কমলগঞ্জে ডাকাত-গ্রামবাসীর মধ্যে সংঘর্ষে ৯ জন আহত
মৌলভীবাজারের কমলগঞ্জ উপজেলার মণিপুরী পল্লীর হীরামতি গ্রামে বুধবার গভীর রাতে ডাকাতদের সঙ্গে গ্রামবাসীদের সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে। সংঘর্ষে ডাকাত সদস্য সহ কমপক্ষে ৯ জন আহত হন। এ সময় গ্রামবাসীদের মারধর করে আহত ডাকাত সদস্যদের ছিনিয়ে নিয়ে যায় ডাকাতরা। এ সময় ডাকাত সদস্যরা তাদের ব্যবহৃত ডেগার ও শীতের জামাকাপড় ফেলে যায়। দুপুরে মণিপুরী ¬পল্লীতে ডাকাতদের উপদ্রব বন্ধে ও গ্রামবাসীদের নিরাপত্তা চেয়ে কমলগঞ্জের ইউএনওর নিকট লিখিত আবেদন করেছেন গ্রামবাসী। জানা যায়, ২৫ ডিসেম্বর বুধবার দিবাগত রাত পৌনে ৩টার সময় কমলগঞ্জ উপজেলার মাধবপুর ইউপির মণিপুরী পল্লীর গকুল সিংহের গাঁও গ্রামের কমলা বাবু সিংহের বাড়িতে একদল ডাকাত হানা দেয়। ডাকাত সদস্যরা বসত ঘরের গেইট ভাঙ্গার চেষ্টা করলে পরিবারের সদস্যরা জেগে উঠলে ডাকাত সদস্যরা পালিয়ে যায়। ঐরাতেই ডাকাত দল একই গ্রামের অনন্ত সিংহের বাড়িতে হানা দিলে গ্রামের লোকজন ধাওয়া করে। গ্রামবাসীর ধাওয়া খেয়ে ডাকাতরা পাশ্ববর্তী বাঘবাড়ি গ্রামের রাধাকান্ত সিংহের (৫৫) এর বাড়িতে হানা দেয়। এ সময় পরিবারের কর্তা ব্যক্তি রাধাকান্ত সিংহ জেগে হাল্লা-চিৎকার করলে ডাকাত সদস্যরা তাকে কুপিয়ে জখম করে হীরামতি গ্রামের দিকে পালিয়ে যায়। রাধা কান্তের বাড়িতে হানার পূর্বে রাস্তায় স্বপন সিংহ নামে এক ড্রাইভারকেও মারধর করে ডাকাত সদস্যরা। সুরেশ কুমার সিংহ নামে গ্রামের এক পাহারাদারকে মুখ ও হাত-পা বেধে নিয়ে খোলা মাঠে ফেলে রাখে। ভোরে গ্রামের লোকজন খোলা মাঠ থেকে সুরেশকে উদ্ধার করেন। হীরামতি গ্রামের সূজ্জল সিংহের বাড়ির সামনে ডাকাত সদস্যদের ঘেরাও করে গ্রামবাসী। এ সময় ডাকাত সদস্যরা রাম দা, বল্লম, চাইনিজ কুড়াল, লাঠি সহ দেশীয় অস্ত্রশস্ত্র নিয়ে গ্রামবাসীর উপর হামলা চালালে গ্রামবাসীর সাথে সংঘর্ষ বাঁধে। সংঘর্ষে মদনমোহন সিংহ (৪৯), সুজ্জল সিংহ (২৮), সুরেন সিংহ (৫০), সোর্মিত সিংহ (১৮) আহত হন। খবর পেয়ে রাতেই কমলগঞ্জ থানা পুলিশ ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছে। আহত সূজ্জল সিংহ জানান, সংঘর্ষে ২-৩ ডাকাত সদস্য আহত হয়। এক ডাকাত সদস্যের ডান হাতের দুটি আঙ্গুল কামড়ে তিনি মাংশ তুলে নেন। পালিয়ে যাওয়ার সময় ডাকাত সদস্যরা তাদের ব্যবহৃত লম্বা একটি ডেগার ও শীতের একটি জাম্পার ফেলে যায়। এ ঘটনা নিয়ে দুপুরে মণিপুরী সম্প্রদায়ের নেতৃবৃন্দরা কমলগঞ্জের ইউএনও মোহাম্মদ জাহিদুল ইসলাম মিঞার সঙ্গে দেখা করেন। এ সময় মণিপুরী পল্ল¬ীর হীরামতি, বাঘবাড়ি, গকুলসিংহের গাঁও, মাধবপুর, জবলারপাড় সহ আশপাশ গ্রামে ডাকাতি বন্ধে ও ডাকাতদের উপদ্রপের হাত থেকে এলাকাবাসীদের রক্ষার জন্য লিখিত আবেদন করেন। কমলগঞ্জ থানার ওসি নীহার রঞ্জন নাথ বৃহষ্পতিবার সন্ধ্যায় জানান, হীরামতি গ্রামে ডাকাতির চেষ্টাকালে গ্রামবাসীর প্রতিরোধে ডাকাতদল পালিয়ে যায়। সংব্দা পেয়ে পুলিশ সাথে সাথে ঘটনাস্থলে যায়। এ ঘটনায় এখন পর্যন্ত থানায় কোন অভিযোগ আসেনি। তবে পুলিশ এ ঘটনাটি খুবই গুরুত্বের সাথে দেখছে।
মৌলভীবাজারের কমলগঞ্জ উপজেলার মণিপুরী পল্লীর হীরামতি গ্রামে বুধবার গভীর রাতে ডাকাতদের সঙ্গে গ্রামবাসীদের সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে। সংঘর্ষে ডাকাত সদস্য সহ কমপক্ষে ৯ জন আহত হন। এ সময় গ্রামবাসীদের মারধর করে আহত ডাকাত সদস্যদের ছিনিয়ে নিয়ে যায় ডাকাতরা। এ সময় ডাকাত সদস্যরা তাদের ব্যবহৃত ডেগার ও শীতের জামাকাপড় ফেলে যায়। দুপুরে মণিপুরী ¬পল্লীতে ডাকাতদের উপদ্রব বন্ধে ও গ্রামবাসীদের নিরাপত্তা চেয়ে কমলগঞ্জের ইউএনওর নিকট লিখিত আবেদন করেছেন গ্রামবাসী। জানা যায়, ২৫ ডিসেম্বর বুধবার দিবাগত রাত পৌনে ৩টার সময় কমলগঞ্জ উপজেলার মাধবপুর ইউপির মণিপুরী পল্লীর গকুল সিংহের গাঁও গ্রামের কমলা বাবু সিংহের বাড়িতে একদল ডাকাত হানা দেয়। ডাকাত সদস্যরা বসত ঘরের গেইট ভাঙ্গার চেষ্টা করলে পরিবারের সদস্যরা জেগে উঠলে ডাকাত সদস্যরা পালিয়ে যায়। ঐরাতেই ডাকাত দল একই গ্রামের অনন্ত সিংহের বাড়িতে হানা দিলে গ্রামের লোকজন ধাওয়া করে। গ্রামবাসীর ধাওয়া খেয়ে ডাকাতরা পাশ্ববর্তী বাঘবাড়ি গ্রামের রাধাকান্ত সিংহের (৫৫) এর বাড়িতে হানা দেয়। এ সময় পরিবারের কর্তা ব্যক্তি রাধাকান্ত সিংহ জেগে হাল্লা-চিৎকার করলে ডাকাত সদস্যরা তাকে কুপিয়ে জখম করে হীরামতি গ্রামের দিকে পালিয়ে যায়। রাধা কান্তের বাড়িতে হানার পূর্বে রাস্তায় স্বপন সিংহ নামে এক ড্রাইভারকেও মারধর করে ডাকাত সদস্যরা। সুরেশ কুমার সিংহ নামে গ্রামের এক পাহারাদারকে মুখ ও হাত-পা বেধে নিয়ে খোলা মাঠে ফেলে রাখে। ভোরে গ্রামের লোকজন খোলা মাঠ থেকে সুরেশকে উদ্ধার করেন। হীরামতি গ্রামের সূজ্জল সিংহের বাড়ির সামনে ডাকাত সদস্যদের ঘেরাও করে গ্রামবাসী। এ সময় ডাকাত সদস্যরা রাম দা, বল্লম, চাইনিজ কুড়াল, লাঠি সহ দেশীয় অস্ত্রশস্ত্র নিয়ে গ্রামবাসীর উপর হামলা চালালে গ্রামবাসীর সাথে সংঘর্ষ বাঁধে। সংঘর্ষে মদনমোহন সিংহ (৪৯), সুজ্জল সিংহ (২৮), সুরেন সিংহ (৫০), সোর্মিত সিংহ (১৮) আহত হন। খবর পেয়ে রাতেই কমলগঞ্জ থানা পুলিশ ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছে। আহত সূজ্জল সিংহ জানান, সংঘর্ষে ২-৩ ডাকাত সদস্য আহত হয়। এক ডাকাত সদস্যের ডান হাতের দুটি আঙ্গুল কামড়ে তিনি মাংশ তুলে নেন। পালিয়ে যাওয়ার সময় ডাকাত সদস্যরা তাদের ব্যবহৃত লম্বা একটি ডেগার ও শীতের একটি জাম্পার ফেলে যায়। এ ঘটনা নিয়ে দুপুরে মণিপুরী সম্প্রদায়ের নেতৃবৃন্দরা কমলগঞ্জের ইউএনও মোহাম্মদ জাহিদুল ইসলাম মিঞার সঙ্গে দেখা করেন। এ সময় মণিপুরী পল্ল¬ীর হীরামতি, বাঘবাড়ি, গকুলসিংহের গাঁও, মাধবপুর, জবলারপাড় সহ আশপাশ গ্রামে ডাকাতি বন্ধে ও ডাকাতদের উপদ্রপের হাত থেকে এলাকাবাসীদের রক্ষার জন্য লিখিত আবেদন করেন। কমলগঞ্জ থানার ওসি নীহার রঞ্জন নাথ বৃহষ্পতিবার সন্ধ্যায় জানান, হীরামতি গ্রামে ডাকাতির চেষ্টাকালে গ্রামবাসীর প্রতিরোধে ডাকাতদল পালিয়ে যায়। সংব্দা পেয়ে পুলিশ সাথে সাথে ঘটনাস্থলে যায়। এ ঘটনায় এখন পর্যন্ত থানায় কোন অভিযোগ আসেনি। তবে পুলিশ এ ঘটনাটি খুবই গুরুত্বের সাথে দেখছে। কমলগঞ্জ প্রতিনিধি॥
মন্তব্য করুন