সরকারি জমি বেহাত : শ্রীমঙ্গলের সিন্দুরখান বাজারে অবৈধভাবে ডিসি খতিয়ানের ভূমি দখল

October 29, 2013,

শ্রীমঙ্গলের সিন্দুরখান বাজারে অবৈধভাবে ডিসি খতিয়ানের ভূমি দখল ও প্রভাব বিস্তারে স্থানীয়দের মধ্যে রীতিমতো প্রতিযোগিতা চলছে। কেউ কেউ নতুনভাবে ভূমি দখলে নেওয়ার চেষ্টা করছেন আবার অনেকে পূর্বের দখলকৃত ভূমির ওপরে পাকা দোকানকোঠা নির্মাণের কাজ চালাচ্ছেন। সরেজমিন ঘুরে দেখা যায়, বিভিন্ন স্থানে পাকা দোকানকোঠা নির্মাণের কাজ চলছে। যত্র তত্র পড়ে আছে ইট, বালু, সিমেন্ট ও স্যাটারিং সামগ্রী। কোন কোন স্থানে এ কাজ অর্ধ নির্মিত আবার কোন কোন স্থানে প্রায় শেষ পর্যায়ে এসে পৌঁছেছে। কেউ কেউ আবার নতুন নির্মিত দোকানকোঠায় ব্যবসাও শুরু করে দিয়েছেন। এ ব্যাপারে সিন্দুরখান বাজার ব্যবস্থাপনা কমিটির সাধারণ সম্পাদক মো. আমিন মিয়ার সাথে আলাপ করলে তিনি জানান, বাজারের চারপাশে যে সমস্ত স্থায়ী দোকানকোঠা আছে সেগুলোর অধিকাংশই দীর্ঘকাল ধরে অবৈধভাবে ভোগদখল করে আসছেন স্থানীয়রা। তিনি নতুন সেক্রেটারী হওয়ার পরে এসব অবৈধ স্থাপনার বিরুদ্ধে অবস্থান নেওয়ার চেষ্টা করে ব্যর্থ হয়েছেন। সম্পূর্ণ বাজার ঘুরে জানা যায়, ওই এলকার ব্যবসায়ি মো. কবির মিয়া, সঞ্জয় রায়, আব্দুল মতিন, আব্দুল মালেক, আব্দুল মন্নাফসহ নামে বেনামে আরো অনেকেই এখন বাজারের বিভিন্ন স্থানে পাঁকা দোকানকোঠা নির্মাণ কাজে ব্যতিব্যস্ত হয়ে উঠেছেন। এ ব্যাপারে সিন্দুরখান ইউনিয়ন পরিষদের ৭নং ওয়ার্ড সদস্য মো. মুছাব্বির লোকমান বাজারের এসব অবৈধ স্থাপনা নির্মাণের কথা স্বীকার করেন এবং এমন ঘটনার তীব্র প্রতিবাদ জানান। সিন্দুরখান বাজারের ইজারাদার মো. জসিম উদ্দিন জানান, এখানে খোলা বাজারে প্রায় ২৯৪ জন ব্যবসায়ি আছেন, যারা নিয়মিতভাবে প্রতি সপ্তাহের রোব ও বৃহস্পতিবার ২ টাকা হারে সরকারের খাজনা প্রদান করে আসছেন। অথচ বাজারে মোট ১৯৮ টি স্থায়ী দোকানকোঠা আছে, যেগুলোর একটিও সরকারের কাছে কোন প্রকার খাজনা পরিশোধ করে না। এ ব্যাপারে সিন্দুরখান ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান মো. আব্দুল্লাহ আল হোলালের সাথে মোবাইল ফোনে যোগাযোগ করা হলে তিনি সিলেটে যাওয়ার ব্যবস্ততা দেখিয়ে পরবর্ত্তীতে এ বিষয়ে আলাপ করবেন বলে জানান। তবে তিনি বিষয়টি নিয়ে ইতোমধ্যে উপজেলা নির্বাহী অফিসারকে অবহিত করেছেন বলে জানান। বিষয়টি নিয়ে উপজেলা নির্বাহী অফিসার মোহাম্মদ আশফাকুল হক চৌধুরীর সাথে যোগাযোগ করা হলে তিনি বলেন, বিষয়টি তার নজরে রয়েছে। তিনি অবৈধ ভোগদখলকারীদের একটি তালিকা তৈরী করে দ্রুত প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেবেন। ডিসি খতিয়ানের এসব ভূমির সুষ্ঠু পরিচালনার অভাবে একদিকে যেমনি অপরাধিরা নির্ভিগ্নে তাদের অপকর্মের সাহস পাচ্ছে অন্যদিকে দেশের সরকারি খাতে বিনষ্ট হচ্ছে প্রচুর পরিমাণ রাজস্ব। এ ব্যাপারে প্রশাসনের যথাযথ কর্তৃপক্ষের মাধ্যমে দ্রুত ব্যবস্থা নেওয়া উচিৎ।
শ্রীমঙ্গলের সিন্দুরখান বাজারে অবৈধভাবে ডিসি খতিয়ানের ভূমি দখল ও প্রভাব বিস্তারে স্থানীয়দের মধ্যে রীতিমতো প্রতিযোগিতা চলছে। কেউ কেউ নতুনভাবে ভূমি দখলে নেওয়ার চেষ্টা করছেন আবার অনেকে পূর্বের দখলকৃত ভূমির ওপরে পাকা দোকানকোঠা নির্মাণের কাজ চালাচ্ছেন। সরেজমিন ঘুরে দেখা যায়, বিভিন্ন স্থানে পাকা দোকানকোঠা নির্মাণের কাজ চলছে। যত্র তত্র পড়ে আছে ইট, বালু, সিমেন্ট ও স্যাটারিং সামগ্রী। কোন কোন স্থানে এ কাজ অর্ধ নির্মিত আবার কোন কোন স্থানে প্রায় শেষ পর্যায়ে এসে পৌঁছেছে। কেউ কেউ আবার নতুন নির্মিত দোকানকোঠায় ব্যবসাও শুরু করে দিয়েছেন। এ ব্যাপারে সিন্দুরখান বাজার ব্যবস্থাপনা কমিটির সাধারণ সম্পাদক মো. আমিন মিয়ার সাথে আলাপ করলে তিনি জানান, বাজারের চারপাশে যে সমস্ত স্থায়ী দোকানকোঠা আছে সেগুলোর অধিকাংশই দীর্ঘকাল ধরে অবৈধভাবে ভোগদখল করে আসছেন স্থানীয়রা। তিনি নতুন সেক্রেটারী হওয়ার পরে এসব অবৈধ স্থাপনার বিরুদ্ধে অবস্থান নেওয়ার চেষ্টা করে ব্যর্থ হয়েছেন। সম্পূর্ণ বাজার ঘুরে জানা যায়, ওই এলকার ব্যবসায়ি মো. কবির মিয়া, সঞ্জয় রায়, আব্দুল মতিন, আব্দুল মালেক, আব্দুল মন্নাফসহ নামে বেনামে আরো অনেকেই এখন বাজারের বিভিন্ন স্থানে পাঁকা দোকানকোঠা নির্মাণ কাজে ব্যতিব্যস্ত হয়ে উঠেছেন। এ ব্যাপারে সিন্দুরখান ইউনিয়ন পরিষদের ৭নং ওয়ার্ড সদস্য মো. মুছাব্বির লোকমান বাজারের এসব অবৈধ স্থাপনা নির্মাণের কথা স্বীকার করেন এবং এমন ঘটনার তীব্র প্রতিবাদ জানান। সিন্দুরখান বাজারের ইজারাদার মো. জসিম উদ্দিন জানান, এখানে খোলা বাজারে প্রায় ২৯৪ জন ব্যবসায়ি আছেন, যারা নিয়মিতভাবে প্রতি সপ্তাহের রোব ও বৃহস্পতিবার ২ টাকা হারে সরকারের খাজনা প্রদান করে আসছেন। অথচ বাজারে মোট ১৯৮ টি স্থায়ী দোকানকোঠা আছে, যেগুলোর একটিও সরকারের কাছে কোন প্রকার খাজনা পরিশোধ করে না। এ ব্যাপারে সিন্দুরখান ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান মো. আব্দুল্লাহ আল হোলালের সাথে মোবাইল ফোনে যোগাযোগ করা হলে তিনি সিলেটে যাওয়ার ব্যবস্ততা দেখিয়ে পরবর্ত্তীতে এ বিষয়ে আলাপ করবেন বলে জানান। তবে তিনি বিষয়টি নিয়ে ইতোমধ্যে উপজেলা নির্বাহী অফিসারকে অবহিত করেছেন বলে জানান। বিষয়টি নিয়ে উপজেলা নির্বাহী অফিসার মোহাম্মদ আশফাকুল হক চৌধুরীর সাথে যোগাযোগ করা হলে তিনি বলেন, বিষয়টি তার নজরে রয়েছে। তিনি অবৈধ ভোগদখলকারীদের একটি তালিকা তৈরী করে দ্রুত প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেবেন। ডিসি খতিয়ানের এসব ভূমির সুষ্ঠু পরিচালনার অভাবে একদিকে যেমনি অপরাধিরা নির্ভিগ্নে তাদের অপকর্মের সাহস পাচ্ছে অন্যদিকে দেশের সরকারি খাতে বিনষ্ট হচ্ছে প্রচুর পরিমাণ রাজস্ব। এ ব্যাপারে প্রশাসনের যথাযথ কর্তৃপক্ষের মাধ্যমে দ্রুত ব্যবস্থা নেওয়া উচিৎ। শ্রীমঙ্গল প্রতিনিধি॥

সংবাদটি শেয়ার করতে নিচের “আপনার প্রিয় শেয়ার বাটনটিতে ক্লিক করুন”

মন্তব্য করুন

Social Media Auto Publish Powered By : XYZScripts.com