(ভিডিওসহ) স্কুলের উন্নয়নে আমাদের সবাইকে ভৃমিকা রাখতে হবে : গৌরবের ৪০ বৎসর পূণর্মিলনীতে এই হোক দীপ্ত শপথ
মোহাম্মদ মকিস মনসুর॥ পৌরসভা আদর্শ উচ্চ বিদ্যালয়ের গৌরবের ৪০ বৎসর পূণর্মিলনী উৎসব উপলক্ষে আজকের লেখার শুরুতই স্কুলের প্রতিষ্ঠাতা মরহুম সাজ্জাদুর রহমান পুতুলসহ স্কুল প্রতিষ্ঠায় যারা নানাভাবে সহযোগিতা করেছেন সেইসব দানশীল ব্যাক্তিবর্গ ও আমাদের সম্মানিত শিক্ষকম-লী, কর্মকতা, কর্মচারী ও প্রাক্তন ছাত্র যারা আমাদের মাঝে নেই তাদের আত্মার মাগফেরাত কামনা করছি এবং যারা এখন ও জীবিত আছেন সবার সুস্বাস্থ্য ও দীর্ঘায়ু কামনা করছি।
আমার জন্মমাটি ঐতিহ্যবাহী কচুয়া প্রাইমারি স্কুলে লেখাপড়ার হাতেখড়ি। পরবর্তীতে একাটুনা প্রাইমারি স্কুল থেকে প্রাইমারি পাশ করে শহরের নব্য প্রতিষ্ঠিত পৌরসভা আদর্শ উচ্চ বিদ্যালয়ে ষষ্ঠ শ্রেণীতে ভর্তি হয়ে ১৯৮৫ সালের মাধ্যমিক পরীক্ষার্থী ছিলাম। প্রাইমারি স্কুলের কোনো স্মৃতি মনে না থাকলেও হাই স্কুল, আর কলেজ ও
ইউনিভার্সিটি জীবনের মধুময় স্মৃতি কোন দিন ভূলা যায় না। স্মৃতির যে অধ্যায়টি আমার কাছে সবচেয়ে সুখের তা হলো আমার স্কুল জীবন আর শৈশব। আমার শৈশব আর স্কুলের কথা মনে পড়লে মাঝে মাঝে মনে হয় কেন বড় হলাম। ছোট থাকাই ভালোই ছিল। নতুন স্কুলে এসে আমি যেনো এক বড় জগৎ দেখতে পেলাম। প্রথম প্রথম নতুন পরিবেশ অস্বস্তিকর মনে হতো। তবে ধীরে ধীরে সেটা নিজ গ্রাম আর বাড়ির মতো আপন হয়ে উঠল।
আজ এ লেখা লিখতে গিয়ে স্মৃতিপটে ভেসে উঠছে স্কুল জীবনের অসংখ্য চিত্র। শিক্ষকদের শাসন আদর, ছাত্র-ছাত্রীদের একত্রে ক্লাসে বসা ও মাঠে খেলা করা, স্কুল ছুটির সাথে হৈ হুল্লুর করে আনন্দের সাথে স্কুল ত্যাগ করা। সবচেয়ে ভালো লাগতো সকালে স্কুল এসেম্বলিতে যখন সবাইকে দাড়িয়ে শরীরচচা করানো হতো এবং দূপুরে টিফিন খাওয়ার সময় কাড়াকাড়ি করে কারটা কে খাবে এই প্রতিযোগীতা করতে। আজ মনে পড়ছে আমি কিন্তু প্রায়ই টিফিন চুরি করা অথবা বন্ধুদের কাছ থেকে জোর তথা কেড়ে নিতে উস্তাধ ছিলাম। তবে আমাদের পারিবারিক রীতি অনুযায়ী আমি বড়দের বরাবর সম্মান করে চলতাম । আর আমার এই গুণ স্কুলে আমাকে খুব অল্প সময়ের মধ্যে পরিচিত করে ফেলে। এ কারণেই হয়তো স্কুলের সব শিক্ষক আমাকে স্নেহ করতেন। শিক্ষক আর বন্ধুদের স্নেহ- ভালোবাসায় আমার স্কুল জীবন হয়ে উঠেছিল আনন্দের ও গৌরবময়। বিদ্যালয়ের শেষ দিনটিও যেনো স্কুল জীবনের আরেক প্রতিচ্ছবি। সবই যেনো আজ এক অম্লান স্মৃতি। বন্ধু আহসান, হাকীম, তুহিন, তানভীর, মিসবাহ, আশিক, মোজাহিদ, মামুন, ইকবাল, তোফায়েল, আলো, মোক্কামিল, মোজাহিদ, শাফিক, মোহাইমিন, মোশাহিদ, মুসাদ্দিক, কুটিসহ আমরা অনেকেই এই স্কুলের একই ব্যাচের ছাত্র ছিলাম। পরের ব্যাচের ছাত্র হিসাবে রেজওয়ান, আজিজ ইফতেখার, রুহেল, সুফিয়ান সহ অনেকেই আমরা বিভিন্ন অনুষ্ঠান, খেলাধুলা, স্কাউটসসহ স্কুল ভিত্তিক বিভিন্ন প্রতিযোগীতায় অংশগ্রহণ করা সহ নানা রকম কাজে আমাদের মধ্যে ছিলো এক আন্তরিক ও মধুময় সম্পক। যাহা এখনও অব্যাহত রয়েছে। আমাদের সময় মৌলভীবাজার সরকারী স্কুল মাঠে মহান স্বাধীনতা ও বিজয় দিবসের ডিসপ্লেতে আমরা প্রায়ই প্রথম অথবা দ্বিতীয় স্থান পেতাম। এছাড়াও কবিতা, নাটক, বিতর্ক, স্কাউটিং, ভলিবল, টেবিল টেনিস ও স্কুল ভিত্তিক নানা প্রতিযোগীতায় আমাদের স্কুল প্রায়ই পুরস্কার পাওয়ার গৌরব অর্জন করেছি। আমি যখন ক্লাস অষ্টম শ্রেণীর ছাত্র স্কুলের মহান স্বাধীনতা দিবসের এক অনুষ্ঠানে আমার জীবনের প্রথম লিখিত বক্তৃতা দিতে উঠেছি। বক্তৃতার সময় আমার হাত-পা শুধু নয় মাইক ও কাঁপা শুরু করছিলো। তাই ভয়ে থেমে গেলাম। পিছন থেকে অনুষ্ঠানের উপস্থাপক দানিয়াল স্যার আমার পিটে জুড়ে একটি থাপ্পর মেরে বললেন থামলে কেনো? চালিয়ে যাও। তারপর কোনো রকম বক্তৃতা শেষ করলাম এবং মনে মনে প্রতিজ্ঞা করলাম থাপ্পর যখন খেয়েছি, শালার বক্তৃতাকে দেখে নেবো। এমনভাবে বক্তৃতাকে মুখস্থ করলাম পরে ক্লাস নাইন ট্রেন এমনকি কলেজ ও ইউনিভার্সিটিতে আজ এই প্রবাসের মাটিতেও লিখিত বক্তৃতা দিতে হয়নি। আজ বাংলাদেশের রাষ্ট্রপতি, প্রধানমন্ত্রী থেকে শুরু করে বৃটেনের পার্লামেন্ট ও ওয়েলস এসেম্বলিসহ ব্রিটিশ এমপি ও বৃটেনের একাধিক প্রধানমন্ত্রীর সামনে ও বক্তৃতা দিতে পেরেছি। আজ এই লেখার মাধ্যমে শ্রদ্ধেয় স্যারকে থাপ্পর মারার জন্য ধন্যবাদ জানাচ্ছি।
আজ ঐতিহ্যবাহী মৌলভীবাজার পৌরসভা আদর্শ উচ্চ বিদ্যালয়ের গৌরবের ৪০ বৎসরের মাথায় এসে আমরা গর্র্বের সাথে বলতে পারি দেশে বিদেশে সরকারী বেসরকারি নানা প্রতিষ্ঠানে চাকুরীরত ছাড়াও ব্যাবসা- বানিজ্যে সাংবাদিকতায়, সাহিত্য -সাংস্কৃতিক অঙ্গনে লেখালেখির জগতে, রাজনীতিতে কমিউনিটি ও সমাজসেবার কাজে ভৃমিকা রাখাসহ সর্বক্ষেত্রে পৌরসভা আদর্শ উচ্চ বিদ্যালয়ের প্রাক্তন ছাত্রদের অনেকেই নিষ্ঠা ও নিরলসভাবে কাজ করে যাচ্ছেন। এসো মিলে মিশে এক হই নতুন আর পুরাতনে গৌরবের ৪০ বৎসর পূণর্মিলনী উৎসবে আমার পক্ষে আসা সম্ভব হচ্ছে না, সবাইকে খুব মিস করবো।
তবে এদিকে আমি খুব সৌভাগ্যবান সেপ্টেম্বর ও অক্টোবর মাসে দেশে থাকার সুযোগে পূণর্মিলনী উৎসবকে সফল করতে দুটি প্রস্তুতি সভাসহ বণাঢ্যর্যালীতে উপস্থিত হতে পেরেছি। দীর্ঘ ২৫ বছর পর আমার প্রিয় স্কুলে ছাত্র -ছাত্রীদের পক্ষ থেকে আমাকে দেওয়া সংবর্ধনা অনুষ্ঠানে যোগ দিতে গিয়েছিলাম। অনুষ্ঠানের আগে পুরো স্কুল ঘুরে দেখানো হলো। স্কুলের বিল্ডিংগুলোর যে অবস্থা দেখলাম। এগুলো জরুরী অবস্থায় সংস্কার করা একান্ত আবশ্যকীয়। আমাদের শ্রদ্ধেয় শিক্ষক স ব ম দানিয়াল স্যারসহ শিক্ষক ম-লী ও প্রাক্তন ছাত্রদের দাবী, সমগ্রবিশ্বে আমাদের যে সব প্রাক্তন ছাত্র- ছাত্রীরা রয়েছেন সবাই যদি আন্তরিক উদ্দ্যোগ নিয়ে অন্তত একটি বিল্ডিং করে দিতে পারেন তাহলে স্কুলের জন্য খুবই ভালো হতো। আমি ঐ দিনের সভায় আমার বক্তব্যে প্রস্তাব আকারে ভাই ইফতেখারকে উদ্দেশ্য করে বলেছিলাম এখন ডিজিটালের যোগ, দেশে বিদেশে সবার ফোন নং সংগ্রহ করে স্কুলের নামে একটি হোয়াটসএ্যাপ গ্রুপ করে সবাইকে একটি প্লাটফর্মে নিয়ে আনতে পারলে ধীরে ধীরে স্কুলের সমস্যা সমধানের কাজে সহযোগীতা পাওয়াসহ পূণর্মিলনী উৎসবের কাজ ও এগিয়ে যাবে ইনশাআল্লাহ। হোয়াটসএ্যাপ গ্রুপ খোলার দুদিনের মাথায় ২৫৬ জন ফুলফিল হয়ে যায়। হোয়াটসএ্যাপ গ্রুপের মাধ্যমে শুরু হয় একে অন্যের সাথে তথা নতুন আর পুরাতনের প্রায়ই – পরিচয় স্মৃতিচারণমূলক আলাপ -আলোচনা। এযেনো এক প্রানের বন্ধন, আত্মার আত্মীয়তা। আসতে থাকে দেশ-বিদেশ থেকে স্কুলের প্রাত্তন ছাত্রদের সহযোগীতার প্রতিশ্রুতি। এই সেতু বন্ধনকে ধরে রাখার মানসে ও সবার আন্তরিক সহযোগীতার কারনেই পূণর্মিলনী উৎসবকে সফল করার লক্ষে ১০ অক্টোবর বর্ণাঢ্য র্যালীও করা সম্ভব হয়েছে।
এই সুন্দর আয়োজনে বন্ধু আসিক মোশারফ, আবু সুফিয়ান, ইফতেখার, নোমান, ইমরান, কালাম, সেলিম, তাজ, কামাল, উজ্জল, মাহবুব, জসিম, মারুফ, নিজাম, শামীম, অভিজিৎ, আহমেদ, হোসেন, সুয়েল, দেলোয়ার, কয়ছর, রফিক জাকির, শামীম, নেছার, নজরুল, ববি, সাইদুর, জামিল সহ যে সব ছাত্ররা অক্লান্ত পরিস্রম করেছেন সবাইকে অভিনন্দন ও কৃতজ্ঞতা জানাচ্ছি।
বৃটেনে আসার পর প্রথমে ৭ জন এডমিন দিয়ে প্রবাসে আরেকটি হোয়াটসএ্যাপ গ্রুপ খোলার মাধ্যমে পূণর্মিলনী উৎসবকে সফল করার লক্ষে শত ব্যাস্ততার মাঝেও আমরা সমগ্র বিশ্বে বসবাসরত প্রাক্তন ছাত্রদের ফোন নং খুজে খুজে বাহির করে করে হাটি হাটি পা পা করে এগিয়ে যেতে হয়েছে। এই মহতি উদ্যোগের ধারাবাহিকতার আলোকে বৃটেনের রাজধানী লন্ডন শহরে প্রাক্তন ছাত্রবৃন্দদের নিয়ে এক মতবিনিময় সভারও আয়োজন করা হয়। স্কুলের প্রাক্তন ছাত্র হিসাবে আমার (মোহাম্মদ মকিস মনসুর ) সভাপতিত্বে এবং স্কুলের প্রাক্তন ছাত্র রাকিব এইচ রুহেল ও স্কুলের প্রাক্তন ছাত্র হিরু কোরেশী এর যৌথ সঞ্চলনায় শুরুতেই পবিত্র কোরআন থেকে তেলাওয়াত করেন প্রাক্তন ছাত্র ইকবাল আহমেদ।
মতবিনিময় সভা স্কুলের বিভিন্ন ব্যাচের যে সব ছাত্রবৃন্দরা উপস্থিত থেকে সুচিন্তিত মতামত তুলে ধরেছিলেন তারা হলেন প্রাক্তন ছাত্র তুহিন আহমেদ, রেজউয়ান আহমেদ, আব্দুল আজিজ বারী, মোহাম্মদ সোহাগ চৌধরী, মোহাম্মদ ইকবাল আহমেদ, শাকের আলম, মতিউর রহমান সালেহ, তুফায়েল আহমেদ, কাজী আব্দুস সামাদ ইপু, মোঃ আবুল হোসেন, আব্দুল লাতিফ, জলিল উদ্দিন চৌধরী, রাসেল খানঁ, মোহাম্মদ শিপু আহমেদ, সালমান শেখ নুরুল, মহাব্বত হোসেন, সাজ্জাত আহমেদ ও শাহীন আহমেদ প্রমুখ।
সময়ের অভাবে বন্ধু আহমেদ হাসান আহসান ও বন্ধু আব্দুল হাকিম মকসুদ সহ অনেকেই একাত্বতা প্রকাশ করে এপোলজিও প্রদান করেছেন। মতবিনিময় সভায় পূণর্মিলনী উৎসব সুন্দর ও সুষ্ঠভাবে সম্পন্ন করা ও স্কুলের উন্নয়ন মূলক কর্মকান্ড বিষয় নিয়ে আলোচনা বাংলাদেশের পুণর্মিলনী উৎসব শেষে আগামী এপ্রিল মাসে লন্ডনে ও মৌলভীবাজার পৌরসভার আদর্শ উচ্চ বিদ্যালয়ের পূণর্মিলনী উৎসব করারও সিদ্ধান্ত গৃহীত হয়।
সভার সিদ্ধান্ত অনুযায়ী বিপুল উৎসাহ উদ্দীপনায় ও আনন্দঘন পরিবেশে ইতিমধ্যে অনেকেই পূণর্মিলনী উৎসবে রেজিস্ট্রেশন করায় একটি বিরাট অংকের টাকা আমরা দেশে পাঠাতে পেরেছি। আমি এবং আমরা অনেকেই পিছনে ছিলাম কিন্তু এখানে মূল দায়িত্ব পালন করেছেন ভাই হিরু কুরেসী, রাকিব রুহেল ও রেজওয়ান আহমদ ও অন্যান্যরা।
এখানে উল্লেখ্য যে স্কুলের ২০০৬ ব্যাচের দেশে -বিদেশে অবস্থানরত প্রাক্তন ছাত্রদের উদ্যোগে বিদ্যালয়ের হারিয়ে যাওয়া সৌন্দর্য ফিরিয়ে আনতে, বিদ্যালয়ের পুরো ক্যাম্পাস রঙ করে দিয়েছেন। তাদেরকে ও এই লেখার মাধ্যমে কৃতজ্ঞতা জানাচ্ছি।
উৎসবের এই লগ্নে আমাদের জন্য একটি দূঃখের সংবাদ ছিলো শ্রদ্ধেয় শিক্ষক সুজিত বাবু স্যারকে সড়ক দুর্ঘটনায় হারানো, আর আনন্দের সংবাদ হলো অতীতের ধারাবাহিকতা বজায় রেখে এবারকার ১৬ ডিসেম্বর মহান বিজয় দিবসের জেলার অনুষ্ঠানের ডিসপ্লেতে ১ম হওয়ার গৌরব অর্জন করা।
পরিশেষে গৌরবের ৪০ বৎসর পূণর্মিলনীর সফল করতে দেশে ও বিদেশ থেকে যারা টাকা দিয়ে রেজিস্ট্রেশন করেছেন ও সময় দিয়ে দেশেবিদেশে দিনরাত পরিশ্রম করেছেন সবাইকে আবারও ধন্যবাদ জানানো সহ আগামীতে ঐতিহ্যবাহী পৌরসভা আদর্শ উচ্চ বিদ্যালয়ের উন্নয়নে যার য়ার অবস্থান থেকে সবাইকে ভৃমিকা রাখতে হবে গৌরবের ৪০ বৎসর পূণর্মিলনীতে এই হোক আমাদের দীপ্ত শপথ..।
লেখক পরিচিত:- মোহাম্মদ মকিস মনসুর, মৌলভীবাজার জেলা সদরের ৬নং একাটুনা ইউনিয়নের কচুয়া গ্রামের জন্মগ্রহণকারী আমাদের স্কুলের ৮৫ ব্যাচের প্রাক্তন ছাত্র: মৌলভীবাজার জেলার সাবেক ছাত্রনেতা ও বৃটেনের কমিউনিটি ব্যক্তিত্ব ও সাংবাদিক মহলের একজন পরিচিত মুখ মোহাম্মদ মকিস মনসুর আহমদ দেশেবিদেশে বিভিন্ন পত্রিকায় নিয়মিত লিখে যাচ্ছেন। তিনি ডেইলি সিলেট ও মৌলভীবাজার জেলার একমাত্র নিয়মিত দৈনিক মৌমাছি কন্ঠের সম্পাদক মন্ডলীর সভাপতি এবং টিভি চ্যানেল এ টি ন বাংলার ওয়েলস প্রতিনিধির দায়িত্বে রয়েছেন।
মন্তব্য করুন