৬০০জনকে আসামী করে মামলার জেরে রাজনগরে চা শ্রমিকদের বিক্ষোভ ও প্রতিবাদ সমাবেশ

December 2, 2013,

পুলিশি হয়রানির প্রতিবাদে ফুসে উঠছে রাজনগরের বিভিন্ন চা বাগানের হাজার হাজার চা শ্রমিক। রাজনগর চা বাগানের এক পন্ডিতের বাসায় মাদক বিরোধী অভিযানকে কেন্দ্র করে বাগান কর্তৃপক্ষ ও শ্রমিকদের মধ্যে এ বিরোধের সৃষ্ঠি হয়। এর জের ধরে গত ২ ডিসেম্বর সোমবার সন্ধা ৬টায় রাজনগর চা বাগানের শ্রমিকরা এক বিক্ষোভ ও প্রতিবাদ সমাবেশ করে। চা শ্রমিক নেতা আদি নারায়ন নাইডুর সভাপতিত্বে বিক্ষোভ ও প্রতিবাদ সমাবেশে প্রধান অথিতি ছিলেন জেলা আওয়ামীলীগের সাধারণ সম্পাদক নেছার আহমদ। বিষেশ অথিতি ছিলেন উপজেলা চেয়ারম্যান আলহাজ্ব মিছবাহুদ্দোজা ভেল্ইা, উপজেলা আওয়ামীলীগের সাধারণ সম্পাদক আছকির খান, টেংরা ইউপি চেয়ারম্যান টিপু খান, সাবেক চেয়ারম্যান আব্দুল কাদির মোতালেব। বক্তব্য রাখেন, ফজলু খান, রামলাল রাজভর, মাহমুদুর রহমান, দিনানাথ উপাধ্যায়, শ্যামলাল কালোয়ার প্রমখ। এছাড়াও জেলার বিভিন্ন চা বাগানের পঞ্চায়েত প্রধানগন বক্তব্য রাখেন। বক্তারা বলেন, গত ২৮ নভেম্বর বাগান ম্যানেজারের যোগসাযোসে পুলিশ ও মাদক দ্রব্য নিয়ন্ত্রন অধিদপ্তরের লোকজন রাজনগর চা বাগানের পন্ডিত কপিল দেব উপাধ্যায় ও ষ্টাপ স্বপন সিংহের বাড়িতে তল্লাাশির নামে যে তান্ডব চালায় তা কোন সভ্য মানষের কাজ হতে পারেনা। তারা বলেন, সম্পুর্ন মিথ্যা অভিযোগে ম্যানেজারের হিংসাত্মক মনোভাব চরিতার্থ করার জন্য তার জ্ঞাতসারেই পুলিশ এ দুজন সম্মানী ব্যাক্তির বাসায় তল্লাশীর নামে তান্ডব চালায়। এতেও ম্যানেজার ক্ষান্ত নাহয়ে নিরীহ শ্রমিকদের বিরুদ্ধে একের পর এক মামলা দিয়ে হয়রানী করছে। বক্তারা শ্রমিকদের বিরুদ্ধে দায়েরকৃত মামলা প্রত্যাহার সহ ম্যানেজার আমিনুল ইসলামকে বাগান থেকে বহিষ্কারের দাবী জানান। অন্যতায় রাজনগর সহ সমস্থ লংলা ভ্যালির অধীন সকল চা শ্রমিকদের নিয়ে শ্রমিক ধর্মঘটের মাধ্যমে প্রতিরোধ গড়ে তোলার হুমকি দেন। উল্লেখ্য যে, রাজনগর চা বাগানে লংলা ভ্যালীর পুরোহিত কপিল দেব উপাধ্যায় ও বাগান ষ্টাপ স্বপন সিংহের বাড়িতে মাদক দ্রব্য নিয়ন্ত্রন অধিদপ্তরের ইন্সপেক্টর মিজানুর রহমানের নেতৃত্বে একদল পুলিশের তল্লাাশির জের ধরে রাজনগর চা বাগানের শ্রমিকদের মাঝে উত্তেজনা ও পরবর্তীতে বাগান ম্যানেজারের বাংলোতে হামলা, ভাংচুর ও পুলিশের উপর হামলা করা হয়। পরবর্তিতে পরিস্থিতি শান্ত করতে উপজেলা নির্বাহী অফিসার সহ গন্যমান্য ব্যাক্তিবর্গ শ্রমিকদের আর কোন হয়রানি করা হবে না মর্মে আশ্বস্থ করলে শ্রমিকরা কাজে ফিরে যায়। কিন্তু গত ২৮ নভেম্বর রাজনগর থানার এসআই রতন দেনাথ বাদী হয়ে ৬‘শ জনকে আসামী করে রাজনগর থানায় মামলা দায়ের করলে শ্রমিকরা আবার ফুসে উঠে। এদিকে মামলা দায়েরের পর শ্রমিকদের মধ্যে আবার অসন্তোষ বিরাজ করছে। মামলার বাদী পুলিশের এসআই রতন দেবনাথ জানান, রাজনগর চা বাগানের ঘটনায় ৬০০জনকে আসামী করে মামলা দায়ের করা হয়েছে। তবে এখনও কাউকে গ্রেফতার করা হয়নি। এ ব্যাপারে বাগান ম্যানেজার আমিনুল ইসলাম জানান, হামলাকারী শ্রমিকরা বাংলোতে ভাংচুর ও লুটপাট করে অপুরণীয় ক্ষতি সাধন করেছে। এ ব্যাপারে অবশ্যই কোম্পানীর পক্ষ থেকে আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহন করা হবে। রাজনগর উপজেলা নির্বাহী অফিসার মোঃ মুজিবুর রহমান বলেন, ঘটনার দিন শ্রমিকদের শান্ত করতে তাদের সাথে আলোচনা করে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রনে আনতে সক্ষম হই। এ ব্যাপারে উপজেলা চেয়ারম্যান ও জেলা প্রশাসক মহোদয়ের সাথে কথা বলেছি। এখন সার্বিক বিষয় বিবেচনা করে বাগান কর্তৃপক্ষ তাদের ভূমিকা রাখবে।
পুলিশি হয়রানির প্রতিবাদে ফুসে উঠছে রাজনগরের বিভিন্ন চা বাগানের হাজার হাজার চা শ্রমিক। রাজনগর চা বাগানের এক পন্ডিতের বাসায় মাদক বিরোধী অভিযানকে কেন্দ্র করে বাগান কর্তৃপক্ষ ও শ্রমিকদের মধ্যে এ বিরোধের সৃষ্ঠি হয়। এর জের ধরে গত ২ ডিসেম্বর সোমবার সন্ধা ৬টায় রাজনগর চা বাগানের শ্রমিকরা এক বিক্ষোভ ও প্রতিবাদ সমাবেশ করে। চা শ্রমিক নেতা আদি নারায়ন নাইডুর সভাপতিত্বে বিক্ষোভ ও প্রতিবাদ সমাবেশে প্রধান অথিতি ছিলেন জেলা আওয়ামীলীগের সাধারণ সম্পাদক নেছার আহমদ। বিষেশ অথিতি ছিলেন উপজেলা চেয়ারম্যান আলহাজ্ব মিছবাহুদ্দোজা ভেল্ইা, উপজেলা আওয়ামীলীগের সাধারণ সম্পাদক আছকির খান, টেংরা ইউপি চেয়ারম্যান টিপু খান, সাবেক চেয়ারম্যান আব্দুল কাদির মোতালেব। বক্তব্য রাখেন, ফজলু খান, রামলাল রাজভর, মাহমুদুর রহমান, দিনানাথ উপাধ্যায়, শ্যামলাল কালোয়ার প্রমখ। এছাড়াও জেলার বিভিন্ন চা বাগানের পঞ্চায়েত প্রধানগন বক্তব্য রাখেন। বক্তারা বলেন, গত ২৮ নভেম্বর বাগান ম্যানেজারের যোগসাযোসে পুলিশ ও মাদক দ্রব্য নিয়ন্ত্রন অধিদপ্তরের লোকজন রাজনগর চা বাগানের পন্ডিত কপিল দেব উপাধ্যায় ও ষ্টাপ স্বপন সিংহের বাড়িতে তল্লাাশির নামে যে তান্ডব চালায় তা কোন সভ্য মানষের কাজ হতে পারেনা। তারা বলেন, সম্পুর্ন মিথ্যা অভিযোগে ম্যানেজারের হিংসাত্মক মনোভাব চরিতার্থ করার জন্য তার জ্ঞাতসারেই পুলিশ এ দুজন সম্মানী ব্যাক্তির বাসায় তল্লাশীর নামে তান্ডব চালায়। এতেও ম্যানেজার ক্ষান্ত নাহয়ে নিরীহ শ্রমিকদের বিরুদ্ধে একের পর এক মামলা দিয়ে হয়রানী করছে। বক্তারা শ্রমিকদের বিরুদ্ধে দায়েরকৃত মামলা প্রত্যাহার সহ ম্যানেজার আমিনুল ইসলামকে বাগান থেকে বহিষ্কারের দাবী জানান। অন্যতায় রাজনগর সহ সমস্থ লংলা ভ্যালির অধীন সকল চা শ্রমিকদের নিয়ে শ্রমিক ধর্মঘটের মাধ্যমে প্রতিরোধ গড়ে তোলার হুমকি দেন। উল্লেখ্য যে, রাজনগর চা বাগানে লংলা ভ্যালীর পুরোহিত কপিল দেব উপাধ্যায় ও বাগান ষ্টাপ স্বপন সিংহের বাড়িতে মাদক দ্রব্য নিয়ন্ত্রন অধিদপ্তরের ইন্সপেক্টর মিজানুর রহমানের নেতৃত্বে একদল পুলিশের তল্লাাশির জের ধরে রাজনগর চা বাগানের শ্রমিকদের মাঝে উত্তেজনা ও পরবর্তীতে বাগান ম্যানেজারের বাংলোতে হামলা, ভাংচুর ও পুলিশের উপর হামলা করা হয়। পরবর্তিতে পরিস্থিতি শান্ত করতে উপজেলা নির্বাহী অফিসার সহ গন্যমান্য ব্যাক্তিবর্গ শ্রমিকদের আর কোন হয়রানি করা হবে না মর্মে আশ্বস্থ করলে শ্রমিকরা কাজে ফিরে যায়। কিন্তু গত ২৮ নভেম্বর রাজনগর থানার এসআই রতন দেনাথ বাদী হয়ে ৬‘শ জনকে আসামী করে রাজনগর থানায় মামলা দায়ের করলে শ্রমিকরা আবার ফুসে উঠে। এদিকে মামলা দায়েরের পর শ্রমিকদের মধ্যে আবার অসন্তোষ বিরাজ করছে। মামলার বাদী পুলিশের এসআই রতন দেবনাথ জানান, রাজনগর চা বাগানের ঘটনায় ৬০০জনকে আসামী করে মামলা দায়ের করা হয়েছে। তবে এখনও কাউকে গ্রেফতার করা হয়নি। এ ব্যাপারে বাগান ম্যানেজার আমিনুল ইসলাম জানান, হামলাকারী শ্রমিকরা বাংলোতে ভাংচুর ও লুটপাট করে অপুরণীয় ক্ষতি সাধন করেছে। এ ব্যাপারে অবশ্যই কোম্পানীর পক্ষ থেকে আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহন করা হবে। রাজনগর উপজেলা নির্বাহী অফিসার মোঃ মুজিবুর রহমান বলেন, ঘটনার দিন শ্রমিকদের শান্ত করতে তাদের সাথে আলোচনা করে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রনে আনতে সক্ষম হই। এ ব্যাপারে উপজেলা চেয়ারম্যান ও জেলা প্রশাসক মহোদয়ের সাথে কথা বলেছি। এখন সার্বিক বিষয় বিবেচনা করে বাগান কর্তৃপক্ষ তাদের ভূমিকা রাখবে। শংকর দুলাল দেব॥

সংবাদটি শেয়ার করতে নিচের “আপনার প্রিয় শেয়ার বাটনটিতে ক্লিক করুন”

মন্তব্য করুন

Social Media Auto Publish Powered By : XYZScripts.com