৮ ডিসেম্বর মৌলভীবাজার মুক্ত দিবস পালিত

December 9, 2013,

মহান মুক্তিযুদ্ধে মৌলভীবাজার জেলা রয়েছে ঐতিহাসিক গৌরবময় ভূমিকা। ১৬ই ডিসেম্বর ১৯৭১ সাল, সমগ্র দেশ মুক্ত হয়ে যায়। এর আগে ৮ ডিসেম্বর, ১৯৭১ সালের এ দিনে পাকিস্তানি হানাদারবাহিনীর কবল থেকে মুক্ত হয় মৌলভীবাজার। ডিসেম্বর মাসের শুরু থেকেই মুক্তিবাহিনী ও মিত্রবাহিনীর যৌথ হামলার প্রতিরোধের মুখে চরমভাবে বাধা পেয়ে পাকিস্তানি সেনারা পিছু হটতে থাকলে প্রতিদিনই বিজয়ের সম্ভাবনা উজ্জ্বল হয়ে উঠেছিল। ডিসেম্বরের ২ তারিখ রাতে জেলার পূর্ব সীমান্তে শমসেরনগর বিমানবন্দরঘাটি ও চাতলাপুর বিওপিতে হানাদারদের ওপর মুক্তিবাহিনী ও মিত্রবাহিনীর যৌথভাবে আক্রমণ শুরু করা হয়। তীব্র আক্রমনের মুখে পাক শত্রুসেনারা টিকতে না পেরে মৌলভীবাজার শহরে তাদের ব্রিগেড হেড কোয়ার্টারে ফিরে যায়। মুক্তিযোদ্ধা ও মিত্রবাহিনী মৌলভীবাজার দখলের উদ্দেশে ৪ ডিসেম্বর বিকেলে শহর থেকে ৪ কিলোমিটার দূরে কালেঙ্গা পাহাড়ে এসে জড়ো হয় ও এখানে বড়টিলা এলাকায় পাকিস্তানিদের সঙ্গে তাদের সম্মুখ যুদ্ধ হয়। যুদ্ধে মিত্রবাহিনীর প্রায় ১২৮জন সেনা শহীদ হন। ৫ ডিসেম্বর থেকে হানাদার বাহিনীর প্রতিরক্ষা ব্যবস্থা ভেঙে পড়তে শুরু হলে মুক্তিযোদ্ধা ও মিত্রবাহিনীর যৌথ আক্রমনে তারা ব্যর্থ হয়। জেলায় অবস্থিত পরাজিত পাকিস্তানি সৈন্যরা তখন সিলেট অভিমুখে শেরপুরে হয়ে পালাতে যাওয়ার সময় তাদের এলোপাতাড়ি গুলিতে সেখানকার বহু সাধারণ মানুষ নিহত ও জখম হয়। পরবর্তীতে শেরপুরে অবস্থান নিরাপদ নয় মনে করে সিলেট চলে যায়। ঘাতক পাক বাহিনীর পিছু হটার ফলে ৮ ডিসেম্বর ১৯৭১সালে পুরো মৌলভীবাজার হানাদার মুক্ত হয় এবং আকাশে ওড়ে স্বাধীন বাংলার লাল সবুজ পতাকা। মৌলভীবাজারের প্রবীন রাজনীতিবিদ, বাংলাদেশ জাতীয় সংসদের সাবেক হুইপ,বর্তমান জেলা পরিষদ প্রশাসক, বীর মুক্তিযোদ্ধা মোঃ আজিজুর রহমান বলেন, বঙ্গবন্ধুর ডাকে সারা দিয়ে যুদ্ধের বিভিন্ন কৌশল অবলম্বন করে মুক্তিযোদ্ধারা ও মিত্রবাহীনী ৮ ডিসেম্বর নিজ জেলা মৌলভীবাজার তথা সারা দেশ পর্যায়ক্রমে মুক্ত করে ১৬ ডিসেম্বর বিজয় লাভ করে । ৮ ডিসেম্বরের স্মৃতিচারণ করতে গিয়ে জেলার-রাজনগর ৩-আসনের এমপি ও মুক্তিযোদ্ধা সৈয়দ মহসীন আলী জানান, ২৯ নভেম্বর ১৯৭১ সাল ভারতীয় বাহিনী ও মুক্তিযোদ্ধারা সম্মিলিতভাবে পূর্বে পরিকল্পনা অনুযায়ী চাতলাপুর বিওপি, আলীনগর বিওপি ও টিলাবাড়ী কালিপুর থেকে ২ ব্যাটারি আর্টিলারী গান দিয়ে চাতলাপুর আলীনগর সরাসরি ও অন্যদিকে কমলপুর থেকে ধলই কুরমা যৌথভাবে আক্রমণ করি। ফলে পাকহানাদার বাহিনী পিছু হটতেবাধ্য হয়। ৮ ডিসেম্বর পুরো জেলাটি মুক্ত হয়ে যায়। পুরো জেলা তখন জয়বাংলা শ্লোগান আর লাল সবুজ পতাকা উড়তে থাকে। তিনি আরো বলেন অবিলম্বে বিজয় মাসে যুদ্ধাপরাধির বিচার সম্পন্ন করতে হবে ও জামায়াত শিবিরের রাজনীতি নিষিদ্ধ করতে হবে। মৌলভীবাজার মুক্ত দিবস উপলক্ষে ৮ ডিসেম্বর রোববার সকালে মুক্তিযোদ্ধা কমপ্লেক্সে বঙ্গবন্ধুর প্রতিকৃতিতে পুস্পস্তবক অর্পন করে। এরপর জাতীয় পতাকা ও মুক্তিযোদ্ধা সংসদের পতাকা নিয়ে একটি বিজয় মিছিল শহর প্রদক্ষিন করে। পরে এক আলোচনা সভা অনুষ্টিত হয়। আলোচনা সভায় উপস্থিত ছিলেন বীর মুক্তিযোদ্ধা ও সংসদ সদস্য সৈয়দ মহসীন আলী, দায়িত্বপ্রাপ্ত মৌলভীবাজার মুক্তিযোদ্ধা সংসদ জেলা কমান্ডার ও জেলা প্রশাসক কামরুল হাসান, জেলা পরিষদ প্রশাসক ও মুক্তিযোদ্ধা সংগঠক মোঃ আজিজুর রহমান, সাবেক মুক্তিযোদ্ধা জেলা কমান্ডার জামাল মিয়া প্রমূখ।
মহান মুক্তিযুদ্ধে মৌলভীবাজার জেলা রয়েছে ঐতিহাসিক গৌরবময় ভূমিকা। ১৬ই ডিসেম্বর ১৯৭১ সাল, সমগ্র দেশ মুক্ত হয়ে যায়। এর আগে ৮ ডিসেম্বর, ১৯৭১ সালের এ দিনে পাকিস্তানি হানাদারবাহিনীর কবল থেকে মুক্ত হয় মৌলভীবাজার। ডিসেম্বর মাসের শুরু থেকেই মুক্তিবাহিনী ও মিত্রবাহিনীর যৌথ হামলার প্রতিরোধের মুখে চরমভাবে বাধা পেয়ে পাকিস্তানি সেনারা পিছু হটতে থাকলে প্রতিদিনই বিজয়ের সম্ভাবনা উজ্জ্বল হয়ে উঠেছিল। ডিসেম্বরের ২ তারিখ রাতে জেলার পূর্ব সীমান্তে শমসেরনগর বিমানবন্দরঘাটি ও চাতলাপুর বিওপিতে হানাদারদের ওপর মুক্তিবাহিনী ও মিত্রবাহিনীর যৌথভাবে আক্রমণ শুরু করা হয়। তীব্র আক্রমনের মুখে পাক শত্রুসেনারা টিকতে না পেরে মৌলভীবাজার শহরে তাদের ব্রিগেড হেড কোয়ার্টারে ফিরে যায়। মুক্তিযোদ্ধা ও মিত্রবাহিনী মৌলভীবাজার দখলের উদ্দেশে ৪ ডিসেম্বর বিকেলে শহর থেকে ৪ কিলোমিটার দূরে কালেঙ্গা পাহাড়ে এসে জড়ো হয় ও এখানে বড়টিলা এলাকায় পাকিস্তানিদের সঙ্গে তাদের সম্মুখ যুদ্ধ হয়। যুদ্ধে মিত্রবাহিনীর প্রায় ১২৮জন সেনা শহীদ হন। ৫ ডিসেম্বর থেকে হানাদার বাহিনীর প্রতিরক্ষা ব্যবস্থা ভেঙে পড়তে শুরু হলে মুক্তিযোদ্ধা ও মিত্রবাহিনীর যৌথ আক্রমনে তারা ব্যর্থ হয়। জেলায় অবস্থিত পরাজিত পাকিস্তানি সৈন্যরা তখন সিলেট অভিমুখে শেরপুরে হয়ে পালাতে যাওয়ার সময় তাদের এলোপাতাড়ি গুলিতে সেখানকার বহু সাধারণ মানুষ নিহত ও জখম হয়। পরবর্তীতে শেরপুরে অবস্থান নিরাপদ নয় মনে করে সিলেট চলে যায়। ঘাতক পাক বাহিনীর পিছু হটার ফলে ৮ ডিসেম্বর ১৯৭১সালে পুরো মৌলভীবাজার হানাদার মুক্ত হয় এবং আকাশে ওড়ে স্বাধীন বাংলার লাল সবুজ পতাকা। মৌলভীবাজারের প্রবীন রাজনীতিবিদ, বাংলাদেশ জাতীয় সংসদের সাবেক হুইপ,বর্তমান জেলা পরিষদ প্রশাসক, বীর মুক্তিযোদ্ধা মোঃ আজিজুর রহমান বলেন, বঙ্গবন্ধুর ডাকে সারা দিয়ে যুদ্ধের বিভিন্ন কৌশল অবলম্বন করে মুক্তিযোদ্ধারা ও মিত্রবাহীনী ৮ ডিসেম্বর নিজ জেলা মৌলভীবাজার তথা সারা দেশ পর্যায়ক্রমে মুক্ত করে ১৬ ডিসেম্বর বিজয় লাভ করে । ৮ ডিসেম্বরের স্মৃতিচারণ করতে গিয়ে জেলার-রাজনগর ৩-আসনের এমপি ও মুক্তিযোদ্ধা সৈয়দ মহসীন আলী জানান, ২৯ নভেম্বর ১৯৭১ সাল ভারতীয় বাহিনী ও মুক্তিযোদ্ধারা সম্মিলিতভাবে পূর্বে পরিকল্পনা অনুযায়ী চাতলাপুর বিওপি, আলীনগর বিওপি ও টিলাবাড়ী কালিপুর থেকে ২ ব্যাটারি আর্টিলারী গান দিয়ে চাতলাপুর আলীনগর সরাসরি ও অন্যদিকে কমলপুর থেকে ধলই কুরমা যৌথভাবে আক্রমণ করি। ফলে পাকহানাদার বাহিনী পিছু হটতেবাধ্য হয়। ৮ ডিসেম্বর পুরো জেলাটি মুক্ত হয়ে যায়। পুরো জেলা তখন জয়বাংলা শ্লোগান আর লাল সবুজ পতাকা উড়তে থাকে। তিনি আরো বলেন অবিলম্বে বিজয় মাসে যুদ্ধাপরাধির বিচার সম্পন্ন করতে হবে ও জামায়াত শিবিরের রাজনীতি নিষিদ্ধ করতে হবে। মৌলভীবাজার মুক্ত দিবস উপলক্ষে ৮ ডিসেম্বর রোববার সকালে মুক্তিযোদ্ধা কমপ্লেক্সে বঙ্গবন্ধুর প্রতিকৃতিতে পুস্পস্তবক অর্পন করে। এরপর জাতীয় পতাকা ও মুক্তিযোদ্ধা সংসদের পতাকা নিয়ে একটি বিজয় মিছিল শহর প্রদক্ষিন করে। পরে এক আলোচনা সভা অনুষ্টিত হয়। আলোচনা সভায় উপস্থিত ছিলেন বীর মুক্তিযোদ্ধা ও সংসদ সদস্য সৈয়দ মহসীন আলী, দায়িত্বপ্রাপ্ত মৌলভীবাজার মুক্তিযোদ্ধা সংসদ জেলা কমান্ডার ও জেলা প্রশাসক কামরুল হাসান, জেলা পরিষদ প্রশাসক ও মুক্তিযোদ্ধা সংগঠক মোঃ আজিজুর রহমান, সাবেক মুক্তিযোদ্ধা জেলা কমান্ডার জামাল মিয়া প্রমূখ। স্টাফ রিপোর্টার॥

সংবাদটি শেয়ার করতে নিচের “আপনার প্রিয় শেয়ার বাটনটিতে ক্লিক করুন”

মন্তব্য করুন

Social Media Auto Publish Powered By : XYZScripts.com