তৈল গ্যাস উত্তোলনকারী মার্কিন কোম্পানী শেভরন সরকার দলীয় ঠিকাদারদের বাধার মূখে : গ্যাসক্ষেত্রের একটি কূপে উৎপাদন বন্ধ
মৌলভীবাজার জেলার শ্রীমঙ্গল উপজেলার কালাপুর মার্কিন কোম্পানী শেভরন বাংলাদেশের একটি গ্যাস কূপে উৎপাদন বন্ধ রয়েছে সরকারদলীয় ঠিকাদারদের বাধার মূখে। উন্মুক্ত দরপত্রের পরিবর্তে সরাসরি কাজ দেওয়ার দাবিতে সরকার দলীয় সমর্থিত কয়েকজন ঠিকাদার গত কয়েকদিন ধরে গ্যাসক্ষেত্রের প্রবেশ রাস্তা বন্ধ করে দেওয়ায় গত ২১ জুলাই থেকে ৬টি কুপের মধ্যে ১টি কুপের উৎপাদন বন্ধ হয়ে যায়। এতে দৈনিক দুই কোটি ঘনফুট গ্যাস উৎপাদন কমে জাতীয় গ্রিডে। স্থানীয় সরকার দলীয় এক দায়িত্বপ্রাপ্ত মন্ত্রীর ইশারায় ঠিকাদারদের এই অপতৎপরতায় গোটা গ্যাসক্ষেত্রটি বর্তমানে হুমকির মুখে পড়েছে। এ পরিস্থিতিতে উৎপাদন অব্যাহত রাখতে সরকারের সহযোগিতা চেয়েছে গ্যাসক্ষেত্র পরিচালনায় নিয়োজিত মার্কিন কো¤পানি শেভরন। সূত্র জানায়, মৌলভীবাজার গ্যাসক্ষেত্রে তালিকাভুক্ত ঠিকাদার সংখ্যা ২২ জন। শেভরন যে কোনো কাজ উন্মুক্ত দরপত্রের মাধ্যমে দিয়ে থাকে কিন্তু স্থানীয় সরকার দলীয় এক শীর্ষ নেতার আশীর্বাদপুষ্ট ৪ ঠিকাদার উন্মুক্ত দরপত্রের পরিবর্তে ঠিকাদারি কাজ তাদের মধ্যে ভাগ-বাটোয়ারা করে দেওয়ার জন্য শেভরনের স্থানীয় কর্মকর্তাদের ওপর বিভিন্নভাবে চাপ সৃষ্টি করে আসছিলেন বলে অভিযোগ রয়েছে। শেভরন কর্তৃপক্ষ এতে রাজি না হওয়ায় ওই ৪ ঠিকাদার স্থানীয় বাসিন্দাদের চাকরিসহ বিভিন্ন ইস্যু তুলে ধরে আন্দোলন গড়ে তোলার চেষ্টা করেন। এর অংশ হিসেবে ১৭ জুলাই থেকে প্রতিদিন সরকারদলীয় সমর্থকরা আন্দোলনের নামে এক দায়িত্বপ্রাপ্ত মন্ত্রীর ইশারায় মৌলভীবাজার গ্যাসক্ষেত্রে যাওয়ার রাস্তা বন্ধ করে দেন। বর্তমানে ওই ক্ষেত্রে কর্মরত কর্মকর্তা-কর্মচারীদের বাইরে বের হতে এমনকি তাদের জন্য খাবার সরবরাহ করতেও দেওয়া হচ্ছে না। এর ফলে দৈনিক উৎপাদন সাড়ে সাত কোটি ঘনফুট থেকে নেমে পাঁচ কোটি ঘনফুটে চলে আসে। গত সোমবার ও মঙ্গলবার দুপুরে পুলিশ নিয়েও শেভরনের উর্ধ্বতন কর্মকর্তারা ক্ষেত্রে প্রবেশ করতে পারেননি। পরিস্থিতি ব্যাখ্যা করে শেভরনের পক্ষ থেকে পেট্রোবাংলাকে চিঠি দেওয়া হয়েছে। পেট্রোবাংলা থেকে রাজনৈতিক নেতৃবৃন্দ এবং স্থানীয় প্রশাসনের সঙ্গে যোগাযোগ করেও কোনো কাজ হয়নি। পেট্রোবাংলার কর্মকর্তারা বলছেন, যে কোনো সময় মৌলভীবাজার ক্ষেত্রের ৬টি কোপের উৎপাদন বন্ধ হয়ে যেতে পারে। এতে গোটা দেশে গ্যাস খাতে ভয়াবহ বিপর্যয় দেখা দেবে। একটি নির্ভরযোগ্য সুত্রে জানা যায়, কালাপুর গ্যাসক্ষেত্রে মালপত্র সরবরাহকারী কয়েকজন ঠিকাদারের নেতৃত্বে সরকার দলীয় প্রভাবশালী স্থানীয় কিছু লোক চাকুরী ও গ্যাসের দাবী দেখিয়ে কিছু সহজ সরল মানুষকে সাথে নিয়ে কয়েক দিন ধরে গ্যাসফিল্ডের প্রবেশ রাস্তা বন্ধ করে রেখেছে। ফলে কোনো যানবাহন গ্যাসফিল্ডে প্রবেশ করতে পারছে না। এতে দেশের গ্যাসক্ষেত্রে বড়ধরনের ক্ষতির আশংকা করছেন সংশ্লিষ্টরা।
মৌলভীবাজার জেলার শ্রীমঙ্গল উপজেলার কালাপুর মার্কিন কোম্পানী শেভরন বাংলাদেশের একটি গ্যাস কূপে উৎপাদন বন্ধ রয়েছে সরকারদলীয় ঠিকাদারদের বাধার মূখে। উন্মুক্ত দরপত্রের পরিবর্তে সরাসরি কাজ দেওয়ার দাবিতে সরকার দলীয় সমর্থিত কয়েকজন ঠিকাদার গত কয়েকদিন ধরে গ্যাসক্ষেত্রের প্রবেশ রাস্তা বন্ধ করে দেওয়ায় গত ২১ জুলাই থেকে ৬টি কুপের মধ্যে ১টি কুপের উৎপাদন বন্ধ হয়ে যায়। এতে দৈনিক দুই কোটি ঘনফুট গ্যাস উৎপাদন কমে জাতীয় গ্রিডে। স্থানীয় সরকার দলীয় এক দায়িত্বপ্রাপ্ত মন্ত্রীর ইশারায় ঠিকাদারদের এই অপতৎপরতায় গোটা গ্যাসক্ষেত্রটি বর্তমানে হুমকির মুখে পড়েছে। এ পরিস্থিতিতে উৎপাদন অব্যাহত রাখতে সরকারের সহযোগিতা চেয়েছে গ্যাসক্ষেত্র পরিচালনায় নিয়োজিত মার্কিন কো¤পানি শেভরন। সূত্র জানায়, মৌলভীবাজার গ্যাসক্ষেত্রে তালিকাভুক্ত ঠিকাদার সংখ্যা ২২ জন। শেভরন যে কোনো কাজ উন্মুক্ত দরপত্রের মাধ্যমে দিয়ে থাকে কিন্তু স্থানীয় সরকার দলীয় এক শীর্ষ নেতার আশীর্বাদপুষ্ট ৪ ঠিকাদার উন্মুক্ত দরপত্রের পরিবর্তে ঠিকাদারি কাজ তাদের মধ্যে ভাগ-বাটোয়ারা করে দেওয়ার জন্য শেভরনের স্থানীয় কর্মকর্তাদের ওপর বিভিন্নভাবে চাপ সৃষ্টি করে আসছিলেন বলে অভিযোগ রয়েছে। শেভরন কর্তৃপক্ষ এতে রাজি না হওয়ায় ওই ৪ ঠিকাদার স্থানীয় বাসিন্দাদের চাকরিসহ বিভিন্ন ইস্যু তুলে ধরে আন্দোলন গড়ে তোলার চেষ্টা করেন। এর অংশ হিসেবে ১৭ জুলাই থেকে প্রতিদিন সরকারদলীয় সমর্থকরা আন্দোলনের নামে এক দায়িত্বপ্রাপ্ত মন্ত্রীর ইশারায় মৌলভীবাজার গ্যাসক্ষেত্রে যাওয়ার রাস্তা বন্ধ করে দেন। বর্তমানে ওই ক্ষেত্রে কর্মরত কর্মকর্তা-কর্মচারীদের বাইরে বের হতে এমনকি তাদের জন্য খাবার সরবরাহ করতেও দেওয়া হচ্ছে না। এর ফলে দৈনিক উৎপাদন সাড়ে সাত কোটি ঘনফুট থেকে নেমে পাঁচ কোটি ঘনফুটে চলে আসে। গত সোমবার ও মঙ্গলবার দুপুরে পুলিশ নিয়েও শেভরনের উর্ধ্বতন কর্মকর্তারা ক্ষেত্রে প্রবেশ করতে পারেননি। পরিস্থিতি ব্যাখ্যা করে শেভরনের পক্ষ থেকে পেট্রোবাংলাকে চিঠি দেওয়া হয়েছে। পেট্রোবাংলা থেকে রাজনৈতিক নেতৃবৃন্দ এবং স্থানীয় প্রশাসনের সঙ্গে যোগাযোগ করেও কোনো কাজ হয়নি। পেট্রোবাংলার কর্মকর্তারা বলছেন, যে কোনো সময় মৌলভীবাজার ক্ষেত্রের ৬টি কোপের উৎপাদন বন্ধ হয়ে যেতে পারে। এতে গোটা দেশে গ্যাস খাতে ভয়াবহ বিপর্যয় দেখা দেবে। একটি নির্ভরযোগ্য সুত্রে জানা যায়, কালাপুর গ্যাসক্ষেত্রে মালপত্র সরবরাহকারী কয়েকজন ঠিকাদারের নেতৃত্বে সরকার দলীয় প্রভাবশালী স্থানীয় কিছু লোক চাকুরী ও গ্যাসের দাবী দেখিয়ে কিছু সহজ সরল মানুষকে সাথে নিয়ে কয়েক দিন ধরে গ্যাসফিল্ডের প্রবেশ রাস্তা বন্ধ করে রেখেছে। ফলে কোনো যানবাহন গ্যাসফিল্ডে প্রবেশ করতে পারছে না। এতে দেশের গ্যাসক্ষেত্রে বড়ধরনের ক্ষতির আশংকা করছেন সংশ্লিষ্টরা। স্টাফ রিপোর্টার॥
মন্তব্য করুন