কুলাউড়ায় শিবির-তালামিয সংঘর্ষ-আহত ৬
কুলাউড়ার ব্রাহ্মণবাজারে গত ১০ জুলাই বুধবার মাহে রমজানকে স্বাগত জানিয়ে মিছিল দেওয়াকে কেন্দ্র করে ইসলামী ছাত্র শিবির ও তালামিযে ইসলামীয়ার মধ্যে এক রক্তক্ষয়ী সংঘর্ষে ৬ জন আহত হয়েছেন। আহতদের কুলাউড়া হাসপাতাল ও স্থানীয় ক্লিনিকগুলোতে চিকিৎসা দেওয়া হচ্ছে। স্থানীয় ব্যবসায়ী ও প্রত্যক্ষদর্শী সূত্রে জানা যায়, বুধবার ব্রাহ্মণবাজার জামে মসজিদে মাগরিবের নামাজ শেষে ছাত্র শিবির ও তালামীযে ইসলামীয়া মাহে রমজানকে স্বাগত জানিয়ে নিজ নিজ দলীয় শ্লোগানে মিছিল বের করে। মিছিল সহকারে তালামীয পূর্বদিকে ও শিবির পশ্চিম দিকে চলে যায়। এক পর্যায়ে উভয় দল মধ্য ব্রাহ্মণবাজারের মুখোমুখি হলে দুদলের সিনিয়র নেতাদের হস্তক্ষেপে তাদের নিজ নিজ দলীয় কর্মীদের রাস্তার দুপাশে যে যার মত মিছিল নিয়ে যেতে সহযোগীতা করেন। কিন্তু হঠাৎ শিবিরের মিছিলের শেষভাগ তালামীযের মিছিল অতিক্রম করার সময় তালামীযের একজন কর্মী শিবিরের একজন কর্মীকে তালামীযের কর্মী দাবী করে হাত ধরে টেনে তাদের মিছিলে নিতে চাইলে শিবিরকর্মীরা বাধা দেয়। এনিয়ে উভয় দলের কর্মীদের মধ্যে কথা কাটাকাটি ও ধস্তাধস্তি শুরু হয়। এক পর্যায়ে তা রক্তক্ষয়ী সংঘর্ষে রূপ নেয়। দেশীয় অস্ত্র-শস্ত্রে সজ্জিত উভয় দলের মধ্যে প্রায় ঘণ্টাখানেক চলা এ সংঘর্ষে ৬ জন আহত হয়। এসময় শিবির কর্মীদের হামলায় বাজারের ২/৩টি দোকান ক্ষতিগ্রস্থ হয়। আহতরা হলেন তালামীযে ইসলামীয়ার আব্দুল কাইয়ুম (২৩), আবুল হোসেন (২২), আব্দুল মুকিত (২৬), আল ইসলাহ নেতা আব্দুস শহিদ (৩৫) এবং ছাত্র শিবিরের মিজানুর রহমান (২১) ও আতিকুল ইসলাম (২২)। মিছিল শেষে শিবিরের পথসভায় আওয়ামীলীগ ও যুবলীগের নেতাকর্মীদের গালিগালাজ করা হয়েছে এমন অভিযোগ এনে স্থানীয় ব্রাহ্মণবাজারের যুবলীগের নেতাকর্মীরা দেশীয় অস্ত্রের মহড়া দিয়ে শিবির প্রতিরোধের ঘোষণা দিয়ে মিছিল বের করে। সংঘর্ষের খবর পেয়ে তালামীযের কুলাউড়া উপজেলার নেতাকর্মীরা ৭/৮টি মোটর সাইকেল যোগে লাঠিসোটা ও রামদাসহ প্রকাশ্যে অস্ত্রের মহড়া দিয়ে যুবলীগের সাথে একাত্ম হয়ে শিবির বিরোধী মিছিল বের করে। এসময় ব্যাবসায়ীদের মধ্যে আতঙ্কও ছড়িয়ে পড়ে। তাহরাবির নামাজের আযানের পরও তাদের মিছিল বন্ধ না হওয়ায় উপস্থিত মুসল্লি¬গণ তাদেরকে মিছিল বন্ধের অনুরোধ করলে তারা সরে যান। এদিকে খবর পেয়ে কুলাউড়া থানার অফিসার ইনচার্জ হাসানুজ্জামানের নেতৃত্বে পুলিশ ঘটনাস্থলে পৌছোলেও তাদের সামনেই দেশীয় অস্ত্র হাতে যুবলীগ ও তালামীয মহড়া দেয়। কুলাউড়ার পশ্চিম শিবিরের সভাপতি নাজমুল ইসলাম জানান, পূর্বপরিকল্পিতভাবে তালামীযের কর্মীরা সরকার দলের ছত্রছায়ায় বিনা উস্কানীতে তাদের শান্তিপূর্ণ মিছিলে হামলা করেছে। অপরদিকে তালামীযের কুলাউড়া উপজেলা সভাপতি ফয়জুর রহমান শাহিন বলেন, শিবিরের সন্ত্রাসীরাই তাদের শান্তিপূর্ণ মিছিলের উপর অতর্কিত হামলা করে তাদের ৪জন কর্মীকে আহত করেছে, তবে অস্ত্রের মহড়ার কথা তিনি অস্বীকার করেন। এ ব্যাপারে কুলাউড়া থানার অফিসার ইনচার্জ হাসানুজ্জামান জানান, এ ঘটনায় তালামীযের পক্ষ থেকে ইউনিয়ন তালামীযের সাধারণ সম্পাদক আবুল হোসেন বাদী হয়ে শিবিরের ২৭ জনকে আসামী করে একটি মামলা দায়ের করেছেন (মামলা নং ০৯)। শেষ খবর পাওয়া পর্যন্ত পুলিশ মিজানুর রহমান (২১) নামের শিবিরের একজন কর্মীকে গ্রেফতার করেছে।
কুলাউড়ার ব্রাহ্মণবাজারে গত ১০ জুলাই বুধবার মাহে রমজানকে স্বাগত জানিয়ে মিছিল দেওয়াকে কেন্দ্র করে ইসলামী ছাত্র শিবির ও তালামিযে ইসলামীয়ার মধ্যে এক রক্তক্ষয়ী সংঘর্ষে ৬ জন আহত হয়েছেন। আহতদের কুলাউড়া হাসপাতাল ও স্থানীয় ক্লিনিকগুলোতে চিকিৎসা দেওয়া হচ্ছে। স্থানীয় ব্যবসায়ী ও প্রত্যক্ষদর্শী সূত্রে জানা যায়, বুধবার ব্রাহ্মণবাজার জামে মসজিদে মাগরিবের নামাজ শেষে ছাত্র শিবির ও তালামীযে ইসলামীয়া মাহে রমজানকে স্বাগত জানিয়ে নিজ নিজ দলীয় শ্লোগানে মিছিল বের করে। মিছিল সহকারে তালামীয পূর্বদিকে ও শিবির পশ্চিম দিকে চলে যায়। এক পর্যায়ে উভয় দল মধ্য ব্রাহ্মণবাজারের মুখোমুখি হলে দুদলের সিনিয়র নেতাদের হস্তক্ষেপে তাদের নিজ নিজ দলীয় কর্মীদের রাস্তার দুপাশে যে যার মত মিছিল নিয়ে যেতে সহযোগীতা করেন। কিন্তু হঠাৎ শিবিরের মিছিলের শেষভাগ তালামীযের মিছিল অতিক্রম করার সময় তালামীযের একজন কর্মী শিবিরের একজন কর্মীকে তালামীযের কর্মী দাবী করে হাত ধরে টেনে তাদের মিছিলে নিতে চাইলে শিবিরকর্মীরা বাধা দেয়। এনিয়ে উভয় দলের কর্মীদের মধ্যে কথা কাটাকাটি ও ধস্তাধস্তি শুরু হয়। এক পর্যায়ে তা রক্তক্ষয়ী সংঘর্ষে রূপ নেয়। দেশীয় অস্ত্র-শস্ত্রে সজ্জিত উভয় দলের মধ্যে প্রায় ঘণ্টাখানেক চলা এ সংঘর্ষে ৬ জন আহত হয়। এসময় শিবির কর্মীদের হামলায় বাজারের ২/৩টি দোকান ক্ষতিগ্রস্থ হয়। আহতরা হলেন তালামীযে ইসলামীয়ার আব্দুল কাইয়ুম (২৩), আবুল হোসেন (২২), আব্দুল মুকিত (২৬), আল ইসলাহ নেতা আব্দুস শহিদ (৩৫) এবং ছাত্র শিবিরের মিজানুর রহমান (২১) ও আতিকুল ইসলাম (২২)। মিছিল শেষে শিবিরের পথসভায় আওয়ামীলীগ ও যুবলীগের নেতাকর্মীদের গালিগালাজ করা হয়েছে এমন অভিযোগ এনে স্থানীয় ব্রাহ্মণবাজারের যুবলীগের নেতাকর্মীরা দেশীয় অস্ত্রের মহড়া দিয়ে শিবির প্রতিরোধের ঘোষণা দিয়ে মিছিল বের করে। সংঘর্ষের খবর পেয়ে তালামীযের কুলাউড়া উপজেলার নেতাকর্মীরা ৭/৮টি মোটর সাইকেল যোগে লাঠিসোটা ও রামদাসহ প্রকাশ্যে অস্ত্রের মহড়া দিয়ে যুবলীগের সাথে একাত্ম হয়ে শিবির বিরোধী মিছিল বের করে। এসময় ব্যাবসায়ীদের মধ্যে আতঙ্কও ছড়িয়ে পড়ে। তাহরাবির নামাজের আযানের পরও তাদের মিছিল বন্ধ না হওয়ায় উপস্থিত মুসল্লি¬গণ তাদেরকে মিছিল বন্ধের অনুরোধ করলে তারা সরে যান। এদিকে খবর পেয়ে কুলাউড়া থানার অফিসার ইনচার্জ হাসানুজ্জামানের নেতৃত্বে পুলিশ ঘটনাস্থলে পৌছোলেও তাদের সামনেই দেশীয় অস্ত্র হাতে যুবলীগ ও তালামীয মহড়া দেয়। কুলাউড়ার পশ্চিম শিবিরের সভাপতি নাজমুল ইসলাম জানান, পূর্বপরিকল্পিতভাবে তালামীযের কর্মীরা সরকার দলের ছত্রছায়ায় বিনা উস্কানীতে তাদের শান্তিপূর্ণ মিছিলে হামলা করেছে। অপরদিকে তালামীযের কুলাউড়া উপজেলা সভাপতি ফয়জুর রহমান শাহিন বলেন, শিবিরের সন্ত্রাসীরাই তাদের শান্তিপূর্ণ মিছিলের উপর অতর্কিত হামলা করে তাদের ৪জন কর্মীকে আহত করেছে, তবে অস্ত্রের মহড়ার কথা তিনি অস্বীকার করেন। এ ব্যাপারে কুলাউড়া থানার অফিসার ইনচার্জ হাসানুজ্জামান জানান, এ ঘটনায় তালামীযের পক্ষ থেকে ইউনিয়ন তালামীযের সাধারণ সম্পাদক আবুল হোসেন বাদী হয়ে শিবিরের ২৭ জনকে আসামী করে একটি মামলা দায়ের করেছেন (মামলা নং ০৯)। শেষ খবর পাওয়া পর্যন্ত পুলিশ মিজানুর রহমান (২১) নামের শিবিরের একজন কর্মীকে গ্রেফতার করেছে। কুলাউড়া অফিস :
মন্তব্য করুন