বড়লেখায় রোগীর টিউমার অপসারণ করতে গিয়ে!
বড়লেখা পলি ক্লিনিকে দুই সন্তানের জননীর তলপেটের চামড়ার ভেতরে টিউমার অপারেশন করতে গিয়ে পেট কেটে অপারেশন না করে সেলাই দিয়ে পালিয়েছেন গাইনী ডাক্তার। উপজেলার তালিমপুর ইউনিয়নের বাসিন্দা রোগীর স্বামী মাখন মিয়া জানান, গত ৩ ডিসেম্বর বিকেলে স্ত্রী আফিয়া বেগম (৩৮) তলপেটে ব্যথা নিয়ে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপে¬ক্সের জরুরী বিভাগে ডাক্তার দেখান। সেখানে আবাসিক মেডিকেল অফিসার ডাঃ জাকারিয়া মাহমুদ রোগীর অবস্থা পর্যবেক্ষণ করে তার পছন্দের স্থানীয় সুরমা ডায়াগনস্টিক সেন্টারে বেশ কয়েকটি টেস্ট করানোর জন্য রোগীর আত্মীয়-স্বজনকে বলেন। সে অনুযায়ী রোগীর আত্মীয়-স্বজনরা টেস্টগুলো করানোর পর ডা: জাকারিয়াকে আবার দেখান। তিনি তাদের পরামর্শ দেন বিয়ানীবাজার উপজেলা স্বাস্থ্য কমপে¬¬ক্সের বর্তমান গাইনী চিকিৎসক ডাঃ কাজী নাছিমুজ্জামানকে দেখানোর জন্য। তিনি দীর্ঘদিন বড়লেখা উপজেলা স্বাস্থ্য কমপেপ্লক্সে কর্মরত ছিলেন। ওইদিন রাতেই ডাঃ কাজী নাছিমুজ্জামানকে দেখানোর পর তিনি জানান, রোগীর তলপেটে চামড়ার ভেতরে টিউমার রয়েছে এবং পলি ক্লিনিকে অপারশনের জন্য বলেন। এখানে অপারেশন করলে ভালো হবে এবং টাকার পরিমাণও বলে দেন। পরদিন ৪ ডিসেম্বর রোগীকে পলি ক্লিনিকে নিয়ে যাওয়া হয়। ভর্তি করা হয় ক্লিনিকে। গত বুধবার সন্ধ্যা সাড়ে ৭টায় রোগীর অপারেশন করেন ডাঃ নাছিমুজ্জামান। দীর্ঘ সময় পর ওটি রুম থেকে বের হয়ে ওই চিকিৎসক রোগীর স্বজনদের জানান তার দ্বারা হবে না, রোগীকে সিলেট ওসমানীতে নিয়ে যেতে বলেন। এরপরই শুরু হয় রোগীর স্বজনদের কান্না আর হট্টগোল। অবস্থা বেগতিক দেখে কৌশলে সটকে পড়েন ওই চিকিৎসক। খবর পেয়ে ক্লিনিকের পরিচালকরা ঘটনাস্থলে গিয়ে নানা টালবাহানা শুরু করেন। রোগীর স্বজনদের চাহিদা অনুযায়ী একজন সহকারীকে সাথে দিয়ে বুধবার রাত ১১টায় বড়লেখা থেকে সিলেট ওসমানী মেডিকেল কলেজে অ্যাম্বুলেন্সযোগে পাঠানো হয় রোগীকে। ওই মহিলার মেয়ের জামাই সুহেল আহমদ জানান, ওসমানী হাসপাতালে নিয়ে যাওয়ার পর সেখানকার চিকিসৎকরা আগামী মঙ্গলবার অপারেশন করবেন বলে জানিয়েছেন। রোগীর অবস্থাও খুব একটা ভালো নয় বলেও জানান তিনি। এ বিষয়ে জানতে ডাঃ কাজী নাছিমুজ্জামানের মোবাইল ফোনে বার বার যোগাযোগের চেষ্টা করেও বন্ধ পাওয়া যায়।
বড়লেখা পলি ক্লিনিকে দুই সন্তানের জননীর তলপেটের চামড়ার ভেতরে টিউমার অপারেশন করতে গিয়ে পেট কেটে অপারেশন না করে সেলাই দিয়ে পালিয়েছেন গাইনী ডাক্তার। উপজেলার তালিমপুর ইউনিয়নের বাসিন্দা রোগীর স্বামী মাখন মিয়া জানান, গত ৩ ডিসেম্বর বিকেলে স্ত্রী আফিয়া বেগম (৩৮) তলপেটে ব্যথা নিয়ে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপে¬ক্সের জরুরী বিভাগে ডাক্তার দেখান। সেখানে আবাসিক মেডিকেল অফিসার ডাঃ জাকারিয়া মাহমুদ রোগীর অবস্থা পর্যবেক্ষণ করে তার পছন্দের স্থানীয় সুরমা ডায়াগনস্টিক সেন্টারে বেশ কয়েকটি টেস্ট করানোর জন্য রোগীর আত্মীয়-স্বজনকে বলেন। সে অনুযায়ী রোগীর আত্মীয়-স্বজনরা টেস্টগুলো করানোর পর ডা: জাকারিয়াকে আবার দেখান। তিনি তাদের পরামর্শ দেন বিয়ানীবাজার উপজেলা স্বাস্থ্য কমপে¬¬ক্সের বর্তমান গাইনী চিকিৎসক ডাঃ কাজী নাছিমুজ্জামানকে দেখানোর জন্য। তিনি দীর্ঘদিন বড়লেখা উপজেলা স্বাস্থ্য কমপেপ্লক্সে কর্মরত ছিলেন। ওইদিন রাতেই ডাঃ কাজী নাছিমুজ্জামানকে দেখানোর পর তিনি জানান, রোগীর তলপেটে চামড়ার ভেতরে টিউমার রয়েছে এবং পলি ক্লিনিকে অপারশনের জন্য বলেন। এখানে অপারেশন করলে ভালো হবে এবং টাকার পরিমাণও বলে দেন। পরদিন ৪ ডিসেম্বর রোগীকে পলি ক্লিনিকে নিয়ে যাওয়া হয়। ভর্তি করা হয় ক্লিনিকে। গত বুধবার সন্ধ্যা সাড়ে ৭টায় রোগীর অপারেশন করেন ডাঃ নাছিমুজ্জামান। দীর্ঘ সময় পর ওটি রুম থেকে বের হয়ে ওই চিকিৎসক রোগীর স্বজনদের জানান তার দ্বারা হবে না, রোগীকে সিলেট ওসমানীতে নিয়ে যেতে বলেন। এরপরই শুরু হয় রোগীর স্বজনদের কান্না আর হট্টগোল। অবস্থা বেগতিক দেখে কৌশলে সটকে পড়েন ওই চিকিৎসক। খবর পেয়ে ক্লিনিকের পরিচালকরা ঘটনাস্থলে গিয়ে নানা টালবাহানা শুরু করেন। রোগীর স্বজনদের চাহিদা অনুযায়ী একজন সহকারীকে সাথে দিয়ে বুধবার রাত ১১টায় বড়লেখা থেকে সিলেট ওসমানী মেডিকেল কলেজে অ্যাম্বুলেন্সযোগে পাঠানো হয় রোগীকে। ওই মহিলার মেয়ের জামাই সুহেল আহমদ জানান, ওসমানী হাসপাতালে নিয়ে যাওয়ার পর সেখানকার চিকিসৎকরা আগামী মঙ্গলবার অপারেশন করবেন বলে জানিয়েছেন। রোগীর অবস্থাও খুব একটা ভালো নয় বলেও জানান তিনি। এ বিষয়ে জানতে ডাঃ কাজী নাছিমুজ্জামানের মোবাইল ফোনে বার বার যোগাযোগের চেষ্টা করেও বন্ধ পাওয়া যায়। বড়লেখা প্রতিনিধি॥
মন্তব্য করুন