অপরাধ অংকুরেই বিনাশ করলেন জুড়ীর ওসি!
সীমান্তে বটুলী চেকপোষ্ট পরিদর্শনে যাবেন তিনি। যথারিতী তৈরি হয়ে গাড়ি নিয়ে বের হয়েছেন। ওই পথের যাত্রী ছিলেন স্বনামধন্য তরুন একজন সাংবাদিক। পথিমধ্যে শিশুদের জটলা দেখে থামিয়ে দেন যাত্রা। মুহুর্তেই আঁচ করেন শিশুদের অপরাধ প্রবনতার প্রশিক্ষনটি। গাড়ি থেকে নামতেই শিশুরা সবাই পালাচ্ছিল। তিনি দরদী কণ্ঠে তাদের কাছে ডেকে নিলেন। একে একে সব শিশুর নাম জিজ্ঞাসা করলেন। এসব শিশুদের অভিভাবকদের তলব করে যাদের পেলেন তাদের জড়ো করলেন। এর পর শুরু করলেন শিশুরা যা করছিল তার কুফল সম্পর্কে আলোচনা। সুদীর্ঘ আলোচনায় কোমলমতি শিশুরা পণ করলো তারা জীবনে যতদিন বেঁচে থাকবে আর কোন দিন এমন কাজে লিপ্ত হবে না। সংগে সংগে চকলেট কিনে দিয়ে ওদের মনে আনন্দের প্রবাহ বইয়ে দিয়েছেন তিনি। আর অভিভাবকদের করেছেন সতর্ক। তিনি আর কেউ নন, জুড়ী উপজেলার দুই লক্ষাধিক নাগরীকের জানমালের নিরাপত্তা সরকার যার উপর ছেড়ে দিয়েছেন তিনি জুড়ী থানার অফিসার ইনচার্জ মোঃ মাহবুবুর রহমান। ওসি মাহবুবুর রহমান সম্প্রতি ফুলতলা সীমান্তের বটুলী চেকপোষ্ট পরিদর্শনে যাবার পথে জুড়ী শহরতলীর বজিটিলা মনতৈল নামক স্থানে এ স্বরণীয় ঘটনাটির জন্ম দেন তিনি। একদল শিশু মারবেল পাথর দিয়ে খেলা করছিল। তাৎক্ষনিক খোঁজ নিয়ে জানতে পারলেন দুই টাকা বাজী দরে খেলা চলছিল। শিশুদের এ খেলা থেকে ভবিষ্যতে পেশাদার জুয়াড়ী সৃষ্টি হবার প্রশিক্ষন চলছিল। এটা অংকুরেই বিনাশ করলেন তিনি। শিশুদের প্রতিজ্ঞা করালেন মারবেল পাথর দিয়ে কিংবা এ ধরনের বাজী আর তারা খেলবেনা বলে। ওসি মাহবুবুর রহমানের এই ঘটনাটির প্রত্যক্ষদর্শী সাংবাদিক এম ইউ শিক্ষা সেবা ফাইন্ডেশনের নির্বাহী পরিচালক দৈনিক ভোরের কাগজের জুড়ী প্রতিনিধি সাইফুল ইসলাম সুমন জানান, তিনি পরে খবর নিয়ে জেনেছেন ওসির এ পদক্ষেপের কথা খুব দ্রুত বেগে মহল¬ায় ছড়িয়ে পড়েছে। পুরো গ্রাম জুড়ে সর্বত্র শুধু বিষয়টি নিয়ে আলোচনা হয়েছে। শিশুদের অভিভাবকরাও ওসির উপর ভীষন খুশি হয়েছেন। কাউন্সিলিংয়ের মাধ্যমে অপরাধ নির্মুলের প্রচেষ্টা চালানোয় ওই শিশুদের অভিবাবকদের মতো উপজেলার বাকী অভিভাবকরাও ওসিকে সাধুবাদ জানিয়েছেন। আরও ব্যাপক ভাবে অপরাধ নির্মুলে প্রশংসনীয় উদ্যোগ নিবেন তিনি এমন প্রত্যাশা জুড়ী উপজেলাবাসীর।
সীমান্তে বটুলী চেকপোষ্ট পরিদর্শনে যাবেন তিনি। যথারিতী তৈরি হয়ে গাড়ি নিয়ে বের হয়েছেন। ওই পথের যাত্রী ছিলেন স্বনামধন্য তরুন একজন সাংবাদিক। পথিমধ্যে শিশুদের জটলা দেখে থামিয়ে দেন যাত্রা। মুহুর্তেই আঁচ করেন শিশুদের অপরাধ প্রবনতার প্রশিক্ষনটি। গাড়ি থেকে নামতেই শিশুরা সবাই পালাচ্ছিল। তিনি দরদী কণ্ঠে তাদের কাছে ডেকে নিলেন। একে একে সব শিশুর নাম জিজ্ঞাসা করলেন। এসব শিশুদের অভিভাবকদের তলব করে যাদের পেলেন তাদের জড়ো করলেন। এর পর শুরু করলেন শিশুরা যা করছিল তার কুফল সম্পর্কে আলোচনা। সুদীর্ঘ আলোচনায় কোমলমতি শিশুরা পণ করলো তারা জীবনে যতদিন বেঁচে থাকবে আর কোন দিন এমন কাজে লিপ্ত হবে না। সংগে সংগে চকলেট কিনে দিয়ে ওদের মনে আনন্দের প্রবাহ বইয়ে দিয়েছেন তিনি। আর অভিভাবকদের করেছেন সতর্ক। তিনি আর কেউ নন, জুড়ী উপজেলার দুই লক্ষাধিক নাগরীকের জানমালের নিরাপত্তা সরকার যার উপর ছেড়ে দিয়েছেন তিনি জুড়ী থানার অফিসার ইনচার্জ মোঃ মাহবুবুর রহমান। ওসি মাহবুবুর রহমান সম্প্রতি ফুলতলা সীমান্তের বটুলী চেকপোষ্ট পরিদর্শনে যাবার পথে জুড়ী শহরতলীর বজিটিলা মনতৈল নামক স্থানে এ স্বরণীয় ঘটনাটির জন্ম দেন তিনি। একদল শিশু মারবেল পাথর দিয়ে খেলা করছিল। তাৎক্ষনিক খোঁজ নিয়ে জানতে পারলেন দুই টাকা বাজী দরে খেলা চলছিল। শিশুদের এ খেলা থেকে ভবিষ্যতে পেশাদার জুয়াড়ী সৃষ্টি হবার প্রশিক্ষন চলছিল। এটা অংকুরেই বিনাশ করলেন তিনি। শিশুদের প্রতিজ্ঞা করালেন মারবেল পাথর দিয়ে কিংবা এ ধরনের বাজী আর তারা খেলবেনা বলে। ওসি মাহবুবুর রহমানের এই ঘটনাটির প্রত্যক্ষদর্শী সাংবাদিক এম ইউ শিক্ষা সেবা ফাইন্ডেশনের নির্বাহী পরিচালক দৈনিক ভোরের কাগজের জুড়ী প্রতিনিধি সাইফুল ইসলাম সুমন জানান, তিনি পরে খবর নিয়ে জেনেছেন ওসির এ পদক্ষেপের কথা খুব দ্রুত বেগে মহল¬ায় ছড়িয়ে পড়েছে। পুরো গ্রাম জুড়ে সর্বত্র শুধু বিষয়টি নিয়ে আলোচনা হয়েছে। শিশুদের অভিভাবকরাও ওসির উপর ভীষন খুশি হয়েছেন। কাউন্সিলিংয়ের মাধ্যমে অপরাধ নির্মুলের প্রচেষ্টা চালানোয় ওই শিশুদের অভিবাবকদের মতো উপজেলার বাকী অভিভাবকরাও ওসিকে সাধুবাদ জানিয়েছেন। আরও ব্যাপক ভাবে অপরাধ নির্মুলে প্রশংসনীয় উদ্যোগ নিবেন তিনি এমন প্রত্যাশা জুড়ী উপজেলাবাসীর। কুলাউড়া অফিস :
মন্তব্য করুন