অবরোধে মৌলভীবাজারে আটকা পড়া কোটি কোটি টাকার চা চট্রগ্রাম নিলাম কেন্দ্রে প্রেরণ শুরু
বিএনপির নেতৃত্বাধীন ১৮ দলীয় জোটের ডাকা টানা অবরোধে চায়ের একমাত্র নিলাম কেন্দ্র চট্টগ্রামে পাঠাতে না পারায় মৌলভীবাজার জেলার ৯৬ টি চা বাগানের উৎপাদিত কোটি কোটি টাকার তৈরী চা একমাস যাবত আটকা পড়ে ছিল। অবরোধ শেষ হলে বুধবার থেকে চট্রগ্রাম নিলাম কেন্দ্রে তৈরী চা প্রেরণ শুরু হয়েছে। একমাসে চা বিক্রি না হওয়ায় বাগান সমূহ ব্যাংক ঋণের সাপ্তাহিক কিস্তি পরিশোধ করতে না পারায় গুণতে হয়েছে সুদের অঙ্ক। ফলে প্রচুর ক্ষতির সম্মুখীন হয়েছে চা বাগান কর্তৃপক্ষ। একদিকে অনেক বাগানে ফ্যাক্টরি না থাকায় প্রক্রিজাতকরণের অভাবে কাঁচা পাতা নিয়ে বিপাকে পড়েন চা বাগান সংশ্লিষ্টরা। অন্যদিকে দীর্ঘদিন থেকে গুদামে পড়ে থাকার ফলে চায়ের গুণগত মান বিনষ্ট হওয়ার আশঙ্কায় ছিল সংশ্লিষ্ট চা বাগান কর্তৃপক্ষ। বাগান মালিকরা জানান, এই মৌসুমে প্রায় প্রতিটি বাগান থেকে সপ্তাহে দুই থেকে তিনটি চালান চট্টগ্রামে নিলাম হাউসে পাঠানো হতো। কিন্তু গত তিন সপ্তাহে একটি চালানও চট্টগ্রামে পাঠানো সম্ভব হয়নি। এছাড়াও তিন সপ্তাহ ধরে নিলামও হয়নি। ফলে বাগানভেদে হাজার থেকে লক্ষাধিক কেজি চায়ের মজুদ জমতে শুরু করে। অনেক বাগানে পর্যাপ্ত সংরক্ষনাগারের ধারণ ক্ষমতার চাইতে মজুদের পরিমান বেড়ে যাওয়ায় বিপাকে পড়েছিলেন বাগান সংশ্লিষ্টরা। এসব বাগানগুলোতে পাতা চয়ন বন্ধ রাখা হয়েছিল। নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক একজন চা বাগান ব্যবস্থাপক বলেন, অবরোধের কারণে নিলাম কেন্দ্রে চা প্রেরণ সম্ভব না হওয়ায় ব্যাংক ঋণের কয়েকটি সাপ্তাহিক কিস্তি পরিশোধ সম্ভব হয়নি। ফলে সুদের হার বাড়ছে। স্থানীয় চা বাগান সূত্রে জানা যায়, মৌলভীবাজার জেলায় ৯৬ টি বাগান রয়েছে। এই বাগানগুলোর মধ্যে ২০/২৫ টি বাগানের নিজস্ব ফ্যাক্টরি নেই। যে সব বাগানের ফ্য্ক্টাারি নেই সেগুলোর কাঁচা পাতা প্রক্রিয়াজাতকরণ সম্ভব হচ্ছে না। ফলে বেশ কিছু কাঁচা পাতা নষ্ট হয়। অপরদিকে যে বাগানগুলোর নিজস্ব ফ্যাক্টরি আছে তারাও নিজেদের প্রক্রিয়াজাতকৃত চা নিয়ে বিপাকে পড়েন। চা চট্টগ্রামে নিলাম কেন্দ্রে পাঠাতে না পারায় ও নিলাম বন্ধ থাকায় নষ্ট হচ্ছে এসব বাগানের চায়ের গুণগত মান। গত ১৫/২০ দিন ধরে নিলাম বন্ধ থাকায় সিলেটের চা বাগানগুলোর প্রায় কোটি টাকার ক্ষতি হয়েছে বলে দাবি করেছেন চা বাগানের সংশ্লিষ্টরা। এ ব্যাপারে মৌলভীবাজারে কমলগঞ্জের নন্দরানী টি কোম্পানীর সহকারী ব্যবস্থাপক মো, শফিউল আলম বলেন, তিন সপ্তাহ ধরে নিলাম বন্ধ থাকায় ব্যাপক ক্ষতির সম্মুখীন হতে হয়েছে। তবে বুধবার থেকে চা নিলাম কেন্দ্রে প্রেরণ শুরু হয়েছে। এ ব্যাপারে পাত্রকলা চা বাগানের ব্যবস্থাপক মো. শামসুল ইসলাম বলেন, আমাদের বাগান থেকে প্রতি সপ্তাহে ২টি চালান চট্টগ্রামে নিলামে যেত। কিন্তু অবরোধের কারনে গত তিন সপ্তাহ ধরে চা নিলামে পাঠানো সম্ভব হয়নি। ন্যাশনাল টি কোম্পানী (এনটিসি) এর ডিজিএম এস.এম. শাহজাহান বলেন, প্রায় চার লাখ কেজি তৈরী চা আটকা ছিল। এতে চা বাগান সমূহে ব্যাপক ক্ষতির সম্মুখীন হতে হয়েছে। এখন এসব চা নিলাম কেন্দ্রে প্রেরণ শুরু হয়েছে।
বিএনপির নেতৃত্বাধীন ১৮ দলীয় জোটের ডাকা টানা অবরোধে চায়ের একমাত্র নিলাম কেন্দ্র চট্টগ্রামে পাঠাতে না পারায় মৌলভীবাজার জেলার ৯৬ টি চা বাগানের উৎপাদিত কোটি কোটি টাকার তৈরী চা একমাস যাবত আটকা পড়ে ছিল। অবরোধ শেষ হলে বুধবার থেকে চট্রগ্রাম নিলাম কেন্দ্রে তৈরী চা প্রেরণ শুরু হয়েছে। একমাসে চা বিক্রি না হওয়ায় বাগান সমূহ ব্যাংক ঋণের সাপ্তাহিক কিস্তি পরিশোধ করতে না পারায় গুণতে হয়েছে সুদের অঙ্ক। ফলে প্রচুর ক্ষতির সম্মুখীন হয়েছে চা বাগান কর্তৃপক্ষ। একদিকে অনেক বাগানে ফ্যাক্টরি না থাকায় প্রক্রিজাতকরণের অভাবে কাঁচা পাতা নিয়ে বিপাকে পড়েন চা বাগান সংশ্লিষ্টরা। অন্যদিকে দীর্ঘদিন থেকে গুদামে পড়ে থাকার ফলে চায়ের গুণগত মান বিনষ্ট হওয়ার আশঙ্কায় ছিল সংশ্লিষ্ট চা বাগান কর্তৃপক্ষ। বাগান মালিকরা জানান, এই মৌসুমে প্রায় প্রতিটি বাগান থেকে সপ্তাহে দুই থেকে তিনটি চালান চট্টগ্রামে নিলাম হাউসে পাঠানো হতো। কিন্তু গত তিন সপ্তাহে একটি চালানও চট্টগ্রামে পাঠানো সম্ভব হয়নি। এছাড়াও তিন সপ্তাহ ধরে নিলামও হয়নি। ফলে বাগানভেদে হাজার থেকে লক্ষাধিক কেজি চায়ের মজুদ জমতে শুরু করে। অনেক বাগানে পর্যাপ্ত সংরক্ষনাগারের ধারণ ক্ষমতার চাইতে মজুদের পরিমান বেড়ে যাওয়ায় বিপাকে পড়েছিলেন বাগান সংশ্লিষ্টরা। এসব বাগানগুলোতে পাতা চয়ন বন্ধ রাখা হয়েছিল। নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক একজন চা বাগান ব্যবস্থাপক বলেন, অবরোধের কারণে নিলাম কেন্দ্রে চা প্রেরণ সম্ভব না হওয়ায় ব্যাংক ঋণের কয়েকটি সাপ্তাহিক কিস্তি পরিশোধ সম্ভব হয়নি। ফলে সুদের হার বাড়ছে। স্থানীয় চা বাগান সূত্রে জানা যায়, মৌলভীবাজার জেলায় ৯৬ টি বাগান রয়েছে। এই বাগানগুলোর মধ্যে ২০/২৫ টি বাগানের নিজস্ব ফ্যাক্টরি নেই। যে সব বাগানের ফ্য্ক্টাারি নেই সেগুলোর কাঁচা পাতা প্রক্রিয়াজাতকরণ সম্ভব হচ্ছে না। ফলে বেশ কিছু কাঁচা পাতা নষ্ট হয়। অপরদিকে যে বাগানগুলোর নিজস্ব ফ্যাক্টরি আছে তারাও নিজেদের প্রক্রিয়াজাতকৃত চা নিয়ে বিপাকে পড়েন। চা চট্টগ্রামে নিলাম কেন্দ্রে পাঠাতে না পারায় ও নিলাম বন্ধ থাকায় নষ্ট হচ্ছে এসব বাগানের চায়ের গুণগত মান। গত ১৫/২০ দিন ধরে নিলাম বন্ধ থাকায় সিলেটের চা বাগানগুলোর প্রায় কোটি টাকার ক্ষতি হয়েছে বলে দাবি করেছেন চা বাগানের সংশ্লিষ্টরা। এ ব্যাপারে মৌলভীবাজারে কমলগঞ্জের নন্দরানী টি কোম্পানীর সহকারী ব্যবস্থাপক মো, শফিউল আলম বলেন, তিন সপ্তাহ ধরে নিলাম বন্ধ থাকায় ব্যাপক ক্ষতির সম্মুখীন হতে হয়েছে। তবে বুধবার থেকে চা নিলাম কেন্দ্রে প্রেরণ শুরু হয়েছে। এ ব্যাপারে পাত্রকলা চা বাগানের ব্যবস্থাপক মো. শামসুল ইসলাম বলেন, আমাদের বাগান থেকে প্রতি সপ্তাহে ২টি চালান চট্টগ্রামে নিলামে যেত। কিন্তু অবরোধের কারনে গত তিন সপ্তাহ ধরে চা নিলামে পাঠানো সম্ভব হয়নি। ন্যাশনাল টি কোম্পানী (এনটিসি) এর ডিজিএম এস.এম. শাহজাহান বলেন, প্রায় চার লাখ কেজি তৈরী চা আটকা ছিল। এতে চা বাগান সমূহে ব্যাপক ক্ষতির সম্মুখীন হতে হয়েছে। এখন এসব চা নিলাম কেন্দ্রে প্রেরণ শুরু হয়েছে। কমলগঞ্জ প্রতিনিধি॥
মন্তব্য করুন