মাশরাফি-সাকিবকেও আকসুর জিজ্ঞাসাবাদ
চিটাগং কিংস ও ঢাকা গ্ল্যাডিয়েটরসের ম্যাচ শুরুর কয়েক ঘণ্টা পূর্বেই ফ্র্যাঞ্চাইজি সেলিম চৌধুরী তার মিডিয়া ম্যানেজারকে দিয়ে জানায়, মাশরাফি বিন মুর্তজা খেলবে না। তার বদলি হিসেবে মোহাম্মদ আশরাফুল যে দলের নেতৃত্ব দেবেন সে কথাও বলেন তিনি। এই খবর তখনও মাশরাফি এবং দলের কোচ পর্যন্ত জানেন না। সেই মুহূর্ত থেকে সন্দেহ ডালপালা মেলতে থাকে। পুরো ম্যাচে গ্ল্যাডিয়েটরসের খেলোয়াড়দের অভিনয় দেখে বিস্মিত না হয়ে পারেনি দর্শকরাও। ক্রিকেট সংশ্লিষ্টদের একটা বড় অংশই প্রকাশ্যেই বলেছেন, পাতানো ম্যাচ খেলেছে গ্ল্যাডিয়েটরস। এনিয়ে খেলা পরবর্তী সংবাদ সম্মেলনে প্রশ্নবানে জর্জরিত হতে হয় বদলি অধিনায়ক আশরাফুলকে। কথার মারপ্যাচে অধিনায়ক সেদিন পাশ কাটাতে পারলেও উত্তরটা কারও মনপুত ছিল না। ঢাকা গ্ল্যাডিয়েটরসের মালিক সেলিম চৌধুরী পর্যন্ত তীব্র প্রতিবাদ করেছিলেন ম্যাচ পাতানোর প্রশ্নে। প্রতিপক্ষ দলের কোচ খালেদ মাহমুদ সুজন সাংবাদিকদের প্রশ্ন উড়িয়ে দিয়েছিলেন এক ফুৎকারে। বিপিএল গভর্নিং কাউন্সিলের কর্মকর্তাদের কাছে পাতানোর প্রশ্ন তুলতে আপত্তি জানিয়েছিলেন। বিপিএলে দুর্নীতি পাহাড়া দিতে আসা আকসু সদস্যরাও বিষয়টি এড়িয়ে গেছেন। এতকিছুর পরও খবরের কাগজগুলো ঘটনার বর্ণনা দিয়ে প্রমাণ রেখে দেয়। সেই আকসুর নির্দেশে আইসিসি দুর্নীতিদমন বিভাগের কর্মকর্তারা ঢাকায় এসে সন্দেহভাজন ক্রিকেটারদের সাক্ষাৎকার নিচ্ছেন। ঢাকা গ্ল্যাডিয়েটরসের বিদেশি ক্রিকেটারদের দেশে গিয়েও প্রশ্ন করেছেন সন্দেহভাজন ম্যাচ ইস্যুতে। ২ ফেব্রুয়ারির ওই ম্যাচে গ্ল্যাডিয়েটরসের অধিনায়ক আশরাফুলকে দুবার ডেকে জিজ্ঞাসাবাদ করেছে আকসু। সে কথা অস্বীকার করেননি আশরাফুল,আমাকে অনেক প্রশ্ন করেছে। যা যা জানতে চেয়েছে আমি তার উত্তর দিয়েছি। বাংলানিউজকে নির্ভরযোগ্য সূত্র জানিয়েছে, আকসুর সামনে হাজির হতে হয়েছে ঢাকা গ্ল্যাডিয়েটরসের সকল ক্রিকেটারকেই। এই তালিকা থেকে মাশরাফি বিন মুর্তজা এবং সাকিব আল হাসানও বাদ যাননি। যদিও সে ম্যাচে এই দুজনের কেউ-ই খেলেননি। মাশরাফিকে বসিয়ে দেওয়া হয়েছিল আর সাকিব চোটাক্রান্ত ছিলেন। চিটাগং কিংসের কয়েকজন ক্রিকেটারকেও ডেকেছিল আকসু। সন্দেহের তালিকায় থাকা সকলকেই আকসুর মুখোমুখি হতে হবে বলে জানায় বিসিবি সূত্র। ক্রিকেটারদের জিজ্ঞাসাবাদ করলেও এখনও ফ্র্যাঞ্চাইজির সঙ্গে দেখা করেনি আকসু প্রতিনিধি দল। সেলিম চৌধুরী বিদেশে থাকায় সেদিকে এখনও যায়নি তারা। বৃহস্পতিবার গভীর রাতে দেশে ফিরিছেন গ্ল্যাডিয়েটরস মালিক। এ সম্পর্কে তিনি বলেছেন,ঢাকা গ্ল্যাডিয়েটরস আকসুকে সর্বাত্মক সহযোগিতা করবে। প্রয়োজনে আমরাও আলাদা করে তদন্ত করতে প্রস্তুত। এদিকে বিসিবি থেকে পুর্ণ সহযোগিতা পাচ্ছে আকসু দল। বিসিবি ভারপ্রাপ্ত সিইও নিজামউদ্দিন চৌধুরীর সাহায্যে কার্য সম্পাদন করছেন তারা। এডহক কমিটির সদস্য গাজী আশরাফ হোসেন লিপু বলছিলেন,বিষয়টি গোপন রাখার কোনো সুযোগ নেই। আকসু অভিযোগ খতিয়ে দেখছে। তখন যে পত্রপত্রিকায় লেখালেখি হয়েছিল সেগুলো তথ্য উপাত্ত হিসেবে কাজে লাগাতে পারে তারা।
চিটাগং কিংস ও ঢাকা গ্ল্যাডিয়েটরসের ম্যাচ শুরুর কয়েক ঘণ্টা পূর্বেই ফ্র্যাঞ্চাইজি সেলিম চৌধুরী তার মিডিয়া ম্যানেজারকে দিয়ে জানায়, মাশরাফি বিন মুর্তজা খেলবে না। তার বদলি হিসেবে মোহাম্মদ আশরাফুল যে দলের নেতৃত্ব দেবেন সে কথাও বলেন তিনি। এই খবর তখনও মাশরাফি এবং দলের কোচ পর্যন্ত জানেন না। সেই মুহূর্ত থেকে সন্দেহ ডালপালা মেলতে থাকে। পুরো ম্যাচে গ্ল্যাডিয়েটরসের খেলোয়াড়দের অভিনয় দেখে বিস্মিত না হয়ে পারেনি দর্শকরাও। ক্রিকেট সংশ্লিষ্টদের একটা বড় অংশই প্রকাশ্যেই বলেছেন, পাতানো ম্যাচ খেলেছে গ্ল্যাডিয়েটরস। এনিয়ে খেলা পরবর্তী সংবাদ সম্মেলনে প্রশ্নবানে জর্জরিত হতে হয় বদলি অধিনায়ক আশরাফুলকে। কথার মারপ্যাচে অধিনায়ক সেদিন পাশ কাটাতে পারলেও উত্তরটা কারও মনপুত ছিল না। ঢাকা গ্ল্যাডিয়েটরসের মালিক সেলিম চৌধুরী পর্যন্ত তীব্র প্রতিবাদ করেছিলেন ম্যাচ পাতানোর প্রশ্নে। প্রতিপক্ষ দলের কোচ খালেদ মাহমুদ সুজন সাংবাদিকদের প্রশ্ন উড়িয়ে দিয়েছিলেন এক ফুৎকারে। বিপিএল গভর্নিং কাউন্সিলের কর্মকর্তাদের কাছে পাতানোর প্রশ্ন তুলতে আপত্তি জানিয়েছিলেন। বিপিএলে দুর্নীতি পাহাড়া দিতে আসা আকসু সদস্যরাও বিষয়টি এড়িয়ে গেছেন। এতকিছুর পরও খবরের কাগজগুলো ঘটনার বর্ণনা দিয়ে প্রমাণ রেখে দেয়। সেই আকসুর নির্দেশে আইসিসি দুর্নীতিদমন বিভাগের কর্মকর্তারা ঢাকায় এসে সন্দেহভাজন ক্রিকেটারদের সাক্ষাৎকার নিচ্ছেন। ঢাকা গ্ল্যাডিয়েটরসের বিদেশি ক্রিকেটারদের দেশে গিয়েও প্রশ্ন করেছেন সন্দেহভাজন ম্যাচ ইস্যুতে। ২ ফেব্রুয়ারির ওই ম্যাচে গ্ল্যাডিয়েটরসের অধিনায়ক আশরাফুলকে দুবার ডেকে জিজ্ঞাসাবাদ করেছে আকসু। সে কথা অস্বীকার করেননি আশরাফুল,আমাকে অনেক প্রশ্ন করেছে। যা যা জানতে চেয়েছে আমি তার উত্তর দিয়েছি। বাংলানিউজকে নির্ভরযোগ্য সূত্র জানিয়েছে, আকসুর সামনে হাজির হতে হয়েছে ঢাকা গ্ল্যাডিয়েটরসের সকল ক্রিকেটারকেই। এই তালিকা থেকে মাশরাফি বিন মুর্তজা এবং সাকিব আল হাসানও বাদ যাননি। যদিও সে ম্যাচে এই দুজনের কেউ-ই খেলেননি। মাশরাফিকে বসিয়ে দেওয়া হয়েছিল আর সাকিব চোটাক্রান্ত ছিলেন। চিটাগং কিংসের কয়েকজন ক্রিকেটারকেও ডেকেছিল আকসু। সন্দেহের তালিকায় থাকা সকলকেই আকসুর মুখোমুখি হতে হবে বলে জানায় বিসিবি সূত্র। ক্রিকেটারদের জিজ্ঞাসাবাদ করলেও এখনও ফ্র্যাঞ্চাইজির সঙ্গে দেখা করেনি আকসু প্রতিনিধি দল। সেলিম চৌধুরী বিদেশে থাকায় সেদিকে এখনও যায়নি তারা। বৃহস্পতিবার গভীর রাতে দেশে ফিরিছেন গ্ল্যাডিয়েটরস মালিক। এ সম্পর্কে তিনি বলেছেন,ঢাকা গ্ল্যাডিয়েটরস আকসুকে সর্বাত্মক সহযোগিতা করবে। প্রয়োজনে আমরাও আলাদা করে তদন্ত করতে প্রস্তুত। এদিকে বিসিবি থেকে পুর্ণ সহযোগিতা পাচ্ছে আকসু দল। বিসিবি ভারপ্রাপ্ত সিইও নিজামউদ্দিন চৌধুরীর সাহায্যে কার্য সম্পাদন করছেন তারা। এডহক কমিটির সদস্য গাজী আশরাফ হোসেন লিপু বলছিলেন,বিষয়টি গোপন রাখার কোনো সুযোগ নেই। আকসু অভিযোগ খতিয়ে দেখছে। তখন যে পত্রপত্রিকায় লেখালেখি হয়েছিল সেগুলো তথ্য উপাত্ত হিসেবে কাজে লাগাতে পারে তারা। স্পোর্টস করেসপন্ডেন্ট
মন্তব্য করুন