বড়লেখার চান্দগ্রাম মাদ্রাসায় দুই ভারপ্রাপ্ত অধ্যক্ষের আধিপত্য বিস্তার চরমে
বড়লেখার চান্দগ্রাম আনোয়ারুল উলুম ফাজিল ডিগ্রি মাদ্রাসার শিক্ষকদের আভ্যন্তরীণ দ্বন্দ্ব, কোন্দল ও দলাদলি, মাদ্রাসা পরিচালনা কমিটির মতানৈক্য ও বিভাযন এবং দুটি ছাত্র সংগঠনের ক্ষমতা দেখানোর মনোভাব আর ছাত্রদের মাস্তানিতে ঐতিহ্যবাহী এ শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে লেখাপড়া মারাত্মকভাবে ব্যাহত হচ্ছে। আর বারোটা বাজছে সাধারণ শিক্ষার্থীদের। একের পর এক ঘটছে অনাকাক্সিক্ষত ঘটনা। কতিপয় স্বার্থান্বেষী শিক্ষক নামধারী ব্যক্তি মাদ্রাসার ছাত্রছাত্রীদের মধ্যে সৃষ্ট বিরোধকে মীমাংসা না করে বারবার উস্কে দেয়া এবং মৌলভীবাজারের অতিরিক্ত জেলা প্রশাসকের (রাজস্ব) কারণেই মাদ্রাসায় চরম অচলাবস্থার সৃষ্টি হয়েছে। এসব স্বার্থলোভী শিক্ষকদের প্রত্যক্ষ ও পরোক্ষ যোগসাজসে ভারপ্রাপ্ত অধ্যক্ষ ইউনুস আহমদ মাদ্রাসায় ভারপ্রাপ্ত অধ্যক্ষ হিসেবে কর্মরত অবস্থায় সিলেটের গোলাপগঞ্জ উপজেলার ভাদেশ্বর সিনিয়র মাদ্রাসায়ও প্রভাষক হিসেবে দায়িত্ব পালন করছেন। সেই সুবাদে তিনি এবং তাকে প্রত্যক্ষ ও পরোক্ষ সহায়তাকারী শিক্ষকদের নানা অনিয়ম-দুর্নীতির সুযোগ দিয়ে থাকেন। এ নিয়ে অভিভাবকমহল উদ্বিগ্ন রয়েছেন। অভিযোগ রয়েছে, মাদ্রাসার শিক্ষকদের একটি গ্রুপ ও ছাত্রদের একটি গ্রুপ এবং এলাকার একটি গ্রুপ মিলে মাদ্রাসার অতীত ঐতিহ্যকে ধূলিস্যাত করতে মরিয়া হয়ে ওঠেছে। এদের অনেকে আবার দূর থেকে মাদ্রাসার বর্তমান বেহাল অবস্থা পর্যবেক্ষণ করে মজা দেখছেন। তবে সাধারণ শিক্ষার্থীরা তাদের লেখাপড়ার সুষ্ঠু পরিবেশ ফিরিয়ে দেওয়ার আকুতি জানালেও স্বার্থান্বেষী মহলের ধ্বংসাত্মক কার্যকলাপ যেনো থামছেই না। গত ৩ ডিসেম্বর মঙ্গলবার সকাল ১০টায় অফিস কক্ষে ঢুকে ভারপ্রাপ্ত অধ্যক্ষ মাওলানা ইউনুস আহমদকে পিটিয়ে হাত ভেঙ্গে দিয়েছে কতিপয় উশৃক্সক্ষল ছাত্ররা। অভিযোগ রয়েছে, মাদ্রাসার শিক্ষক মাওলানা খছরুজ্জামান ও শিহাব উদ্দিনের প্ররোচনায় ছাত্ররা অধ্যক্ষের ওপর হামলা চালায়। আহত ভারপ্রাপ্ত অধ্যক্ষকে সিলেট ওসমানী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। এরই জের ধরে মাদ্রাসা ক্যাম্পাসে শিক্ষার্থীদের দুটি গ্রুপে ধাওয়া-পাল্টাধাওয়ার ঘটনা ঘটলে পুলিশ ঘটনাস্থলে পৌঁছে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণ করে। প্রত্যক্ষদর্শী শিক্ষার্থীসহ একাধিক সূত্র জানায়, মাদ্রাসায় দীর্ঘদিন ধরে শিক্ষকদের আভ্যন্তরীণ কোন্দল ও গ্রুপিং চলে আসছিল। এরই প্রেক্ষিতে অনেক অপকর্মের হোতা অধ্যক্ষ আব্দুল হেকিমকে ইতোপূর্বে মাদ্রাসা থেকে অপসারণ করা হয়। এরপর নতুন গ্রুপিংয়ে অচলাবস্থা দেখা দিলে উপাধ্যক্ষ মাওলানা ইউনুস আহমদ ও প্রভাষক খছরুজ্জামানকে ভারপ্রাপ্ত অধ্যক্ষ নিযুক্ত করা হয়। দুই ভারপ্রাপ্ত প্রিন্সিপালের আধিপত্য বিস্তার নিয়ে নতুন করে জটিলতা দেখা দেয়। খছরুজ্জামান হজ্জ্ব পালন শেষে ১৫ দিন আগে কর্মস্থলে যোগ দিলে দুই অধ্যক্ষের দুটি গ্রুপ মুখোমুখি অবস্থান নেয়। এ ঘটনার প্রেক্ষিতে গত মঙ্গলবার সকাল দশটায় বিভিন্ন ক্লাসের পরীক্ষা চলাকালে মাদ্রাসার ফাজিল ক্লাসের জাবেদ আহমদ, আবু সাইদ, আনোয়ার হোসেন রিপন ও ইকবাল হোসেনের নেতৃত্বে কতিপয় উশৃক্সক্ষল ছাত্রদের একটি গ্রুপ ভারপ্রাপ্ত অধ্যক্ষ মাওলানা ইউনুস আহমদের অফিস কক্ষে ঢুকে তাকে বেধড়ক পেটাতে থাকে। এতে তার বাম হাত ভেঙ্গে যায় এবং শরীরের বিভিন্ন স্থানে জখম হয়। তাকে উদ্ধার করে বড়লেখা উপজেলা স্বাস্থ্য কমপে¬ক্সে ভর্তি করা হলে চিকিৎকরা তাকে সিলেট ওসমানী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে স্থানান্তর করেন। এ ব্যাপারে স্থানীয় ইউপি চেয়ারম্যান আলাল উদ্দিন জানান, মাদ্রাসা পরিচালনা কমিটির বর্তমান দায়িত্বে থাকা সভাপতি মৌলভীবাজারের অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (সার্বিক) প্রকাশ কান্তি চৌধুরী একই মাদ্রাসায় ২ জন অধ্যক্ষকে দায়িত্ব দেয়ায় এ ঘটনা ঘটেছে। গত সোমবার দুই অধ্যক্ষের চেয়ারে বসার বিরোধ নিয়ে তাকে (এডিসি) মঙ্গলবার সকাল পর্যন্ত ফোন দেয়ার পরও তিনি কোনো সাড়া দেননি। প্রসঙ্গত, গত ২৮ অক্টোবর মাদ্রাসার সহ-সভাপতি ওয়াহিদুর রহমান স্বাক্ষরিত পত্রের মাধ্যমে সাধারণ সভা আহবান করা হয়। নির্ধারিত তারিখে সাধারণ সভায় উপস্থিত লোকজন মাদ্রাসার সভাপতিসহ অনেক সদস্য ও সংঘর্ষে হতাহতদের না জানিয়ে সাধারণ সভা আহবানের বিষয়ে তাৎক্ষণিক প্রতিবাদ ওঠে। এ সময় স্থানীয় ইউপি চেয়ারম্যান আলাল উদ্দিন, মুরব্বি আব্দুর রাজ্জাক, আব্দুর রহিম, ময়নুল হক, মাদ্রাসার ছাত্রছাত্রীদের অভিভাবক ও সচেতন ব্যক্তিদের কাছে সহ-সভাপতি ভুল স্বীকার করেন এবং সাধারণ সভাটি প- হয়ে যায়। এর আগে গত ১২ অক্টোবর দুপুরে মাদ্রাসায় তালামীযে ইসলামিয়ার দুগ্রুপের সংঘর্ষে অন্তত ১০ জন আহত হন। সংঘর্ষ চলাকালে এক গ্রুপ ক্লাসে ঢুকে হামলাকারীরা তিন ক্লাসের টেস্ট পরীক্ষা প- করে দেয় এবং উত্তরপত্র ছিঁড়ে ফেলে। এ ঘটনায় এক গ্রুপের কর্মীরা ভারপ্রাপ্ত অধ্যক্ষ ইউনুস আহমদকে প্রায় ৩ ঘণ্টা অবরুদ্ধও করে রাখে। সৃষ্ট ঘটনার প্রেক্ষিতে মাদ্রাসা পরিচালনা কমিটি জরুরী বৈঠকে বসে আহতরা সুস্থ হবার পর বিষয়টি নিষ্পত্তির সিদ্ধান্তও নেয়া হয়। এরই মাঝে ফের গত ৩ ডিসেম্বর ক্যাম্পাস উত্তপ্ত হয়ে ওঠে।
বড়লেখার চান্দগ্রাম আনোয়ারুল উলুম ফাজিল ডিগ্রি মাদ্রাসার শিক্ষকদের আভ্যন্তরীণ দ্বন্দ্ব, কোন্দল ও দলাদলি, মাদ্রাসা পরিচালনা কমিটির মতানৈক্য ও বিভাযন এবং দুটি ছাত্র সংগঠনের ক্ষমতা দেখানোর মনোভাব আর ছাত্রদের মাস্তানিতে ঐতিহ্যবাহী এ শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে লেখাপড়া মারাত্মকভাবে ব্যাহত হচ্ছে। আর বারোটা বাজছে সাধারণ শিক্ষার্থীদের। একের পর এক ঘটছে অনাকাক্সিক্ষত ঘটনা। কতিপয় স্বার্থান্বেষী শিক্ষক নামধারী ব্যক্তি মাদ্রাসার ছাত্রছাত্রীদের মধ্যে সৃষ্ট বিরোধকে মীমাংসা না করে বারবার উস্কে দেয়া এবং মৌলভীবাজারের অতিরিক্ত জেলা প্রশাসকের (রাজস্ব) কারণেই মাদ্রাসায় চরম অচলাবস্থার সৃষ্টি হয়েছে। এসব স্বার্থলোভী শিক্ষকদের প্রত্যক্ষ ও পরোক্ষ যোগসাজসে ভারপ্রাপ্ত অধ্যক্ষ ইউনুস আহমদ মাদ্রাসায় ভারপ্রাপ্ত অধ্যক্ষ হিসেবে কর্মরত অবস্থায় সিলেটের গোলাপগঞ্জ উপজেলার ভাদেশ্বর সিনিয়র মাদ্রাসায়ও প্রভাষক হিসেবে দায়িত্ব পালন করছেন। সেই সুবাদে তিনি এবং তাকে প্রত্যক্ষ ও পরোক্ষ সহায়তাকারী শিক্ষকদের নানা অনিয়ম-দুর্নীতির সুযোগ দিয়ে থাকেন। এ নিয়ে অভিভাবকমহল উদ্বিগ্ন রয়েছেন। অভিযোগ রয়েছে, মাদ্রাসার শিক্ষকদের একটি গ্রুপ ও ছাত্রদের একটি গ্রুপ এবং এলাকার একটি গ্রুপ মিলে মাদ্রাসার অতীত ঐতিহ্যকে ধূলিস্যাত করতে মরিয়া হয়ে ওঠেছে। এদের অনেকে আবার দূর থেকে মাদ্রাসার বর্তমান বেহাল অবস্থা পর্যবেক্ষণ করে মজা দেখছেন। তবে সাধারণ শিক্ষার্থীরা তাদের লেখাপড়ার সুষ্ঠু পরিবেশ ফিরিয়ে দেওয়ার আকুতি জানালেও স্বার্থান্বেষী মহলের ধ্বংসাত্মক কার্যকলাপ যেনো থামছেই না। গত ৩ ডিসেম্বর মঙ্গলবার সকাল ১০টায় অফিস কক্ষে ঢুকে ভারপ্রাপ্ত অধ্যক্ষ মাওলানা ইউনুস আহমদকে পিটিয়ে হাত ভেঙ্গে দিয়েছে কতিপয় উশৃক্সক্ষল ছাত্ররা। অভিযোগ রয়েছে, মাদ্রাসার শিক্ষক মাওলানা খছরুজ্জামান ও শিহাব উদ্দিনের প্ররোচনায় ছাত্ররা অধ্যক্ষের ওপর হামলা চালায়। আহত ভারপ্রাপ্ত অধ্যক্ষকে সিলেট ওসমানী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। এরই জের ধরে মাদ্রাসা ক্যাম্পাসে শিক্ষার্থীদের দুটি গ্রুপে ধাওয়া-পাল্টাধাওয়ার ঘটনা ঘটলে পুলিশ ঘটনাস্থলে পৌঁছে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণ করে। প্রত্যক্ষদর্শী শিক্ষার্থীসহ একাধিক সূত্র জানায়, মাদ্রাসায় দীর্ঘদিন ধরে শিক্ষকদের আভ্যন্তরীণ কোন্দল ও গ্রুপিং চলে আসছিল। এরই প্রেক্ষিতে অনেক অপকর্মের হোতা অধ্যক্ষ আব্দুল হেকিমকে ইতোপূর্বে মাদ্রাসা থেকে অপসারণ করা হয়। এরপর নতুন গ্রুপিংয়ে অচলাবস্থা দেখা দিলে উপাধ্যক্ষ মাওলানা ইউনুস আহমদ ও প্রভাষক খছরুজ্জামানকে ভারপ্রাপ্ত অধ্যক্ষ নিযুক্ত করা হয়। দুই ভারপ্রাপ্ত প্রিন্সিপালের আধিপত্য বিস্তার নিয়ে নতুন করে জটিলতা দেখা দেয়। খছরুজ্জামান হজ্জ্ব পালন শেষে ১৫ দিন আগে কর্মস্থলে যোগ দিলে দুই অধ্যক্ষের দুটি গ্রুপ মুখোমুখি অবস্থান নেয়। এ ঘটনার প্রেক্ষিতে গত মঙ্গলবার সকাল দশটায় বিভিন্ন ক্লাসের পরীক্ষা চলাকালে মাদ্রাসার ফাজিল ক্লাসের জাবেদ আহমদ, আবু সাইদ, আনোয়ার হোসেন রিপন ও ইকবাল হোসেনের নেতৃত্বে কতিপয় উশৃক্সক্ষল ছাত্রদের একটি গ্রুপ ভারপ্রাপ্ত অধ্যক্ষ মাওলানা ইউনুস আহমদের অফিস কক্ষে ঢুকে তাকে বেধড়ক পেটাতে থাকে। এতে তার বাম হাত ভেঙ্গে যায় এবং শরীরের বিভিন্ন স্থানে জখম হয়। তাকে উদ্ধার করে বড়লেখা উপজেলা স্বাস্থ্য কমপে¬ক্সে ভর্তি করা হলে চিকিৎকরা তাকে সিলেট ওসমানী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে স্থানান্তর করেন। এ ব্যাপারে স্থানীয় ইউপি চেয়ারম্যান আলাল উদ্দিন জানান, মাদ্রাসা পরিচালনা কমিটির বর্তমান দায়িত্বে থাকা সভাপতি মৌলভীবাজারের অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (সার্বিক) প্রকাশ কান্তি চৌধুরী একই মাদ্রাসায় ২ জন অধ্যক্ষকে দায়িত্ব দেয়ায় এ ঘটনা ঘটেছে। গত সোমবার দুই অধ্যক্ষের চেয়ারে বসার বিরোধ নিয়ে তাকে (এডিসি) মঙ্গলবার সকাল পর্যন্ত ফোন দেয়ার পরও তিনি কোনো সাড়া দেননি। প্রসঙ্গত, গত ২৮ অক্টোবর মাদ্রাসার সহ-সভাপতি ওয়াহিদুর রহমান স্বাক্ষরিত পত্রের মাধ্যমে সাধারণ সভা আহবান করা হয়। নির্ধারিত তারিখে সাধারণ সভায় উপস্থিত লোকজন মাদ্রাসার সভাপতিসহ অনেক সদস্য ও সংঘর্ষে হতাহতদের না জানিয়ে সাধারণ সভা আহবানের বিষয়ে তাৎক্ষণিক প্রতিবাদ ওঠে। এ সময় স্থানীয় ইউপি চেয়ারম্যান আলাল উদ্দিন, মুরব্বি আব্দুর রাজ্জাক, আব্দুর রহিম, ময়নুল হক, মাদ্রাসার ছাত্রছাত্রীদের অভিভাবক ও সচেতন ব্যক্তিদের কাছে সহ-সভাপতি ভুল স্বীকার করেন এবং সাধারণ সভাটি প- হয়ে যায়। এর আগে গত ১২ অক্টোবর দুপুরে মাদ্রাসায় তালামীযে ইসলামিয়ার দুগ্রুপের সংঘর্ষে অন্তত ১০ জন আহত হন। সংঘর্ষ চলাকালে এক গ্রুপ ক্লাসে ঢুকে হামলাকারীরা তিন ক্লাসের টেস্ট পরীক্ষা প- করে দেয় এবং উত্তরপত্র ছিঁড়ে ফেলে। এ ঘটনায় এক গ্রুপের কর্মীরা ভারপ্রাপ্ত অধ্যক্ষ ইউনুস আহমদকে প্রায় ৩ ঘণ্টা অবরুদ্ধও করে রাখে। সৃষ্ট ঘটনার প্রেক্ষিতে মাদ্রাসা পরিচালনা কমিটি জরুরী বৈঠকে বসে আহতরা সুস্থ হবার পর বিষয়টি নিষ্পত্তির সিদ্ধান্তও নেয়া হয়। এরই মাঝে ফের গত ৩ ডিসেম্বর ক্যাম্পাস উত্তপ্ত হয়ে ওঠে। বড়লেখা প্রতিনিধি॥
মন্তব্য করুন