কানাডায় ক্যাপ্টেন (অবঃ) আফতাব আলী স্মর শোকসভা
সিবিএনএ মন্ট্রিয়ল থেকে॥ কানাডায় সিলেট জেলা সমিতি অব মন্ট্রিয়লের আয়োজনে সদ্য প্রয়াত মুক্তিযুদ্ধে মুক্তিযোদ্ধা ক্যাপ্টেন (অবঃ) আফতাব আলী স্মরণে এক শোকসভা ১২ ফেব্রুয়ারি রোববার জ্যাঁ থ্যালনস্থ সালাতিন ব্যাঙ্কুয়েট হলে অনুষ্ঠিত হয়। মরহুম আফতাব আলী ১৯৯৩ থেকে ২০১৪ পর্যন্ত প্রায় ২১ বছর মন্ট্রিয়েলে ছিলেন।
সমিতির সভাপতি জনাব আব্দুল হাইয়ের সভাপতিত্বে ও সাধারণ সম্পাদক এনাম আহমেদের সঞ্চালনায় অনুষ্ঠিত সভায় বক্তব্য রাখেন মুক্তিযুদ্ধের গবেষক তাজুল মোহাম্মদ, মুক্তিযোদ্ধা গোলাম মুহিবুর রহমান, মুক্তিযোদ্ধা ও ব্যবসায়ী রশিদ খান, বাংলাদেশ সোসাইটি অব মন্ট্রিয়লের প্রতিষ্ঠাতা সভাপতি এজাজ আক্তার তৌফিক, বাংলাদেশ এসোসিয়েশন অব মন্ট্রিয়লের সভাপতি সাংবাদিক দেওয়ান মনিরুজ্জামান, ভিএজিবি সভাপতি শাহ মোস্তাইন বিল্লাহ, বিশিষ্ট সংগঠক জয়নাল আবেদীন জামিল, ইতরাদ জুবেরী সেলিম, আলহাজ্ব আব্দুর রাজ্জাক, তোফায়েল আহমেদ আসলাম, মরহুমের দুই পুত্র তাজুল ইসলাম, আজিজুল ইসলাম লিটন, কবি আবদুল হাসিব, ব্যবসায়ী বাবলা দে প্রমুখ । প্রচন্ড তুষারপাত আর শৈত প্রবাহের মতো বৈরী আবহাওয়ার মধ্যেও শোক ও স্মরণ সভায় বিপুল সংখ্যাক প্রবাসীরা উপস্থিত হয়ে বীর মুক্তিযোদ্ধার প্রতি শ্রদ্ধা ও সম্মান জানান।
আফতাব আলী পাক ভারত বিভক্তির পরে ১৯৪৮ সালে ইষ্ট বেঙ্গল রেজিমেন্টে ঢাকা কুর্মিটোলায় সিপাহী পদে যোগদান করেন। ১৯৭১ সালে মহান মুক্তিযুদ্ধে ১১ নং সেক্টরের অধীনে কুড়িগ্রাম ও গাইবান্ধা এলাকায় যুদ্ধে নেতৃত্ব প্রদান করেন। তার একক বীরত্বপূর্ণ নেতৃত্বে রৌমারী কোদালকাটি থেকেই পাকিস্তানী হানাদার বাহিনী বাধাপ্রাপ্ত হয়ে পিছু হটতে বাধ্য হয় বারবার এবং রৌমারী-রাজীবপুর অঞ্চল পরিনত হয় এক বিশাল মুক্তাঞ্চলে যা শত্রুমুক্ত থাকে মুক্তিযুদ্ধের পুরো নয় মাস।
পাকিস্তানী হানাদার ও তার দোসরদের জন্য জনাব আফতাব আলী ছিলেন এক মূর্তিমান আতঙ্ক।
মুক্তিযুদ্ধকালে আফতাব সুবেদার হিসেবে পরিচিত পাওয়া ক্যাপ্টেন আফতাব আলী ১৯২৫ সালে এবং গোলাপগঞ্জ উপজেলার ভাদেশ্বর দক্ষিণভাগ গ্রামে এক মুসলিম পরিবারে জন্মগ্রহণ করেন। একই সাথে বীর উত্তম ও বীর প্রতীক খেতাবপ্রাপ্ত একমাত্র মুক্তিযুদ্ধা ক্যাপ্টেন (অবঃ) আফতাব আলী ৯০ বছর বয়সে ইন্তেকাল করেন ৩১ জানুয়ারী।
মন্তব্য করুন