ফরমালিনসহ বিষাক্ত রাসায়নিক মিশ্রিত ফলমূলে বাজার সয়লাব
বিষাক্ত রাসায়নিক মেশানো মৌসুমী ফল দেদারসে বিক্রি হচ্ছে বাজারে। আর এসব ফল খেয়ে প্রতিদিনই মানুষ অসুস্থ হচ্ছেন। গত সপ্তাহে মৌসুমী ফল আম, লিচু, কাঠাল ইত্যাদি খেয়ে অন্তত ৮-১০ জনের অসুস্থ হওয়ার খবর পাওয়া গেছে। প্রায়ই পত্রিকা অফিসে ফোন করে লোকজন অসুস্থতার খবর জানাচ্ছে। পাশাপাশি বাজারে রাসায়নিক মেশানো বিষাক্ত ফল বিক্রেতাদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা গ্রহন করতে ভুক্তভোগীরা প্রশাসনের সহযোগিতা কামনা করেছেন। বিষাক্ত রাসায়নিক মেশানো এসকল ফল মানবদেহের জন্য অত্যন্ত ক্ষতিকর। বিশেষ করে শিশুদের জন্য খুবই বিপজ্জনক। বিশেষজ্ঞরা জানিয়েছেন, প্রচন্ড গরমে ফরমালিন মেশানো ফল খেয়ে মানুষের মৃত্যুও হতে পারে। এতকিছুর পরও বিএসটিআই এ ব্যাপারে কোন কার্যকর ভূমিকা গ্রহন না করায় মানুষের মাঝে হতাশা বিরাজ করছে। মোবাইল টিম অভিযান চালিয়ে বাজারের ফরমালিনযুক্ত ফল উদ্ধার করে মানুষের জীবন বাচাতে পারে বলে সংশ্লিষ্টদের অভিমত। শিশুরোগ বিশেষজ্ঞ চিকিৎসকেরা বলেছেন, বিষাক্ত রাসায়নিক মেশানো এসব ফল খাওয়া আর বিষ খাওয়ার মধ্যে কোন পার্থক্য নেই। এসব ফল খেলে ক্যান্সার হতে পারে, কিডনি ও লিভারে জটিল ব্যাধী বাসা বাধতে পারে। শিশুরোগ বিশেষজ্ঞ অধ্যাপক এম আজির উদ্দিন বলেন, ফরমালিনযুক্ত ফল খেলে মানুষের কিডনীর নানা রোগ হতে পারে। এতে ক্যান্সারের আশংকা বেড়ে যায়। লিভার প্রদাহ ও স্নায়ুরোগ হতে পারে। শিশুরা এসব ফল খেলে র্যানালটি নামক রোগ হতে পারে। তিনি বলেন, ফরমালিন থেকে মুক্তি পেতে হলে ফল কিনে এনে একটি পাত্রে পানি ঢেলে তাতে ভিনেগার বা শিরকা মিশিয়ে ৩০ মিনিট ডুবিয়ে রাখলে ফরমালিনের ক্রিয়া নষ্ট হয়ে যায়। এরপর ফল খেলে কোন রোগ হওয়ার সম্ভাবনা নেই। তিনি বলেন, আমাদের নৈতিক অবক্ষয় রোধ করলে এবং আইন প্রয়োগকারী সংস্থা যথাযথভাবে আইন প্রয়োগ করলে এটা থেকে পরিত্রাণ সম্ভব হতে পারে। ক্রেতা সেজে ফল ব্যবসায়ী আরশ আলীর সাথে কথা বললে তিনি কিছুটা রাগের সাথে বলেন, এগুলো দেখার দায়িত্ব আমাদের নয়। যাদের কাছ থেকে আমরা পাইকারী দামে কিনে আনি তারা ভালো জানে। জানা গেছে, অসাধু ও মুনাফালোভী ব্যবসায়ী, আড়তদার এবং ফড়িয়ারা গাছে মুকুল আসার পর থেকে ফল পেড়ে আনার পূর্ব পর্যন্ত ভারতীয় বিষ ইতোফেন গ্রুপের বাইজার, হারবেস্ট, প্রমাড ও ক্রমপ্ল¬মেক্স, ম্যালাথান গ্রুপের কীটনাশক কট, টিভো, ফাইটার, ম্যানকোজের গ্রুপের ভায়াথেন অথবা কার্বন্ডাজিন গ্রুপের নইন পাউডার, এনটাকল, ব্যাপিস্টিন, ফোরা ও ইন্টারফলসহ ১৬ প্রকার কীটনাশক মেশায়। এরপর ফলের পচন রোধ করতে ও টাটকা রাখতে ফরমালিন মেশানো হয়। এরপর ফলের পচন রোধ করতে ও টাটকা রাখতে ফরমালিন মেশানো হয়। কথা জয় জনৈক ক্রেতা ও ব্যবসায়ী আজমল মিয়ার সাথে। তিনি বলেন, ফলে বিষাক্ত রাসায়নিক মেশালেও তার কোন প্রতিকার নেই। তাই এসব ফল খাওয়া থেকে বিরত থাকা ছাড়া কোন উপায় নেই। ফরমালিনের হাত থেকে রেহাই পাচ্ছে না দেশের জাতীয় ফল কাঠালও। বিষাক্ত ক্যামিকেল ও ফরমালিন মিশ্রিত পানিতে চুবিয়ে কাঁঠাল বিক্রি করা হচ্ছে। অন্যান্য ফলে ফরমালিন মেশানো হলেও কাঁঠাল এতদিন ছিল মুক্ত। সম্প্রতি কাঁঠালেও ফরমালিন মেশানোর কারনে ক্রেতারা হতাশায় ভোগছেন। ব্যবসায়ীরা জানিয়েছেন, ফরমালিন মেশানোর কারণে কাঁঠাল অনেকদিন রেখে বিক্রি করা যায়। লাভও বেশি। ফল থাকে টাটকা। তবে সেই স্বাদ আর পাওয়া যায় না। বাজারে বিভিন্ন প্রকার ফরমালিনযুক্ত আম প্রকাশ্যে বিক্রি হচ্ছে। রমজান মাসে আমের কদর বেড়ে যাবে। তবে ক্রেতারা ভয়ে আম খাওয়া থেকে বিতরন থাকতে পারেন। আম পাকাতে বিষাক্ত সকল রাসায়নিক ব্যবহার করে আড়তদাররা লাভবান হচ্ছে। কারণ আমে পচন ধরছে না। বেশিদিন রেখে বিক্রি করা যাচ্ছে। বাজার ঘুরে দেখা যায়, প্রায় সকল আমই ফরমালিন মিশ্রিত। ব্যবসায়ীরা ফরমালিনের বিষয় জেনেও তা বিক্রি করছে। অনেকে কিনে নিচ্ছেন আম। সিলেটের সিভিল সার্জন ডাঃ কামরুল ইসলাম বলেন, বর্তমান অবস্থাটা এমন যে, যেখানেই হানা দেয়া যায়, সেখানেই ফরমালিন। ফরমালিনযুক্ত ফল খেলে ক্যান্সারসহ সব ধরণের রোগ হতে পারে। সুপার শপ থেকে শুরু করে ফুটপাত ব্যবসায়ী সকলেই ফরমালিন মেশানো ফল বিক্রি করছে। তিনি বলেন, ফমালিন প্রতিরোধে বিএসটিআইসহ সবাইকে ভূমিকা নিতে হবে। সর্বোপরী ফল খাওয়ার ক্ষেত্রে সচেতনতা ও প্রয়োজন বলে তিনি মন্তব্য করেন। তিনি বলেন, আমরা ফল ব্যবসায়ীদের সাথে কথা বলেছি তারা জানিয়েছে রাজশাহীসহ যেসব এলাকা থেকে ফল আসে সেখানেই ফরমালিন মেশানো হয়। মৌলভীবাজার প্রেসক্লাবের সাধারন সম্পাদক এস এম উমেদ আলী বলেন, ফরমালিন এমনভাবে ছাড়িয়েছে যে, এখন আর ফল খাওয়ার মত কোন পরিস্থিতি নেই। তিনি বলেন, এখন শুধু আম নয় লিচু, কাঁঠাল এমনকি তরমুজেও ফরমালিন রয়েছে। ফরমালিন প্রতিরোধে মোবাইল টিমের অভিযান ও সচেতনতা প্রয়োজন বলে তিনি মনে করেন। ফরমালিন প্রতিরোধে জেলা প্রশাসকের ভ্রাম্যমান মোবাইল টিম অভিযান চালালে তা অনেকটা ফলপ্রসু হবে। ফরমালিন ডিটেক্টর দিয়ে অভিযানে ব্যবসায়ীরা সচেতন হবে। পাশাপাশি ক্রেতারাও উপকৃত হবেন।
বিষাক্ত রাসায়নিক মেশানো মৌসুমী ফল দেদারসে বিক্রি হচ্ছে বাজারে। আর এসব ফল খেয়ে প্রতিদিনই মানুষ অসুস্থ হচ্ছেন। গত সপ্তাহে মৌসুমী ফল আম, লিচু, কাঠাল ইত্যাদি খেয়ে অন্তত ৮-১০ জনের অসুস্থ হওয়ার খবর পাওয়া গেছে। প্রায়ই পত্রিকা অফিসে ফোন করে লোকজন অসুস্থতার খবর জানাচ্ছে। পাশাপাশি বাজারে রাসায়নিক মেশানো বিষাক্ত ফল বিক্রেতাদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা গ্রহন করতে ভুক্তভোগীরা প্রশাসনের সহযোগিতা কামনা করেছেন। বিষাক্ত রাসায়নিক মেশানো এসকল ফল মানবদেহের জন্য অত্যন্ত ক্ষতিকর। বিশেষ করে শিশুদের জন্য খুবই বিপজ্জনক। বিশেষজ্ঞরা জানিয়েছেন, প্রচন্ড গরমে ফরমালিন মেশানো ফল খেয়ে মানুষের মৃত্যুও হতে পারে। এতকিছুর পরও বিএসটিআই এ ব্যাপারে কোন কার্যকর ভূমিকা গ্রহন না করায় মানুষের মাঝে হতাশা বিরাজ করছে। মোবাইল টিম অভিযান চালিয়ে বাজারের ফরমালিনযুক্ত ফল উদ্ধার করে মানুষের জীবন বাচাতে পারে বলে সংশ্লিষ্টদের অভিমত। শিশুরোগ বিশেষজ্ঞ চিকিৎসকেরা বলেছেন, বিষাক্ত রাসায়নিক মেশানো এসব ফল খাওয়া আর বিষ খাওয়ার মধ্যে কোন পার্থক্য নেই। এসব ফল খেলে ক্যান্সার হতে পারে, কিডনি ও লিভারে জটিল ব্যাধী বাসা বাধতে পারে। শিশুরোগ বিশেষজ্ঞ অধ্যাপক এম আজির উদ্দিন বলেন, ফরমালিনযুক্ত ফল খেলে মানুষের কিডনীর নানা রোগ হতে পারে। এতে ক্যান্সারের আশংকা বেড়ে যায়। লিভার প্রদাহ ও স্নায়ুরোগ হতে পারে। শিশুরা এসব ফল খেলে র্যানালটি নামক রোগ হতে পারে। তিনি বলেন, ফরমালিন থেকে মুক্তি পেতে হলে ফল কিনে এনে একটি পাত্রে পানি ঢেলে তাতে ভিনেগার বা শিরকা মিশিয়ে ৩০ মিনিট ডুবিয়ে রাখলে ফরমালিনের ক্রিয়া নষ্ট হয়ে যায়। এরপর ফল খেলে কোন রোগ হওয়ার সম্ভাবনা নেই। তিনি বলেন, আমাদের নৈতিক অবক্ষয় রোধ করলে এবং আইন প্রয়োগকারী সংস্থা যথাযথভাবে আইন প্রয়োগ করলে এটা থেকে পরিত্রাণ সম্ভব হতে পারে। ক্রেতা সেজে ফল ব্যবসায়ী আরশ আলীর সাথে কথা বললে তিনি কিছুটা রাগের সাথে বলেন, এগুলো দেখার দায়িত্ব আমাদের নয়। যাদের কাছ থেকে আমরা পাইকারী দামে কিনে আনি তারা ভালো জানে। জানা গেছে, অসাধু ও মুনাফালোভী ব্যবসায়ী, আড়তদার এবং ফড়িয়ারা গাছে মুকুল আসার পর থেকে ফল পেড়ে আনার পূর্ব পর্যন্ত ভারতীয় বিষ ইতোফেন গ্রুপের বাইজার, হারবেস্ট, প্রমাড ও ক্রমপ্ল¬মেক্স, ম্যালাথান গ্রুপের কীটনাশক কট, টিভো, ফাইটার, ম্যানকোজের গ্রুপের ভায়াথেন অথবা কার্বন্ডাজিন গ্রুপের নইন পাউডার, এনটাকল, ব্যাপিস্টিন, ফোরা ও ইন্টারফলসহ ১৬ প্রকার কীটনাশক মেশায়। এরপর ফলের পচন রোধ করতে ও টাটকা রাখতে ফরমালিন মেশানো হয়। এরপর ফলের পচন রোধ করতে ও টাটকা রাখতে ফরমালিন মেশানো হয়। কথা জয় জনৈক ক্রেতা ও ব্যবসায়ী আজমল মিয়ার সাথে। তিনি বলেন, ফলে বিষাক্ত রাসায়নিক মেশালেও তার কোন প্রতিকার নেই। তাই এসব ফল খাওয়া থেকে বিরত থাকা ছাড়া কোন উপায় নেই। ফরমালিনের হাত থেকে রেহাই পাচ্ছে না দেশের জাতীয় ফল কাঠালও। বিষাক্ত ক্যামিকেল ও ফরমালিন মিশ্রিত পানিতে চুবিয়ে কাঁঠাল বিক্রি করা হচ্ছে। অন্যান্য ফলে ফরমালিন মেশানো হলেও কাঁঠাল এতদিন ছিল মুক্ত। সম্প্রতি কাঁঠালেও ফরমালিন মেশানোর কারনে ক্রেতারা হতাশায় ভোগছেন। ব্যবসায়ীরা জানিয়েছেন, ফরমালিন মেশানোর কারণে কাঁঠাল অনেকদিন রেখে বিক্রি করা যায়। লাভও বেশি। ফল থাকে টাটকা। তবে সেই স্বাদ আর পাওয়া যায় না। বাজারে বিভিন্ন প্রকার ফরমালিনযুক্ত আম প্রকাশ্যে বিক্রি হচ্ছে। রমজান মাসে আমের কদর বেড়ে যাবে। তবে ক্রেতারা ভয়ে আম খাওয়া থেকে বিতরন থাকতে পারেন। আম পাকাতে বিষাক্ত সকল রাসায়নিক ব্যবহার করে আড়তদাররা লাভবান হচ্ছে। কারণ আমে পচন ধরছে না। বেশিদিন রেখে বিক্রি করা যাচ্ছে। বাজার ঘুরে দেখা যায়, প্রায় সকল আমই ফরমালিন মিশ্রিত। ব্যবসায়ীরা ফরমালিনের বিষয় জেনেও তা বিক্রি করছে। অনেকে কিনে নিচ্ছেন আম। সিলেটের সিভিল সার্জন ডাঃ কামরুল ইসলাম বলেন, বর্তমান অবস্থাটা এমন যে, যেখানেই হানা দেয়া যায়, সেখানেই ফরমালিন। ফরমালিনযুক্ত ফল খেলে ক্যান্সারসহ সব ধরণের রোগ হতে পারে। সুপার শপ থেকে শুরু করে ফুটপাত ব্যবসায়ী সকলেই ফরমালিন মেশানো ফল বিক্রি করছে। তিনি বলেন, ফমালিন প্রতিরোধে বিএসটিআইসহ সবাইকে ভূমিকা নিতে হবে। সর্বোপরী ফল খাওয়ার ক্ষেত্রে সচেতনতা ও প্রয়োজন বলে তিনি মন্তব্য করেন। তিনি বলেন, আমরা ফল ব্যবসায়ীদের সাথে কথা বলেছি তারা জানিয়েছে রাজশাহীসহ যেসব এলাকা থেকে ফল আসে সেখানেই ফরমালিন মেশানো হয়। মৌলভীবাজার প্রেসক্লাবের সাধারন সম্পাদক এস এম উমেদ আলী বলেন, ফরমালিন এমনভাবে ছাড়িয়েছে যে, এখন আর ফল খাওয়ার মত কোন পরিস্থিতি নেই। তিনি বলেন, এখন শুধু আম নয় লিচু, কাঁঠাল এমনকি তরমুজেও ফরমালিন রয়েছে। ফরমালিন প্রতিরোধে মোবাইল টিমের অভিযান ও সচেতনতা প্রয়োজন বলে তিনি মনে করেন। ফরমালিন প্রতিরোধে জেলা প্রশাসকের ভ্রাম্যমান মোবাইল টিম অভিযান চালালে তা অনেকটা ফলপ্রসু হবে। ফরমালিন ডিটেক্টর দিয়ে অভিযানে ব্যবসায়ীরা সচেতন হবে। পাশাপাশি ক্রেতারাও উপকৃত হবেন। স্টাফ রিপোর্টার॥
মন্তব্য করুন