হাকালুকি হাওরের চাতলা বিলে পিট কয়লার সন্ধান লাভ
এশিয়ার সর্ববৃহৎ হাকালুকি হাওরের চাতলা বিল (জলমহাল) এলাকায় ব্যাপক পিট কয়লার সন্ধান পাওয়া গেছে। সম্প্রতি প্রাথমিক জরিপ শেষে ভূতাত্ত্বিক জরিপ অধিদপ্তরের একটি দল এ তথ্য নিশ্চিত করেছে। ভূতত্ত্ববিদেরা বলছেন, বিদ্যুৎ উৎপাদনে গ্যাসের পরিবর্তে জ্বালানি হিসেবে এ পিট কয়লা ব্যবহার করা সম্ভব। ভূতাত্ত্বিক জরিপ অধিদপ্তর সূত্রে জানা গেছে, পিট কয়লার সন্ধানে ১৯৮৪ সালের দিকে প্রতিষ্ঠানটির একটি দল চাতলা বিলসহ আশপাশের ৬০ বর্গকিলোমিটার এলাকায় জরিপ চালায়। সেখানে পিট কয়লার সন্ধান পাওয়া যায়। পরে ওই দলটি বিদ্যুৎ, জ্বালানি ও খনিজ সম্পদ মন্ত্রণালয়ে এ ব্যাপারে একটি প্রতিবেদন দেয়। এ প্রতিবেদনের ভিত্তিতে চলতি বছরের ২৫ জানুয়ারি থেকে ৩১ মার্চ পর্যন্ত ভূতাত্ত্বিক জরিপ অধিদপ্তরের চার সদস্যের একটি দল চাতলা বিল এলাকায় পুনরায় জরিপকাজ চালায়। দলটিতে ছিলেন ভূতাত্ত্বিক জরিপ অধিদপ্তরের সহকারী পরিচালক এম ডি নাজউয়ানুন হক, মোহাম্মদ মাসুম, আনোয়ার সাদাত ও মোঃ আজাহার হোসেন। জরিপকাজ চলাকালে ভূতাত্ত্বিক জরিপ অধিদপ্তরের মহাপরিচালক (ডিজি) সিরাজুর রহমান খান চাতলা বিল এলাকা পরিদর্শন করে যান। জরিপ দলের প্রধান এম ডি নাজউয়ানুন হক জানান, তাঁরা দুটি দলে ভাগ হয়ে চাতলা বিল এলাকার চার থেকে ছয় বর্গকিলোমিটার জায়গায় অগার মেশিন (ছোট আকারের খননযন্ত্র) স্থাপন করে মাটি খনন করেন। সেখানে মাটির উপরের স্তরের দশমিক ২ থেকে ২ দশমিক ৫ ফুটের নিচে শুষ্ক ও ভেজা পিট কয়লার স্তর পাওয়া গেছে। এর নিচে আছে কাদামাটির স্তর। প্রাপ্ত পিট কয়লার পুরুত্ব প্রায় ৩০ ফুট। নাজউয়ানুন হক বলেন, চাতলা বিল এলাকায় প্রচুর পিট কয়লার মজুত আছে বলে আমরা ধারণা করছি। এই পিট কয়লার বয়স আনুমানিক সাত হাজার বছর হবে। এসব কয়লা ২০ মেগাওয়াটের দুটি বিদ্যুৎ উৎপাদন কেন্দ্রের ৩০ বছর পর্যন্ত জ্বালানির চাহিদা মেটাতে পারে। এতে গ্যাসের ক্রমবর্ধমান চাহিদা কমবে। চাতলা থেকে সংগ্রহ করা পিট কয়লায় কী কী রাসায়নিক উপাদান আছে, তা পরীক্ষাগারে পরীক্ষা-নিরীক্ষা করে দেখা হচ্ছে। কাজটি সম্পন্ন হলে এ ব্যাপারে সংশ্লিষ্ট মন্ত্রণালয়ে প্রতিবেদন পাঠানো হবে। এ ছাড়া আগামী বছরও (২০১৪) ওই স্থানে (চাতলা) জরিপকাজ চালানো হতে পারে। ভূতাত্ত্বিক জরিপ অধিদপ্তরের প্রতিনিধিদল সূত্রে জানা যায়, এর আগে ২০১১ সালের ডিসেম্বর থেকে গত বছরের (২০১২) মার্চ মাস পর্যন্ত তাঁরা ব্রাহ্মণবাড়িয়ার বিজয়নগর উপজেলার বিভিন্ন এলাকায় জরিপকাজ চালান। সেখানে প্রায় ১৩ মিলিয়ন টন পিট কয়লার সন্ধান পাওয়া গেছে। সেগুলোর পুরুত্ব প্রায় ২৭ ফুট। বর্তমানে ফরিদপুরের ভাগিয়ানাঙ্গা বিলে সর্বোচ্চ ১০০ মিলিয়ন টনের ওপরে পিট কয়লার মজুত আছে। চাতলা বিল এলাকায় এর চেয়ে বেশি পিট কয়লার মজুত রয়েছে। জানতে চাইলে ভূতাত্ত্বিক জরিপ অধিদপ্তরের পরিচালক নেহাল উদ্দিন বলেন, চাতলা বিল এলাকায় বিপুল পরিমাণ ভালো মানের পিট কয়লা আছে বলে প্রাথমিক জরিপে দেখা গেছে।
এশিয়ার সর্ববৃহৎ হাকালুকি হাওরের চাতলা বিল (জলমহাল) এলাকায় ব্যাপক পিট কয়লার সন্ধান পাওয়া গেছে। সম্প্রতি প্রাথমিক জরিপ শেষে ভূতাত্ত্বিক জরিপ অধিদপ্তরের একটি দল এ তথ্য নিশ্চিত করেছে। ভূতত্ত্ববিদেরা বলছেন, বিদ্যুৎ উৎপাদনে গ্যাসের পরিবর্তে জ্বালানি হিসেবে এ পিট কয়লা ব্যবহার করা সম্ভব। ভূতাত্ত্বিক জরিপ অধিদপ্তর সূত্রে জানা গেছে, পিট কয়লার সন্ধানে ১৯৮৪ সালের দিকে প্রতিষ্ঠানটির একটি দল চাতলা বিলসহ আশপাশের ৬০ বর্গকিলোমিটার এলাকায় জরিপ চালায়। সেখানে পিট কয়লার সন্ধান পাওয়া যায়। পরে ওই দলটি বিদ্যুৎ, জ্বালানি ও খনিজ সম্পদ মন্ত্রণালয়ে এ ব্যাপারে একটি প্রতিবেদন দেয়। এ প্রতিবেদনের ভিত্তিতে চলতি বছরের ২৫ জানুয়ারি থেকে ৩১ মার্চ পর্যন্ত ভূতাত্ত্বিক জরিপ অধিদপ্তরের চার সদস্যের একটি দল চাতলা বিল এলাকায় পুনরায় জরিপকাজ চালায়। দলটিতে ছিলেন ভূতাত্ত্বিক জরিপ অধিদপ্তরের সহকারী পরিচালক এম ডি নাজউয়ানুন হক, মোহাম্মদ মাসুম, আনোয়ার সাদাত ও মোঃ আজাহার হোসেন। জরিপকাজ চলাকালে ভূতাত্ত্বিক জরিপ অধিদপ্তরের মহাপরিচালক (ডিজি) সিরাজুর রহমান খান চাতলা বিল এলাকা পরিদর্শন করে যান। জরিপ দলের প্রধান এম ডি নাজউয়ানুন হক জানান, তাঁরা দুটি দলে ভাগ হয়ে চাতলা বিল এলাকার চার থেকে ছয় বর্গকিলোমিটার জায়গায় অগার মেশিন (ছোট আকারের খননযন্ত্র) স্থাপন করে মাটি খনন করেন। সেখানে মাটির উপরের স্তরের দশমিক ২ থেকে ২ দশমিক ৫ ফুটের নিচে শুষ্ক ও ভেজা পিট কয়লার স্তর পাওয়া গেছে। এর নিচে আছে কাদামাটির স্তর। প্রাপ্ত পিট কয়লার পুরুত্ব প্রায় ৩০ ফুট। নাজউয়ানুন হক বলেন, চাতলা বিল এলাকায় প্রচুর পিট কয়লার মজুত আছে বলে আমরা ধারণা করছি। এই পিট কয়লার বয়স আনুমানিক সাত হাজার বছর হবে। এসব কয়লা ২০ মেগাওয়াটের দুটি বিদ্যুৎ উৎপাদন কেন্দ্রের ৩০ বছর পর্যন্ত জ্বালানির চাহিদা মেটাতে পারে। এতে গ্যাসের ক্রমবর্ধমান চাহিদা কমবে। চাতলা থেকে সংগ্রহ করা পিট কয়লায় কী কী রাসায়নিক উপাদান আছে, তা পরীক্ষাগারে পরীক্ষা-নিরীক্ষা করে দেখা হচ্ছে। কাজটি সম্পন্ন হলে এ ব্যাপারে সংশ্লিষ্ট মন্ত্রণালয়ে প্রতিবেদন পাঠানো হবে। এ ছাড়া আগামী বছরও (২০১৪) ওই স্থানে (চাতলা) জরিপকাজ চালানো হতে পারে। ভূতাত্ত্বিক জরিপ অধিদপ্তরের প্রতিনিধিদল সূত্রে জানা যায়, এর আগে ২০১১ সালের ডিসেম্বর থেকে গত বছরের (২০১২) মার্চ মাস পর্যন্ত তাঁরা ব্রাহ্মণবাড়িয়ার বিজয়নগর উপজেলার বিভিন্ন এলাকায় জরিপকাজ চালান। সেখানে প্রায় ১৩ মিলিয়ন টন পিট কয়লার সন্ধান পাওয়া গেছে। সেগুলোর পুরুত্ব প্রায় ২৭ ফুট। বর্তমানে ফরিদপুরের ভাগিয়ানাঙ্গা বিলে সর্বোচ্চ ১০০ মিলিয়ন টনের ওপরে পিট কয়লার মজুত আছে। চাতলা বিল এলাকায় এর চেয়ে বেশি পিট কয়লার মজুত রয়েছে। জানতে চাইলে ভূতাত্ত্বিক জরিপ অধিদপ্তরের পরিচালক নেহাল উদ্দিন বলেন, চাতলা বিল এলাকায় বিপুল পরিমাণ ভালো মানের পিট কয়লা আছে বলে প্রাথমিক জরিপে দেখা গেছে। স্টাফ রিপোর্টার:
মন্তব্য করুন