মাত্রাতিরিক্ত লোডশেডিংয়ে অতিষ্ট কমলগঞ্জের ৩৪ হাজার গ্রাহক
মৌলভীবাজারের কমলগঞ্জ পল্ল¬ী বিদ্যুৎ সমিতির জোনাল অফিসের অধীনস্থ পুরো কমলগঞ্জ উপজেলা এবং কুলাউড়া ও রাজনগরের প্রায় ৩৪ হাজার গ্রাহক প্রচন্ড গরমের মাঝে অব্যাহত লোডশেডিংয়ে অতিষ্ঠ হয়ে উঠেছেন। পবিত্র রমজান মাসেও মাত্রাতিরিক্ত লোডশেডিংয়ে জনজীবন বিপর্যস্ত হয়ে পড়েছে। গত মঙ্গলবার দিন রাত মিলে লোডশেডিংসহ বিভিন্ন কারণে প্রায় ৮ ঘন্টা বিদ্যুৎ ছিল না। বুধবারও ভোর থেকে সাড়ে ১২টা পর্যন্ত বিদ্যুৎ ছিল না। জানা যায়, মৌলভীবাজার পল্ল¬ী বিদ্যুৎ সমিতির কমলগঞ্জ জোনাল অফিসের আওতাধীন কমলগঞ্জ, কুলাউড়া ও রাজনগরের গ্রাহক সংখ্যা হলো ৩৪ হাজার। যার জন্য প্রয়োজন ১২ থেকে ১৬ মেগাওয়াট বিদ্যুৎ। কিন্তু সরবরাহ হচ্ছে মাত্র ৬ থেকে ৮ মেগাওয়াট। দিনের বেলায় তা আরো কমে নেমে আসে। যে কারণে প্রচন্ড গরমের মাঝে বিদ্যুতের লুকোচুরি খেলায় অতিষ্ঠ হয়ে উঠেছেন গ্রাহকরা। ইচ্ছামতো ঘন্টার পর ঘন্টা করা হচ্ছে লোডশেডিং। গ্রাহকদের সীমাহীন ভোগান্তি বাড়লেও সমস্যার কোন সমাধান হচ্ছে না। পবিত্র রমজান মাসে লোডশেডিং এর পরিমাণ আরো বেড়ে গেছে বলে ভোক্তভোগীরা জানান। সন্ধ্যার পর থেকে বেড়ে যায় লোডশেডিংয়ের মাত্রা। ফলে শিক্ষার্থীদের লেখাপড়ায় মারাত্মক ব্যাঘাত হচ্ছে। পাশাপাশি ব্যবসা বানিজ্যেও নেমে আসে স্থবিরতা। ভানুগাছ বাজারের ব্যবসায়ী আনোয়ার হোসেন, আলমাছ উদ্দিন, মিন্টু মালাকার, আব্দুল মুনিম, ফটিকুল ইসলাম বলেন, বিদ্যুতের যা অবস্থা তাতে ব্যবসা লাটে উঠেছে। দুপুরে ও সন্ধ্যায় ক্রেতা বাজারে ভিড় করেন তখন বিদ্যুৎ থাকে না। বিদ্যুতের এই ভেল্কির কারণে বিকল্প হিসাবে গ্রাহকরা সৌর বিদ্যুৎ ও জেনারেটার ব্যবহার করছেন। এলাকাবাসীর অভিযোগ, বিদ্যুৎ চলে গেলে বিশেষ করে রাতের বেলা ১ঘন্টার অতিরিক্ত লোডশেডিং হলে গ্রাহকরা পল্লী বিদ্যুতের অভিযোগ কেন্দ্রে ফোন দিলে অনেক সময় রিসিভ করা হয় না বা ফোন বন্ধ পাওয়া যায়। আবার অনেক সময় লাউয়াছড়া পাহাড়ি এলাকায় গাছ পড়া বা ৩৩ কেভি লাইনে সমস্যা অথবা ক্রুটি পাওয়া যাচ্ছে না এরকম বলে কখন বিদ্যুৎ পাওয়া যাবে তার সদুত্তর মিলেনা। একটু ঝড় তুফান দিলেই বেশিরভাগ ক্ষেত্রে লাউয়াছড়া পাহাড়ি এলাকার সমস্যার কথা বলা হয়। এই সমস্যা থেকে কমলগঞ্জবাসীর উত্তোরণের কোন বিকল্প ব্যবস্থা না হলে এলাকার বিদ্যুৎ গ্রাহকদের ভোগান্তি সহজে লাগব হবে না বলে সচেতন মহল মনে করেন। বিদ্যুৎ বিভাগের সমালোচনা করে অনেকেই বলেন, দিনে ৭/৮ বার বিদ্যুৎ থাকে না। কমলগঞ্জ জোনাল অফিসের অধীন এলাকার জন্য দিনে ৬/৭ মেগাওয়াট ও রাতের বেলা ১০ মেগাওয়াট বিদ্যুতের প্রয়োজন হলেও শ্রীমঙ্গল গ্রীড থেকে ৬ থেকে ৮ মেগাওয়াট সরবরাহ করা হয় বলে জানান কমলগঞ্জ জোনাল অফিসের ডিজিএম হাসনাত হাসান। এতে ঘাটতি থাকে ৮ থেকে ৬ মেগাওয়াট। কিন্তু দিন দিন কমলগঞ্জে বিদ্যুতের নতুন লাইন সম্প্রসারণ করায় চাহিদা বাড়লেও সরবরাহ বাড়ানো হচ্ছে না। তাই প্রায় ৩৪ হাজার গ্রাহক প্রচন্ড লোডশেডিংয়ে অতিষ্ঠ হয়ে উঠেছেন। তাছাড়া উপজেলার প্রত্যন্ত অঞ্চলের গ্রামগুলোতে আরো বেশি লোডশেডিং করা হয়। এলাকাবাসী পবিত্র রমজান মাসে বিদ্যুতের লোডশেডিং বন্ধে কার্যকরী পদক্ষেপ নেয়ার জন্য সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের সুদৃষ্টি কামনা করেন। এ ব্যাপারে মৌলভীবাজার পল্লী বিদ্যুৎ সমিতির কমলগঞ্জ জোনাল অফিসের ডিজিএম হাসনাত হাসান, কমলগঞ্জে চাহিদামত বিদ্যুৎ পাওয়া যাচ্ছে না। তাছাড়া সব দিন সমানভাবে চাহিদা না পাওয়ায় লোডশেডিং কম-বেশি হচ্ছে। তবে অন্যান্য এলাকার চেয়ে এ এলাকায় কম লোডশেডিং করা হয়। বিদ্যুতের এই পরিস্থিতি থেকে উত্তোরনের জন্য ইতিমধ্যে স্থানীয় সংসদ সদস্য ও চিফ হুইপ উপাধ্যক্ষ মো: আব্দুস শহীদ সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের সাথে কথা বলেছেন বলে জানান ডিজিএম এস, এম, হাসনাত হাসান।
মৌলভীবাজারের কমলগঞ্জ পল্ল¬ী বিদ্যুৎ সমিতির জোনাল অফিসের অধীনস্থ পুরো কমলগঞ্জ উপজেলা এবং কুলাউড়া ও রাজনগরের প্রায় ৩৪ হাজার গ্রাহক প্রচন্ড গরমের মাঝে অব্যাহত লোডশেডিংয়ে অতিষ্ঠ হয়ে উঠেছেন। পবিত্র রমজান মাসেও মাত্রাতিরিক্ত লোডশেডিংয়ে জনজীবন বিপর্যস্ত হয়ে পড়েছে। গত মঙ্গলবার দিন রাত মিলে লোডশেডিংসহ বিভিন্ন কারণে প্রায় ৮ ঘন্টা বিদ্যুৎ ছিল না। বুধবারও ভোর থেকে সাড়ে ১২টা পর্যন্ত বিদ্যুৎ ছিল না। জানা যায়, মৌলভীবাজার পল্ল¬ী বিদ্যুৎ সমিতির কমলগঞ্জ জোনাল অফিসের আওতাধীন কমলগঞ্জ, কুলাউড়া ও রাজনগরের গ্রাহক সংখ্যা হলো ৩৪ হাজার। যার জন্য প্রয়োজন ১২ থেকে ১৬ মেগাওয়াট বিদ্যুৎ। কিন্তু সরবরাহ হচ্ছে মাত্র ৬ থেকে ৮ মেগাওয়াট। দিনের বেলায় তা আরো কমে নেমে আসে। যে কারণে প্রচন্ড গরমের মাঝে বিদ্যুতের লুকোচুরি খেলায় অতিষ্ঠ হয়ে উঠেছেন গ্রাহকরা। ইচ্ছামতো ঘন্টার পর ঘন্টা করা হচ্ছে লোডশেডিং। গ্রাহকদের সীমাহীন ভোগান্তি বাড়লেও সমস্যার কোন সমাধান হচ্ছে না। পবিত্র রমজান মাসে লোডশেডিং এর পরিমাণ আরো বেড়ে গেছে বলে ভোক্তভোগীরা জানান। সন্ধ্যার পর থেকে বেড়ে যায় লোডশেডিংয়ের মাত্রা। ফলে শিক্ষার্থীদের লেখাপড়ায় মারাত্মক ব্যাঘাত হচ্ছে। পাশাপাশি ব্যবসা বানিজ্যেও নেমে আসে স্থবিরতা। ভানুগাছ বাজারের ব্যবসায়ী আনোয়ার হোসেন, আলমাছ উদ্দিন, মিন্টু মালাকার, আব্দুল মুনিম, ফটিকুল ইসলাম বলেন, বিদ্যুতের যা অবস্থা তাতে ব্যবসা লাটে উঠেছে। দুপুরে ও সন্ধ্যায় ক্রেতা বাজারে ভিড় করেন তখন বিদ্যুৎ থাকে না। বিদ্যুতের এই ভেল্কির কারণে বিকল্প হিসাবে গ্রাহকরা সৌর বিদ্যুৎ ও জেনারেটার ব্যবহার করছেন। এলাকাবাসীর অভিযোগ, বিদ্যুৎ চলে গেলে বিশেষ করে রাতের বেলা ১ঘন্টার অতিরিক্ত লোডশেডিং হলে গ্রাহকরা পল্লী বিদ্যুতের অভিযোগ কেন্দ্রে ফোন দিলে অনেক সময় রিসিভ করা হয় না বা ফোন বন্ধ পাওয়া যায়। আবার অনেক সময় লাউয়াছড়া পাহাড়ি এলাকায় গাছ পড়া বা ৩৩ কেভি লাইনে সমস্যা অথবা ক্রুটি পাওয়া যাচ্ছে না এরকম বলে কখন বিদ্যুৎ পাওয়া যাবে তার সদুত্তর মিলেনা। একটু ঝড় তুফান দিলেই বেশিরভাগ ক্ষেত্রে লাউয়াছড়া পাহাড়ি এলাকার সমস্যার কথা বলা হয়। এই সমস্যা থেকে কমলগঞ্জবাসীর উত্তোরণের কোন বিকল্প ব্যবস্থা না হলে এলাকার বিদ্যুৎ গ্রাহকদের ভোগান্তি সহজে লাগব হবে না বলে সচেতন মহল মনে করেন। বিদ্যুৎ বিভাগের সমালোচনা করে অনেকেই বলেন, দিনে ৭/৮ বার বিদ্যুৎ থাকে না। কমলগঞ্জ জোনাল অফিসের অধীন এলাকার জন্য দিনে ৬/৭ মেগাওয়াট ও রাতের বেলা ১০ মেগাওয়াট বিদ্যুতের প্রয়োজন হলেও শ্রীমঙ্গল গ্রীড থেকে ৬ থেকে ৮ মেগাওয়াট সরবরাহ করা হয় বলে জানান কমলগঞ্জ জোনাল অফিসের ডিজিএম হাসনাত হাসান। এতে ঘাটতি থাকে ৮ থেকে ৬ মেগাওয়াট। কিন্তু দিন দিন কমলগঞ্জে বিদ্যুতের নতুন লাইন সম্প্রসারণ করায় চাহিদা বাড়লেও সরবরাহ বাড়ানো হচ্ছে না। তাই প্রায় ৩৪ হাজার গ্রাহক প্রচন্ড লোডশেডিংয়ে অতিষ্ঠ হয়ে উঠেছেন। তাছাড়া উপজেলার প্রত্যন্ত অঞ্চলের গ্রামগুলোতে আরো বেশি লোডশেডিং করা হয়। এলাকাবাসী পবিত্র রমজান মাসে বিদ্যুতের লোডশেডিং বন্ধে কার্যকরী পদক্ষেপ নেয়ার জন্য সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের সুদৃষ্টি কামনা করেন। এ ব্যাপারে মৌলভীবাজার পল্লী বিদ্যুৎ সমিতির কমলগঞ্জ জোনাল অফিসের ডিজিএম হাসনাত হাসান, কমলগঞ্জে চাহিদামত বিদ্যুৎ পাওয়া যাচ্ছে না। তাছাড়া সব দিন সমানভাবে চাহিদা না পাওয়ায় লোডশেডিং কম-বেশি হচ্ছে। তবে অন্যান্য এলাকার চেয়ে এ এলাকায় কম লোডশেডিং করা হয়। বিদ্যুতের এই পরিস্থিতি থেকে উত্তোরনের জন্য ইতিমধ্যে স্থানীয় সংসদ সদস্য ও চিফ হুইপ উপাধ্যক্ষ মো: আব্দুস শহীদ সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের সাথে কথা বলেছেন বলে জানান ডিজিএম এস, এম, হাসনাত হাসান। কমলগঞ্জ প্রতিনিধি॥
মন্তব্য করুন