শ্রী শ্রী কৃষ্ণের আবির্ভাব তিথি উদযাপন: সিলেটে সর্বধর্মীয় সম্প্রীতির ঐতিহ্য ধরে রাখতে হবে — আরিফুল হক চৌধুরী
সিলেটের মেয়র আরিফুল হক চৌধুরী বলেছেন, সিলেটে সর্বধর্মীয় সম্প্রীতির ঐতিহ্য ধরে রাখতে হবে। সম্প্রীতির বন্ধন অব্যাহত রাখার মাধ্যমেই সিলেট নগরীর শান্তি-শৃংখলা রক্ষা ও উন্নয়ণ কর্মকান্ড অব্যাহত রাখা সম্ভব। তিনি বলেন, সিলেটকে আধ্যাত্মিক পর্যটন নগরী হিসাবে গড়ে তোলা ও বিশ্বে পরিচিত করে তুলতে হলে এখানের ইতিহাস, ঐতিহ্যের যথাযথ সংরক্ষণ ও বিকাশের উদ্যোগ নিতে হবে। বিশ্বকবি রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের সিলেট সফরের ইতিহাস সংরক্ষণ জরুরী। মণিপুরী নৃত্যেরে টানে সিলেটের মাছিমপুর মণিপুরী পাড়ায় ছুটে এসেছিলেন কবিগুরু। সেই ইতিহাস সংরক্ষণে আমাদেরকেই উদ্যোগী হতে হবে। ২৮ আগষ্ট বুধবার সকালে মণিপুরী বিষ্ণুপ্রিয়া জন্মাষ্টমী উদযাপন পরিষদের দিনব্যাপী কর্মসূচি উদ্ধোধনকালে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি একথাগুলো বলেন। এসময় মেয়র মাছিমপুরে সংরক্ষিত বিশ্বকবির আবক্ষ প্রতিকৃতি পর্যবেক্ষণ করেন। অনুষ্ঠান উদ্ধোধন শেষে মেয়রের নেতৃত্বে মাছিমপুর মণিপুরী পাড়া থেকে নগর পরিক্রমা বের করা হয়। এছাড়া মেয়র আরিফুল হক চৌধুরী জন্মাষ্টমী উৎসব উপলক্ষে আয়োজিত ভার্চূয়াল ব্লাড ব্যাংকের উদ্ধোধন করেন মাছিমপুরে। বিষ্ণুপ্রিয়া মণিপুরী ডক্টরস এসোসিয়েশন এই কার্যক্রম পরিচালনা করে বাংলাদেশ মণিপুরী ছাত্র পরিষদ ও সিলেট এমএজি ওসমানী মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল রক্ত পরিসঞ্চালন বিভাগের সহযোগিতায়। সনাতন ধর্মের প্রাণপুরুষ ভগবান শ্রী শ্রী কৃষ্ণের আবির্ভাব তিথি উপলক্ষে সিলেট বিভাগীয় নগরীতে প্রতি বছরের ন্যায় দিনব্যাপী এই কর্মসূচির আয়োজন মণিপুরী বিষ্ণুপ্রিয়া জন্মাষ্টমী উদযাপন পরিষদ। সকালে মাছিমপুর মণিপুরীপাড়া গোবিন্দজীউ মন্দির প্রাঙ্গন থেকে বের করা র্যালী নিম্বার্ক আশ্রম হয়ে আবার মাছিমপুর ফিরে আসে। এদিকে উৎসব প্রাঙ্গনে ভক্তবৃন্দদের জন্য আয়োজিত ভার্চুয়াল ব্লাড ব্যাংক কর্মসূচিতে ফ্রি ব্লাড গ্রুপিং, নিবন্ধীকরণ, ভার্চুয়াল ব্লাড ব্যাংক ডায়েরী, ক্যুইজ প্রতিযোগিতার আয়োজন করা হয়। অন্যান্য কর্মসূচির মধ্যে বেলা সাড়ে ১১টায় ভক্তসঙ্গ সিলেটের পরিচালনায় কাব্য, ব্যাকরণ পুরাতীর্থ হেমন্ত কুমার সিংহ পলাশ শ্রীমদ্ভাগবত পাঠ করেন। বিকেলে গুণীজন সংবর্ধনা ও জন্মাষ্টমীর মাহাত্ম্য বিষয়ে আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত হয়। মণিপুরী বিষ্ণুপ্রিয়া জন্মাষ্টমী উদযাপন পরিষদ সিলেট বিভাগীয় কমিটির সভাপতি সত্যজিত সিংহ সত্যবানের সভাপতিত্বে ও বাংলাদেশ মণিপুরী সমাজ কল্যাণ সমিতি সিলেট জেলা শাখার সভাপতি নির্মল কুমার সিংহের পরিচালনায় অনুষ্ঠানে সংবর্ধিত করা হয় বিশিষ্ঠ মণিপুরী গায়ক গীতশ্রী শ্রী চন্দ্র মোহন সিংহ, বিশিষ্ঠ মণিপুরী গায়ক শ্রী জয়হরি সিংহ, বিশিষ্ঠ মণিপুরী গায়ক শ্রী লক্ষীণ সিংহ, বিশিষ্ঠ মণিপুরী গায়ক শ্রী হরিনারায়ণ সিংহ, বিশিষ্ঠ মণিপুরী মৃদঙ্গ বাদক শ্রী কন্নোং সিংহ, বিশিষ্ঠ মণিপুরী মৃদঙ্গ বাদক শ্রী পূর্ণ সিংহ ও বিশিষ্ঠ কবি ও নাট্যকার শ্রী সুভাশিস সিনহা সমীরকে। আলোচনা ও সংবর্ধনা শেষে জন্মাষ্টমী উদযাপন পরিষদের কর্মকান্ড নিয়ে ইমাথৈ প্রোডাকশনের ডকুমেন্টারী প্রভুর নিঙে প্রদর্শিত হয়। এছাড়া সন্ধ্যায় আরতি, সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান অনুষ্ঠিত হয়। ১২টা ১ মিনিটে ভগবান শ্রী কৃষ্ণের আবির্ভাব স্মরণে দেবালয়ে শঙ্খধ্বনি, উলুধ্বনি, শ্রীশ্রী কৃষ্ণের পূজানুষ্ঠান, আরতি এবং সবশেষে মহাপ্রসাদ বিতরণের মধ্যদিয়ে দিনব্যাপী কর্মসূচির সমাপ্তি হয়।
সিলেটের মেয়র আরিফুল হক চৌধুরী বলেছেন, সিলেটে সর্বধর্মীয় সম্প্রীতির ঐতিহ্য ধরে রাখতে হবে। সম্প্রীতির বন্ধন অব্যাহত রাখার মাধ্যমেই সিলেট নগরীর শান্তি-শৃংখলা রক্ষা ও উন্নয়ণ কর্মকান্ড অব্যাহত রাখা সম্ভব। তিনি বলেন, সিলেটকে আধ্যাত্মিক পর্যটন নগরী হিসাবে গড়ে তোলা ও বিশ্বে পরিচিত করে তুলতে হলে এখানের ইতিহাস, ঐতিহ্যের যথাযথ সংরক্ষণ ও বিকাশের উদ্যোগ নিতে হবে। বিশ্বকবি রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের সিলেট সফরের ইতিহাস সংরক্ষণ জরুরী। মণিপুরী নৃত্যেরে টানে সিলেটের মাছিমপুর মণিপুরী পাড়ায় ছুটে এসেছিলেন কবিগুরু। সেই ইতিহাস সংরক্ষণে আমাদেরকেই উদ্যোগী হতে হবে। ২৮ আগষ্ট বুধবার সকালে মণিপুরী বিষ্ণুপ্রিয়া জন্মাষ্টমী উদযাপন পরিষদের দিনব্যাপী কর্মসূচি উদ্ধোধনকালে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি একথাগুলো বলেন। এসময় মেয়র মাছিমপুরে সংরক্ষিত বিশ্বকবির আবক্ষ প্রতিকৃতি পর্যবেক্ষণ করেন। অনুষ্ঠান উদ্ধোধন শেষে মেয়রের নেতৃত্বে মাছিমপুর মণিপুরী পাড়া থেকে নগর পরিক্রমা বের করা হয়। এছাড়া মেয়র আরিফুল হক চৌধুরী জন্মাষ্টমী উৎসব উপলক্ষে আয়োজিত ভার্চূয়াল ব্লাড ব্যাংকের উদ্ধোধন করেন মাছিমপুরে। বিষ্ণুপ্রিয়া মণিপুরী ডক্টরস এসোসিয়েশন এই কার্যক্রম পরিচালনা করে বাংলাদেশ মণিপুরী ছাত্র পরিষদ ও সিলেট এমএজি ওসমানী মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল রক্ত পরিসঞ্চালন বিভাগের সহযোগিতায়। সনাতন ধর্মের প্রাণপুরুষ ভগবান শ্রী শ্রী কৃষ্ণের আবির্ভাব তিথি উপলক্ষে সিলেট বিভাগীয় নগরীতে প্রতি বছরের ন্যায় দিনব্যাপী এই কর্মসূচির আয়োজন মণিপুরী বিষ্ণুপ্রিয়া জন্মাষ্টমী উদযাপন পরিষদ। সকালে মাছিমপুর মণিপুরীপাড়া গোবিন্দজীউ মন্দির প্রাঙ্গন থেকে বের করা র্যালী নিম্বার্ক আশ্রম হয়ে আবার মাছিমপুর ফিরে আসে। এদিকে উৎসব প্রাঙ্গনে ভক্তবৃন্দদের জন্য আয়োজিত ভার্চুয়াল ব্লাড ব্যাংক কর্মসূচিতে ফ্রি ব্লাড গ্রুপিং, নিবন্ধীকরণ, ভার্চুয়াল ব্লাড ব্যাংক ডায়েরী, ক্যুইজ প্রতিযোগিতার আয়োজন করা হয়। অন্যান্য কর্মসূচির মধ্যে বেলা সাড়ে ১১টায় ভক্তসঙ্গ সিলেটের পরিচালনায় কাব্য, ব্যাকরণ পুরাতীর্থ হেমন্ত কুমার সিংহ পলাশ শ্রীমদ্ভাগবত পাঠ করেন। বিকেলে গুণীজন সংবর্ধনা ও জন্মাষ্টমীর মাহাত্ম্য বিষয়ে আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত হয়। মণিপুরী বিষ্ণুপ্রিয়া জন্মাষ্টমী উদযাপন পরিষদ সিলেট বিভাগীয় কমিটির সভাপতি সত্যজিত সিংহ সত্যবানের সভাপতিত্বে ও বাংলাদেশ মণিপুরী সমাজ কল্যাণ সমিতি সিলেট জেলা শাখার সভাপতি নির্মল কুমার সিংহের পরিচালনায় অনুষ্ঠানে সংবর্ধিত করা হয় বিশিষ্ঠ মণিপুরী গায়ক গীতশ্রী শ্রী চন্দ্র মোহন সিংহ, বিশিষ্ঠ মণিপুরী গায়ক শ্রী জয়হরি সিংহ, বিশিষ্ঠ মণিপুরী গায়ক শ্রী লক্ষীণ সিংহ, বিশিষ্ঠ মণিপুরী গায়ক শ্রী হরিনারায়ণ সিংহ, বিশিষ্ঠ মণিপুরী মৃদঙ্গ বাদক শ্রী কন্নোং সিংহ, বিশিষ্ঠ মণিপুরী মৃদঙ্গ বাদক শ্রী পূর্ণ সিংহ ও বিশিষ্ঠ কবি ও নাট্যকার শ্রী সুভাশিস সিনহা সমীরকে। আলোচনা ও সংবর্ধনা শেষে জন্মাষ্টমী উদযাপন পরিষদের কর্মকান্ড নিয়ে ইমাথৈ প্রোডাকশনের ডকুমেন্টারী প্রভুর নিঙে প্রদর্শিত হয়। এছাড়া সন্ধ্যায় আরতি, সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান অনুষ্ঠিত হয়। ১২টা ১ মিনিটে ভগবান শ্রী কৃষ্ণের আবির্ভাব স্মরণে দেবালয়ে শঙ্খধ্বনি, উলুধ্বনি, শ্রীশ্রী কৃষ্ণের পূজানুষ্ঠান, আরতি এবং সবশেষে মহাপ্রসাদ বিতরণের মধ্যদিয়ে দিনব্যাপী কর্মসূচির সমাপ্তি হয়। দীপাল কুমার সিংহ॥
মন্তব্য করুন