কলেজের ক্লাসরুমে ঢুকে ছাত্রকে পেটালো ছাত্রদল কর্মীরা॥ প্রতিবাদে পৌনে ১ ঘন্টা সড়ক অবরোধ
কমলগঞ্জ ডিগ্রী কলেজে ক্লাস চলাকালে ১০ জুলাই বুধবার দুপুরে ছাত্রলীগ সমর্থক একাদশ শ্রেণির এক সাধারণ ছাত্রকে পেটালো দ্বাদশ শ্রেণির কতিপয় ছাত্রদল কর্মীরা। এ সময় তাদের থামাতে শিক্ষক এগিয়ে আসলে উত্তেজিত ছাত্ররা কলেজ শিক্ষককে লাঞ্চিত করে। এ ঘটনার প্রতিবাদে কলেজের সাধারণ ছাত্ররাসহ কলেজ ছাত্রলীগ প্রায় পৌনে এক ঘন্টা শ্রীমঙ্গল-কমলগঞ্জ-শমশেরনগর সড়ক অবরোধ করে রাখেন। কলেজ কর্তৃপক্ষ ও পুলিশ প্রশাসনের আশ্বাসে ছাত্ররা অবরোধ তুলে নেয়। প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, কমলগঞ্জ ডিগ্রী কলেজের শ্রেনীকক্ষের বারান্দায় কথা কাটাকাটির জের ধরে দ্বাদশ শ্রেনীর ছাত্র ও ছাত্রদল কর্মী জুবায়ের আহমদ, রুমান আহমদ, আফজল মিয়া ও অপু চৌধুরী একাদশ শ্রেনীর ছাত্রলীগ সমর্থিত ছাত্র মো. হারুনকে ধরে নিয়ে ক্লাসরুমে ঢুকে মারপিট করতে থাকে। তারা ছাত্রলীগ সমর্থিত হারুনকে কিল, ঘুষি, লাথি মারলে তার চিৎকারে এসময়ে কলেজের শিক্ষক সঞ্জু কুমার সিংহ তাদের থামাতে এগিয়ে আসলে উত্তেজিত ছাত্রদল কর্মীরা তাকে লাঞ্চিত করে। এ ঘটনার প্রতিবাদে কমলগঞ্জ ডিগ্রী কলেজের সাধারণ ছাত্ররাসহ কলেজ ছাত্রলীগ কর্মীরা শ্রীমঙ্গল-কমলগঞ্জ-শমশেরনগর সড়ক প্রায় পৌনে এক ঘন্টা অবরোধ করে রাখে। খবর পেয়ে কমলগঞ্জ থানা পুলিশের একটি দল ঘটনাস্থলে ছুটে আসে। কলেজ কর্তৃপক্ষ ও পুলিশ প্রশাসন দায়ী ছাত্রদের বিরুদ্ধে দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি দেয়ার আশ্বাস দিলে প্রায় পৌনে ১ ঘন্টা পর দুপুর দেড়টায় অবরোধ তুলে নেয়া হয়। এ ঘটনায় দুপুর ২টায় কলেজ ষ্টাফ কাউন্সিলের জরুরী সভায় অবিলম্বে দায়ী ছাত্রদের বিরুদ্ধে একাডেমিক ব্যবস্থা গ্রহণের সিদ্ধান্ত নেয়া হয় বলে কলেজ অধ্যক্ষ মো: কামরুজ্জামান মিয়া জানান। কমলগঞ্জ উপজেলা ছাত্রলীগ সভাপতি মো: সানোয়ার হোসেন একাদশ শ্রেণির নিরীহ ছাত্র হারুনকে ছাত্রলীগ কর্মী দাবী করে বলেন, ক্লাস চলাকালীন সময়ে ছাত্রদলের কতিপয় কর্মী এসে তাকে মারধর করে। এ বিষয়ে কমলগঞ্জ ডিগ্রী কলেজ ছাত্রদল সভাপতি লিয়াকত হোসেন জানান, ছাত্রদলের কয়েক বন্ধুর মাঝে সাময়িক উত্তেজনার সৃষ্টি হয়ে হালকা ধাক্কা ধাক্কি হয়েছে। এসময়ে ঘটনাস্থলে অপ্রত্যাশিতভাবে কলেজ শিক্ষক উপস্থিত হয়েছিলেন। এখানে শিক্ষক লাঞ্চিত হওয়ার মত কোন ঘটনা ঘটেনি। কমলগঞ্জ ডিগ্রী কলেজের অধ্যক্ষ মো: কামরুজ্জামান মিয়া বলেন, এ ধরণের ঘটনার মধ্যদিয়ে কলেজের শান্তি শৃঙ্খলায় বিঘ ঘটে। তাই এ ধরণের কার্যক্রম বন্ধে কলেজের একাডেমিকের জরুরী বৈঠক বসে সিদ্ধান্ত গ্রহণ করা হয়েছে। প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণে কলেজ গভর্ণিং বডির সভায় প্রস্তাব উপস্থাপন করা হবে বলে তিনি মন্তব্য করেন। কমলগঞ্জ থানার ওসি নীহার রঞ্জন নাথ বলেন, বর্তমানে পরিস্থিতি শান্ত রয়েছে।
কমলগঞ্জ ডিগ্রী কলেজে ক্লাস চলাকালে ১০ জুলাই বুধবার দুপুরে ছাত্রলীগ সমর্থক একাদশ শ্রেণির এক সাধারণ ছাত্রকে পেটালো দ্বাদশ শ্রেণির কতিপয় ছাত্রদল কর্মীরা। এ সময় তাদের থামাতে শিক্ষক এগিয়ে আসলে উত্তেজিত ছাত্ররা কলেজ শিক্ষককে লাঞ্চিত করে। এ ঘটনার প্রতিবাদে কলেজের সাধারণ ছাত্ররাসহ কলেজ ছাত্রলীগ প্রায় পৌনে এক ঘন্টা শ্রীমঙ্গল-কমলগঞ্জ-শমশেরনগর সড়ক অবরোধ করে রাখেন। কলেজ কর্তৃপক্ষ ও পুলিশ প্রশাসনের আশ্বাসে ছাত্ররা অবরোধ তুলে নেয়। প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, কমলগঞ্জ ডিগ্রী কলেজের শ্রেনীকক্ষের বারান্দায় কথা কাটাকাটির জের ধরে দ্বাদশ শ্রেনীর ছাত্র ও ছাত্রদল কর্মী জুবায়ের আহমদ, রুমান আহমদ, আফজল মিয়া ও অপু চৌধুরী একাদশ শ্রেনীর ছাত্রলীগ সমর্থিত ছাত্র মো. হারুনকে ধরে নিয়ে ক্লাসরুমে ঢুকে মারপিট করতে থাকে। তারা ছাত্রলীগ সমর্থিত হারুনকে কিল, ঘুষি, লাথি মারলে তার চিৎকারে এসময়ে কলেজের শিক্ষক সঞ্জু কুমার সিংহ তাদের থামাতে এগিয়ে আসলে উত্তেজিত ছাত্রদল কর্মীরা তাকে লাঞ্চিত করে। এ ঘটনার প্রতিবাদে কমলগঞ্জ ডিগ্রী কলেজের সাধারণ ছাত্ররাসহ কলেজ ছাত্রলীগ কর্মীরা শ্রীমঙ্গল-কমলগঞ্জ-শমশেরনগর সড়ক প্রায় পৌনে এক ঘন্টা অবরোধ করে রাখে। খবর পেয়ে কমলগঞ্জ থানা পুলিশের একটি দল ঘটনাস্থলে ছুটে আসে। কলেজ কর্তৃপক্ষ ও পুলিশ প্রশাসন দায়ী ছাত্রদের বিরুদ্ধে দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি দেয়ার আশ্বাস দিলে প্রায় পৌনে ১ ঘন্টা পর দুপুর দেড়টায় অবরোধ তুলে নেয়া হয়। এ ঘটনায় দুপুর ২টায় কলেজ ষ্টাফ কাউন্সিলের জরুরী সভায় অবিলম্বে দায়ী ছাত্রদের বিরুদ্ধে একাডেমিক ব্যবস্থা গ্রহণের সিদ্ধান্ত নেয়া হয় বলে কলেজ অধ্যক্ষ মো: কামরুজ্জামান মিয়া জানান। কমলগঞ্জ উপজেলা ছাত্রলীগ সভাপতি মো: সানোয়ার হোসেন একাদশ শ্রেণির নিরীহ ছাত্র হারুনকে ছাত্রলীগ কর্মী দাবী করে বলেন, ক্লাস চলাকালীন সময়ে ছাত্রদলের কতিপয় কর্মী এসে তাকে মারধর করে। এ বিষয়ে কমলগঞ্জ ডিগ্রী কলেজ ছাত্রদল সভাপতি লিয়াকত হোসেন জানান, ছাত্রদলের কয়েক বন্ধুর মাঝে সাময়িক উত্তেজনার সৃষ্টি হয়ে হালকা ধাক্কা ধাক্কি হয়েছে। এসময়ে ঘটনাস্থলে অপ্রত্যাশিতভাবে কলেজ শিক্ষক উপস্থিত হয়েছিলেন। এখানে শিক্ষক লাঞ্চিত হওয়ার মত কোন ঘটনা ঘটেনি। কমলগঞ্জ ডিগ্রী কলেজের অধ্যক্ষ মো: কামরুজ্জামান মিয়া বলেন, এ ধরণের ঘটনার মধ্যদিয়ে কলেজের শান্তি শৃঙ্খলায় বিঘ ঘটে। তাই এ ধরণের কার্যক্রম বন্ধে কলেজের একাডেমিকের জরুরী বৈঠক বসে সিদ্ধান্ত গ্রহণ করা হয়েছে। প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণে কলেজ গভর্ণিং বডির সভায় প্রস্তাব উপস্থাপন করা হবে বলে তিনি মন্তব্য করেন। কমলগঞ্জ থানার ওসি নীহার রঞ্জন নাথ বলেন, বর্তমানে পরিস্থিতি শান্ত রয়েছে। কমলগঞ্জ প্রতিনিধি॥
মন্তব্য করুন