ফলোআপ : মাইক্রোবাসচালক হত্যা মামলায় সিলেট আদালত উপজেলার ভাইস চেয়ারম্যান সহ ১১ জনের যাবজ্জীবন
মৌলভীবাজারের শ্রীমঙ্গলে মাইক্রোবাস ছিনতাই ও চালককে খুনের দায়ে ১১ জনের যাবজ্জীবন কারাদ- প্রদান করেছেন সিলেটের দ্রুত বিচার ট্রাইব্যুনাল আদালত। এছাড়া প্রত্যেককে ২০ হাজার টাকা জরিমানা অনাদায়ে আরও এক বছর কারাদ- প্রদান করেন।
২৩ অক্টোবর বুধবার দ্রুত বিচার ট্রাইব্যুনাল সিলেটের বিচারক দিলীপ কুমার দেবনাথ এ রায় প্রদান করেন। মামলার রায়ে বেকসুর খালাস দেয়া হয় ৪ জনকে। দ-প্রাপ্তরা হল কুমিল্লা জেলার বরুরা উপজেলার ভাইস চেয়ারম্যান সুলেমান পাটোয়ারী মন্টি, একই উপজেলার মন্টির সহযোগী আজম খান, জুবায়ের হোসেন, আবদুস শহীদ, শাহ আলম সুমন, শামীম মিয়া, জহুর আলী প্রকাশ কালু, রোমান ওরফে রুবেল, আলা উদ্দিন, মোঃ সালাউদ্দিন ও মোঃ শাহজাহান। আসামিদের মধ্যে মন্টি, জুবায়ের, আজম, আলাউদ্দিন ও সুমন পলাতক রয়েছেন।
পুলিশ জানায় ২০১০ সালের ২৭ সেপ্টেম্বর রাতে শ্রীমঙ্গল শহরের কার লাইটেস স্টেন্ড থেকে একটি হাইয়েস মাইক্রো গাড়ী ঢাকায় ভাড়া করে যাত্রী বেশী ছিনতাইকারীরা গাড়ীতে উঠে। ছিনতাইকারী ঘাতক চক্র চালক মহসীনকে চলন্ত অবস্থায় গলায় গামছা পেছিয়ে হত্যা করে লাশ হবিগঞ্জের শাহজিবাজারের কাছে একটি কবর স্থানে ফেলে গাড়ী নিয়ে চলে যায়। গত ৫ অক্টোবর চালক মহসিনের গলিত লাশ ঐ এলাকা থেকে পুলিশ উদ্ধার করে। গাড়ীসহ চালক নিখোজের ঘটনায় শ্রীমঙ্গল থানায় ২০১০ সালের ২৮ সেপ্টেম্বর গাড়ীর মালিক আব্দুল কাদির সাধারণ ডায়রী করেন।
গোপন সংবাদের ভিত্তিতে মৌলভীবাজার সদর সার্কেল এর সহকারী পুলিশ সুপার মুহাঃ আলমগীর হোসেনের নেতৃত্বে একদল পুলিশ ৬ অক্টোবর বুধবার ভোররাতে কুমিল্লা জেলার বড়রা থানা পুলিশের সহযোগিতায় বিশেষ অভিযান চালিয়ে বড়রা উপজেলা ভাইস চেয়ারম্যান সুলেমান পাটুয়ারী মন্টির বাড়ীর গ্যারেজ থেকে ছিনতাই কৃত গাড়ী সহ তিনকে গ্রেফতার করে। গ্রেফতারকৃতরা হলো উপজেলা ভাইস চেয়ারম্যান সুলায়মান পাটুয়ারী মন্টি, মোঃ আজম খান উরফে লেংরা আজম ও সুমন মিয়া। গ্রেফতারকৃতরা দীর্ঘ দিন ধরে মৌলভীবাজার সহ বিভিন্ন স্থানে গাড়ী চুরি ও ছিনতাই করে আসছে। এরা চোরাই ও ছিনতাইকৃত গাড়ীর রেজিষ্ট্্েরশন নাম্বার ও রং পরিবর্তন করে ঢাকাসহ দেশের বিভিন্ন এলাকার ব্যবসায়ীর কাছে বিক্রি করে থাকে। এ ঘটনায় এসআই সাজ্জাদুর রহমান বাদী হয়ে মামলা দায়ের করেন। আদালতে মামলার অভিযোগপত্র দাখিলের সময় ১৫ জনকে আসামি করা হয়। মামলাটি এক পর্যায়ে হবিগঞ্জ থেকে দ্রুত বিচার আদালত সিলেটে স্থানান্তর করা হয়। মামলায় ৩৫ জনের সাক্ষ্য গ্রহণ শেষে গত ২৩ অক্টোবর বুধবার বিজ্ঞ বিচারক এ রায় প্রদান করেন। সরকার পক্ষে মামলাটি পরিচালনা করেন পিপি কিশোর কুমার কর। আসামিপক্ষে ছিলেন সোহেল আহমদ চৌধুরী। মামলার রায়ের পর নিহত চালক মহসীনের বাবা ইউনুস মিয়া জানান, তার দুই ছেলেই গাড়ি চালাত। এরশাদ শাসনামলে ডাকাতের হামলায় তার আরেক ছেলে নিহত হয়। তিনি এ রায়ের প্রতিক্রিয়ায় জানান, আদালত তাদের ফাঁিসর আদেশ দেবেন ভেবে ছিলাম কিন্তু তা হলো না।
মৌলভীবাজারের শ্রীমঙ্গলে মাইক্রোবাস ছিনতাই ও চালককে খুনের দায়ে ১১ জনের যাবজ্জীবন কারাদ- প্রদান করেছেন সিলেটের দ্রুত বিচার ট্রাইব্যুনাল আদালত। এছাড়া প্রত্যেককে ২০ হাজার টাকা জরিমানা অনাদায়ে আরও এক বছর কারাদ- প্রদান করেন।
২৩ অক্টোবর বুধবার দ্রুত বিচার ট্রাইব্যুনাল সিলেটের বিচারক দিলীপ কুমার দেবনাথ এ রায় প্রদান করেন। মামলার রায়ে বেকসুর খালাস দেয়া হয় ৪ জনকে। দ-প্রাপ্তরা হল কুমিল্লা জেলার বরুরা উপজেলার ভাইস চেয়ারম্যান সুলেমান পাটোয়ারী মন্টি, একই উপজেলার মন্টির সহযোগী আজম খান, জুবায়ের হোসেন, আবদুস শহীদ, শাহ আলম সুমন, শামীম মিয়া, জহুর আলী প্রকাশ কালু, রোমান ওরফে রুবেল, আলা উদ্দিন, মোঃ সালাউদ্দিন ও মোঃ শাহজাহান। আসামিদের মধ্যে মন্টি, জুবায়ের, আজম, আলাউদ্দিন ও সুমন পলাতক রয়েছেন।
পুলিশ জানায় ২০১০ সালের ২৭ সেপ্টেম্বর রাতে শ্রীমঙ্গল শহরের কার লাইটেস স্টেন্ড থেকে একটি হাইয়েস মাইক্রো গাড়ী ঢাকায় ভাড়া করে যাত্রী বেশী ছিনতাইকারীরা গাড়ীতে উঠে। ছিনতাইকারী ঘাতক চক্র চালক মহসীনকে চলন্ত অবস্থায় গলায় গামছা পেছিয়ে হত্যা করে লাশ হবিগঞ্জের শাহজিবাজারের কাছে একটি কবর স্থানে ফেলে গাড়ী নিয়ে চলে যায়। গত ৫ অক্টোবর চালক মহসিনের গলিত লাশ ঐ এলাকা থেকে পুলিশ উদ্ধার করে। গাড়ীসহ চালক নিখোজের ঘটনায় শ্রীমঙ্গল থানায় ২০১০ সালের ২৮ সেপ্টেম্বর গাড়ীর মালিক আব্দুল কাদির সাধারণ ডায়রী করেন।
গোপন সংবাদের ভিত্তিতে মৌলভীবাজার সদর সার্কেল এর সহকারী পুলিশ সুপার মুহাঃ আলমগীর হোসেনের নেতৃত্বে একদল পুলিশ ৬ অক্টোবর বুধবার ভোররাতে কুমিল্লা জেলার বড়রা থানা পুলিশের সহযোগিতায় বিশেষ অভিযান চালিয়ে বড়রা উপজেলা ভাইস চেয়ারম্যান সুলেমান পাটুয়ারী মন্টির বাড়ীর গ্যারেজ থেকে ছিনতাই কৃত গাড়ী সহ তিনকে গ্রেফতার করে। গ্রেফতারকৃতরা হলো উপজেলা ভাইস চেয়ারম্যান সুলায়মান পাটুয়ারী মন্টি, মোঃ আজম খান উরফে লেংরা আজম ও সুমন মিয়া। গ্রেফতারকৃতরা দীর্ঘ দিন ধরে মৌলভীবাজার সহ বিভিন্ন স্থানে গাড়ী চুরি ও ছিনতাই করে আসছে। এরা চোরাই ও ছিনতাইকৃত গাড়ীর রেজিষ্ট্্েরশন নাম্বার ও রং পরিবর্তন করে ঢাকাসহ দেশের বিভিন্ন এলাকার ব্যবসায়ীর কাছে বিক্রি করে থাকে। এ ঘটনায় এসআই সাজ্জাদুর রহমান বাদী হয়ে মামলা দায়ের করেন। আদালতে মামলার অভিযোগপত্র দাখিলের সময় ১৫ জনকে আসামি করা হয়। মামলাটি এক পর্যায়ে হবিগঞ্জ থেকে দ্রুত বিচার আদালত সিলেটে স্থানান্তর করা হয়। মামলায় ৩৫ জনের সাক্ষ্য গ্রহণ শেষে গত ২৩ অক্টোবর বুধবার বিজ্ঞ বিচারক এ রায় প্রদান করেন। সরকার পক্ষে মামলাটি পরিচালনা করেন পিপি কিশোর কুমার কর। আসামিপক্ষে ছিলেন সোহেল আহমদ চৌধুরী। মামলার রায়ের পর নিহত চালক মহসীনের বাবা ইউনুস মিয়া জানান, তার দুই ছেলেই গাড়ি চালাত। এরশাদ শাসনামলে ডাকাতের হামলায় তার আরেক ছেলে নিহত হয়। তিনি এ রায়ের প্রতিক্রিয়ায় জানান, আদালত তাদের ফাঁিসর আদেশ দেবেন ভেবে ছিলাম কিন্তু তা হলো না। স্টাফ রিপোর্টার॥
মন্তব্য করুন