খেলা খেলা এবং খেলা———-সাদেক আহমদ
ছোটবেলা থেকে আমি খেলার ভক্ত। স্কুলে পড়ার সময় আমাদের বাসার সম্মুখে খালি জায়গায় পাড়ার সবাই মিলে ফুটবল খেলতাম। বাসার সামনে একটা লম্বা মাঠ ছিল। বিকেলে সেখানে আমরা খেলা করতাম। খেলায় আমদের শারীরিক কসরৎ বা ব্যায়াম হতো। রাতে পড়াশোনা শেষ করে খাওয়া-দাওয়ার পর তাড়াতাড়ি ঘুম এসে যেত। ভোরে ঘুম থেকে উঠে পড়তে বসতাম, ফলে আমাদের পড়াশোনা মুখস্ত হতো। স্কুলে গিয়ে আমরা ক্লাসের পড়ায় মনোযোগ দিতে ও শিক্ষকের করা পশ্নের জবাব দিতে পারতাম। আজ খেলার মাঠ কমে এসছে। কী করবে ছেলেমেয়েরা? ঢাকা শহরে হাঁটাচলার জন্য মাঠও কমে এসেছে। ছোটবেলায় দেখেছি, মৌলভীবাজারে সরকারি স্কুলের বিশাল মাঠে খেলা হতো। মৌলভীবাজার স্কুলের সঙ্গে কাশীনাথ আলাউদ্দিন স্কুলের সঙ্গে চলত প্রতিযোগীতা। তখন সে কি উত্তেজনা ও আনন্দ ছিল। ওই খেলা উপভোগ করতে শ্রীমঙ্গল, রাজনগর কিংবা শেরপুর থেকে দর্শকরা গাড়ি রিজার্ভ করে এসে খেলা উপভোগ করত। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের পড়ার সময়ে আমরা দলবদ্ধ হয়ে খেলা উপভোগ করতাম। কী দারুণ উত্তেজনা ছিল। মাঠে কি খেলোয়াড়রাই শুধু খেলে? আসলে খেলে পুরো স্টেডিয়াম ভরা দর্শক। আবাহনী মোহামেডানের খেলা দেখতে গাজীপুর, টঙ্গী কিংবা নারায়ণগঞ্জ থেকে গাড়ি ভরে সমর্থকরা আসত। কলকাতাতেও মোহনবাগান, মোহামেডান কিংবা ইস্ট বেঙ্গলের খেলা হলে বেশি দর্শক হয়। সেদিন মৌলভীবাজারে নাড়ির টানে বাড়িতে গিয়ে স্কুলমাঠে দেখি গোল পোষ্টও তুলে দেয়া হয়েছে। টোকাইর মতো ছেলেরা কখনও একটা বল নিয়ে দৌড়াদৌড়ি করে, বলে লাথি মেরে তারা আনন্দ পায়, কিন্তু কোন দর্শকের চোখ ওদিকে যায় না। বিশ্ববিদ্যালয়ে পড়ার সময় টিভির সৌজন্যে ম্যানচেষ্টার ইউনাইটেড ও লিভারপুলের খেলা জাদুকরী পায়ের ছন্দ দেখতে আমার ভালো লাগত। আমি ২০১০ সালে মৌলভীবাজারে আমাদের বাড়িতে নাজিরাবাদ সাহেব বাড়ি ফুটবল টুর্নামেন্ট দিয়েছিলাম। তাতে ২০টি দল অংশগ্রহণ করেছিল। চ্যাম্পিয়ন দলকে একটি টেলিভশন উপহার দেয়া হয়। খেলাধুলা হলো প্রতিযোগিতা। এখন ইউরোপের রিয়াল মাদ্রিদ ও বার্সেলোনার খেলা দেখার জন্য ছেলেরা রাত জেগে বসে থাকে। সেকি আনন্দ। ইউরোপ ব্রিটেন ছেড়ে এসে বাংলাদেশের আকাশে-বাতাসে দর্শকের মনে ঢেউ তোলে, ঠিক যেন সমুদ্রের ঢেউয়ের মতো। আজ শুধু একটা নির্বাচন নিয়ে জাতিসংঘ, ইউরোপ, আমেরিকা থথা বিশ্ববাসী বাংলাদেশের দিকে দর্শক হিসেবে আসতে বিরত থাকছে। শীতের সময় প্রবাসীরা আসেন নাড়ীর টানে নিজ জন্ম ভুমিতে। এ ছাড়া বারতি সংযোজন ছিল নির্বাচন। কিন্তু এক তরফা খোলা আর নিরাপত্তার বিষয়ে চিন্তা করে প্রবাসীরা এবারের নির্বাচনকে কেন্দ্র করে কেউ সাহস পাননি বাংলাদেশে আসতে। মনে হয় আজ তারা মুখ ফিরিয়ে নিচ্ছে। কারণ একতরফা খেলায় কোন আনন্দ বা বাহাদুরির কিছু নেই। কারণ গ্লোবালাইজেশনের এই বিশ্বে বাংলাদেশ কোন বিচ্ছিন্ন দ্বীপ নয়। ৪২ বছর আগে প্রাপ্ত একটা স্বাধীন, সার্বভৌম ও সখ্য জাতি। আমাদের দেশের প্রতিরক্ষা বাহিনী বহির্বিশ্বে শান্তি স্থাপনে ভূমিকা রেখে সুনাম বয়ে আনছে।
ছোটবেলা থেকে আমি খেলার ভক্ত। স্কুলে পড়ার সময় আমাদের বাসার সম্মুখে খালি জায়গায় পাড়ার সবাই মিলে ফুটবল খেলতাম। বাসার সামনে একটা লম্বা মাঠ ছিল। বিকেলে সেখানে আমরা খেলা করতাম। খেলায় আমদের শারীরিক কসরৎ বা ব্যায়াম হতো। রাতে পড়াশোনা শেষ করে খাওয়া-দাওয়ার পর তাড়াতাড়ি ঘুম এসে যেত। ভোরে ঘুম থেকে উঠে পড়তে বসতাম, ফলে আমাদের পড়াশোনা মুখস্ত হতো। স্কুলে গিয়ে আমরা ক্লাসের পড়ায় মনোযোগ দিতে ও শিক্ষকের করা পশ্নের জবাব দিতে পারতাম। আজ খেলার মাঠ কমে এসছে। কী করবে ছেলেমেয়েরা? ঢাকা শহরে হাঁটাচলার জন্য মাঠও কমে এসেছে। ছোটবেলায় দেখেছি, মৌলভীবাজারে সরকারি স্কুলের বিশাল মাঠে খেলা হতো। মৌলভীবাজার স্কুলের সঙ্গে কাশীনাথ আলাউদ্দিন স্কুলের সঙ্গে চলত প্রতিযোগীতা। তখন সে কি উত্তেজনা ও আনন্দ ছিল। ওই খেলা উপভোগ করতে শ্রীমঙ্গল, রাজনগর কিংবা শেরপুর থেকে দর্শকরা গাড়ি রিজার্ভ করে এসে খেলা উপভোগ করত। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের পড়ার সময়ে আমরা দলবদ্ধ হয়ে খেলা উপভোগ করতাম। কী দারুণ উত্তেজনা ছিল। মাঠে কি খেলোয়াড়রাই শুধু খেলে? আসলে খেলে পুরো স্টেডিয়াম ভরা দর্শক। আবাহনী মোহামেডানের খেলা দেখতে গাজীপুর, টঙ্গী কিংবা নারায়ণগঞ্জ থেকে গাড়ি ভরে সমর্থকরা আসত। কলকাতাতেও মোহনবাগান, মোহামেডান কিংবা ইস্ট বেঙ্গলের খেলা হলে বেশি দর্শক হয়। সেদিন মৌলভীবাজারে নাড়ির টানে বাড়িতে গিয়ে স্কুলমাঠে দেখি গোল পোষ্টও তুলে দেয়া হয়েছে। টোকাইর মতো ছেলেরা কখনও একটা বল নিয়ে দৌড়াদৌড়ি করে, বলে লাথি মেরে তারা আনন্দ পায়, কিন্তু কোন দর্শকের চোখ ওদিকে যায় না। বিশ্ববিদ্যালয়ে পড়ার সময় টিভির সৌজন্যে ম্যানচেষ্টার ইউনাইটেড ও লিভারপুলের খেলা জাদুকরী পায়ের ছন্দ দেখতে আমার ভালো লাগত। আমি ২০১০ সালে মৌলভীবাজারে আমাদের বাড়িতে নাজিরাবাদ সাহেব বাড়ি ফুটবল টুর্নামেন্ট দিয়েছিলাম। তাতে ২০টি দল অংশগ্রহণ করেছিল। চ্যাম্পিয়ন দলকে একটি টেলিভশন উপহার দেয়া হয়। খেলাধুলা হলো প্রতিযোগিতা। এখন ইউরোপের রিয়াল মাদ্রিদ ও বার্সেলোনার খেলা দেখার জন্য ছেলেরা রাত জেগে বসে থাকে। সেকি আনন্দ। ইউরোপ ব্রিটেন ছেড়ে এসে বাংলাদেশের আকাশে-বাতাসে দর্শকের মনে ঢেউ তোলে, ঠিক যেন সমুদ্রের ঢেউয়ের মতো। আজ শুধু একটা নির্বাচন নিয়ে জাতিসংঘ, ইউরোপ, আমেরিকা থথা বিশ্ববাসী বাংলাদেশের দিকে দর্শক হিসেবে আসতে বিরত থাকছে। শীতের সময় প্রবাসীরা আসেন নাড়ীর টানে নিজ জন্ম ভুমিতে। এ ছাড়া বারতি সংযোজন ছিল নির্বাচন। কিন্তু এক তরফা খোলা আর নিরাপত্তার বিষয়ে চিন্তা করে প্রবাসীরা এবারের নির্বাচনকে কেন্দ্র করে কেউ সাহস পাননি বাংলাদেশে আসতে। মনে হয় আজ তারা মুখ ফিরিয়ে নিচ্ছে। কারণ একতরফা খেলায় কোন আনন্দ বা বাহাদুরির কিছু নেই। কারণ গ্লোবালাইজেশনের এই বিশ্বে বাংলাদেশ কোন বিচ্ছিন্ন দ্বীপ নয়। ৪২ বছর আগে প্রাপ্ত একটা স্বাধীন, সার্বভৌম ও সখ্য জাতি। আমাদের দেশের প্রতিরক্ষা বাহিনী বহির্বিশ্বে শান্তি স্থাপনে ভূমিকা রেখে সুনাম বয়ে আনছে।
মন্তব্য করুন