শ্রীমঙ্গলের আলোচিত একই পরিবারের ৩ হত্যা মামলা : ৪ আসামীর বিরুদ্ধে প্রসিকিউশন বন্ধ রাখার সিদ্ধান্ত স্বরাষ্ট্রমন্ত্রণালয়ের
ফৌজদারি কার্যবিধি অনুযায়ী শ্রীমঙ্গলে একই পরিবারের তিন নাবালক কুলসুম (১৬), জেসমিন (৬) ও খলিল (১০) হত্যা মামলার চার আসামীর বিরুদ্ধে দায়েরকৃত মামলার প্রসিকিউশন বন্ধ রাখার সিদ্ধান্ত গ্রহণ করেছে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রণালয়। স্বরাষ্ট্রমন্ত্রণালয়ের উপ-সচিব স্বাক্ষরিত মৌলভীবাজার পাবলিক প্রসিকিউটর বরাবরে প্রেরিত অনুলিপিতে এ নির্দেশের কথা জানা যায়। এদিকে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রণালয়ের আইন অধিশাখা-১ এর প্রসিকিউশন বন্ধ রাখার সিদ্ধান্তে বাদীপক্ষের লোকজন সুবিচার বঞ্চিত হওয়ার আশঙ্কা করছেন। গত ৩০ নভেম্বর শনিবার দুপুরে মৌলভীবাজার প্রেসক্লাবে সংবাদ সম্মেলন করে নিহতদের ভাই ও মামলার বাদী রফিক মিয়া ও তার পরিবারর তাদের উদ্বেগের বিষয়টি সাংবাদিকদের জানান। মৌলভীবাজার প্রেসক্লাবে এক সংবাদ সম্মেলনের লিখিত বক্তব্য সূত্রে জানা যায়, শ্রীমঙ্গল উপজেলার ভুুনবী ইউনিয়নের ভীমশি গ্রামের সুরত আলী ওরফে আলা উদ্দিনের সম্পর্কিত বেয়াই আজাদ মিয়ার সাথে দীর্ঘদিন থেকে জায়গা-জমি সংক্রান্ত বিষয়ে মনোমালিন্য চলছিল। ২০০৪ সালের ১৭ অক্টোবর আজাদ মিয়ার ভাতিজি আলাউদ্দিনের ছেলে শফিক মিয়ার স্ত্রী মুর্শেদা বেগম বিষপানে আত্মহত্যা করে। মুর্শেদা হত্যাকে পরিকল্পিত বলে আজাদ মিয়া মুর্শেদার স্বামীর পরিবারের লোকজনকে সন্দেহ করে আসছিল। এ ঘটনার জেরে আলাউদ্দিনের পরিবারের লোকজনকে প্রাণে হত্যার হুমকিসহ তাদের ঘরবাড়ি জ্বালিয়ে দেয়া হয়। পরবর্তীতে ২০০৪ সালে ৩১ অক্টোবর গভীর রাতে ভুনবী ইউনিয়নের সাবেক চেয়ারম্যান ও ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সভাপতি মো. চেরাগ আলীর নেতৃত্বে ভীমশি গ্রামের আজাদ মিয়া তার ভাই দিলু, স্ত্রী রিনা বেগম, ফুলু মিয়া, ভাতিজা খালেদ, স্ত্রী মমতা, ভাবি ছুরুন বিবি, পার্শ্ববর্তী আঐ গ্রামের কাইয়ুম, মনির মিয়া, আলাউদ্দিনসহ অজ্ঞাত চার পাঁচজন লোক মিলে আলাউদ্দিনের নাবালাক তিন সন্তান কুলসুম (১৬), জেসমিন (৬) ও খলিল (১০)-কে নির্মমভাবে হত্যা করে। এ ঘটনায় নিহতদের ভাই রফিক মিয়া বাদী হয়ে শ্রীমঙ্গল থানায় উল্লেখিত ব্যক্তিদের নাম উল্লেখ করে একটি মামলা দায়ের করেন। কিন্তু অজ্ঞাত কারণে পুলিশ শুধুমাত্র আজাদ মিয়া, জিলু মিয়া ও ফুলু মিয়াসহ অজ্ঞাত ১০/১২জনকে আসামী করে মামলা তালিকাভূক্ত (এফআইআর) করে। এ মামলায় সকল আসামীদের নাম উল্লেখ না থাকায় ২০০৪ সালের ৩ নভেম্বর রফিক মিয়া মৌলভীবাজার ১নং প্রথম শ্রেণীর আমলী আদালতে হত্যার সাথে জড়িত সকলকে আসামী করে দরখাস্ত করলে আদালত শ্রীমঙ্গল থানা পুলিশকে আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণের নির্দেশ দেয়। আদালতের নির্দেশে মামলার তৎকালীন তদন্তকারি কর্মকর্তা পরিমল পূণঃতদন্ত করে চেরাগ আলী, আজাদ মিয়া, জিলু মিয়া, ফুলু মিয়া, আব্দুল কাইয়ূম, মনির মিয়া, আলাউদ্দিন, খালেদ, ছুরুন বিবি, রিনা বেগম ও মমতা বেগমের বিরুদ্ধে অভিযোগ দাখিল করেন। যা দায়রা ১৫০/০৫ইং মূলে দায়রা জজ আদালতে বিচারাধীন আছে। এ পর্যন্ত এ মামলায় ২১ জন সাক্ষীর মধ্যে ১৯জন সাক্ষী সাক্ষ্য প্রদান করেছেন। গত ১৫ সেপ্টেম্বর ২০১৩ গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশ সরকারের অধিশাখা-১ এর উপ-সচিব মিজানুর রহমান স্বাক্ষরিত ৪৪.০০.০০০০.০৫৫.০৫.০০১.২০১৩-১২১১ স্মারকযুক্ত ফৌজদারী কার্যবিধি ১৮৯৮ এর ৪৯৪ ধারার আওতায় মামলা থেকে আসামী চেরাগ আলী, আব্দুল কাইয়ূম পিতা মৃত উমর আলী, মো. মনির মিয়া পিতা মৃত সর আলী, মো. আলা উদ্দিন পিতা হাজি কনু মিয়াকে অব্যাহতি প্রদানের জন্য মৌলভীবাজার পাবলিক প্রসিকিউটর বরাবরে অনুলিপি প্রদান করা হয়েছে। অনুলিপি অনুয়ায়ী পিপি ভুবনেশ্বর পুরকায়স্থ দায়রা জজ আদালতে এই চার আসামীর অব্যহাতি আবেদন করেছেন বলে জানা গেছে। মামলার বাদী রফিক মিয়া সাংবাদিকদের জানান, দীর্ঘ ৯ বছর ন্যায় বিচারের আশায় মামলা চালিয়ে আসছি। বর্তমানে মামলাটি বিচারের শেষ পর্যায়ে রয়েছে। এমতাবস্থায় আসামীরা মামলা থেকে অব্যাহতি পেলে আমার নাবালক দুই বোন ও এক ভাইয়ের নৃশংস খুনের মামলার সুবিচার বঞ্চিত হইব। তিনি এ ব্যাপারে সংবাদিক ও মানবাধিকার কর্মীদের সহযোগিতা কামনা করেন। এ ব্যাপারে পিপি ভুবনেশ্বর পুরকায়স্থ মোবাইল ফোনে ১ ডিসেম্বর জানান, স্বরাষ্টমন্ত্রণালয়ের অনুলিপি আমার হস্তগত হয়েছে। আমি অনুলিপিটি জেলা ও দায়রা জজ আদালতে প্রেরণ করেছি। আদালত নিয়ম অনুযায়ী পরবর্তী কার্যক্রম গ্রহণ করবে। এক প্রশ্নের জবাবে পিপি বলেন, প্রথম মামলায় চেরাগ আলীসহ উল্লেখিত ৪ আসামীর নাম না থাকায় স্বরাষ্টমন্ত্রণালয় প্রসিকিউশন বন্ধ রাখার সিদ্ধান্ত নিতে পারে।
ফৌজদারি কার্যবিধি অনুযায়ী শ্রীমঙ্গলে একই পরিবারের তিন নাবালক কুলসুম (১৬), জেসমিন (৬) ও খলিল (১০) হত্যা মামলার চার আসামীর বিরুদ্ধে দায়েরকৃত মামলার প্রসিকিউশন বন্ধ রাখার সিদ্ধান্ত গ্রহণ করেছে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রণালয়। স্বরাষ্ট্রমন্ত্রণালয়ের উপ-সচিব স্বাক্ষরিত মৌলভীবাজার পাবলিক প্রসিকিউটর বরাবরে প্রেরিত অনুলিপিতে এ নির্দেশের কথা জানা যায়। এদিকে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রণালয়ের আইন অধিশাখা-১ এর প্রসিকিউশন বন্ধ রাখার সিদ্ধান্তে বাদীপক্ষের লোকজন সুবিচার বঞ্চিত হওয়ার আশঙ্কা করছেন। গত ৩০ নভেম্বর শনিবার দুপুরে মৌলভীবাজার প্রেসক্লাবে সংবাদ সম্মেলন করে নিহতদের ভাই ও মামলার বাদী রফিক মিয়া ও তার পরিবারর তাদের উদ্বেগের বিষয়টি সাংবাদিকদের জানান। মৌলভীবাজার প্রেসক্লাবে এক সংবাদ সম্মেলনের লিখিত বক্তব্য সূত্রে জানা যায়, শ্রীমঙ্গল উপজেলার ভুুনবী ইউনিয়নের ভীমশি গ্রামের সুরত আলী ওরফে আলা উদ্দিনের সম্পর্কিত বেয়াই আজাদ মিয়ার সাথে দীর্ঘদিন থেকে জায়গা-জমি সংক্রান্ত বিষয়ে মনোমালিন্য চলছিল। ২০০৪ সালের ১৭ অক্টোবর আজাদ মিয়ার ভাতিজি আলাউদ্দিনের ছেলে শফিক মিয়ার স্ত্রী মুর্শেদা বেগম বিষপানে আত্মহত্যা করে। মুর্শেদা হত্যাকে পরিকল্পিত বলে আজাদ মিয়া মুর্শেদার স্বামীর পরিবারের লোকজনকে সন্দেহ করে আসছিল। এ ঘটনার জেরে আলাউদ্দিনের পরিবারের লোকজনকে প্রাণে হত্যার হুমকিসহ তাদের ঘরবাড়ি জ্বালিয়ে দেয়া হয়। পরবর্তীতে ২০০৪ সালে ৩১ অক্টোবর গভীর রাতে ভুনবী ইউনিয়নের সাবেক চেয়ারম্যান ও ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সভাপতি মো. চেরাগ আলীর নেতৃত্বে ভীমশি গ্রামের আজাদ মিয়া তার ভাই দিলু, স্ত্রী রিনা বেগম, ফুলু মিয়া, ভাতিজা খালেদ, স্ত্রী মমতা, ভাবি ছুরুন বিবি, পার্শ্ববর্তী আঐ গ্রামের কাইয়ুম, মনির মিয়া, আলাউদ্দিনসহ অজ্ঞাত চার পাঁচজন লোক মিলে আলাউদ্দিনের নাবালাক তিন সন্তান কুলসুম (১৬), জেসমিন (৬) ও খলিল (১০)-কে নির্মমভাবে হত্যা করে। এ ঘটনায় নিহতদের ভাই রফিক মিয়া বাদী হয়ে শ্রীমঙ্গল থানায় উল্লেখিত ব্যক্তিদের নাম উল্লেখ করে একটি মামলা দায়ের করেন। কিন্তু অজ্ঞাত কারণে পুলিশ শুধুমাত্র আজাদ মিয়া, জিলু মিয়া ও ফুলু মিয়াসহ অজ্ঞাত ১০/১২জনকে আসামী করে মামলা তালিকাভূক্ত (এফআইআর) করে। এ মামলায় সকল আসামীদের নাম উল্লেখ না থাকায় ২০০৪ সালের ৩ নভেম্বর রফিক মিয়া মৌলভীবাজার ১নং প্রথম শ্রেণীর আমলী আদালতে হত্যার সাথে জড়িত সকলকে আসামী করে দরখাস্ত করলে আদালত শ্রীমঙ্গল থানা পুলিশকে আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণের নির্দেশ দেয়। আদালতের নির্দেশে মামলার তৎকালীন তদন্তকারি কর্মকর্তা পরিমল পূণঃতদন্ত করে চেরাগ আলী, আজাদ মিয়া, জিলু মিয়া, ফুলু মিয়া, আব্দুল কাইয়ূম, মনির মিয়া, আলাউদ্দিন, খালেদ, ছুরুন বিবি, রিনা বেগম ও মমতা বেগমের বিরুদ্ধে অভিযোগ দাখিল করেন। যা দায়রা ১৫০/০৫ইং মূলে দায়রা জজ আদালতে বিচারাধীন আছে। এ পর্যন্ত এ মামলায় ২১ জন সাক্ষীর মধ্যে ১৯জন সাক্ষী সাক্ষ্য প্রদান করেছেন। গত ১৫ সেপ্টেম্বর ২০১৩ গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশ সরকারের অধিশাখা-১ এর উপ-সচিব মিজানুর রহমান স্বাক্ষরিত ৪৪.০০.০০০০.০৫৫.০৫.০০১.২০১৩-১২১১ স্মারকযুক্ত ফৌজদারী কার্যবিধি ১৮৯৮ এর ৪৯৪ ধারার আওতায় মামলা থেকে আসামী চেরাগ আলী, আব্দুল কাইয়ূম পিতা মৃত উমর আলী, মো. মনির মিয়া পিতা মৃত সর আলী, মো. আলা উদ্দিন পিতা হাজি কনু মিয়াকে অব্যাহতি প্রদানের জন্য মৌলভীবাজার পাবলিক প্রসিকিউটর বরাবরে অনুলিপি প্রদান করা হয়েছে। অনুলিপি অনুয়ায়ী পিপি ভুবনেশ্বর পুরকায়স্থ দায়রা জজ আদালতে এই চার আসামীর অব্যহাতি আবেদন করেছেন বলে জানা গেছে। মামলার বাদী রফিক মিয়া সাংবাদিকদের জানান, দীর্ঘ ৯ বছর ন্যায় বিচারের আশায় মামলা চালিয়ে আসছি। বর্তমানে মামলাটি বিচারের শেষ পর্যায়ে রয়েছে। এমতাবস্থায় আসামীরা মামলা থেকে অব্যাহতি পেলে আমার নাবালক দুই বোন ও এক ভাইয়ের নৃশংস খুনের মামলার সুবিচার বঞ্চিত হইব। তিনি এ ব্যাপারে সংবাদিক ও মানবাধিকার কর্মীদের সহযোগিতা কামনা করেন। এ ব্যাপারে পিপি ভুবনেশ্বর পুরকায়স্থ মোবাইল ফোনে ১ ডিসেম্বর জানান, স্বরাষ্টমন্ত্রণালয়ের অনুলিপি আমার হস্তগত হয়েছে। আমি অনুলিপিটি জেলা ও দায়রা জজ আদালতে প্রেরণ করেছি। আদালত নিয়ম অনুযায়ী পরবর্তী কার্যক্রম গ্রহণ করবে। এক প্রশ্নের জবাবে পিপি বলেন, প্রথম মামলায় চেরাগ আলীসহ উল্লেখিত ৪ আসামীর নাম না থাকায় স্বরাষ্টমন্ত্রণালয় প্রসিকিউশন বন্ধ রাখার সিদ্ধান্ত নিতে পারে। স্টাফ রিপোর্টার॥
মন্তব্য করুন