অনাহারে অর্ধাহারে মানবতার জীবন যাপন কমলগঞ্জে বয়সের ভারে ন্যুব্জ হায়াত আলী
বয়সের ভারে এখন ন্যুব্জ হাসমত উল্ল্যা (হায়াত আলী)। তিনি দীর্ঘদিন ধরে মৌলভীবাজারের কমলগঞ্জ উপজেলার মুন্সীবাজার উপ-ডাকঘর এর ই.ডি.এম.সি (রানার বা ডাকবহনকারী) হিসাবে অস্থায়ীভাবে চাকুরী করে আসছেন। স্বল্প বেতনে চাকুরী করে পরিবার পরিজন নিয়ে অনাহারে অর্ধাহারে মানবতার জীবন যাপন করছেন। হায়াত আলী (৭০) এ প্রতিনিধিকে সাথে আলাপকালে জানা যায়, বিট্রিশ আমলে তাঁর বড় ভাই তমিজ মিয়া অস্থায়ীভাবে ডাকবহনকারী হিসাবে মুন্সীবাজার ডাকঘরে চাকুরী নেন। তিনি প্যারালাইসেন্স এ আক্রান্ত হলে চাকুরী থেকে অবসর গ্রহণ করেন। পরে হায়াত আলী মাসিক ৩০ টাকা বেতনে চাকুরী নেন। সে সময় ছিল পাকিস্তান আমল। যোগাযোগ ব্যবস্থা ছিল না। রাস্তায় পাথরের মধ্যে পায়ে হেঁটে শমশেরনগর থেকে মুন্সীবাজার আসা যাওয়া করতেন। নানা কষ্টে তিনি এখন পর্যন্ত মুন্সীবাজার উপ-ডাকঘরে চাকুরী করছেন। ১০ টাকা ২০ টাকা ৫০ টাকা ১০০ টাকা বেড়ে বর্তমানে ৯৫০ টাকা বেতন পান। মাসিক ৯৫০ টাকা বেতনে চাকুরী করে কিছুই হয় না। এছাড়া প্রতিদিন শমশেরনগর থেকে মুন্সীবাজারে, মুন্সীবাজার থেকে শমশেরনগরে ডাকবহন করতে বাস ভাড়া ১৬ টাকা দিতে হয়। ২০ দিনে ৩৬০ টাকা তাঁর নিজের পকেট থেকে দিতে হয়। তখন তাঁর মাসিক বেতন ৬১০ টাকা এসে দাঁড়ায়। এই ৬১০ টাকা দিয়ে জীবন সংসার কিভাবে চলবে ? তাই তিনি মানুষের কাছে সাহায্যের জন্য হাত বাড়ান কিছু পাওয়ার আসায়। কমলগঞ্জ উপজেলার শমশেরনগর এলাকার ভাদাইদেউল গ্রামের মৃত সাজিদ মিয়ার পুত্র হায়াত আলী মুক্তিযুদ্ধের পূর্বে বিবাহ বন্ধনে আবদ্ধ হন। তার ঘরে ৩ মেয়ে ও ৩ ছেলে ছিল। মেয়েদের বিয়ের পর ছেলেরা বিয়ে করে স্ত্রীদের নিয়ে আলাদা হয়ে যায়। ছেলেরা পিতা-মাতাকে ছেড়ে চলে যাওয়ার পর বৃদ্ধ বয়সে হায়াত আলী অনাহারে অর্ধাহারে জীবন যাপন করছেন। মুন্সীবাজার উপ-ডাকঘরের ভারপ্রাপ্ত পোষ্ট মাষ্টার মো: আবু বক্কর জানান, হায়াত আলী দীর্ঘ দিন ধরে এই পোষ্ট অফিসে কর্মরত আছেন স্বল্প বেতনে অস্থায়ী ভাবে। এই বেতনে তিনি চলতে পারেন না। যদি বিভাগীয় ভাবে অস্থায়ী থাকার কারণে কিছু করার নয়। তাই মানবিক দিক বিবেচনা করে তাকে সাহায্য সহযোগীতা করা প্রয়োজন। শমশেরনগর এলাকার ভাদাইদেউল গ্রামে ছনের ঘরে বসবাস করছেন হায়াত আলী। ডাকবহনের পাশাপাশি তিনি ভিক্ষাবৃত্তি করে জীবন যাপন করছেন। জন্মগত ভাবে চোখে কম দেখায় তিনি আরও কষ্টে ভোগছেন। দূরে কিছু দেখেন না। একেবারে কাছে দেখতে পান। ৭০ বছরের একজন হায়াত আলী জীবন এভাবে চলছে। তিনি বলেন, মৃত্যুর শেষ প্রান্তে এসে যদি কারো একটু সহানুভূতি পাই তবে মরেও শান্তি পাব।
বয়সের ভারে এখন ন্যুব্জ হাসমত উল্ল্যা (হায়াত আলী)। তিনি দীর্ঘদিন ধরে মৌলভীবাজারের কমলগঞ্জ উপজেলার মুন্সীবাজার উপ-ডাকঘর এর ই.ডি.এম.সি (রানার বা ডাকবহনকারী) হিসাবে অস্থায়ীভাবে চাকুরী করে আসছেন। স্বল্প বেতনে চাকুরী করে পরিবার পরিজন নিয়ে অনাহারে অর্ধাহারে মানবতার জীবন যাপন করছেন। হায়াত আলী (৭০) এ প্রতিনিধিকে সাথে আলাপকালে জানা যায়, বিট্রিশ আমলে তাঁর বড় ভাই তমিজ মিয়া অস্থায়ীভাবে ডাকবহনকারী হিসাবে মুন্সীবাজার ডাকঘরে চাকুরী নেন। তিনি প্যারালাইসেন্স এ আক্রান্ত হলে চাকুরী থেকে অবসর গ্রহণ করেন। পরে হায়াত আলী মাসিক ৩০ টাকা বেতনে চাকুরী নেন। সে সময় ছিল পাকিস্তান আমল। যোগাযোগ ব্যবস্থা ছিল না। রাস্তায় পাথরের মধ্যে পায়ে হেঁটে শমশেরনগর থেকে মুন্সীবাজার আসা যাওয়া করতেন। নানা কষ্টে তিনি এখন পর্যন্ত মুন্সীবাজার উপ-ডাকঘরে চাকুরী করছেন। ১০ টাকা ২০ টাকা ৫০ টাকা ১০০ টাকা বেড়ে বর্তমানে ৯৫০ টাকা বেতন পান। মাসিক ৯৫০ টাকা বেতনে চাকুরী করে কিছুই হয় না। এছাড়া প্রতিদিন শমশেরনগর থেকে মুন্সীবাজারে, মুন্সীবাজার থেকে শমশেরনগরে ডাকবহন করতে বাস ভাড়া ১৬ টাকা দিতে হয়। ২০ দিনে ৩৬০ টাকা তাঁর নিজের পকেট থেকে দিতে হয়। তখন তাঁর মাসিক বেতন ৬১০ টাকা এসে দাঁড়ায়। এই ৬১০ টাকা দিয়ে জীবন সংসার কিভাবে চলবে ? তাই তিনি মানুষের কাছে সাহায্যের জন্য হাত বাড়ান কিছু পাওয়ার আসায়। কমলগঞ্জ উপজেলার শমশেরনগর এলাকার ভাদাইদেউল গ্রামের মৃত সাজিদ মিয়ার পুত্র হায়াত আলী মুক্তিযুদ্ধের পূর্বে বিবাহ বন্ধনে আবদ্ধ হন। তার ঘরে ৩ মেয়ে ও ৩ ছেলে ছিল। মেয়েদের বিয়ের পর ছেলেরা বিয়ে করে স্ত্রীদের নিয়ে আলাদা হয়ে যায়। ছেলেরা পিতা-মাতাকে ছেড়ে চলে যাওয়ার পর বৃদ্ধ বয়সে হায়াত আলী অনাহারে অর্ধাহারে জীবন যাপন করছেন। মুন্সীবাজার উপ-ডাকঘরের ভারপ্রাপ্ত পোষ্ট মাষ্টার মো: আবু বক্কর জানান, হায়াত আলী দীর্ঘ দিন ধরে এই পোষ্ট অফিসে কর্মরত আছেন স্বল্প বেতনে অস্থায়ী ভাবে। এই বেতনে তিনি চলতে পারেন না। যদি বিভাগীয় ভাবে অস্থায়ী থাকার কারণে কিছু করার নয়। তাই মানবিক দিক বিবেচনা করে তাকে সাহায্য সহযোগীতা করা প্রয়োজন। শমশেরনগর এলাকার ভাদাইদেউল গ্রামে ছনের ঘরে বসবাস করছেন হায়াত আলী। ডাকবহনের পাশাপাশি তিনি ভিক্ষাবৃত্তি করে জীবন যাপন করছেন। জন্মগত ভাবে চোখে কম দেখায় তিনি আরও কষ্টে ভোগছেন। দূরে কিছু দেখেন না। একেবারে কাছে দেখতে পান। ৭০ বছরের একজন হায়াত আলী জীবন এভাবে চলছে। তিনি বলেন, মৃত্যুর শেষ প্রান্তে এসে যদি কারো একটু সহানুভূতি পাই তবে মরেও শান্তি পাব। পিন্টু দেবনাথ॥
মন্তব্য করুন