বড়লেখায় বস্তিবাসীর উপর আয়েশাবাদ চা বাগান কর্তৃপক্ষের হামলা নিহত-১
মৌলভীবাজারের বড়লেখা উপজেলার আয়েশাবাদ চা বাগান কর্তৃপক্ষ ও হীরেরগুল বস্তিবাসীদের মধ্যে প্রায় ২৫০ একর জমির মালিকানা সংক্রান্ত বিরোধের জের ধরে সংঘর্ষে ১ জন নিহত ও নারীসহ ১০ জন আহত হওয়ার খবর পাওয়া গেছে। আহতদের মধ্যে আশংকাজনক অবস্থায় ৩ জনকে সিলেট ওসমানী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে প্রেরন করা হয়েছে। ঘটনাটি ঘটে গত ১৭ জুলাই বুধবার বিকেলে। এ ঘটনায় বস্তিবাসীদের মধ্যে আতঙ্ক বিরাজ করছে। থানা পুলিশ ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছে। পুলিশ ও স্থানীয়রা জানায়, বেশ কিছু দিন ধরে আয়েশাবাদ চা বাগান কর্তৃপক্ষ ও হীরেরগুল বস্তির লোকজনদের মধ্যে প্রায় ২৫০ একর জমির মালিকানা সংক্রান্ত বিষয় নিয়ে বিরোধ চলছিল। বাগান কর্র্তৃপক্ষ হিরেরগুল বস্তির ভুমির মালিকানা দাবি করে আসছিলো। গতকাল বুধবার দুপুরে বস্তির লোকজন জমিতে কাজ করতে গেলে আয়েশাবাদ চা বাগানের মালিক পক্ষ ভাড়াটিয়া সন্ত্রাসীসহ হীরেরগুল বস্তি দখল করতে যায়। তখন বস্তিবাসী এর তীব্র প্রতিবাদ করলে সন্ত্রাসীদের ধারালো অস্ত্রের আঘাতে ঘটনাস্থলে মিসবাহ উদ্দিন (৩০) নামে একজন নিহত হয়। নিহতের বাবার নাম হাসমত আলী। আহত হয় আরো ১০ জন। গুরুতর আহতরা হলো শফিক আহমদ (৫০), রানু বেগম (৪০), শিপন আহমদ (২০)। বাকী আহতদেরকে প্রাথমিক চিকিৎসা দেওয়া হয়েছে। বস্তিবাসী হাসমত আলী, আব্দুর রহমান ও হেকিম আহমদ জানান দীর্ঘ ৬০/৭০ বছর ধরে তারা হীরেরগুল বস্তিতে বংশ পরম্পরায় বসবাস করে আসছেন। আয়েশবাদ চা বাগান কর্তৃপক্ষ ক্ষমতার দাপটে তাদের মাথাগুজার শেষ আশ্রয়স্থলটুকু দখল করে নিতে বস্তিবাসীর উপর হামলা চালিয়েছে। স্থানীয়রা আরো জানায় গত ৩/৪ মাস পূর্বে আয়েশবাদ চা বাগান কর্তৃপক্ষ ভাড়াটিয়া সন্ত্রাসী দিয়ে পাল্লাথল চা বাগানের শতাধিক নারী পুরুষ শ্রমিককে অপহরণ করে। পরে বড়লেখা থানার পুলিশ তাদের উদ্ধার করে পাল্লাথল কর্তৃপক্ষের কাছে ফিরিয়ে দেয়। বড়লেখা থানার অফিসার ইনচার্জ সেলিম নেওয়াজ একজন নিহত ও তিন জন আশংকাজনক আহত হওয়ার ঘটনা স্বীকার করেছেন। নিহতের লাশ উদ্ধার করে মৌলভীবাজার সদর হাসপাতাল মর্গে প্রেরণ করা হয়েছে। এ ঘটনায় থানায় মামলার প্রস্তুতি চলছে। আসামীদের গ্রেফতারে পুলিশের অভিযান চলছে।
মৌলভীবাজারের বড়লেখা উপজেলার আয়েশাবাদ চা বাগান কর্তৃপক্ষ ও হীরেরগুল বস্তিবাসীদের মধ্যে প্রায় ২৫০ একর জমির মালিকানা সংক্রান্ত বিরোধের জের ধরে সংঘর্ষে ১ জন নিহত ও নারীসহ ১০ জন আহত হওয়ার খবর পাওয়া গেছে। আহতদের মধ্যে আশংকাজনক অবস্থায় ৩ জনকে সিলেট ওসমানী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে প্রেরন করা হয়েছে। ঘটনাটি ঘটে গত ১৭ জুলাই বুধবার বিকেলে। এ ঘটনায় বস্তিবাসীদের মধ্যে আতঙ্ক বিরাজ করছে। থানা পুলিশ ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছে। পুলিশ ও স্থানীয়রা জানায়, বেশ কিছু দিন ধরে আয়েশাবাদ চা বাগান কর্তৃপক্ষ ও হীরেরগুল বস্তির লোকজনদের মধ্যে প্রায় ২৫০ একর জমির মালিকানা সংক্রান্ত বিষয় নিয়ে বিরোধ চলছিল। বাগান কর্র্তৃপক্ষ হিরেরগুল বস্তির ভুমির মালিকানা দাবি করে আসছিলো। গতকাল বুধবার দুপুরে বস্তির লোকজন জমিতে কাজ করতে গেলে আয়েশাবাদ চা বাগানের মালিক পক্ষ ভাড়াটিয়া সন্ত্রাসীসহ হীরেরগুল বস্তি দখল করতে যায়। তখন বস্তিবাসী এর তীব্র প্রতিবাদ করলে সন্ত্রাসীদের ধারালো অস্ত্রের আঘাতে ঘটনাস্থলে মিসবাহ উদ্দিন (৩০) নামে একজন নিহত হয়। নিহতের বাবার নাম হাসমত আলী। আহত হয় আরো ১০ জন। গুরুতর আহতরা হলো শফিক আহমদ (৫০), রানু বেগম (৪০), শিপন আহমদ (২০)। বাকী আহতদেরকে প্রাথমিক চিকিৎসা দেওয়া হয়েছে। বস্তিবাসী হাসমত আলী, আব্দুর রহমান ও হেকিম আহমদ জানান দীর্ঘ ৬০/৭০ বছর ধরে তারা হীরেরগুল বস্তিতে বংশ পরম্পরায় বসবাস করে আসছেন। আয়েশবাদ চা বাগান কর্তৃপক্ষ ক্ষমতার দাপটে তাদের মাথাগুজার শেষ আশ্রয়স্থলটুকু দখল করে নিতে বস্তিবাসীর উপর হামলা চালিয়েছে। স্থানীয়রা আরো জানায় গত ৩/৪ মাস পূর্বে আয়েশবাদ চা বাগান কর্তৃপক্ষ ভাড়াটিয়া সন্ত্রাসী দিয়ে পাল্লাথল চা বাগানের শতাধিক নারী পুরুষ শ্রমিককে অপহরণ করে। পরে বড়লেখা থানার পুলিশ তাদের উদ্ধার করে পাল্লাথল কর্তৃপক্ষের কাছে ফিরিয়ে দেয়। বড়লেখা থানার অফিসার ইনচার্জ সেলিম নেওয়াজ একজন নিহত ও তিন জন আশংকাজনক আহত হওয়ার ঘটনা স্বীকার করেছেন। নিহতের লাশ উদ্ধার করে মৌলভীবাজার সদর হাসপাতাল মর্গে প্রেরণ করা হয়েছে। এ ঘটনায় থানায় মামলার প্রস্তুতি চলছে। আসামীদের গ্রেফতারে পুলিশের অভিযান চলছে। বড়লেখা প্রতিনিধি॥
মন্তব্য করুন