছিলেন, এলাকার ধনি-গরিব সবাই বিদ্যুত পাবে। করমপুরের দক্ষিণের গ্রাম সায়পুর থেকে বিদ্যুতের লাইন সংযোগ দেওয়া হবে। বিদ্যুত বঞ্চিত ৮৮ পরিবারের লোকজন আরও জানান, এলাকায় ৩ কিলোমিটার বিদ্যুত প্রদানের কথা ছিল। কিন্তু গঠিত কমিটির লোকজন মোটা অংকের টাকার বিনিময়ে ২ কিলোমিটার করমপুর গ্রামের জন্য রেখে ১ কি.মি. বাগানে দিতে চাচ্ছে। স্থানীয় এমপিও বিশাল জনগোষ্ঠির কথা চিন্তা না করে ওই কমিটির কথামতো কাজ করছেন। আমাদের দাবিকে প্রাধান্য দিচ্ছেন না। এদিকে বিদ্যুত বঞ্চিত এলাকাবাসী গত ২৩ অক্টোবর জেলা প্রশাসক বরাবরে বিদ্যুত আত্মসাতের বিষয়ে লিখিত অভিযোগ দিয়েছেন। এছাড়া আইন সহায়তা কেন্দ্র (আসক) ফাউন্ডেশনের এডিশনাল ডাইরেক্টর বরাবরেও এসব বিষয়ে অভিযোগ দিয়েছেন। কর্তৃপক্ষ অভিযোগ দুটি সীল-স্বাক্ষর করে রিসিভ করলেও রহস্যজনক কারণে কোনো ব্যবস্থা নিচ্ছে না। এ ব্যাপারে গঠিত বিদ্যুত বিতরণ কমিটির সভাপতি মনোহর আলী মনই ও স্থানীয় ইউপি সদস্য বদরুল ইসলাম জানান, কিছু কিছু ব্যক্তির কাছ থেকে খরচ বাবদ কিছু টাকা নেওয়া হয়েছে। সবার কাছ থেকে নেওয়া হয়নি। স্থানীয় এমপি সাহেব এই বিদ্যুত বরাদ্দ দিয়েছেন। আমাদের কিছু করার নেই। বড়লেখা উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান ও উত্তর শাহবাজপুর ইউপি চেয়ারম্যান আকবর আলী জানান, যেখানে বেশিসংখ্যক গ্রাহক রয়েছেন তারাই বিদ্যুত সংযোগ পাওয়ার দাবি রাখেন। আমরা এলাকাবাসীর দেয়া অভিযোগে সুপারিশ করেছি। সুষ্ঠুভাবে বিদ্যুত সংযোগ পেলে গোটা এলাকা উপকৃত হবে। পল্লী বিদ্যুতের বড়লেখা জোনাল অফিসের ডিজিএম অভিলাষ পাল জানান, অভিযোগ পেয়ে আমি নিজে ওই এলাকায় গিয়েছি। দুপক্ষকে ডেকে তাদের সাথে কথা বলেছি। দুএকটি পরিবার বাদ পড়েছে। ডিজাইন মাফিক যেটুকু বরাদ্দ হয়েছে সেভাবেই লাইন সংযোগ দেয়া হবে। অভিযোগ প্রাপ্তির বিষয়ে কথা বলতে শ্রীমঙ্গলস্থ পল্ল¬ী বিদ্যুতের ভারপ্রাপ্ত জিএম প্রকৌশলী এসএম হাসনাত হাসানের সাথে মোবাইল ফোনে বার বার যোগাযোগ করার পরও তিনি ব্যস্ততা দেখিয়ে এ বিষয়ে কথা বলতে রাজি হননি। কুলাউড়া অফিস॥
মন্তব্য করুন