ইকনোমিস্ট ও সামপ্রতিক বাংলাদেশ
বাংলাদেশের জ্ঞানী-গুণী রাষ্ট্র, সমাজবিজ্ঞানী কিংবা অর্থনীতিবিদের অভাব নেই। আমি রাজনীতিবিদের স¤পর্কে কিছু বলবো না। আমাদের দেশের গার্মেন্ট শিল্প বা অপ্রচলিত বিভিন্ন পণ্য, পাট ও চামড়া সামগ্রী অত্যন্ত সস্তায় এখানে তৈরি হয়ে প্রতিযোগিতায় টিকে বিশ্বে রপ্তানি হয়ে প্রচুর বৈদেশিক মুদ্রা আয় হতো। এ ছাড়া বহুজাতিক কো¤পানিসমূহ তাদের বিলিয়ন বিলিয়ন ডলার বাংলাদেশে বিনিয়োগ করে বসেছে। কারণ, এখানের সস্তা শ্রম বিশ্বের জন্য একটা নির্ভরযোগ্য দেশ হিসেবে পরিগণিত হয়েছে। ২০০৬ সালে বিশ্বের নামী ম্যাগাজিন বৃটেনের ইকনোমিস্ট বাংলাদেশকে বিশ্বের অর্থনৈতিক উন্নয়নের সূচকে চীনের সমকক্ষ হিসেবে যেতে পারে বলে ভবিষ্যদ্বাণী করেছিল। তাদের রিপোর্টে ১৯৮৭ সালের পরে বিশ্বের অর্থনীতি নিয়ে প্রকাশিত ২০তম প্রকাশনাতে বাংলাদেশ ও ভারতসহ বিশ্বের বিভিন্ন দেশের আঞ্চলিক অর্থনীতি নিয়ে প্রতিবেদন প্রবন্ধ নিবন্ধ প্রকাশ করেছিল। তাতে বাংলাদেশকে তৈরী পোশাক খাতে উদীয়মান শক্তি হিসেবে চীনের সমপর্যায়ে যেতে যে প্রাণপণ চেষ্টা করছে তার ভবিষ্যদ্বাণী করেছিল ২০০৬ সালে। তাদের তথ্য-উপাত্তের ভিত্তি ছিল বিশ্বব্যাংকের তখনকার সভাপতি পল উলফোভিৎস-এর বাংলাদেশ স¤পর্কে ধারণা। এ ছাড়া ইকনোমিস্ট-এর ফাইন্যান্সিয়েল ইন্টেলিজেন্স ইউনিট ও বাংলাদেশে সরাসরি বিদেশী বিনিয়োগ (এফ.ডি.আই) ব্যাপারেও বাংলাদেশে আশার বাণী শুনিয়েছিল ২০০৬ সালে। এ ছাড়া ক্ষুদ্র ঋণ কার্যক্রমে বাংলাদেশে উন্নয়নশীল দেশ হিসেবে দরিদ্রদের সুযোগ সৃষ্টির মাধ্যমে সাফল্যে এগিয়ে যাবে বলে ভবিষ্যদ্বাণী করেছিল। এই ক্ষুদ্র ঋণের প্রবক্তা হিসেবে গ্রামীণ ব্যাংকের প্রতিষ্ঠাতা ড. মুহাম্মদ ইউনূস বাংলাদেশ থেকে নোবেল প্রাইজ পেয়েছেন। এ ছাড়া আমেরিকার আরও অনেক সম্মানজনক পুরস্কার তাকে দেয়া হয়। ২০০৬ সাল থেকে ২০১৩ সাল বাংলাদেশ কোথায় গিয়ে পৌঁছার কথা ছিল? ইকনোমিস্টের মতো বিশ্বখ্যাত ম্যাগাজিনের তথ্য-উপাত্তের ভিত্তিতে বাংলাদেশের অর্থনীতি নিয়ে ভবিষ্যদ্বাণী বিফলে যেতে পারে না। জাতিসংঘ থেকে ফারনানদেজ-তারানকো জাতিসংঘের মহাসচিবের বিশেষ দূত হিসেবে এসেও আমাদের রাজনীতিকে জনগণের কল্যাণমুখী করতে হিমসিম খেয়ে অবশেষে তিনি চলে গেলেন। বাংলাদেশের মানুষ খুবই সহজ সরল এবং প্রচুর পরিশ্রমী। তারা শুধু কাজ চায়, শান্তিতে নিরাপদে বাঁচতে চায়। গার্মেন্টের মেয়েরা যে পরিশ্রম দিয়ে গার্মেন্ট সামগ্রী প্রস্তুত করে তা নির্বিঘে ইউরোপ-আমেরিকায় নির্ধারিত সময়ে পৌঁছতে পারলে বাংলাদেশ এগুতে পারতো। আজ অর্থনৈতিক চাকা কে জানি থামিয়ে দিতে চায়। অনেক গার্মেন্ট হঠাৎ করে জ্বলছে। আমাদের ভবিষ্যৎ নেতৃত্ব সঠিকভাবে দেশকে পরিচালিত করতে না পারলে যা ২০০৬ সালে এগোনোর কথা তা ২০১৩ সাল পার হয়ে গেল আর কত আশায় আমরা বাঁচবো। রেমিটেন্স প্রবাহে ধস নেমেছে, মধ্যপ্রাচ্য ও সিঙ্গাপুরেও আমাদের দক্ষ জনশক্তি যেতে পারছে না। কি দোষ করেছে আজ বাংলাদেশ। যে অবস্থায় পড়েছে এখন ইকনোমিস্টের মতো ম্যাগাজিন আমাদের নিয়ে কি তথ্য-উপাত্ত তৈরি করছে জানি না। তবে এবারের নির্বাচন নিয়ে ২৮টি দেশের সমন্বয়ে ইইউ-ভুক্ত দেশ নির্বাচন নিয়ে কোন আকর্ষণ দেখাচ্ছে না, তাই তারা কোন পর্যবেক্ষকও পাচ্ছে না। আমেরিকা হলো এমন একটা দেশ যারা চায় যে বাংলাদেশ একটা ধর্মীয় শান্তি সমপ্রীতির দেশ তারা সে ভাবেই নিজেদের মতো করে বাঁচুক। বিশ্ব মানবাধিকার দেশ আমেরিকা হলো ইমিগ্রেন্ট কান্ট্রি সে দেশে জনগণ ও কংগ্রেস ওবামা প্রশাসন বাংলাদেশ নিয়ে চিন্তিত। জাতিসংঘ শান্তি রক্ষা মিশনে বাংলাদেশের দেশপ্রেমিক প্রতিরক্ষা বাহিনীর সদস্যরা গিয়ে সুনামের ও সাহসিকতার সহিত কাজ করছে। অথচ এই দেশই অভ্যন্তরীণভাবে রাজনৈতিক কারণে সঙ্কটে পড়েছে। পুরো অর্থনীতি ব্যবসা বাণিজ্য আজ স্থবির অনিশ্চয়তার পথে ধাবমান। মহান আল্লাহ আমাদের সহায় হোন।
বাংলাদেশের জ্ঞানী-গুণী রাষ্ট্র, সমাজবিজ্ঞানী কিংবা অর্থনীতিবিদের অভাব নেই। আমি রাজনীতিবিদের স¤পর্কে কিছু বলবো না। আমাদের দেশের গার্মেন্ট শিল্প বা অপ্রচলিত বিভিন্ন পণ্য, পাট ও চামড়া সামগ্রী অত্যন্ত সস্তায় এখানে তৈরি হয়ে প্রতিযোগিতায় টিকে বিশ্বে রপ্তানি হয়ে প্রচুর বৈদেশিক মুদ্রা আয় হতো। এ ছাড়া বহুজাতিক কো¤পানিসমূহ তাদের বিলিয়ন বিলিয়ন ডলার বাংলাদেশে বিনিয়োগ করে বসেছে। কারণ, এখানের সস্তা শ্রম বিশ্বের জন্য একটা নির্ভরযোগ্য দেশ হিসেবে পরিগণিত হয়েছে। ২০০৬ সালে বিশ্বের নামী ম্যাগাজিন বৃটেনের ইকনোমিস্ট বাংলাদেশকে বিশ্বের অর্থনৈতিক উন্নয়নের সূচকে চীনের সমকক্ষ হিসেবে যেতে পারে বলে ভবিষ্যদ্বাণী করেছিল। তাদের রিপোর্টে ১৯৮৭ সালের পরে বিশ্বের অর্থনীতি নিয়ে প্রকাশিত ২০তম প্রকাশনাতে বাংলাদেশ ও ভারতসহ বিশ্বের বিভিন্ন দেশের আঞ্চলিক অর্থনীতি নিয়ে প্রতিবেদন প্রবন্ধ নিবন্ধ প্রকাশ করেছিল। তাতে বাংলাদেশকে তৈরী পোশাক খাতে উদীয়মান শক্তি হিসেবে চীনের সমপর্যায়ে যেতে যে প্রাণপণ চেষ্টা করছে তার ভবিষ্যদ্বাণী করেছিল ২০০৬ সালে। তাদের তথ্য-উপাত্তের ভিত্তি ছিল বিশ্বব্যাংকের তখনকার সভাপতি পল উলফোভিৎস-এর বাংলাদেশ স¤পর্কে ধারণা। এ ছাড়া ইকনোমিস্ট-এর ফাইন্যান্সিয়েল ইন্টেলিজেন্স ইউনিট ও বাংলাদেশে সরাসরি বিদেশী বিনিয়োগ (এফ.ডি.আই) ব্যাপারেও বাংলাদেশে আশার বাণী শুনিয়েছিল ২০০৬ সালে। এ ছাড়া ক্ষুদ্র ঋণ কার্যক্রমে বাংলাদেশে উন্নয়নশীল দেশ হিসেবে দরিদ্রদের সুযোগ সৃষ্টির মাধ্যমে সাফল্যে এগিয়ে যাবে বলে ভবিষ্যদ্বাণী করেছিল। এই ক্ষুদ্র ঋণের প্রবক্তা হিসেবে গ্রামীণ ব্যাংকের প্রতিষ্ঠাতা ড. মুহাম্মদ ইউনূস বাংলাদেশ থেকে নোবেল প্রাইজ পেয়েছেন। এ ছাড়া আমেরিকার আরও অনেক সম্মানজনক পুরস্কার তাকে দেয়া হয়। ২০০৬ সাল থেকে ২০১৩ সাল বাংলাদেশ কোথায় গিয়ে পৌঁছার কথা ছিল? ইকনোমিস্টের মতো বিশ্বখ্যাত ম্যাগাজিনের তথ্য-উপাত্তের ভিত্তিতে বাংলাদেশের অর্থনীতি নিয়ে ভবিষ্যদ্বাণী বিফলে যেতে পারে না। জাতিসংঘ থেকে ফারনানদেজ-তারানকো জাতিসংঘের মহাসচিবের বিশেষ দূত হিসেবে এসেও আমাদের রাজনীতিকে জনগণের কল্যাণমুখী করতে হিমসিম খেয়ে অবশেষে তিনি চলে গেলেন। বাংলাদেশের মানুষ খুবই সহজ সরল এবং প্রচুর পরিশ্রমী। তারা শুধু কাজ চায়, শান্তিতে নিরাপদে বাঁচতে চায়। গার্মেন্টের মেয়েরা যে পরিশ্রম দিয়ে গার্মেন্ট সামগ্রী প্রস্তুত করে তা নির্বিঘে ইউরোপ-আমেরিকায় নির্ধারিত সময়ে পৌঁছতে পারলে বাংলাদেশ এগুতে পারতো। আজ অর্থনৈতিক চাকা কে জানি থামিয়ে দিতে চায়। অনেক গার্মেন্ট হঠাৎ করে জ্বলছে। আমাদের ভবিষ্যৎ নেতৃত্ব সঠিকভাবে দেশকে পরিচালিত করতে না পারলে যা ২০০৬ সালে এগোনোর কথা তা ২০১৩ সাল পার হয়ে গেল আর কত আশায় আমরা বাঁচবো। রেমিটেন্স প্রবাহে ধস নেমেছে, মধ্যপ্রাচ্য ও সিঙ্গাপুরেও আমাদের দক্ষ জনশক্তি যেতে পারছে না। কি দোষ করেছে আজ বাংলাদেশ। যে অবস্থায় পড়েছে এখন ইকনোমিস্টের মতো ম্যাগাজিন আমাদের নিয়ে কি তথ্য-উপাত্ত তৈরি করছে জানি না। তবে এবারের নির্বাচন নিয়ে ২৮টি দেশের সমন্বয়ে ইইউ-ভুক্ত দেশ নির্বাচন নিয়ে কোন আকর্ষণ দেখাচ্ছে না, তাই তারা কোন পর্যবেক্ষকও পাচ্ছে না। আমেরিকা হলো এমন একটা দেশ যারা চায় যে বাংলাদেশ একটা ধর্মীয় শান্তি সমপ্রীতির দেশ তারা সে ভাবেই নিজেদের মতো করে বাঁচুক। বিশ্ব মানবাধিকার দেশ আমেরিকা হলো ইমিগ্রেন্ট কান্ট্রি সে দেশে জনগণ ও কংগ্রেস ওবামা প্রশাসন বাংলাদেশ নিয়ে চিন্তিত। জাতিসংঘ শান্তি রক্ষা মিশনে বাংলাদেশের দেশপ্রেমিক প্রতিরক্ষা বাহিনীর সদস্যরা গিয়ে সুনামের ও সাহসিকতার সহিত কাজ করছে। অথচ এই দেশই অভ্যন্তরীণভাবে রাজনৈতিক কারণে সঙ্কটে পড়েছে। পুরো অর্থনীতি ব্যবসা বাণিজ্য আজ স্থবির অনিশ্চয়তার পথে ধাবমান। মহান আল্লাহ আমাদের সহায় হোন। এস. আহমেদ ॥
মন্তব্য করুন