প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ে আবেদন: মুক্তিযোদ্ধা আব্দুল কাদির ৩ বছরে চিকিৎসা সহায়তা পাননি
মুক্তিযুদ্ধ বিষয়ক মন্ত্রনালয়ের সচিব ও প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ের মুখ্যসচিব বরাবর আবেদন করার ৩ বছরেও চিকিৎসা সহায়তা না পেয়ে বিনা চিকিৎসায় মৃত্যুর প্রহর গুনছেন মৌলভীবাজারের অসুস্থ মুক্তিযোদ্ধা আব্দুল কাদির। মৌলভীবাজার জেলা সদরের ৮নং কনকপুর ইউনিয়নস্থিত নলদাড়িয়া গ্রামের মৃতঃ মফিজ টেন্ডলের পুত্র মুক্তিযোদ্ধা আব্দুল কাদিরের মুক্তি নং- ০৫০৪০১০০৪৭, মুক্তিযোদ্ধা তালিকার ক্রমিক নং ২৬৮৮৫, মুক্তিযোদ্ধা সনদের ক্রমিক নং ০৬৭৬৭, মুক্তিভাতা নং- ডিএও/মৌল/মুক্তিভাতা/১৫। মৌলভীবাজার জেলা প্রশাসকের কার্যালয়ের ০৮/০৮/২০১০ইং তারিখের ৩৫৪.০০৫.০০১.১১.০০.০২.২০১০ নং স্মারকে চীফ হুইপকে অনুলিপি সহকারে মুক্তিযুদ্ধ বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের সচিব এবং প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ের মুখ্যসচিব বরাবর অসুস্থ মুক্তিযোদ্ধা আব্দুল কাদিরের জরুরী চিকিৎসার জন্য সাহায্যের আবেদন প্রেরণ করা হয়। এরপর শুধুই অপেক্ষারপালা এবং জেলা প্রশাসকের কার্যালয়ে ধর্ণা দিতে দিতে অতিক্রান্ত হয় দুদুটি বছর। এ দীর্ঘ সময়েও মুক্তিযুদ্ধ বিষয়ক মনত্রণালয় ও প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয় থেকে কোন সাড়া না পেয়ে আবারও মৌলভীবাজার জেলা প্রশাসকের কার্যালয়ের ০৭/০৮/২০১২ইং তারিখের ৩৫৪.০০৫.০০১.১১.০০.০২.২০১২.১০২৭ (৩) নং স্মারকে চীফহুইপকে অনুলিপি সহকারে মুক্তিযুদ্ধ বিষয়ক মনত্রণালয়ের সচিব এবং প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ের মুখ্যসচিব বরাবর মুক্তিযোদ্ধা আব্দুল কাদিরের চিকিৎসার জন্য ২ লাখ টাকা অর্থিক সাহায্যের আবেদন প্রেরণ করা হয়। এরপর আবারও শুধুই অপেক্ষা আর অপেক্ষা এবং জেলা প্রশাসকের কার্যালয়ে ধর্ণা দিতে দিতে অতিক্রান্ত হয়ে গেছে আরও ১টি বছর। এর মধ্যে জেলা প্রশাসক মোঃ মোস্তাফিজুর রহমান বদলী হয়ে যান এবং তার স্থলে নতুন জেলা প্রশাসক হিসাবে যোগদান করেন মোঃ কামরুল হাসান। কিন্তু, সাহায্যের শিকে ছিড়েনি মুক্তিযোদ্ধা আব্দুল কাদিরের ভাগ্যে। তবুও হাল ছাড়েননি অসুস্থ মুক্তিযোদ্ধা আব্দুল কাদিরের স্ত্রী হালিমা বেগম। সর্বশেষ, এ প্রতিনিধির সহায়তায় গত ৩ জুলাই বিকেলে তিনি মৌলভীবাজারের নবাগত জেলা প্রশাসকের সাথে দেখা করে এ ব্যাপারে তার সহায়তা কামনা করলে, জেলা প্রশাসক মোঃ কামরুল হাসান তাকে আশ্বস্থ করেন এবং ধৈর্য্য ধারণের পরামর্শ দেন। সরেজমিন নলদাড়িয়া গ্রামে মুক্তিযোদ্ধা আব্দুল কাদিরের বাড়ীতে গেলে, এ প্রতিনিধিকে দেখে ফ্যাল ফ্যাল চোখে অশ্রুর প্লাবনে ভাসা অসহায় দৃষ্টি, আর অঝোরে হৃদয় বিদারক বোবা কান্নায় ভেঙ্গে পড়েন অসুস্থ্য মুক্তিযোদ্ধা আব্দুল কাদির। তার স্ত্রী হালিমা বেগমের কাছ থেকে জানা গেল- পক্ষাঘাত তার দেহের বাম অর্ধেকই শুধু অচেতন করেনি, ক্রমশঃ কেড়ে নিয়েছে বাক্শক্তিও। শুরুতেই চিকিৎসা করা গেলে হয়ত তিনি সেরে উঠতে পারতেন। আর, সেরে না উঠলেও অন্তত বাক্শক্তিটুকু হয়ত হারাতে হতনা। কিন্তু, অদৃষ্টের নির্মম পরিহাস, সহায়-সম্বল বলতে ছোট্ট এক চিলতে ভমিতে একটি বাড়ী ছাড়া আর কোনকিছুই নেই তার। ৫ ছেলেমেয়ে নিয়ে ৭ সদস্যের পরিবারে মাসিক ২ হাজার টাকা মুক্তিযোদ্ধা ভাতা ছাড়া নেই আর কোন আয়ের উৎস। প্রতিদিনই নুন আনতে যার পান্তা ফুরায়, চিকিৎসা তো তার জন্য মরিচিকা ছাড়া আর কিছুই নয়। তবুও আশায় বুক বেঁধে চিকিৎসা সহায়তার জন্য হাত পেতেছিলেন জেলা প্রশাসকের নিকট। জেলা প্রশাসক চীফ হুইপ উপাধ্যক্ষ আব্দুস শহীদকে অনুলিপি সহকারে মুক্তিযুদ্ধ বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের সচিব এবং প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ের মুখ্যসচিব বরাবর অসুস্থ মুক্তিযোদ্ধা আব্দুল কাদিরের জরুরী চিকিৎসার জন্য সাহায্যের আবেদনও প্রেরণ করেন। পরবর্তীতে আবারও তাগাদাপত্র প্রেরণ করেন। কিন্তু, দীর্ঘ ৩ বছরেও তার ভাগ্যে ছিড়েনি সরকারী চিকিৎসা সহায়তা। ফলে, বিনা চিকিৎসায় আরও বেশী অসুস্থ্য হয়ে এখন মৃত্যুর প্রহর গুনছেন মুক্তিযোদ্ধা আব্দুল কাদির। তা সত্তেও তিনি আশার হাল ধরে আছেন, ভাবছেন- হয়ত প্রধানমন্ত্রীর হাতে পৌছেনি তার আবেদন। প্রধানমন্ত্রীর হাতে পৌছলে অবশ্যই তার সু-চিকিৎসার ব্যবস্থা হবে। হয়তো আবারও গাহিবে পাখি জীবনেরও তরু শাখে, মানুষ মানুষের জন্য, জীবন জীবনের জন্য, এতটুকু সহানুভতি হয়ত তিনি পাবেন। আর, সেই আশাতেই মুক্তিযোদ্ধা আব্দুল কাদির পত্রিকায় সংবাদ হয়ে আকর্ষন করেছেন প্রধানমন্ত্রীর দৃষ্টি।
মুক্তিযুদ্ধ বিষয়ক মন্ত্রনালয়ের সচিব ও প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ের মুখ্যসচিব বরাবর আবেদন করার ৩ বছরেও চিকিৎসা সহায়তা না পেয়ে বিনা চিকিৎসায় মৃত্যুর প্রহর গুনছেন মৌলভীবাজারের অসুস্থ মুক্তিযোদ্ধা আব্দুল কাদির। মৌলভীবাজার জেলা সদরের ৮নং কনকপুর ইউনিয়নস্থিত নলদাড়িয়া গ্রামের মৃতঃ মফিজ টেন্ডলের পুত্র মুক্তিযোদ্ধা আব্দুল কাদিরের মুক্তি নং- ০৫০৪০১০০৪৭, মুক্তিযোদ্ধা তালিকার ক্রমিক নং ২৬৮৮৫, মুক্তিযোদ্ধা সনদের ক্রমিক নং ০৬৭৬৭, মুক্তিভাতা নং- ডিএও/মৌল/মুক্তিভাতা/১৫। মৌলভীবাজার জেলা প্রশাসকের কার্যালয়ের ০৮/০৮/২০১০ইং তারিখের ৩৫৪.০০৫.০০১.১১.০০.০২.২০১০ নং স্মারকে চীফ হুইপকে অনুলিপি সহকারে মুক্তিযুদ্ধ বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের সচিব এবং প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ের মুখ্যসচিব বরাবর অসুস্থ মুক্তিযোদ্ধা আব্দুল কাদিরের জরুরী চিকিৎসার জন্য সাহায্যের আবেদন প্রেরণ করা হয়। এরপর শুধুই অপেক্ষারপালা এবং জেলা প্রশাসকের কার্যালয়ে ধর্ণা দিতে দিতে অতিক্রান্ত হয় দুদুটি বছর। এ দীর্ঘ সময়েও মুক্তিযুদ্ধ বিষয়ক মনত্রণালয় ও প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয় থেকে কোন সাড়া না পেয়ে আবারও মৌলভীবাজার জেলা প্রশাসকের কার্যালয়ের ০৭/০৮/২০১২ইং তারিখের ৩৫৪.০০৫.০০১.১১.০০.০২.২০১২.১০২৭ (৩) নং স্মারকে চীফহুইপকে অনুলিপি সহকারে মুক্তিযুদ্ধ বিষয়ক মনত্রণালয়ের সচিব এবং প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ের মুখ্যসচিব বরাবর মুক্তিযোদ্ধা আব্দুল কাদিরের চিকিৎসার জন্য ২ লাখ টাকা অর্থিক সাহায্যের আবেদন প্রেরণ করা হয়। এরপর আবারও শুধুই অপেক্ষা আর অপেক্ষা এবং জেলা প্রশাসকের কার্যালয়ে ধর্ণা দিতে দিতে অতিক্রান্ত হয়ে গেছে আরও ১টি বছর। এর মধ্যে জেলা প্রশাসক মোঃ মোস্তাফিজুর রহমান বদলী হয়ে যান এবং তার স্থলে নতুন জেলা প্রশাসক হিসাবে যোগদান করেন মোঃ কামরুল হাসান। কিন্তু, সাহায্যের শিকে ছিড়েনি মুক্তিযোদ্ধা আব্দুল কাদিরের ভাগ্যে। তবুও হাল ছাড়েননি অসুস্থ মুক্তিযোদ্ধা আব্দুল কাদিরের স্ত্রী হালিমা বেগম। সর্বশেষ, এ প্রতিনিধির সহায়তায় গত ৩ জুলাই বিকেলে তিনি মৌলভীবাজারের নবাগত জেলা প্রশাসকের সাথে দেখা করে এ ব্যাপারে তার সহায়তা কামনা করলে, জেলা প্রশাসক মোঃ কামরুল হাসান তাকে আশ্বস্থ করেন এবং ধৈর্য্য ধারণের পরামর্শ দেন। সরেজমিন নলদাড়িয়া গ্রামে মুক্তিযোদ্ধা আব্দুল কাদিরের বাড়ীতে গেলে, এ প্রতিনিধিকে দেখে ফ্যাল ফ্যাল চোখে অশ্রুর প্লাবনে ভাসা অসহায় দৃষ্টি, আর অঝোরে হৃদয় বিদারক বোবা কান্নায় ভেঙ্গে পড়েন অসুস্থ্য মুক্তিযোদ্ধা আব্দুল কাদির। তার স্ত্রী হালিমা বেগমের কাছ থেকে জানা গেল- পক্ষাঘাত তার দেহের বাম অর্ধেকই শুধু অচেতন করেনি, ক্রমশঃ কেড়ে নিয়েছে বাক্শক্তিও। শুরুতেই চিকিৎসা করা গেলে হয়ত তিনি সেরে উঠতে পারতেন। আর, সেরে না উঠলেও অন্তত বাক্শক্তিটুকু হয়ত হারাতে হতনা। কিন্তু, অদৃষ্টের নির্মম পরিহাস, সহায়-সম্বল বলতে ছোট্ট এক চিলতে ভমিতে একটি বাড়ী ছাড়া আর কোনকিছুই নেই তার। ৫ ছেলেমেয়ে নিয়ে ৭ সদস্যের পরিবারে মাসিক ২ হাজার টাকা মুক্তিযোদ্ধা ভাতা ছাড়া নেই আর কোন আয়ের উৎস। প্রতিদিনই নুন আনতে যার পান্তা ফুরায়, চিকিৎসা তো তার জন্য মরিচিকা ছাড়া আর কিছুই নয়। তবুও আশায় বুক বেঁধে চিকিৎসা সহায়তার জন্য হাত পেতেছিলেন জেলা প্রশাসকের নিকট। জেলা প্রশাসক চীফ হুইপ উপাধ্যক্ষ আব্দুস শহীদকে অনুলিপি সহকারে মুক্তিযুদ্ধ বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের সচিব এবং প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ের মুখ্যসচিব বরাবর অসুস্থ মুক্তিযোদ্ধা আব্দুল কাদিরের জরুরী চিকিৎসার জন্য সাহায্যের আবেদনও প্রেরণ করেন। পরবর্তীতে আবারও তাগাদাপত্র প্রেরণ করেন। কিন্তু, দীর্ঘ ৩ বছরেও তার ভাগ্যে ছিড়েনি সরকারী চিকিৎসা সহায়তা। ফলে, বিনা চিকিৎসায় আরও বেশী অসুস্থ্য হয়ে এখন মৃত্যুর প্রহর গুনছেন মুক্তিযোদ্ধা আব্দুল কাদির। তা সত্তেও তিনি আশার হাল ধরে আছেন, ভাবছেন- হয়ত প্রধানমন্ত্রীর হাতে পৌছেনি তার আবেদন। প্রধানমন্ত্রীর হাতে পৌছলে অবশ্যই তার সু-চিকিৎসার ব্যবস্থা হবে। হয়তো আবারও গাহিবে পাখি জীবনেরও তরু শাখে, মানুষ মানুষের জন্য, জীবন জীবনের জন্য, এতটুকু সহানুভতি হয়ত তিনি পাবেন। আর, সেই আশাতেই মুক্তিযোদ্ধা আব্দুল কাদির পত্রিকায় সংবাদ হয়ে আকর্ষন করেছেন প্রধানমন্ত্রীর দৃষ্টি। ষ্টাফ রিপোর্টার॥
মন্তব্য করুন