জুড়ীতে হাত বাড়ালেই মিলছে মাদক
মাদকের নেশায় ভাসছে জুড়ী শহর। যত্রতত্র পাওয়া যাচ্ছে মাদকদ্রব্য। সহজলভ্য হওয়ায় দিনকে দিন জুড়ীতে মাদকসেবীর সংখ্যা বেড়েই চলছে। খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, শহরের হাইস্কুল রোডের বেশ কটি বাড়ীতে বিক্রি হচ্ছে মাদকদ্রব্য। থানা পুলিশকে নিয়মিত মাসোয়ারা দিয়ে নির্বিঘে চালিয়ে যাচ্ছে তারা মাদক ব্যবসা। হাইস্কুল রোডের বাসিন্দা ছেদিয়া চৌহান, জয়দেব চৌহান, লীয়া চৌহান, বিষ্ণু চৌহান, মুনিয়া চৌহান, শ্রীনাথ চৌহান ও নন্দলাল তেলী মদ, গাঁজা বিক্রি করছে প্রকাশ্যে। তাছাড়া শহরের বাসস্ট্যান্ড এলাকায় বেছন দাস নামে এক ব্যক্তি দীর্ঘ দিন থেকে বিক্রি করে আসছে ভারতীয় মদ। ভারতীয় বিভিন্ন ব্রান্ডের মদ পাওয়া যায় বেছনের কাছে। অভিজাত শ্রেণীর ক্রেতার ভীড় থাকে বেছনের মাদক স্পটে। সূত্র জানায়, বেছন নিয়মিতভাবে থানা পুলিশকে মাসোয়ারা দেয়। ফলে বছরের পর বছর থেকে মাদক বিক্রি করলেও আজ পর্যন্ত একটি মামলাও থানায় নেই। বেছনের মদের দোকানে এখন যুক্ত হয়েছে ফেন্সিডিল। উচ্চ মাত্রায় কোডিনযুক্ত ভারতীয় ফেন্সিডিলের চাহিদাও অনেক বেশী। শহরের ভবানীগঞ্জ বাজারের কাঞ্চন মুচি ও কামিনীগঞ্জ বাজারের রবিদাস মুচির বাড়ীতে প্রকাশ্যে দিবারাত্রি চলছে মদ বিক্রি। পোস্ট অফিস রোডের রেল কলোনীতে আবদু নামের এক ব্যক্তির রয়েছে মাদকের আস্তানা। জুড়ী থানার পুলিশ গত বছর একবার অভিযান চালিয়ে আব্দুর আস্তানা থেকে আব্দুসহ আরো তিনজনকে আটক করে। ওই মামলায় সে দুইমাস জেল খেটে জামিনে বের হয়ে এসে পুনরায় ব্যবসা চালু করেছে। ভাঙ্গারী ব্যবসার আড়ালে হারুন নামে এক ব্যক্তি চালিয়ে যাচ্ছে মাদক ব্যবসা। হারুনের আস্তানায় চোয়ানী মদও বিক্রি হয়। জুড়ী শহরতলীর ভজিটিলা ও কন্টিনালায়ও বিক্রি হচ্ছে গাঁজা। তাছাড়া ফুলতলা বাজারে রয়েছে একাধিক আস্তানা। সন্ধ্যার পরে এসব আস্তানায় মাদকসেবকদের ভীড় থাকে। ফুলতলা বাজার কলোনীর মৃত শরাফত আলীর স্ত্রী হনুফা প্রকাশ্যে গাঁজার আসর বসিয়ে চালিয়ে যাচ্ছে ব্যবসা। স্থানীয় বাসিন্দারা হনুফার নিকট অসহায়। তারা প্রতিবাদ করলে তাদের দেখানো হয় নারী নির্যাতন মামলার ভয়। চা দোকানের ব্যবসার আড়ালে জলিল মিয়া চালিয়ে যাচ্ছে জমজমাট মাদক ব্যবসা। ফুলতলা বাজার কলোনীর কুখ্যাত ফেন্সিডিল ব্যবসায়ী তাজুলের বিরুদ্ধে একাধিক মাদকের মামলা রয়েছে। গত ৭ জুলাই তাজুল একটি মামলায় হাজিরা দিতে গেলে আদালত তাকে জেল হাজতে প্রেরণ করে। মাদকসেবীর মধ্যে বেশীর ভাগই তরুণ সমাজের থাকায় তাদের অভিভাবকরাও শংকিত হয়ে পড়ছেন। মাদকদ্রব্যের সহজলভ্যতা নিয়ন্ত্রণে আনতে না পারলে জুড়ী শহরের যুব ও তরুণ সমাজকে মাদকের বিষাক্ত ছোবল থেকে রক্ষা করা কঠিন হয়ে পড়বে বলে মন্তব্য করেছেন অভিজ্ঞ মহল।
মাদকের নেশায় ভাসছে জুড়ী শহর। যত্রতত্র পাওয়া যাচ্ছে মাদকদ্রব্য। সহজলভ্য হওয়ায় দিনকে দিন জুড়ীতে মাদকসেবীর সংখ্যা বেড়েই চলছে। খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, শহরের হাইস্কুল রোডের বেশ কটি বাড়ীতে বিক্রি হচ্ছে মাদকদ্রব্য। থানা পুলিশকে নিয়মিত মাসোয়ারা দিয়ে নির্বিঘে চালিয়ে যাচ্ছে তারা মাদক ব্যবসা। হাইস্কুল রোডের বাসিন্দা ছেদিয়া চৌহান, জয়দেব চৌহান, লীয়া চৌহান, বিষ্ণু চৌহান, মুনিয়া চৌহান, শ্রীনাথ চৌহান ও নন্দলাল তেলী মদ, গাঁজা বিক্রি করছে প্রকাশ্যে। তাছাড়া শহরের বাসস্ট্যান্ড এলাকায় বেছন দাস নামে এক ব্যক্তি দীর্ঘ দিন থেকে বিক্রি করে আসছে ভারতীয় মদ। ভারতীয় বিভিন্ন ব্রান্ডের মদ পাওয়া যায় বেছনের কাছে। অভিজাত শ্রেণীর ক্রেতার ভীড় থাকে বেছনের মাদক স্পটে। সূত্র জানায়, বেছন নিয়মিতভাবে থানা পুলিশকে মাসোয়ারা দেয়। ফলে বছরের পর বছর থেকে মাদক বিক্রি করলেও আজ পর্যন্ত একটি মামলাও থানায় নেই। বেছনের মদের দোকানে এখন যুক্ত হয়েছে ফেন্সিডিল। উচ্চ মাত্রায় কোডিনযুক্ত ভারতীয় ফেন্সিডিলের চাহিদাও অনেক বেশী। শহরের ভবানীগঞ্জ বাজারের কাঞ্চন মুচি ও কামিনীগঞ্জ বাজারের রবিদাস মুচির বাড়ীতে প্রকাশ্যে দিবারাত্রি চলছে মদ বিক্রি। পোস্ট অফিস রোডের রেল কলোনীতে আবদু নামের এক ব্যক্তির রয়েছে মাদকের আস্তানা। জুড়ী থানার পুলিশ গত বছর একবার অভিযান চালিয়ে আব্দুর আস্তানা থেকে আব্দুসহ আরো তিনজনকে আটক করে। ওই মামলায় সে দুইমাস জেল খেটে জামিনে বের হয়ে এসে পুনরায় ব্যবসা চালু করেছে। ভাঙ্গারী ব্যবসার আড়ালে হারুন নামে এক ব্যক্তি চালিয়ে যাচ্ছে মাদক ব্যবসা। হারুনের আস্তানায় চোয়ানী মদও বিক্রি হয়। জুড়ী শহরতলীর ভজিটিলা ও কন্টিনালায়ও বিক্রি হচ্ছে গাঁজা। তাছাড়া ফুলতলা বাজারে রয়েছে একাধিক আস্তানা। সন্ধ্যার পরে এসব আস্তানায় মাদকসেবকদের ভীড় থাকে। ফুলতলা বাজার কলোনীর মৃত শরাফত আলীর স্ত্রী হনুফা প্রকাশ্যে গাঁজার আসর বসিয়ে চালিয়ে যাচ্ছে ব্যবসা। স্থানীয় বাসিন্দারা হনুফার নিকট অসহায়। তারা প্রতিবাদ করলে তাদের দেখানো হয় নারী নির্যাতন মামলার ভয়। চা দোকানের ব্যবসার আড়ালে জলিল মিয়া চালিয়ে যাচ্ছে জমজমাট মাদক ব্যবসা। ফুলতলা বাজার কলোনীর কুখ্যাত ফেন্সিডিল ব্যবসায়ী তাজুলের বিরুদ্ধে একাধিক মাদকের মামলা রয়েছে। গত ৭ জুলাই তাজুল একটি মামলায় হাজিরা দিতে গেলে আদালত তাকে জেল হাজতে প্রেরণ করে। মাদকসেবীর মধ্যে বেশীর ভাগই তরুণ সমাজের থাকায় তাদের অভিভাবকরাও শংকিত হয়ে পড়ছেন। মাদকদ্রব্যের সহজলভ্যতা নিয়ন্ত্রণে আনতে না পারলে জুড়ী শহরের যুব ও তরুণ সমাজকে মাদকের বিষাক্ত ছোবল থেকে রক্ষা করা কঠিন হয়ে পড়বে বলে মন্তব্য করেছেন অভিজ্ঞ মহল। কুলাউড়া অফিস॥
মন্তব্য করুন