সরকারী রাস্তা, খাস ভুমি দখল করে জনবসতি এলাকায় পোল্ট্রি হ্যাচারী স্থাপন করার অভিযোগ
মৌলভীবাজারের কমলগঞ্জ উপজেলার রহিমপুর ইউনিয়নের চৈত্রঘাট ধলাই নদীর তীর, সরকারী রাস্তা ও খাস ভুমি দখল করে জনবসতি এলাকায় পরিবেশ দূষণকারী পোল্ট্রি হ্যাচারী নির্মাণের কাজ চলছে। অবৈধভাবে নদী থেকে বালু উত্তোলন করে প্রকল্প এলাকা ভরাটের কাজ চলছে। পোল্ট্রি হ্যাচারী নির্মাণ করা হলে বায়ু দূষণ, শব্দ দূষণ হয়ে ধলাই নদীর তীরে বসবাসকারীরা মারাত্মকভাবে ক্ষতির সম্মুখীন হবেন। এ ব্যাপারে চৈত্রঘাট ও প্রতাপীর গ্রামবাসীরা মৌলভীবাজার জেলা প্রশাসক বরাবরে লিখিত অভিযোগ করেছেন। যার অনুলিপি প্রধানমন্ত্রী থেকে শুরু করে বিভিন্ন দপ্তরে প্রদান করা হয়েছে। জনসাধারণের চলাচলের জন্য ১৮ থেকে ২৫ ফুট প্রস্থ রাস্তাসহ সরকারী খাস ভুমি দখল করে একটি পোল্ট্রি হ্যাচারী করার উদ্যোগের বিরোধিতা করেছেন মৌলভীবাজার জেলার কমলগঞ্জ উপজেলার রহিমপুর ইউনিয়নের চৈত্রঘাট ও প্রতাপি গ্রামের বাসিন্দারা। বর্তমানে পোল্ট্রি হ্যাচারী করার লক্ষ্যে বাউন্ডারী দেয়াল তৈরীর কাজ চলছে বলে জানা গেছে। ঢাকার আলাওল এভিনিউ, উত্তরা ৬ নং, বাড়ী নং ২৮ এ অবস্থিত থাইল্যান্ড ভিত্তিক এগ্রো এন্ড ফুড কোম্পানী সিপি বাংলাদেশ কোং লিমিটেড নামের একটি কোম্পানী প্রায় ৪ একর ব্যক্তি মালিকানাধীন ভুমি ক্রয় করে প্রায় ৫ থেকে ৮ একর জনসাধারণের চলাচলের রাস্তা ও নদীর তীরবর্তী খাস ভুমি দখল করে পোল্ট্রি হ্যাচারী করার পায়তারা চালাচ্ছে। স্থানীয় কিছু প্রভাবশালীর সহযোগীতায় ভুমিখেকোরা দীর্ঘদিন ধরে উক্ত ভুমি দখলের চেষ্টায় লিপ্ত রয়েছে। ব্যক্তি মালিকানাধীন ভুমিতে একটি ব্রিক ফিল্ড করা হয়েছিল, স্থানীয় বাসিন্দাদের প্রতিবাদের মূখে উক্ত ব্রিকফিল্ড প্রায় তিন বছর বন্ধ ছিল। ব্রিক ফিল্ড এর ভুমিসহ সরকারী সড়ক ও সরকারী খাস ভুমি নিয়ে পোল্ট্রি হ্যাচারী করা হচ্ছে। গ্রামের বস্তি এলাকায় পোল্ট্রি হ্যাচারী করলে এলাকার বায়ু ও পরিবেশ দুষিত হবে। সাধারণ গরীব মানুষগুলোর বসবাসের অযোগ্য হয়ে পড়বে এ আবাসস্থল। পরিবেশ দূষণের কবলে পড়বে গোটা এলাকা। বাণিজ্যিক প্রতিষ্টান গ্রামের বস্তিতে করার কারণ কি তা কারো বোধগম্য হচ্ছে না। জনসাধারণের চলাচলের সরকারী রাস্তা ও সরকারী ভুমি দখলকারীদের সাথে যেকোন সময় এলাকাবাসীদের বড় ধরণের সংঘর্ষ ঘটতে পারে বলে আশংকা করা হচ্ছে। প্রতাবী ও চৈত্রঘাট গ্রামের শতাধিক অসহায় ও বিধবা ভুমিহীন রয়েছে। সরকারের খাস খতিয়ানের ভুমি প্রতাবী এবং চৈত্রঘাট গ্রামের ভুমিহীনদেরকে স্থায়ী বন্দোবস্ত দেয়ার জন্য দাবী জানিয়েছেন এলাকার ভূমিহীনরা। এলাকার শতাধিক ব্যক্তি সরকারী রাস্তা, খাস ভুমি দখল করে জনবসতি এলাকায় পরিবেশ দূষণকারী পোল্ট্রি হ্যাচারী স্থাপন বন্ধ করার দাবী জানিয়ে জেলা প্রশাসকের বরাবরে আবেদনপত্র পাঠিয়েছেন। এর অনুলিপি প্রধানমন্ত্রী, স্থানীয় সরকার ও পল্লী উন্নয়ন মন্ত্রী, যোগাযোগ মন্ত্রী, মন্ত্রী, বন ও পরিবেশ মন্ত্রনালয়, মন্ত্রী, পানি সম্পদ মন্ত্রনালয়, মন্ত্রী, ভুমি মন্ত্রণালয়, চীপ হুইপ আব্দুস শহীদ, জাতীয় সংসদ, সংসদ ভবন, প্রশাসক, জেলা পরিষদ, বিভাগীয় কমিশনার, সিলেট বিভাগ, পুলিশ সুপার, মৌলভীবাজারসহ বিভিন্ন দফতরে পাঠানো হয়েছে। সরজমিন দেখা যায়, চৈত্রঘাট এলাকায় ধলাই নদীর তীরে বাউন্ডারী দেয়া হচ্ছে। মধ্য স্থানে বিশাল বিশাল কয়েকটি ঘরে কাজ চলছে। এছাড়া অবৈধভাবে পাম্প দিয়ে ধলাই নদী থেকে বালূ উত্তোলন করা হচ্ছে। এতে সরকার রাজস্ব থেকে বঞ্চিত হচ্ছে। মৌলভীবাজারের জেলা প্রশাসক মো. কামরুল ইসলাম বলেন, এ ব্যাপারে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেয়া হবে। সিপি বাংলাদেশের এডমিন অফিসার আশরাফ এর সাথে মুঠোফোনে আলাপকালে জানান, বিষয়টি তাদের জানা নেই। সিপি বাংলাদেশ কোং লিমিটেডের মি. ইবান নামের এক কর্মকর্তা নিজের পদবী গোপন করে বলেন, আমরা ভবন ভাড়া নিয়ে ব্যবসা করি। সরকারী জমিতে নির্মিত ভবনে ভাড়া নেয়ার প্রশ্নই উঠেনা। তার বক্তব্য রের্কড করতে চাইলে লাইন কেটে মোবাইল বন্ধ করে দেন।
মৌলভীবাজারের কমলগঞ্জ উপজেলার রহিমপুর ইউনিয়নের চৈত্রঘাট ধলাই নদীর তীর, সরকারী রাস্তা ও খাস ভুমি দখল করে জনবসতি এলাকায় পরিবেশ দূষণকারী পোল্ট্রি হ্যাচারী নির্মাণের কাজ চলছে। অবৈধভাবে নদী থেকে বালু উত্তোলন করে প্রকল্প এলাকা ভরাটের কাজ চলছে। পোল্ট্রি হ্যাচারী নির্মাণ করা হলে বায়ু দূষণ, শব্দ দূষণ হয়ে ধলাই নদীর তীরে বসবাসকারীরা মারাত্মকভাবে ক্ষতির সম্মুখীন হবেন। এ ব্যাপারে চৈত্রঘাট ও প্রতাপীর গ্রামবাসীরা মৌলভীবাজার জেলা প্রশাসক বরাবরে লিখিত অভিযোগ করেছেন। যার অনুলিপি প্রধানমন্ত্রী থেকে শুরু করে বিভিন্ন দপ্তরে প্রদান করা হয়েছে। জনসাধারণের চলাচলের জন্য ১৮ থেকে ২৫ ফুট প্রস্থ রাস্তাসহ সরকারী খাস ভুমি দখল করে একটি পোল্ট্রি হ্যাচারী করার উদ্যোগের বিরোধিতা করেছেন মৌলভীবাজার জেলার কমলগঞ্জ উপজেলার রহিমপুর ইউনিয়নের চৈত্রঘাট ও প্রতাপি গ্রামের বাসিন্দারা। বর্তমানে পোল্ট্রি হ্যাচারী করার লক্ষ্যে বাউন্ডারী দেয়াল তৈরীর কাজ চলছে বলে জানা গেছে। ঢাকার আলাওল এভিনিউ, উত্তরা ৬ নং, বাড়ী নং ২৮ এ অবস্থিত থাইল্যান্ড ভিত্তিক এগ্রো এন্ড ফুড কোম্পানী সিপি বাংলাদেশ কোং লিমিটেড নামের একটি কোম্পানী প্রায় ৪ একর ব্যক্তি মালিকানাধীন ভুমি ক্রয় করে প্রায় ৫ থেকে ৮ একর জনসাধারণের চলাচলের রাস্তা ও নদীর তীরবর্তী খাস ভুমি দখল করে পোল্ট্রি হ্যাচারী করার পায়তারা চালাচ্ছে। স্থানীয় কিছু প্রভাবশালীর সহযোগীতায় ভুমিখেকোরা দীর্ঘদিন ধরে উক্ত ভুমি দখলের চেষ্টায় লিপ্ত রয়েছে। ব্যক্তি মালিকানাধীন ভুমিতে একটি ব্রিক ফিল্ড করা হয়েছিল, স্থানীয় বাসিন্দাদের প্রতিবাদের মূখে উক্ত ব্রিকফিল্ড প্রায় তিন বছর বন্ধ ছিল। ব্রিক ফিল্ড এর ভুমিসহ সরকারী সড়ক ও সরকারী খাস ভুমি নিয়ে পোল্ট্রি হ্যাচারী করা হচ্ছে। গ্রামের বস্তি এলাকায় পোল্ট্রি হ্যাচারী করলে এলাকার বায়ু ও পরিবেশ দুষিত হবে। সাধারণ গরীব মানুষগুলোর বসবাসের অযোগ্য হয়ে পড়বে এ আবাসস্থল। পরিবেশ দূষণের কবলে পড়বে গোটা এলাকা। বাণিজ্যিক প্রতিষ্টান গ্রামের বস্তিতে করার কারণ কি তা কারো বোধগম্য হচ্ছে না। জনসাধারণের চলাচলের সরকারী রাস্তা ও সরকারী ভুমি দখলকারীদের সাথে যেকোন সময় এলাকাবাসীদের বড় ধরণের সংঘর্ষ ঘটতে পারে বলে আশংকা করা হচ্ছে। প্রতাবী ও চৈত্রঘাট গ্রামের শতাধিক অসহায় ও বিধবা ভুমিহীন রয়েছে। সরকারের খাস খতিয়ানের ভুমি প্রতাবী এবং চৈত্রঘাট গ্রামের ভুমিহীনদেরকে স্থায়ী বন্দোবস্ত দেয়ার জন্য দাবী জানিয়েছেন এলাকার ভূমিহীনরা। এলাকার শতাধিক ব্যক্তি সরকারী রাস্তা, খাস ভুমি দখল করে জনবসতি এলাকায় পরিবেশ দূষণকারী পোল্ট্রি হ্যাচারী স্থাপন বন্ধ করার দাবী জানিয়ে জেলা প্রশাসকের বরাবরে আবেদনপত্র পাঠিয়েছেন। এর অনুলিপি প্রধানমন্ত্রী, স্থানীয় সরকার ও পল্লী উন্নয়ন মন্ত্রী, যোগাযোগ মন্ত্রী, মন্ত্রী, বন ও পরিবেশ মন্ত্রনালয়, মন্ত্রী, পানি সম্পদ মন্ত্রনালয়, মন্ত্রী, ভুমি মন্ত্রণালয়, চীপ হুইপ আব্দুস শহীদ, জাতীয় সংসদ, সংসদ ভবন, প্রশাসক, জেলা পরিষদ, বিভাগীয় কমিশনার, সিলেট বিভাগ, পুলিশ সুপার, মৌলভীবাজারসহ বিভিন্ন দফতরে পাঠানো হয়েছে। সরজমিন দেখা যায়, চৈত্রঘাট এলাকায় ধলাই নদীর তীরে বাউন্ডারী দেয়া হচ্ছে। মধ্য স্থানে বিশাল বিশাল কয়েকটি ঘরে কাজ চলছে। এছাড়া অবৈধভাবে পাম্প দিয়ে ধলাই নদী থেকে বালূ উত্তোলন করা হচ্ছে। এতে সরকার রাজস্ব থেকে বঞ্চিত হচ্ছে। মৌলভীবাজারের জেলা প্রশাসক মো. কামরুল ইসলাম বলেন, এ ব্যাপারে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেয়া হবে। সিপি বাংলাদেশের এডমিন অফিসার আশরাফ এর সাথে মুঠোফোনে আলাপকালে জানান, বিষয়টি তাদের জানা নেই। সিপি বাংলাদেশ কোং লিমিটেডের মি. ইবান নামের এক কর্মকর্তা নিজের পদবী গোপন করে বলেন, আমরা ভবন ভাড়া নিয়ে ব্যবসা করি। সরকারী জমিতে নির্মিত ভবনে ভাড়া নেয়ার প্রশ্নই উঠেনা। তার বক্তব্য রের্কড করতে চাইলে লাইন কেটে মোবাইল বন্ধ করে দেন। স্টাফ রিপোর্টার॥
মন্তব্য করুন