কমলগঞ্জের লাউয়াছড়া জাতীয় উদ্যান সহ পর্যটন এলাকা সমুহ অব্যাহত অবরোধে পর্যটক শূন্য স্থবির হয়ে পড়ছে পর্যটন ভিত্তিক অর্থনীতি

December 24, 2013,

দেশের রাজনৈতিক অস্থিরতা ও হরতাল অবরোধের কারনে স্থবির হয়ে পড়েছে চা শিল্পাঞ্চল ও পর্যটন নগরী হিসেবে খ্যাত মৌলভীবাজার জেলার কমলগঞ্জ ও শ্রীমঙ্গল উপজেলার পর্যটনের স্থানগুলি। শীত মৌসুমের শুরুতেই দেশী বিদেশী পর্যটকের আনাগুনা বেড়ে যায়। গত বছর একই সময়ে পর্যটন কেন্দ্রগুলোতে উপচেপড়া ভিড় অব্যাহত ছিল। স্বাভাবিক অবস্থায় প্রতিদিন শত শত পর্যটক জাতীয় উদ্যানে ভিড় জমালে ও অবরোধের কারনে পর্যটনের এই ভরা মৌসুমে ও জনমানবহীন হয়ে পড়েছে লাউয়াছড়া জাতীয় উদ্যান, মাধবপুর হ্রদ ও হামহাম জলপ্রপাত সহ পর্যটন কেন্দ্র গুলো। ফলে এলাকায় হোটেল রেষ্টুরেন্ট ব্যবসায়ী সহ সরকার রাজস্ব আয় থেকে বঞ্চিত হচ্ছে। আর ভ্রমন পিপাসু ও পর্যটন প্রেমিরা হতাশায় ভোগছেন। দেশের রাজনৈতিক অস্থিরতার জন্য গত ১ মাস ধরে কমলগঞ্জ ও শ্রীমঙ্গল উপজেলার সকল মোটেল হোটেল, রেষ্টহাউস ও গেষ্টহাউসগুলি খালি রয়েছে। বিভিন্ন হোটেল ও রির্সোট মালিক সুত্রে জানা গেছে, গত বছরের এই সময়ে লাউয়াছড়া জাতীয় উদ্যান পর্যটক সমাগমে মুখরিত ছিল। বিপুল সংখ্যক পর্যটকের পদভারে মুখরিত থাকত জাতীয় উদ্যান। প্রাকৃতিক সৌন্দর্যের লীলাভুমির প্রতিটি পর্যটন স্থানে কিশোর-কিশোরী, প্রৌঢ় সহ সব বয়সী পর্যটক ভীড় থাকতো। পর্যটকরাও এসব স্থানে এসে প্রাণখুলে প্রকৃতিকে উপভোগ করতে পারতেন। বছরের এ সময়টাতে কোন রিসোর্ট খালি থাকতো না। রিসোর্টের গেষ্টহাউসের ম্যানেজার ও মালিকরা জানান, গত বছর অক্টোবর মাস হতেই তাদের গেষ্টহাউসে কোন রুম খালি ছিল না। পর্যটকদের সামল দিতে গিয়ে হোটল ও গেষ্টহাউসের মালিকদের হিমশিম খেতে হয়েছিল। কিন্তু এ বছর দেশের চলমান রাজনৈতিক অস্থিরতা, হরতাল ও অবরোধের কারনে রেষ্টহাউসগুলিতে নেই কোন পর্যটক। রিসোর্ট ও গেষ্ট হাউসগুলি ঘুরে দেখা গেছে, ম্যানেজার ও স্টাফরা অলস সময় পার করছেন আলাপ আলোচনা করে। মৌলভীবাজার জেলার কমলগঞ্জ ও শ্রীমঙ্গলে এ পর্যটন ব্যবসাকে সামনে রেখে গড়ে উঠেছে প্রায় ২৫ টির উপরে গেষ্ট হাউস আর পর্যটকদের আপ্যায়ন করতে গড়ে উঠেছে প্রায় ১৫ টির উপরে রেষ্টুরেন্ট। কোন পর্যটক না আসায় গত ১ মাস ধরে শ্রীমঙ্গলের হোটেল রেষ্টহাউস ও রিসোর্ট গুলি খালি পড়ে আছে। আর এর সাথে সংশ্লিষ্ট রেষ্টুরেন্টগুলোর ব্যবসায় ভাটা পড়েছে। ফলে প্রতিদিন অন্তত গড়ে ৫ লক্ষাধিক টাকার লোকসান হচ্ছে হোটেল, রিসোর্ট ও রেস্টুরেন্ট মালিকদের। কিন্তু মাস শেষে মালিকদেরকে রিসোর্ট, গেষ্টহাউস ও হোটেল স্টাফদের বেতন, গ্যাস বিল, বিদ্যুৎ বিল ইত্যাদি পরিশোধ করতে হচ্ছে। এ ব্যাপারে আইপ্যাক প্রজেক্টের সাইট ফ্যাসিলেটর কর্মকর্তা কাজী নজরুল ইসলাম এর সাথে যোগাযোগ করলে তিনি জানান, টানা অবরোধ, হরতাল, রাজনৈতিক অস্থিরতা ও পর্যটকদের নিরাপত্তহীনতার কারনে লাউয়াছড়া রয়েছে পর্যটক শূন্য। অবরোধ ও হরতালের কারনে নতুন কোন পর্যটক আসেনি। লাউয়াছড়ায় প্রতিদিন প্রায় ১৫ হাজার টাকা পর্যটকদের কাছ থেকে আয় হয়। কিন্তু গত ১ মাসে তেমন কোন আয় হয়নি। শুধু তাই নয় পর্যটক না আসার কারনে হোটেল-রিসোর্টগুলো আর্থিক ক্ষতির মধ্যে পড়েছে। ফলে স্থবির হয়ে পড়ছে পর্যটন ভিত্তিক অর্থনীতি।
দেশের রাজনৈতিক অস্থিরতা ও হরতাল অবরোধের কারনে স্থবির হয়ে পড়েছে চা শিল্পাঞ্চল ও পর্যটন নগরী হিসেবে খ্যাত মৌলভীবাজার জেলার কমলগঞ্জ ও শ্রীমঙ্গল উপজেলার পর্যটনের স্থানগুলি। শীত মৌসুমের শুরুতেই দেশী বিদেশী পর্যটকের আনাগুনা বেড়ে যায়। গত বছর একই সময়ে পর্যটন কেন্দ্রগুলোতে উপচেপড়া ভিড় অব্যাহত ছিল। স্বাভাবিক অবস্থায় প্রতিদিন শত শত পর্যটক জাতীয় উদ্যানে ভিড় জমালে ও অবরোধের কারনে পর্যটনের এই ভরা মৌসুমে ও জনমানবহীন হয়ে পড়েছে লাউয়াছড়া জাতীয় উদ্যান, মাধবপুর হ্রদ ও হামহাম জলপ্রপাত সহ পর্যটন কেন্দ্র গুলো। ফলে এলাকায় হোটেল রেষ্টুরেন্ট ব্যবসায়ী সহ সরকার রাজস্ব আয় থেকে বঞ্চিত হচ্ছে। আর ভ্রমন পিপাসু ও পর্যটন প্রেমিরা হতাশায় ভোগছেন। দেশের রাজনৈতিক অস্থিরতার জন্য গত ১ মাস ধরে কমলগঞ্জ ও শ্রীমঙ্গল উপজেলার সকল মোটেল হোটেল, রেষ্টহাউস ও গেষ্টহাউসগুলি খালি রয়েছে। বিভিন্ন হোটেল ও রির্সোট মালিক সুত্রে জানা গেছে, গত বছরের এই সময়ে লাউয়াছড়া জাতীয় উদ্যান পর্যটক সমাগমে মুখরিত ছিল। বিপুল সংখ্যক পর্যটকের পদভারে মুখরিত থাকত জাতীয় উদ্যান। প্রাকৃতিক সৌন্দর্যের লীলাভুমির প্রতিটি পর্যটন স্থানে কিশোর-কিশোরী, প্রৌঢ় সহ সব বয়সী পর্যটক ভীড় থাকতো। পর্যটকরাও এসব স্থানে এসে প্রাণখুলে প্রকৃতিকে উপভোগ করতে পারতেন। বছরের এ সময়টাতে কোন রিসোর্ট খালি থাকতো না। রিসোর্টের গেষ্টহাউসের ম্যানেজার ও মালিকরা জানান, গত বছর অক্টোবর মাস হতেই তাদের গেষ্টহাউসে কোন রুম খালি ছিল না। পর্যটকদের সামল দিতে গিয়ে হোটল ও গেষ্টহাউসের মালিকদের হিমশিম খেতে হয়েছিল। কিন্তু এ বছর দেশের চলমান রাজনৈতিক অস্থিরতা, হরতাল ও অবরোধের কারনে রেষ্টহাউসগুলিতে নেই কোন পর্যটক। রিসোর্ট ও গেষ্ট হাউসগুলি ঘুরে দেখা গেছে, ম্যানেজার ও স্টাফরা অলস সময় পার করছেন আলাপ আলোচনা করে। মৌলভীবাজার জেলার কমলগঞ্জ ও শ্রীমঙ্গলে এ পর্যটন ব্যবসাকে সামনে রেখে গড়ে উঠেছে প্রায় ২৫ টির উপরে গেষ্ট হাউস আর পর্যটকদের আপ্যায়ন করতে গড়ে উঠেছে প্রায় ১৫ টির উপরে রেষ্টুরেন্ট। কোন পর্যটক না আসায় গত ১ মাস ধরে শ্রীমঙ্গলের হোটেল রেষ্টহাউস ও রিসোর্ট গুলি খালি পড়ে আছে। আর এর সাথে সংশ্লিষ্ট রেষ্টুরেন্টগুলোর ব্যবসায় ভাটা পড়েছে। ফলে প্রতিদিন অন্তত গড়ে ৫ লক্ষাধিক টাকার লোকসান হচ্ছে হোটেল, রিসোর্ট ও রেস্টুরেন্ট মালিকদের। কিন্তু মাস শেষে মালিকদেরকে রিসোর্ট, গেষ্টহাউস ও হোটেল স্টাফদের বেতন, গ্যাস বিল, বিদ্যুৎ বিল ইত্যাদি পরিশোধ করতে হচ্ছে। এ ব্যাপারে আইপ্যাক প্রজেক্টের সাইট ফ্যাসিলেটর কর্মকর্তা কাজী নজরুল ইসলাম এর সাথে যোগাযোগ করলে তিনি জানান, টানা অবরোধ, হরতাল, রাজনৈতিক অস্থিরতা ও পর্যটকদের নিরাপত্তহীনতার কারনে লাউয়াছড়া রয়েছে পর্যটক শূন্য। অবরোধ ও হরতালের কারনে নতুন কোন পর্যটক আসেনি। লাউয়াছড়ায় প্রতিদিন প্রায় ১৫ হাজার টাকা পর্যটকদের কাছ থেকে আয় হয়। কিন্তু গত ১ মাসে তেমন কোন আয় হয়নি। শুধু তাই নয় পর্যটক না আসার কারনে হোটেল-রিসোর্টগুলো আর্থিক ক্ষতির মধ্যে পড়েছে। ফলে স্থবির হয়ে পড়ছে পর্যটন ভিত্তিক অর্থনীতি। প্রনীত রঞ্জন দেবনাথ॥

সংবাদটি শেয়ার করতে নিচের “আপনার প্রিয় শেয়ার বাটনটিতে ক্লিক করুন”

মন্তব্য করুন

Social Media Auto Publish Powered By : XYZScripts.com