মা টাকা না দেয়ায়- কমলগঞ্জে পিতার বর্বর নির্যাতনের শিকার মেয়ে

October 18, 2013,

মায়ের কাছ থেকে টাকা না পেয়ে কমলগঞ্জে স্কুল পড়–য়া এক কিশোরীকে বর্বর নির্যাতন চালিয়েছে পাষন্ড পিতা। পনের দিন যাবত ঘরে বন্দি রেখে মাথা ন্যাড়া করে, শরীরের বিভিন্ন স্থানে সুই দিয়ে ঘা মেরে এবং একবেলা লবন ভাত দিয়ে নির্যাতন চালায় পিতা। ঈদের পর গরম পানি ঢেলে নির্যাতনের পর মেরে ফেলার হুমকির ভয়ে অসহায় কিশোরীটি গোপনে মধ্যরাতে থানায় আশ্রয় নিলে পুলিশ নির্যাতনকারী পিতার জিম্মায় মেয়েকে ছেড়ে দেয়। এ নিয়ে এলাকায় নিন্দার ঝড় উঠেছে। ঘটনাটি ঘটেছে উপজেলার আলীনগর ইউনিয়নের জালালিয়া গ্রামে। মামা মবশ্বির আলীর হেফাজতে থাকা অবস্থায় গত ১৭ অক্টোবর বৃহষ্পতিবার বিকালে নছরতপুর গ্রামে গেলে ১৫ বছর বয়সী নির্যাতিত কিশোরী জানায়, ‘মাথার চুল কাটিয়া, শরীরের বিভিন্ন স্থানে সুই ঢুকাইয়া, হাতে আগুন দিয়া, ঘরে দড়ি দিয়ে বাঁধিয়া রাখিয়া এবং দুপুরে মাত্র এক বেলা সাদা ভাত দিয়া আমার আব্বা আমারে নির্যাতন করছইন। গত প্রিটেষ্ট পরীক্ষার সময়ও নির্যাতন করছইন। চেয়ারম্যানের কাছে গিয়া আশ্রয় নিতে গেলে চেয়ারম্যানও আশ্রয় দেইন না। আব্বা, চাচা ও চাচাতো ভাই মিলিয়া আমার উপর এভাবে নির্যাতন চালাইছন। আমার আম্মারেও নির্যাতন করিয়া হাত ভাঙ্গিয়া দিছইন। এক বছর আগে আম্মা বিদেশে গেছইন। আম্মা আব্বাকে টাকা না দেওয়ায় আমারে এই নির্যাতন শুরু করছইন।’ মেয়েটি আরও জানায়, আগামী সোমবার টেষ্ট পরীক্ষা। শুক্রবার তার মাথার চুল কেটে ন্যাড়া করা হয়। ঈদের পর তার শরীরে গরম পানি ঢেলে তাকে প্রাণে মারার হুমকি দেয়া হলে সে আতঙ্কে গোপনে ঘর থেকে বের হয়ে বুধবার রাত ১২ টায় কমলগঞ্জ থানায় আশ্রয় নিয়ে এসব বিষয়ে মৌখিক অভিযোগ করে। এরপর ওসি এক দিনের জন্য তার মামা মবশ্বির আলীর জিম্মায় ছেড়ে দেন। নির্যাতিত কিশোরী কমলগঞ্জ বালিকা উচ্চ বিদ্যালয়ের ২০১৪ সনের এসএসসি পরীক্ষার্থী। নির্যাতিতা ছাত্রী আরও জানায়, তার বাবা আব্দুল মালেক নানা অপরাধের সাথে জড়িত। ভয়ে এলাকার কেউ তার বিরুদ্ধে কথা বলতে পারছে না। বাবার নির্যাতন সইতে না পেরে ইতিপূর্বে সে ইউপি চেয়ারম্যানের কাছে গিয়ে আশ্রয় নিতে চাইলে চেয়ারম্যানও তাহাকে কোন আশ্রয় দেননি বলে অভিযোগ তোলে। জানা যায়, আব্দুল মালিকের বিরুদ্ধে ডাকাতিসহ কমলগঞ্জ থানায় একাধিক অভিযোগ রয়েছে। বছর দুই আগে কমলগঞ্জে সাংবাদিক সুব্রত দেব রায়কে কূপিয়ে আহতসহ বিভিন্ন অভিযোগে অভিযুক্ত। অভিযোগ বিষয়ে আব্দুল মালিকে সাথে কথা বলার চেষ্টা করলেও তিনি সাংবাদিকদের সাথে কোন কথা বলতে রাজি হননি। তবে স্থানীয় একটি সূত্রে জানা যায়, মোবাইল ফোনে ছেলেদের সাথে কথা বলার জন্য আব্দুল মালিক তার কিশোরী মেয়েকে নির্যাতন করেন। তবে ঘটনা বিষয়ে আলীনগর ইউপি চেয়ারম্যান ফজলুল হক বলেন, এ ঘটনা বিষয়ে কিছুই জানেন না। খোঁজ নিয়ে দেখবেন। কমলগঞ্জ থানার ওসি নিহার রঞ্জন নাথ অভিযোগের কথা স্বীকার করে বলেন, মেয়ের বাবা তাকে শাসন করেছে। তবে এটি অতিরিক্ত শাসন হয়ে গেছে। এ ঘটনায় বৃহষ্পতিবার সন্ধ্যায় থানায় এসে মেয়ের বাবা ও চাচা অহেতুক নির্যাতন করা হবে না মর্মে বন্ড দিলে চাচার জিম্মায় তাকে দেওয়া হয়েছে।
মায়ের কাছ থেকে টাকা না পেয়ে কমলগঞ্জে স্কুল পড়–য়া এক কিশোরীকে বর্বর নির্যাতন চালিয়েছে পাষন্ড পিতা। পনের দিন যাবত ঘরে বন্দি রেখে মাথা ন্যাড়া করে, শরীরের বিভিন্ন স্থানে সুই দিয়ে ঘা মেরে এবং একবেলা লবন ভাত দিয়ে নির্যাতন চালায় পিতা। ঈদের পর গরম পানি ঢেলে নির্যাতনের পর মেরে ফেলার হুমকির ভয়ে অসহায় কিশোরীটি গোপনে মধ্যরাতে থানায় আশ্রয় নিলে পুলিশ নির্যাতনকারী পিতার জিম্মায় মেয়েকে ছেড়ে দেয়। এ নিয়ে এলাকায় নিন্দার ঝড় উঠেছে। ঘটনাটি ঘটেছে উপজেলার আলীনগর ইউনিয়নের জালালিয়া গ্রামে। মামা মবশ্বির আলীর হেফাজতে থাকা অবস্থায় গত ১৭ অক্টোবর বৃহষ্পতিবার বিকালে নছরতপুর গ্রামে গেলে ১৫ বছর বয়সী নির্যাতিত কিশোরী জানায়, ‘মাথার চুল কাটিয়া, শরীরের বিভিন্ন স্থানে সুই ঢুকাইয়া, হাতে আগুন দিয়া, ঘরে দড়ি দিয়ে বাঁধিয়া রাখিয়া এবং দুপুরে মাত্র এক বেলা সাদা ভাত দিয়া আমার আব্বা আমারে নির্যাতন করছইন। গত প্রিটেষ্ট পরীক্ষার সময়ও নির্যাতন করছইন। চেয়ারম্যানের কাছে গিয়া আশ্রয় নিতে গেলে চেয়ারম্যানও আশ্রয় দেইন না। আব্বা, চাচা ও চাচাতো ভাই মিলিয়া আমার উপর এভাবে নির্যাতন চালাইছন। আমার আম্মারেও নির্যাতন করিয়া হাত ভাঙ্গিয়া দিছইন। এক বছর আগে আম্মা বিদেশে গেছইন। আম্মা আব্বাকে টাকা না দেওয়ায় আমারে এই নির্যাতন শুরু করছইন।’ মেয়েটি আরও জানায়, আগামী সোমবার টেষ্ট পরীক্ষা। শুক্রবার তার মাথার চুল কেটে ন্যাড়া করা হয়। ঈদের পর তার শরীরে গরম পানি ঢেলে তাকে প্রাণে মারার হুমকি দেয়া হলে সে আতঙ্কে গোপনে ঘর থেকে বের হয়ে বুধবার রাত ১২ টায় কমলগঞ্জ থানায় আশ্রয় নিয়ে এসব বিষয়ে মৌখিক অভিযোগ করে। এরপর ওসি এক দিনের জন্য তার মামা মবশ্বির আলীর জিম্মায় ছেড়ে দেন। নির্যাতিত কিশোরী কমলগঞ্জ বালিকা উচ্চ বিদ্যালয়ের ২০১৪ সনের এসএসসি পরীক্ষার্থী। নির্যাতিতা ছাত্রী আরও জানায়, তার বাবা আব্দুল মালেক নানা অপরাধের সাথে জড়িত। ভয়ে এলাকার কেউ তার বিরুদ্ধে কথা বলতে পারছে না। বাবার নির্যাতন সইতে না পেরে ইতিপূর্বে সে ইউপি চেয়ারম্যানের কাছে গিয়ে আশ্রয় নিতে চাইলে চেয়ারম্যানও তাহাকে কোন আশ্রয় দেননি বলে অভিযোগ তোলে। জানা যায়, আব্দুল মালিকের বিরুদ্ধে ডাকাতিসহ কমলগঞ্জ থানায় একাধিক অভিযোগ রয়েছে। বছর দুই আগে কমলগঞ্জে সাংবাদিক সুব্রত দেব রায়কে কূপিয়ে আহতসহ বিভিন্ন অভিযোগে অভিযুক্ত। অভিযোগ বিষয়ে আব্দুল মালিকে সাথে কথা বলার চেষ্টা করলেও তিনি সাংবাদিকদের সাথে কোন কথা বলতে রাজি হননি। তবে স্থানীয় একটি সূত্রে জানা যায়, মোবাইল ফোনে ছেলেদের সাথে কথা বলার জন্য আব্দুল মালিক তার কিশোরী মেয়েকে নির্যাতন করেন। তবে ঘটনা বিষয়ে আলীনগর ইউপি চেয়ারম্যান ফজলুল হক বলেন, এ ঘটনা বিষয়ে কিছুই জানেন না। খোঁজ নিয়ে দেখবেন। কমলগঞ্জ থানার ওসি নিহার রঞ্জন নাথ অভিযোগের কথা স্বীকার করে বলেন, মেয়ের বাবা তাকে শাসন করেছে। তবে এটি অতিরিক্ত শাসন হয়ে গেছে। এ ঘটনায় বৃহষ্পতিবার সন্ধ্যায় থানায় এসে মেয়ের বাবা ও চাচা অহেতুক নির্যাতন করা হবে না মর্মে বন্ড দিলে চাচার জিম্মায় তাকে দেওয়া হয়েছে। কমলগঞ্জ প্রতিনিধি॥

সংবাদটি শেয়ার করতে নিচের “আপনার প্রিয় শেয়ার বাটনটিতে ক্লিক করুন”

মন্তব্য করুন

Social Media Auto Publish Powered By : XYZScripts.com